![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রেইন-ড্রেইনের জন্য আমরা সবাই কম-বেশি দায়ী। ব্রেইন-ড্রেইন নিয়ে আমরা চিল্লা-ফাল্লা করি কিন্তু একবার ভেবে দেখি না নিজের করণীয়টা কি?
যেমন ধরেন- গ্রামে ডাক্তার যায় না। এটা নিয়ে ডাক্তারদের গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়েছে লক্ষবার কিন্তু গোষ্ঠী উদ্ধারকারীরা কি কখনও গিয়ে দেখেছেন গ্রামের ঐ চিকিৎসা কেন্দ্রের অবস্হা?? আমার কয়েক বন্ধুকে বদলি করা হয়েছিলো প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে। আমি তাদের একজনের কর্মক্ষেত্রে যেতে চাইলে জানালো, আমি নিজেই যেতে পারি না ঐ অঞ্চলে আর তুই কিভাবে যাবি। যোগাযোগ অবস্হা ভয়াবহ খারাপ আর ঐ চিকিৎসা কেন্দ্রের অবকাঠামো বলতে কিছুই নেই। গেলে নার্স পর্যন্ত পাওয়া যায় না। আর সে থাকে জেলা শহরে এক সরকারী বাসভবনে। সেই বাসভবনের বিবরণ শুনুন-
খাট ভাঙ্গা,
বাথরুমের দরজা ভাঙ্গা,
পুরো রুমের দেয়াল খসে খসে পড়ছে,
লাইন, ফ্যান ছিলো না- আমার বন্ধু নিজ পকেট সাফ করে এগুলো কিনতে হয়েছে।
অথচ এইসব পত্রিকায় লেখা হয় না।
এ দেশে অর্ধশিক্ষিত এক জমির দালাল মোটা অংকের টাকা দাবী করলে মানুষ দুইহাত খুলে টাকা দিয়ে দেয় আর ডাক্তারকে ৫০-১০০ টাকা দিতে হয় বলে কষ্টের শেষ নেই। তাই, এ দেশে একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চেয়ে একজন অর্ধশিক্ষিত এক আদম ব্যাপারী/জমির দালালের জীবন অনেক আকর্যণীয় কিনা! বড় বড় শহরের আকর্ষণীয় বাড়িগুলো দালালদেরই গড়া।
এই দেশে ব্রেইন-ড্রেইন হবে নাতো কোথায় হবে?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
কোবির বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে চাকরীর শর্তই থাকে গ্রামে পোস্টিং সে চাকরীতে যেনে বুঝে ঢুকার দরকার কি//// আমি এ ব্যাপারে একমত। এ কারণে আমিও নিজেও ঢুকিনি। আমার পিতার টাকা আছে বলে আমি যাইনি। কিন্তু পাই মেডিকেলে নেহাতই দরিদ্র ঘরে ছেলেরা পড়ে তাদের তো না যেয়ে উপায় নেই। আর পাশ করার পরই যে ডাক্তারদের গাদা গাদা টাকা হয়- এ ধারণ ভুল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
সোহানী বলেছেন: @ মদন ভাই, একপক্ষ দেখলে চলবে না। কোবির সাহেবের অভিজ্ঞতা কিন্তু সত্য। গ্রামে চাকরী করবো এ শর্তে ঢুকলেও পরিবেশ পরিস্থিতি কিন্তু তাদের অনুকুলে নয়।মিনিমাম যদি বসবাসের উপযোগী সরকার না করে দেয় তাহলে তারা কিভাবে সেখানে থাকবে??????
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কোবির বলেছেন: প্রথমত আমাদের দুঃখ বোঝার জন্য ধন্যবাদ। আরেকটি তথ্য আপনাকে জানিয়ে রাখি। চিকিৎসকেরা প্রথমে সাধারণত গ্রামেই চিকিৎসা দিতে চায় কারণ এতে তাদের দক্ষতা বাড়ে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দেখা যায়, নূন্যতম অবকাঠামো নেই। আর মেয়েদের কথা দূরে থাক, ছেলেরাই নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত থাকে। থাকার জায়গার কথা বাদই দিলাম, দেখা যায় বসারও একটি ভালো জায়গা নেই। এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকে অনেক জায়গায়। আর নার্স, টেকনিশিয়ানরা ডাক্তারদের কথামতন কাজ করে না অনেক জায়গায়।
দেশের সেরা ছেলেরা মেডিকেলে ভর্তি হয়, অথচ পাশ করার পর তারা বিমাতাসূলভ আচরণ পায় অনেক জায়গায়ই। ফ্রি সার্ভিস দেওয়া যেনো তাদের কর্তব্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
অরণ্যতা বলেছেন: শুধু ঢাকাকে উন্নতি না করে সারা দেশের উন্নতি করলেই হাজার খানেক সমস্যাড় সমাধান হয়ে যাবে।
১. সারা দেশের সড়ক যোগাযোগের অনেক উন্নতি করতে হবে। যেন এখন যেঁ সময় লাগে তার অর্ধেক সময়ে কোথাও যাওয়া যায়।
২. সামাজিক নিরাপত্তার উন্নতি সাধন করতে হবে।
৩. ইন্টরনেটের উচ্চগতির সংযোগ থাকতে হবে সারা দেশের সবখানে। (এি লাইন টা অনেকের মাথার উপর দিয়ে যেতে পারে)
৪. পাওয়ার সাপ্লাই এর উন্নয়ন।
৫. দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হবে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কোবির বলেছেন: সহমত আপনার সাথে।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমাদের দেশে শিক্ষার মূল্য নেই। টাকা কামাতে হলে বেশির ভাগ সময় নোংরা পথে যেতে হয়। যে কারনে শিক্ষিতরাও কোন না কোন ভাবে নোংরা পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
কোবির বলেছেন: ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মদন বলেছেন: এডহক ভিত্তিতে যে ডাক্তার নেয়া হয় তাদেরকে নেয়াই হয় গ্রামে থাকার জন্য। কিন্তু চাকরী পাবার পরে তাদের প্রথম কাজই থাকে শহরে কিভাবে বদলী হওয়া যায় তার তদবীরে। একজনরে চিনি যিনি মাসে গ্রামেই জব করেন। জবের স্টাইলটা এমন যে মাসে একবার গিয়ে বেতনের টাকাটা তুলে আনেন।
যে চাকরীর শর্তই থাকে গ্রামে পোস্টিং সে চাকরীতে যেনে বুঝে ঢুকার দরকার কি? নাকি চাকরী দরকার শর্ত না?