![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে লেখার ইচ্ছা থাকলেও কাজের চাপে ক্লান্ত থাকায় সেটি আর করা হয়ে উঠে না। তবে আজকে না লিখে আর পারলাম না, যখন দেখলাম বেলুচিস্তানে জিন্নাহ'র বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকের মতন আমিও হেসেছি পাকিস্তান রাষ্ট্রটির উলঙ্গ অবস্হা দেখে। আসলে পাকিস্তানে পচন এখন নয়, এটির সৃষ্টিকাল থেকে এটিতে পচন ধরেছিল।
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি একটি পার্কে ভাষণ দিতে গিয়ে নিহত হয় - সেদিন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এই রাষ্ট্রটির পচন আসন্ন?! কিছু খন্ড চিত্র এখানে ধরছি, তাতেই আপনারা অনুমান করতে পারবেন কি পরিমাণ অপরিপক্কতা আর গোয়ার্তুমির মধ্যে এই রাষ্ট্রটি বেঁচে আছে।
পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫১ সালে। তখন পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট ছিলো না, এর বদলে একটি গভর্নর জেনারেল নিয়োগ করা হতো। পশ্চিম পাকিস্তানের বাসিন্দা সেই গোয়ার গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন-কে করলেন বরখাস্ত ১৯৫৩ সালেই। সেই থেকে শুরু হয় পাক গোয়ার্তুমির যা অব্যাহত আছে এখনও। আপনারা একটু পিছনের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন বেনজির ভুট্টো একবার তার প্রধানমন্ত্রীত্ব সময়কাল পূরণ করতে পারেননি!!! দুইবারই বরখাস্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কতৃক। নেওয়াজ শরীফকেও বরখাস্ত করা হয়েছিলো কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের কাছে আবেদন করে রেহাই পান।
খাজা নাজিমুদ্দিন-এর পর প্রধানমন্ত্রী হন মোহাম্মদ আলী বগুড়া (বাঙ্গালী) এবং মাশালাহ তিনিও বরখাস্ত হন। বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি একটি আইন পাশ করিয়েছিলেন, যেটির মোদ্দাকথা ছিলো, যেবার পূর্ব পাকিস্তানের কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন, পরবর্তীবার প্রধানমন্ত্রী হবেন পশ্চিম পাকিস্তানের কেউ কিন্তু এই আইন করেও মন পাননি পাকি গোয়ারদের।
আমি এই লেখাটি শেষ করবো পাকিস্তানেরই প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহ-এর একটি উক্তি দিয়ে। মৃত্যু শয্যায় পড়ে থাকাকালে তিনি তার চিকিসৎককে বলেছিলেন - "The creation of Pakistan is the biggest blunder of my life".
হ্যা মিঃ জিন্নাহ, পাকিস্তান তৈরি শুধু ভুলই ছিলো না, এটি ছিলো বড় একটি জনগোষ্ঠীর জন্য বিপর্যয়, যার ফল ভোগ করে চলছি আমরা সবাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
না বলা কথা বলেছেন: কি পরিমাণ অপরিপক্কতা আর গোয়ার্তুমির মধ্যে এই রাষ্ট্রটি বেঁচে আছে।
ঠিক, ঠিক, ঠিক।