![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পতিতা যে ভাবে তার খদ্দর খোজে আমরা ও তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের স্বার্থ খুঁজি, এই খোঁজার শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।সফলতার পিছনে নিত্য ধাবমান মানুষ গুলার মাঝে মৃত্যু শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় তারপর ও আমরা মৃত্যুকে ভয় করি । সার্থক জীবনের মাঝে সুখ থাকলেও আমরা সাফলতার মাঝে পাওয়া ক্ষণিকের খুশিকেই বড় করে দেখি।
আজ ১০ মহরম। সকালে পত্রিকা পড়তে গিয়ে দেখলাম দৈনিক প্রথম আলো তে “পবিত্র আশুরার গুরুত্তপূর্ণ ঘটনা” শিরোনামে একটি লিখা পড়লাম। একই রকম একটি লিখা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত এর মুখপাত্র দৈনিক তরজুমান এ সৈয়দ অছিউর রহমান আল কাদেরির যা লিখেছিল কয়েক বছর আগে। শিয়াদের একটি ওয়েব সাইট এ ও একই লিখা । লিখা গুলা পড়লে এজিদ এর পা চাঁটা মোল্লাদের বাহবা দিতে হয় কারন তারা মহরমের আসল ইতিহাস চাপা দিতে যে বানানো ঘটনা রচনা করেছিল তা ১০০% সার্থক হল। তাই আজকে জাকির নায়েক এর মত নব্য পা চাঁটা এজিদের দল ও তার দলবল মিলে কারবালার ঘটনার মুল খলনায়ক এজিদ কে দায়মুক্তি দিচ্ছে আবার অন্যান্য মুসলিমরা এমন কি আহলে বায়াত প্রেমিক আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ও শিয়ারা পুরানো বানানো ঘটনা গুলা বিশ্বাস করছে। অথচ একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় ১০ মহরম এর ঘটনাগুলা সত্যি নাকি বানানো। মূল কথায় আসি।
১০ মহরম নিয়ে যে সব ঘটনা লিখা হয় তার মধ্যে
১।পৃথিবী সৃষ্টি করা হয় ১০ মহরম।
২।আদম আ: ও মা হাওয়া আঃ কে সৃষ্টি করা হয় ১০ মহরম এবং বেহেস্তে প্রবেশ করানো হয় ১০ মহরম।
৩। সাড়ে তিনশত বছর পর আদম আ: তওবা কবুল হয় ১০ মহরম।
৪।আদম আ: হাওয়া এর আরাফাতের ময়দানে সাক্ষাত হয় ১০ মহরম
৫। ২ হাজার নবীর জন্মদিন ১০ মহরম।
৬। সব প্রথম রহমতের বৃষ্টি বষিত হয় ১০ মহরম
৭। নুহ আ: এর কিস্তি জুদী পর্বতে ভিড়ে ১০ মহরম।
৮।মুসা আ: তাওরাত কিতাব লাভ করেন ১০ মহরম
৯। মুসা আঃ তূর পাহাড় এ গিয়ে আল্লাহর সাথে কথা বলেন ১০ মহরম।
১০।মুসা আ:ফেরাউন থেকে মক্তি লাভ করেন ১০ মহরম
১১।দাউদ আ: এর প্রাথনা কবুল হয় ১০ মহরম
১২। সোলাইমান আ: এর রাজত্ব ফিরে পান ১০ মহরম
১৩। ইউসুফ আ: কুয়া থেকে মুক্তি লাভ করেন ১০ মহরম
১৪।৪০ বছর পর পিতা ইয়াকুব আ: এর সাথে পুত্র ইউসুফ আ: এর সাক্ষাত ১০ মহরম
১৫। আইয়ুব আঃ এর ১৮ বছর পর রোগমুক্তি লাভ করেন ১০ মহরম
১৬। ইউনুছ আ: মাছের পেট হতে মুক্তি লাভ করেন ১০ মহরম।
১৭। ইব্রাহীম আঃ কে অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্তি পান ১০ মহরম।
১৮। ঈসা আ: এর উধ্বাকাশে আরোহন ১০ মহরম।
১৯। ৬১ হিজরী ঈমাম হোসাইন আঃ এর শাহাদাত ১০ মহরম।
উপরের ঘটনা গুলার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ ঘটনা ইমাম হুসাইন এর শাহাদাত ছাড়া সব গুলাই আনন্দের ঘটনা। অতীতের সমস্ত আনন্দের ঘটনাকে ১০ মহরম বানানো হল কারন এই দিন যেন কেও শোক পালন না করে সবায় আনন্দ উৎসব পালন করে। হাজার বছরের এজিদের গোলাম শ্রদ্ধেয় অর্থ, নারী ও মদ পূজারী আলেম সমাজের প্ল্যান বাস্তবায়ন হতে দিচ্ছে না কেবল শিয়ারা। তারা এই বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে তাই তাদের শোক মিছিল এ বোমা হামলা অতি সাধারন একটা ঘটনা। আজ থেকে এই সংস্কৃতি বাংলাদেশেও শুরু হল। আরে বেয়াক্কেলের দল শেষ নবীর জন্মদিন নিয়ে কত বিতর্ক, মহানবী নামাজে কোথায় হাত বাঁধতেন টা নিয়ে বিতর্ক, মাত্র ১৪০০ বছর আগে বর্ণিত হাদিস নিয়ে এত বিতর্ক কিন্তু তার ও আগে ১০ মহরম এ আদম আঃ কে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। কে লিখে রেখেছিল ১০ মহরম এর এতগুলা ঘটনা? আরাফাতের ময়দানে আদম হাওয়ার মিলন, তওবা কবুল এর সময় তো হাবিল কাবিল ও ছিল না। তাহলে লিখলো কে? তখন তো ক্যালেন্ডার ও ছিল না। জুদি পাহাড় এ নুহ নবীর কিস্তি ভিড়ালো সে দিন ১০ মহরম কি ভাবে জানা গেল? তখন তো হিজরি সাল ও ছিল না। এমনকি কোন ক্যালেন্ডার ও ছিল না। এই ভাবে সব গুলা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যায় একটি কষ্টের, দুঃখের, বেদনার ঘটনা কে চাপা দেয়ার জন্য যুগে যুগে এজিদ পন্থী মোল্লারা বহু নব্ আবিষ্কৃত কাহিনীর অবতারণা করেছে। যা দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছে কট্টর আহলে হাদিস থেকে শুরু করে মধ্যপন্থী আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত পর্যন্ত এমন কি শিয়ারা পর্যন্ত সবগুলা আনন্দের ঘটনা বিশ্বাস করছে। এজিদের সৈন্য দলের সবার মুখে দাড়ি ছিল, মাথায় টুপী পাগড়ী ছিল, সবায় ৫ ওয়াক্ত নামাজি ছিল কিন্তু এদের সবার সামনে ইমাম হুসাইন আঃ এর শেষ বানী “তোমাদের মধ্যে কি একজন মুসলমান ও নেই”? তাহলে কি সবায় কাফের ছিল? এই ঘটনা জানলে তো মুসলমান কে কাফের বলা যাবে না এই ফতোয়া অসার হয়ে যায়। হযরত ওমর রাঃ এর সময় থেকে শুরু হল হিজরি সাল গননা কিন্তু আমরা ১০ মহরম এর সব ঘটনা বিশ্বাস করছি আদম আঃ এর আরও আগের সময় থেকে। যখন হিজরি সাল ছিল না তখন মহরম এর ১০ তারিখ কি ভাবে এল?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
সহিহ কথা বলেছেন: দূর তো আমিই কইরা দিলাম।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ১ নং থেকে ১৮ নং আজ প্রথম শুনলাম। আমি শুধু ১৯ নং টা জানতাম। সত্য হোক বা মিথ্যা, এর কোনটাই ১৯ নং কে ম্লান করতে পারে না। ঈমাম হোসাইন (রা) সত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই কারবালার পথে গমন করেন এবং কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন। সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তখনই প্রয়োজন হয় যখন মিথ্যার প্রসার সীমা ছাড়িয়ে যায়। আজকের দিনে আমরা তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি-যুক্তি খন্ডন, মিছিল-মিছিলের বিরোধিতা, শোক-শোকে বাড়াবাড়ি কতকিছু করছি কিন্তু আমরা কি কেউই ঈমাম হোসাইন (রা) এর অনুভূতিকে অনুভব করতে পারছি?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২
সহিহ কথা বলেছেন: প্রথম কেন ? সব মোল্লায় তো মহরম নিয়ে কথা বলতে গেলে এগুলা বলে । আজকের প্রথম আলোতেও এক মোল্লায় লিখেছে পড়ে দেখুন।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
রাশেদুজ্জামান তুষারর বলেছেন: শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা আশুরার নামে যা কিছু তারা করে যেমন হায় হোসেন -হায় হাসান বিলোপ করা,ঢাক -ঢোল বাজাইয়া তাজিয়া নামক রথযাত্রার আয়োজন করা,হাসান -হুসাইন রাঃ এদের প্রতিকী কবর বানাইয়া স্থানে স্থানে মাজার তৈরী করা, ইত্যাদি ইত্যাদি, কোথায় পেল তারা এসব ?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
সহিহ কথা বলেছেন: এজিদি মোল্লা যদি এত ঘটনা বানাতে পারে তাহলে শিয়া মোল্লারা নতুন কয়েকটা বানালে সমস্যা কোথায়? শিয়া মোল্লারাও নতুন কিছু বানালো আর কী? তাছাড়া শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে নিজের শরীর কে রক্তাক্ত করাকে আমি সমর্থন করি। কারন এইটা প্রেম। রাসুল সাঃ এর দন্দন মোবারক শহিদ হয়েছে শুনে করন প্রদেশের ওয়ায়েস করনি যে নিজের সব গুলা দাঁত ফেলে দিয়েছেন তাকে তো মহানবী বা কোন সাহাবা হারাম ফতোয়া প্রদান করেন নি। তাহলে আমরা কেন করবো?
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০১
নিষ্কর্মা বলেছেন: মনেহয় হিজরি সন অনেক আগে থেকেই চালু ছিল। খৃষ্টানরা এর নাম দিছে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার, আর আমরা নাম দিছি হিজরি। তফাৎ এইটুকুই
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১
সহিহ কথা বলেছেন: তাই নাকি? নতুন তত্ত্ব পেলাম। কোথায় পেলেন? স্বপ্নে নাজিল হল নাকি? ইতিহাস পড়ে দেখুন হযরত ওমর রাঃ হিজরি সন চালু করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেখি কেউ বিভ্রান্তি দূর করে কিনা।