![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পতিতা যে ভাবে তার খদ্দর খোজে আমরা ও তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের স্বার্থ খুঁজি, এই খোঁজার শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।সফলতার পিছনে নিত্য ধাবমান মানুষ গুলার মাঝে মৃত্যু শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় তারপর ও আমরা মৃত্যুকে ভয় করি । সার্থক জীবনের মাঝে সুখ থাকলেও আমরা সাফলতার মাঝে পাওয়া ক্ষণিকের খুশিকেই বড় করে দেখি।
তুমি সম্মান খুঁজছো? কিন্তু তুমি পাচ্ছো অপমান। যে ব্যক্তি সম্মান খুঁজে বেড়ায়, তার কী নিজের প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে? বরং যদি বলি যার আত্মসম্মানবোধ নেই, সে অন্যদের সম্মান নিয়ে সেটা পূরণ করে নিতে চায়। এটা করে সে নিজের আত্মসম্মানবোধের ঘাটতি ঢাকা দিতে সচেষ্ট।
সম্মান পাবার আকাংখা হলো একটি সংকেত। এটা বোঝায় তুমি নিজেকে অভ্যন্তরে অসম্মানিত ভাবছো। তোমার মনে হয়, তুমি বুঝি কিছুই না।
তো, তোমার কী মন চায়? তুমি চাও: অন্যরা তোমায় সম্মানভরে সম্বোধন করুক। তোমাকে মাল্য দিক, মুকুটে ভূষিত করুক। তোমার জন্য চারিদিক পোষ্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেলে মন্দ হয় না। তোমার নামে পতাকা উঠুক। অন্যেরা করুক, আরো অনেক কিছু। অনেক, আরো অনেক।
বন্ধু, তুমি একটা ভিক্ষুক বৈ কিছুই নও। তুমি যখন সম্মান চেয়েছো, বলা যায় ইতোমধ্যেই তুমি নিজেকে অপমান করেছো। এবং এই অপমান গভীর থেকে গভীরে যেতে থাকে।
‘লাও জু’ বলেন, “কেউ আমাকে অপমান করতে পারে না। কারণ আমি সম্মান চাই না। কেউ আমাকে পরাজিত করতে পারে না। কারণ আমি জেতার ধারণা বা ইচ্ছা দুটোই পরিত্যাগ করেছি।”
দেখো, তুমি আমাকে কীভাবে পরাজিত করতে পারো? তুমি শুধু তাকেই পরাজিত করতে পারো, যে জিততে চায়। অদ্ভূত ঠেকছে, তাই না?
“সফলতার আশা করছো? তুমি বিফলই হবে। তাই সে আশা না করাই উত্তম। তাহলে পরে দেখবে, কেউ তোমাকে আর ব্যর্থ বানাতে পারবে না।”
তুমি সূক্ষ্ণভাবে দৃষ্টি দাও। দেখতে পাবে, পৃথিবীতে যারা সম্মান চায় না তারাই সেটি পায়। যারা সফলতা চায় না, তারাই তা পায়। কারণ তারা তথাকথিত সাফল্যের কাঙ্গাল নন। তারা অভ্যন্তরে সফল। এর চেয়ে কোন সে অধিকতর সফলতা, যা তুমি খুঁজছো? তুমি তোমাকে বোঝ?
ধরো, ইতোমধ্যেই তুমি নিজস্বত্ত্বা দ্বারা কুর্নিশপ্রাপ্ত হয়েছো। আর বেশি কী চাও তুমি? জন্ম দিয়েই অস্তিত্ব তোমায় সম্মানিত করেছে। যথেষ্ট প্রাচুর্য তোমায় দেয়া হয়েছে। স্বত্ত্বা তোমায় জীবন দিয়েছেন। তোমায় চোখ দিয়ে সম্মানিত করেছেন। চোখজোড়া খোল। দেখো সবুজ বনানী, ফুল-পাখি। চারিদিকে সব। তোমায় কান দেয়া হয়েছে। গান শোনো। সঙ্গীতে অবগাহণ করো। শোনো ঝর্ণার রিনিঝিনি। অস্তিত্ব তোমায় দিয়েছেন চৈতন্য, যাতে করে তুমি একজন প্রবুদ্ধ হতে পারো। আর কী তুমি চাও?
এরই মধ্যে তুমি যথেষ্ট সম্মানিত হয়েছো। প্রকৃতিই তোমাকে প্রত্যয়ন করেছে। আর তুমি এখনো প্রত্যয়িত হতে চাচ্ছো অন্যদের দ্বারা? তুমি কী তাদের ব্যাপারে ভাবছো, যারা তোমার সমগোত্রীয়? তাদের কথা, যারা তোমারই মতো প্রত্যয়ন ভিক্ষা করে? ভাবছো তারাও তো তোমার কাছে সম্মান চায়, তাই না?
কল্পনা করো: দুই ভিক্ষুক মুখোমুখি বসে একজন আরেকজনের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে। এটি খুবই কৌতুকপ্রদ বিষয়। খুবই মজার। উপভোগ্য।
কীভাবে তোমরা কিছু পাবে? দুজনই তো ভিক্ষাকারী। ওহে, কার কাছে তুমি সম্মান খুঁজে মরছো? কার সামনে তুমি দাঁড়াচ্ছো? সেও কী তোমার মতো নয়? বস্তুতঃ এসবের মাধ্যমে তুমি নিজেকেই অপমানিত করছো। এবং এই অপমান দিনদিন গভীরতর হবে।
সন্তোষ হলো : তোমার যা আছে, সেদিকে দৃষ্টি দাও। মনের চোখ খোল। এবং দেখো ইতোমধ্যেই তুমি কী কী পেয়েছো, বন্ধু।
মূলঃ ওশো
©somewhere in net ltd.