![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিমু মত এলোমেলো পথে জোছনায় ময়ুরাক্ষীর পাড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা, ধীরে নদীর পানি গ্রাস করতে থাকে আমাকে .....। ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/hiimmuu
গল্পের নামঃ ছায়ামানব
আকাশ কাঁদা থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো। গায়ে জোর নেই। পকেটের ফোন বের করে লাস্ট ডায়াল নাম্বারেই আবার ফোন করলো।
ডায়াল করে শেষ করতে পারলো না।। রাস্তার পাশে মুখভর্তি বমি করে অজ্ঞান হয়ে পরে গেল।
আকাশের ফোন দেখেই বিনাদ্বিধায় ফোনটা কেটে দেয় রূপন্তী।
আগেই বলে নিচ্ছি এটা কোন প্রেমের গল্প না,
এটা খুব স্বাভাবিক গল্প।।
রূপন্তীর লাইফে আকাশের প্রয়োজন নেই!
আকাশ সেটা জেনেও প্রতিবাদ করেনি।
দুসপ্তাহের মাথায় আজ এমনটা ঘটলো, সুস্থ সবল মানুষ বাস থেকে নেমে কাঁদার মধ্যে পরে রইলো।
তার কল্পনার রাজ্যের সবটুকুতে থাকা রূপন্তী সেখানে আসে নাই। এসেছিলো একজন রিকশাওয়ালা।
ফোনটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে MA লেখা নাম্বারটায় ডায়াল করে বলেছিলোঃ
ঢাকা মেডিক্যালে আসেন, ভাইজান কাঁদায় পইড়া গেছে।।
বলে ভাড়া ঠিক না করেই মানুষটা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো।
ডাক্তার যা জানালো তার সারার্শ হলোঃ
শরীর দুর্বল, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপক অনিয়ম!!
মায়ের নরম দৃষ্টিতে চোখ না রেখে জানালার বাইরে তাকিয়ে বললোঃ
রিকশাওয়ালাটাকে পাঁচশ টাকা দিয়ে দাও।
ঃ টাকা সে নিবে না, বিদায় নিয়েছে। তার বাচ্চার জন্য ওষধ কেনার ব্যবস্থা করেছি। বড় হয়েছো, এসব ছাড়ো!
বলেই রেহানা খান উঠে এসে ছেলের পাশে বসলেন।
আকাশ তার নিজের ছেলে না।
তবু,
নিজের ছেলে হলে হয়তো এভাবেই ভালোবাসতেন।
কিন্তু ছেলেটা বুঝবে না,
বাবার মতই নির্বোধ ও গোঁয়ার টাইপ।
আকাশের জায়গা হলো বাবার বাড়িতে, বছর খানেক আগে বাসা ছাঁড়া হয়েছে।।
তবু কেমন জানি ভালো লাগা কাজ করে।
রেহানা বেগম খেয়াল করে আর যত্ন নিয়ে আকাশের খোঁজ নেন। বিকেলে বারান্দায় বসে ব্যাডমিন্টন খেলা দেখে দুজন।।
আকাশ একটা সুস্থ হতেই দুজন মিলে খেলার বন্দোবস্ত হয়ে গেলো।
আকাশ আর রূপন্তীর গল্প ছিলো না,
আকাশ রূপন্তীকে ভালোবাসতো, রূপন্তী সে ব্যাপারটা জানতো, এড়িয়ে যেতো হাজার অযুহাতে, যেমন সে এসব চায় না।
কিন্তু একসময় ঠিক এক ছেলের সাথে রিলেশানশীপ স্ট্যাটাস দিয়েছে।
আর আকাশকে বলে দিয়েছেঃ
He is the one, I know you are smart and grown up. don't get messed up.
live your life..
you are my best friend.
আকাশের অধিকার ছিলো না যে কিছু বলেঃ
একটা হাসির ইমো দিয়ে চুপসে যায়।।
যে ছেলেটা এই মেয়ের প্রিন্স চার্মিং হতে বাবার সম্পত্তি ছেড়ে গিয়েছিলো, তার শিক্ষা হয়েছে।
বাবার কালো সেডান গাড়ি আর অফিসের ভারী কালো চেয়ার আর দরজার বাইরে চেয়ারম্যান লেখাটা এখন খুব একটা খারাপ লাগে না।
বদলানো শুরু হয়েছিলো রূপন্তীকে ভালোবেসে,
টাকার পেছনে ছোটার অযুহাতটা রূপন্তীর কাছেই পেয়েছিলো।
বছর দুই পর গহনা আর শাড়ি মোড়ানো বিয়ে করা মেয়েটার কাছে শারীরিক চাহিদাটা জরুরী ছিলো কিংবা একটা বাচ্চার।।
আকাশ তবু মেয়েটাকে ভালোবাসে,
অনেক বেশি।।
রূপন্তীর কথা মনেই নেই তার, সৎ মা কে নিজের মায়ের চেয়ে বেশি পেয়েছে।
আমরা হুট করে সম্পর্কের নাম দিয়ে দেই,
সম্পর্কের নাম না গভীরতাই আসল।।
কাউকে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড বলার চেয়েও জরুরী, সম্পর্কের গভীরতা মাপা, অথবা তুমি বার বার ভুল করবে।
সম্পর্কের শুরুতে মিষ্টি কথা বলে শরীরের অধিকার নেয়ার মানুষের অভাব নেই।।
মনটা ঠিক মানুষকে দিয়ো।।
_রিফাত চৌধুরী।। (কাব্যপ্রেমী রিফাত)
(লেখাটি কপি করা যাবে না, কপি করলে জানিয়ে করতে হবে।।কপি করলে কপিরাইট রিপোর্ট করবো।।)
©somewhere in net ltd.