![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরতাল বাক্যটা এখন মানুষের জীবনে দৈনন্দিত ব্যাপার হয়ে দারিছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন এক বছর হরতাল বাদে অতিবাহিত হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। যদি প্রতি বছরে একদিন না একদিন হরতাল হয়েই থাকে তাহলে ২০১৫ সালটা বাদ যাবে কেন? আগে কেমন হরতাল হত জানি না, তবে এখন যে হারে হরতাল ভাত-মাছ হয়ে গেছে তাতে কি হরতাল ছাড়া কল্পনা করা যায়!
তাই ২০১৫ সালটা এবার শুভ কাজটা আগে ভাগেই সেরে নিল।
২০১৪ সালের ৪ সংখ্যাটা বিদাই নিতে না চাইলেও নিয়মানুসারে বিদাই নিতে হচ্ছে। এই বিদায়ের জন্য একদিন ছুটি আর ৪ সংখ্যাকে ৫ সংখ্যা সহমর্মিতা জানাবে বলে বছরের শুরুতেই একদিন ছুটি কাটাতে হচ্ছে। সে হিসেবে ৫ সংখ্যা ধন্যবাদ জানাতেই পারে হরতাল সমর্থক রাজনীতিবিদদের। ৫ সংখ্যা একটা ফুরফুরে মেজাজ নিয়েই ৪ সংখার সাথে হিসেবে বসল ২০১৪ সালের পরিসংখ্যানে।
৫ সংখ্যা জিজ্ঞেস করল এই তারিখ গুলো ক্রস চিহ্ন কেন?
৪ সংখ্যা জবাব দিল এই গুলো হরতালের দিন।
৫ সংখার চোখেতো ছানাবরা, একি বলেন!
তারিখ গুলো তো বাদ দিলে ক্যালেন্ডারে বাঁকি দিনগুলো চোখেই মিলছে না।
৪ ও ৫ সংখ্যার কথোপকথন যাইই হোকনা কেন, ২০১৫ সালটা যে কেমন যাবে তা বছরের শুরুতেই কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি।
আমার জানামতে হরতাল শব্দটি মূলত একটা গুজরাটি শব্দ, যা সর্বাত্মক ধর্মঘটের প্রকাশক। মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। এটা হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন। হরতালের সময় সকল কর্মক্ষেত্র, দোকান, আদালত বন্ধ থাকে। তবে সাধারণত এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিস, গণমাধ্যমসমূহ এর আওতার বাইরে হয়ে থাকে।
এটা সাধারণত কোনো একটা দাবি আদায় করার বা এর গুরুত্ব বোঝাতে আহ্বান করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, দ্রব্যমূল্যের অত্যধিক বা ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি রোধ করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এর ব্যবহার। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হরতাল ডাকা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার সমর্থিত নয়, এমন সংগঠন, কিংবা বিরোধী দল হরতালের আহ্বান করে থাকে। তবে অরাজনৈতিক কোনো দলও, সরকার-সমর্থিত হওয়াসত্ত্বেয় সরকারের কোনো কাজের বিরোধিতা করতে হরতালের ডাক দিতে পারে।
হরতাল, রূপভেদে বিশ্বের প্রায় সব দেশে বর্তমান থাকলেও ভারতীয় উপমহাদেশেই এই রাজনৈতিক হাতিয়ারটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
শান্তিপূর্ণ হরতালের মূল কার্যক্রম হয়ে থাকে প্রতিবাদ মিছিল এবং সমাবেশ। অর্থাৎ হরতাল সমর্থকরা রাজপথে বেরিয়ে একত্র হয়ে উচ্চস্বরে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানান দিয়ে থাকেন। কিন্তু কখনও কখনও এই পদ্ধতির ব্যবহার করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া, কিংবা আইনবহির্ভুত কাজে নেমে যাওয়া হরতালকে শান্তিপূর্ণ রাখে না।
যাইহোক বেশি কথায় যাবনা, বিগত দিনগুলো হরতালে দেশের জনগণের কতটুকু উপকার/অপকার হয়েছে তা প্রশ্ন বিদ্ধ করে।
আর চাইনা এমন অশান্তি মূলক হরতাল।
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
কাবিল বলেছেন: হুম ভাই ঠিকই বলেছেন
ধন্যবাদ
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন ধরে হরতালমুক্ত রয়েছে স্বদেশ। দেশ এগিয়ে যাক, মানুষের জীবনের মূল্য সবাই অনুধাবন করুক!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
কাবিল বলেছেন: দেশ এগিয়ে যাক, মানুষের জীবনের মূল্য সবাই অনুধাবন করুক!
হুম, অনেকদিন ধরে হরতালমুক্ত রয়েছে স্বদেশ।
শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০১
নীল আতঙ্ক বলেছেন: আমরা ভাইয়া সাধারন মানুষ......... আমাদের চাওয়া না চাওয়াতে কিছু আসে যায় না।
ভালো লাগলো লেখাটা +++