নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোবির

নিজের বাপারে কিই বা লেখার আছে।

কোবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস তুমি এমনই

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

ইতিহাসের আচরণ বোধহয় এমনই। যখন বন্ধ্যা থাকে, তখন কোন চমক থাকে না কিন্তু আচমনকা ইতিহাস হয়ে উঠে আবাদি জমি, তখন একসঙ্গে অনেক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে, উত্থান ঘটে অনেক মহামানবের।



ফিয়ে যাই সেই প্রাচীন গ্রীসে। আলেকজান্ডার মহাবীর হয়ে উঠার অনেক আগেই সক্রেটিস পান করে ফেলেছেন হেমলক, প্লেটো আলোড়িত করে গিয়েছেন পুরো গ্রীসকে। এরপর তারই ছাত্র এরিষ্টেটল শুরু করেছেন বিজ্ঞান চর্চা, ঠিক সময় এক একরোখা মেসিডন যুবরাজ আলেকজান্ডারের উত্থান। আলেকজান্ডার কেন পরে আলেকজান্ডার হয়ে উঠাছিলেন? সেটা কি এরিষ্টেটলের সভ্য দর্শনের শিক্ষা পেয়ে, নাকি তাঁর এখরোখা আধা অসভ্য আচরণের কারণে, নাকি ইতিহাস তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো 'মহাবীর' হতে??



'রোম' একই সময়ে জন্ম দেয়- জুলিয়াস সিজার, পম্পেই, স্পার্টাকাস, মার্কাস ক্রাসাস। রোম মাতা কি তাহলে চার পর্বতকে একই সাথে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে শুধু একজনকেই বাচিয়ে রাখলেন?? একই সময়ে ইতিহাস ফলিয়েছিলো আরও কয়েকজনকে- মার্ক এন্টনি, ক্লিওপেট্রা, সেনেকা। ইতিহাস কেন একই সময়ে এত ফলবতী হয়ে উঠেছিলো??



মধ্যযুগেও তাই, রেনেসাঁর আবির্ভাবে একই সময়ে লিওনার্দো দ্য

ভিঞ্চি পাশাপাশি উত্থান হয়েছিলো এক ঝাক বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা। লিওনার্দো যখন মোনালিসা আকঁছিলেন, ম্যাকিয়াভেল্লি তখন আধুনিক রাষ্ট্রের কাঠামো রচনা করছিলেন। ঠিক তখনই ইতালিতে মেডিসি তুখোড় বুদ্ধিমত্তার জোড়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলেন কিভাবে হারানো রাজ্য পুনরূদ্ধার করতে হয়, ইতালির অন্য প্রান্তে একই সময়ে জেনারেল সিজার বর্জিয়া দখল করে নিচ্ছিনেল একের পর এক রাজ্য। আর একীভূত স্পেনের পক্ষে আমেরিকা আবিষ্কার করেন কলম্বাস!!

একরাশ অন্ধকারের পর ইতিহাস আলোকিত হয়ে উঠে মহামানবদের পদচারনায়। ইতিহাস এরকমই, ফলবতী হলে সে হয়ে উঠে চমৎকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, প্রকৃতি প্রত্যেক জাতিকেই বীর উপহার দেয়। এসমস্ত ক্ষণস্থায়ী ব্যতিক্রমী বীরেরা প্রচলিত নিয়মের বাইরে একটা দৃঢ় পরিবর্তন ঘটান।

এরপর তাঁরা বিদায় নেন। কোন জাতি তাদের সকল বীরদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয় তাদের মহান কর্মকান্ডের খবর।

আবার কিছু দেশ থাকে, যারা তাদের সর্বোচ্চ বীরদের অপমান করে, শ্রদ্ধা দেখাতে কুন্ঠা বোধ করে, বিতর্কিত করে এবং বিদেশীদের কাছে আরো অপমান কর করে গোড়ে তোলে। ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, মানব ইতিহাসে সেই জাতি বীরহীন জাতি !


গ্রীক বলুন, স্প্যানিয়ার্ড বলুন, রোমান দের কথাই বলুন, সবাই আমাদের মতই মানুষ। কিন্তু কি অসাধারণ ভাবে, অবিতর্কিত ভাবে তারা তাদের বীরদের শ্রদ্ধা করে, মিথগুলা কি সুন্দর করে বলে বেড়ায়।

আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ আগামী ১০০ বছর পরে একটা মিথ হয়ে যাবে। দুঃখ একটাই, এই মিথ এর কাহিনী বলে বেড়াবে একটা পক্ষ। আরেকটা পক্ষ কখনোই স্বীকার করবে না কত বড় যুদ্ধ হয়েছিল, কত বড় অর্জন আমরা করেছিলাম ! তারা অস্বীকার করবে একে শুধুই একটা গন্ডগোল বলে, তারা হাসি তামাশা গণিত করে বেড়াবে শহীদ আর নির্যাতিতের সংখ্যা নিয়ে।

অথচ আমরা আরো একটু দেশপ্রেমী হলে, আমাদের অনেক কথা ও বিদেশীদের মুখে থাকত। লাখো শহীদের রক্ত, আত্মত্যাগ হতো একটা মিথ।


ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

কোবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখাও অসাধারণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.