নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিসেব..।

কাব্য চৌধুির

কিছু মনে পরেনা।

কাব্য চৌধুির › বিস্তারিত পোস্টঃ

িসেব এর গড়মিল

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৫

জীবনের এক প্রান্তে সুখ আরেক প্রান্তে দুঃখ। বেচে থাকার এই এক অসম্ভব খারাপ লাগা একটি নিয়ম। হয়ত দেখা যায় না চাইতে কোন কিছুর আবির্ভাব আবার যেই জিনিষ টার জন্য এতো শ্রম এতো কষ্ট অথচ সেটার কোন খোজ এ নেই! রীতিমতো পুরদমের একটা ফাঁকিবাজি! কিন্তু এটাই নিয়তি। এটাই সৃষ্টিকর্তার লীলা। আজ একটা গল্প বলবো আপনাদের। কোন একজন মানুষের জীবন থেকে নেয়া গল্প টি। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলেতে এখনো বেস্ত মানুষটি!



২০০৮ সালের কোন এক সময়ের ইউনিভার্সিটি এর তৃতীয় বর্ষ। কোন এক ভাল লাগা থেকে ছেলেটির ভাল লাগে কোন একটি মেয়ে কে। স্বভাবত যা হবার তাই এ হল! ভাল লাগা থেকে ভালবাসা আরও অনেক কিছু। কিন্তু ঘটনা টা আসলে এই ভাল লাগা বা ভালবাসা থেকে নয়, ঘটনাটা আসলে এই ভালবাসার শেষ মুহূর্ত টুকু কে নিয়ে। ছেলেটি আসলে নিতান্তই একজন সাধারণ ঘরের অনেক বড় স্বপ্ন দেখা বাবার একটি মাত্র ছেলে। আর মেয়ে টি দুর্ধর্ষ রকমের এক পাত্তি ওয়ালা এর মেয়ে। তা যাই হোক, ছেলে এর বাতিক ছিল গান বাজনার। টুকটাক করত আরকি। এই টুকটাক করতে করতে আর ভাললাগা ভালবাসার মাঝে দিয়েই চলে গেল ২০০৮। আসল ২০০৯, নতুন বছর নতুন স্বপ্ন ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই নতুন স্বপ্নের মাঝে আবার একটি ছিল মেয়েটির সাথে জীবন গড়বার চিন্তাভাবনা। ব্যাস! হয়ে গেল কেল্লা ফতে!!!!! ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। এরি মাঝে কিন্তু ২ টি বছর গায়েব। মেয়ে টা একদিন ছেলে টিকে বলল বিদেশে যেতে হবে। কেন??? Why? কারন! ছেলেটি যদি বিদেশে যেতে না পারে তাহলে নাকি মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে পারবেনা!!!! WHAT AN IDEA SIRJI!!!!!!! যাই হোক, তীব্র ভালবাসার দরুন ছেলেটি দুইটি চোখে সরষে ফুল দেখতে লাগলো, মানে আসলে কি করবে বুঝতে পারতেছেনা। ছেলের বাবার পক্ষে তো কখনই সম্ভব না ছেলে কে বাইরে পাঠানোর। ছেলে তো দেশের বাইরে যাবার জন্য ২ পায়ে খাড়া, পারলে আরেকটা external পা লাগিয়ে দিতে পারলে খুশি। কেমনে কি! কেমনে কি! দিলো তার সখের গান বাজনা এর জিনিষ পত্র গুলো বিক্রি করে। পেয়ে গেল মার কাছ থেকে জমানো টাকা। মোটমাট প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। ঐ যে আগেই বলেছিলাম “তীব্র ভালবাসা”, এই তীব্র ভালবাসা ভালবাসার জন্যই করতে পেরেছে, আর সাথে ছিল বিশ্বাস নামক একটি মনোভাব। তো যাই হোক ছেলেটি কিন্তু আর বিদেশে যেতে পারেনি, বা মেয়ে টিকেও সে তার জীবনে পায়নি। কেন পায়নি সেটা ব্যাখ্যা করতে গেলে আবার আমাকে গীবত গাইতে হবে তাই সেই ঝামেলা ঝক্কি তে যাবনা, এমনি তেই চারপাশে আস্তিক আর নাস্তিক নিয়ে বিস্তর রকমের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। তো যাই হোক ছেলেটি তার মনে কষ্ট নিয়ে তার ব্যাচেলর ডিগ্রী টা শেষ করে ঢুকল একটা চাকুরী তে! আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সব কিছু মেনে নিয়ে এগিয়ে গেল। চাকুরীর সুবাদে একদিন তাকে বিদেশেও যেতে হল। তখন তার মনে একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছিল, “সেই তো গেলাম, হয়ত এই যাওয়াটা যদি ৩ বছর আগে যেতে পারতাম, তাহলে হয়ত কাউকে হারাতে হতোনা” নাহ! তার যে এই ধারনাটা ভুল, মানে আমি বলতে চাচ্ছি এই পাওয়া না পাওয়ার বেপারটা, সেটা কিন্তু সে জানে। তারপর ও মন কে বুঝানোর জন্য আর কি! মনে মনে বলা এই যা! বাবার ইচ্ছা খানিক টা হলেও পূরণ করতে লাগলো দিন দিন। এরই মাঝে ছেলেটি একদিন মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করল through ই-মেইল। জানতে পারল মেয়েটির বিয়ে ঠিক আর কয়দিন পরেই সানাই বাজবে। যাই হোক তার পরের কাহিনী তো আর কাহিনী না! সেটা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। ছেলেটির কথায় আসি।



আজ রাতে কোন এক কারণে ছেলেটি আমাকে কল করে বলে, মানুষের চাওয়া পাওয়ার হিসেব গুলো এমন কেন? সৃষ্টিকর্তা বলে কি আসলেই কেউ আছেন? যদি তাই থেকে থাকেন তাহলে কেন তিনি তার সৃষ্টি এর প্রতি এতো নির্মম! ছেলেটি আজ কাঁদছিল! আমি বুজতে পারছিলাম তার কষ্ট টুকু। তাকে আমি একটি কথা বললাম, “ জীবনের এক প্রান্তে সুখ আর আরেক প্রান্তে দুঃখ। হয়ত তোমার দুঃখ পাবার জন্যই তোমার ভালবাসার মানুষ টি শুখে আছে। তোমার তো গর্ব করা উচিৎ। আর হ্যাঁ সৃষ্টি কর্তা না থাকলে এই এতো হিসেব নিকেশ কে মিলাতেন?”ছেলেটি এই কথাটাতে শান্ত হয়েছিল কিনা জানিনা কিন্তু আমি অপর প্রান্ত থেকে তখনও ফুঁপানো কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। এখনো ছেলেটি সেই মানুষটির ছবি গুলোকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে, এখনো সেই চুরি করে প্রথম ভাল লাগার কথাটি বলার সময়কার রেকর্ডেড version টা শুনে একটু হলেও হাসে। আর প্রতি মুহূর্তে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব গুলো নিয়ে অংক কসে! আসলেই কি জীবন টা এমন হবার কথা ছিল?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ বলেছেন: কাব্য ভাই,

এটাই মানুষের জীবন, এটাই বাস্তবতা... এই পাওয়া না পাওয়াটাই আমাদের পরীক্ষা... আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা রইলো... :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কাব্য চৌধুির বলেছেন: জি এটাই মানুষের জীবন। এবং একেই মেনে নিতে হবে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.