নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই ফালাসরে পাগল মরতে একদিন হইবই

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

জুনজুন

নিতান্তই সরল দিন গুলো কেটে যায়..... শুধু বসে থাকা কিছু সপ্নকে মুঠো করে।

জুনজুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প\'লা চ\'রি!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

আমার প্রথম চাকরিটা ছিল ঢাকাতে...... আমি চাটগার মানুষ, পড়ালেখা থাকা সবই চাটগাতে তাও আসতে হল ঢাকা। অবশ্য এর আগে ঢের ঘুরেছি, এদিক অদিক বহু ধর্না দিয়েও আমার প্রিয় চাটগাতে চাকরী জুটাতে পারলাম না। আমার অনেক সহপাঠী ইতিমধ্যে তিন চার মাস চাকরী করেও ফেলছে......ধুমায়ে ইনকাম করতাছে আর আমিই বসে বসে বাপের অন্ন ধবংস করতেছি তাই আর পিছে ফিরে তাকালাম না।যে বড় ভাই আমারে ফোন করে বলছিল যে চাকরী করবা নাকি তিনিই আবার ফোন দিলেন বেতন তেটন কিন্তু খুব কম, দেইখ। আমি মনে মনে কইলাম আর কিছু না হোক সবাইরে ত কইতে পারমু আর বেকার নাই—কিছু একটা করি।আইসেই উঠলাম মামার বাসায়—মামারে কইলাম চাকরী পাইছি। মামা বলল মামা ছাড়া যখন চাকরী পাইছস প্রথম বেতন পাইলেই মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু। আমি বললাম মামা এখনি খাওয়াতে পারি... কিন্তু প্রথম বেতন পাইলেই মিষ্টি খাওয়াতে চাই। মামা কইলেন ঠিক আছে আগে বেতন পা তারপর দেখা যাবে কোথায় খাওয়াবি।
তারপর দিন অফিসে যাব তাই বড় ভাইরে ফোন দিলাম, বড় ভাই একটা নাম্বার ধরায় দিয়ে বললেন, তোমগো বস...... উনার সাথে কথা বইল। সেই বসরে ফুন দিলাম, মনে হইল হাতে চাঁদ পাইছেন এমন খুশি হইলেন, আমি আর কি খুশি হমু। বলল কালই জয়েন কর, ঠিকানাও বলে দিল। সকাল বেশ ফিটফাট হয়ে রওনা দিলাম, হাজার হোক প্রথম চাকরির প্রথম অফিস। কিন্তু যেয়ে আর অফিস খুজে পাইনা, ঠিকানা মতই ত এলাম। দেখি কি একটা প্রিন্টিং কোম্পানির বিশাল সাইনবোর্ড লাগানো। বসরে ফুন দিলাম, বস আসছি কিন্তুক অফিস ত খুইজা পাই না। বস কইলেন দাড়াও পাঠাচ্ছি...... কিছুক্ষন পর দেখলাম এক গেঁদা প্রিন্টিং কোম্পানির ভিত্রে থেকে উদয় হইল আর আমারে কইল আপনি কি অফিস খুজতাছেন? আমি ত বাক্য হারা শেষ পর্যন্ত এই প্রিন্টিং আর প্যকেজিং কোম্পানির কাম্লার কাজই কি জুটল নাকি... তবে বিরাট প্রিন্টিং যন্ত্রপাতি পার হয়ে দেখি ছুট দুই রুমের অফিস। সেখানে এক রুমে আমার বস আরেক রুমে তাঁর পিয়ে কাম সেই গেঁদা। আর তাঁর সাথে অবিশ্যি একজন মার্কেটিং ম্যনেজারও আছেন। আমারে বসে প্রথম যে বিষাল ভাষন দিলেন, তাঁর সারসংক্ষেপ দাঁড়ায় যে উনিই পৃথিবীর অবাক করা ব্যক্তিত্বদের একজন যে এত অল্প বয়সে এমন একটা কুম্পানির সি ই ও হইতে পারছেন। এঁর পূর্বে উনি এনার্জি প্যকে ছিলেন কিন্তু উনারে তারা যথাযথ সম্মাননা না দেওয়ায় সেটা ছেড়ে আজ কোম্পানির সি ই ও হোক না সে নিজের কোম্পানি। আমি উনারে সন্তুষ্ট করার জন্য লজ্জা মিশ্রিত হাসি দিলাম তবে উনি কেন যেন বেতনের কথাটা এড়িয়ে গেলেন।আজকে চাকরিতে লাথি ঝ্যাঁটা খেতে খেতে ঐ বসের কথা বার বার মনে হয়।মনে হয় দুই কামরার একটা অফিস দিয়া আমিও সি ই ও সাজি...।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মজা পাইছি ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

জুনজুন বলেছেন: পরের ঘটনা আরো মজার....

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

রেজাউল করীম বলেছেন: পরের ঘটনাটা তহলে বলেই ফেলেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

জুনজুন বলেছেন: ভাই এইটা ত বলা না লেখা... লিখতে সময় পেলে লিখবানি ভাই।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কাজ করছিলেন নাকি ঐ কোম্পানিতে সেইটা কন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

জুনজুন বলেছেন: করছিলাম মাস খানেক

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো করছেন, রুট লেভেলের অভিজ্ঞতা থাকা ভালো। এতে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

জুনজুন বলেছেন: ঠিক বলেছহেন ভাই

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার তো অনেক অভিজ্ঞতা! ধন্যবাদ।




ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ভাই আপনার ঐ সিইওকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন। এই চাকরী জীবন আর ভাল লাগেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.