![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই অবাক হলাম এবং বলা যায় চমকে যাওয়ার মতন একটি ইতিহাস। কিন্তু কেন ও কি কারণে বাঙ্গালি হিসেবে এই অসাধারণ ঘটনাটির ব্যাপারে অজ্ঞ রইলাম তা লজ্জাজনক। আশা করি এই ইতিহাস বাঙ্গালির দৃষ্টিঘোচর হলে জাতি হিসেবে আমাদের অনেক হীন্যমন্যতা দূর হবে।
.
.
পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাবি আর মোহাজের'দের আধিপত্যের কারণে সিন্ধুবাসীদের এমনিতেই অসন্তোষ বইছিলো। চাকুরী ও ব্যবসা'র অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের আধিপত্য চলছিলো। ১৯৭১-এর সময় তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় উদ্দীপ্ত হয়ে ১৯৭২ সালে জি. এম. সাঈদ নামে সিন্ধুর এক রাজনীতিবিদ ঠিক করলেন তিনি সিন্ধুদেশ নামে আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন শুরু করবেন। সাঈদ অবশ্য বলেছেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে তিনি প্রেরণা পেয়েছেন 'সিন্ধুদেশ' নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের রূপরেখা তৈরিতে। একটু খেয়াল করে দেখেন উনি দেশটির নামের পরে ইস্তান-এর বদলে দেশ ব্যবহার করেছেন। এই অন্দোলন এখনও চলছে চুপিসারে, যদিও আগের মতন আর বেগবান নেই।
এবার নজর দেওয়া যাক বেলুচিস্তানের দিকে। বেলুচিস্তানের কাহিনী আরও খারাপ। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেখানে বিভিন্ন সময়ে সেখানে সামরিক অভিযানের কারণে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠির উপর তাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই অসন্তোষের ধারাবাহিকতায় সেখানে জন্ম নেয় মিলিশিয়া গ্রুপ। ২০০০ সালে Balochistan Liberation Army ও ২০০৬ সালে Baloch Republican Army গঠিত হয়। দুটো মিলিশিয়া লক্ষ্য একটি- পাকিস্তানের পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত হয়ে একটি বালুচ জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠা!! বালুচদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় প্রেরণা ৭১।
সুতরাং একটু ভেবে দেখুন, ৭১ অনেক পাকিস্তানীদের কাছেও প্রেরণা অথচ নিজেদের জাতিগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ ৭১-কে অবজ্ঞা করছি দিনরাত। মাত্র নয় মাসে পাওয়া স্বাধীনতা তো, সস্তা মনে হবেই।
©somewhere in net ltd.