![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পতিতা যে ভাবে তার খদ্দর খোজে আমরা ও তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের স্বার্থ খুঁজি, এই খোঁজার শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।সফলতার পিছনে নিত্য ধাবমান মানুষ গুলার মাঝে মৃত্যু শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় তারপর ও আমরা মৃত্যুকে ভয় করি । সার্থক জীবনের মাঝে সুখ থাকলেও আমরা সাফলতার মাঝে পাওয়া ক্ষণিকের খুশিকেই বড় করে দেখি।
মানুষের অন্তর এ আল্লাহ্ জাতরুপে অবস্থান করার কারনেই মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব । মানুষ যেমন আল্লাহর রহস্য তেমনি ভাবে শয়তানেরও রহস্য। গুরুপ্রেম যত গভীর হবে আল্লাহর পরিচয় লাভ তত সহজ হবে। আমার “আমি” নামক পবিত্র নফস হতে খান্নাসরুপী ষড়রিপুর শয়তানের বন্ধন হতে কেমন করে মুক্তি পাওয়া যায় সেই শিক্ষাটি একজন সত্যগুরু হতে গ্রহন করে নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ্ ও শয়তান এই দুইটি সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী । আল্লাহ্ পবিত্র হলে শয়তান অপবিত্র, আল্লাহ্ স্রষ্টা কিন্তু শয়তান সৃষ্টি, এই দান্দিক দুই মেরুর মিশ্রণই হল মানুষ। কলব শয়তানের কু মন্ত্রনা দানের প্রধান কেন্দ্র হলেও আবার সেই কলব ই আল্লাহর আরস। আল্লাহ্ জাত রুপে এই কলবেই অবস্থান নেয়। তাই মানুষই শয়তানের প্রকাশ আবার মানুষই আল্লাহর প্রকাশ। আল্লাহ্ সর্বপ্রথম সবচেয়ে ভাল ফেরেস্তা বানালেন । কিন্তু ফেরেস্তারা আল্লাহর সব চেয়ে প্রিয় ছিল না , তারপর সব চেয়ে খারাপ শয়তান বানালেন। এইটাও আল্লাহর সব চেয়ে প্রিয় ছিল না। মানুষ ভাল এবং খারাপের সমন্বয় এ তৈরি। এই মানুষই আল্লাহর সব চেয়ে প্রিয়। তাই তার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। তার পরিচয় মানুষের মাধ্যমে, তার নুরের বিকাশ স্থল মানুষের মাধ্যমে, তার সৃষ্টির বিকাশ মানুষের মাধ্যমে। এই মানুষকেই দিলেন তিনি জগত পরিচালনার দায়িত্ত। এই মানুষ কেই দিলেন তিনি সম্পূর্ণ ফানা হয়ে আল্লাহর মধ্যে মিশে যাবার ফর্মুলা। এই মানুষের জন্যই তিনি সৃষ্টি করলেন বিশ্বজগৎ। মানুষের জন্যই নাজিল করলেন তার কিতাব। মানুষের মধ্যে থেকেই তিনি নির্বাচিত করলেন তার খলিফা। আল্লাহ্ নুরের, শয়তান ধোয়া বিহীন আগুনের, কিন্তু মানুষ মাটির তৈরি হলেও এই ৩ টি মানুষের মধ্যে একাকার হয়ে মিশে আছে। তাই নিজেকে চিনতে পারলেই আল্লাহকে চেনা যায়, আল্লাহকে পাওয়া যায়। তাই মহানবী (দঃ) বলেছেন- মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু- অর্থ – যে নিজেকে চিনেছে সে তার রব কে চিনেছে। তাই আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমি বলেছেন- তার কথা সেই বলছে, তার কাজ সেই করছে। মানুষের এই রহস্য বুঝতে না পেরেই জিন জাতির আবুল গাণ্ডিব এর ছেলে আজাজিল ফেরেশতাদের সর্দার থেকে বিতাড়িত শয়তান এ পরিণত হল। অথচ আবুল গাণ্ডিব এর ছেলে আজাজিল ছয় কোটি বছর ইবাদত করেছিলেন। এর মধ্যে এক লক্ষ বছর শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির করেছিলেন। শয়তান আদম পুজার বিরুদ্ধে। কিন্তু শয়তান আল্লাহ্ পুজা করতে কখনও অস্বীকার করে নি। ঠিক যেন শয়তানের ধর্ম টার সাথে হুবুহু মিলে যায় আজকের আহলে হাদিস, জামাতে ইসলাম, অহাবি দের সাথে, অহাবি, জামাত, আহলে হাদিস দের আল্লাহ্ পুজা করতে কোন আপত্তি নাই কিন্তু পীর, অলির কথা আসলেই শয়তানের মত আমি এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করি না বা মানি না চলে আসবেই। এই বেহুশদের চৈতন্য ফিরে আসতে আর কত যুগ অপেক্ষা করতে হবে তা আমার জানা নাই। তবে এইটা ঠিক সবায় সত্য পেলে আল্লাহর দুনিয়া সৃষ্টির খেলাটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিষয় টা নিজের বা সত্য পথ প্রাপ্ত দের দায়িত্ব অসচেতনতার কথা স্বীকার না করে তকদিরের লিখন বা তাদের কে গালাগালি করেই ক্ষান্ত হওয়া উচিত। যা আজকের পীর ফকিররা অহরহ করছে। আত্ম সমালোচনার জন্যই কথাটা বললাম কেও কষ্ট পেয়ে থাকলেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
©somewhere in net ltd.