![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লিগ কে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলার করার মতো ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দল গঠন হয় নি। তাই স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতি তে আওয়ামী লীগ কে টিকে থাকার জন্য ষড়যন্ত্র আর খুন খারাবীর মোকাবেলা করতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে অব্যহতি পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র, নানা মুখী শুভ অশুভ শক্তির সমীকরণ। নানা শত্রুর সমীকরণ বলয়ে আওয়ামী বিরোধী চক্রান্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। অতীতে হয়েছে এখনো চলছে। এই অশুভ তৎপরতা কখনো থেকে না। যেমন হয়েছে ৫৪ সালে, ৭১ সালে তা নিয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তি সংগ্রামে। এর পরে ৭৫ এর মর্মান্তিক ১৫ই আগষ্ট ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃণিত এক ইতিহাস। রাতের অন্ধকারে একদল বেইমানের দল জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে৷ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে শুধুমাত্র কিছু বিপথগামী সামরিক অফিসারই ছিল না, এক প্রতিশোধ স্পৃহা কাজ করেছে। এই প্রতিশোধ স্পৃহা ছিলো মার্কিনীদের, পাকিস্তানি সরকারের আর এ দেশীয় কিছু পরাজিত দালালদের। এখানে যোগ হয়েছে ডান বামের জন সম্পৃক্ততা হীন কিছু রাজনৈতিক নেতা ও দলের। যারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধাচরণ করে এসেছেন কিন্তু কোন গন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন নাই।
এরপরের ইতিহাস আরো জঘন্য৷ ২১ বছর ধরে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতি করা, স্কুল কলেজে মিথ্যা ইতিহাস পড়ানো, দেশ কে ধর্মের নামে পাকিস্থানী করন করা। এই কাজে বিচারপতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় কাজ করে গেছেন। এমনকি ৯০এর স্বৈরাচার পতনের ফসল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারাও একই পথ অবলম্বন করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় ফিরতে বাধার সৃষ্টি করেছে।
প্রায় ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে, ইতিহাসের জঘন্য তম আইন ইন্ডেমনিটি বিল বাতিল করে বংগবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পথ প্রসস্ত করে। এইসব ইতিহাস সবাই জানে।কিন্তু আওয়ামী বিরোধী এবং জাতির জনক এর পরিবারকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র তা কিন্তু থেমে থাকে নি। আজো সেই চক্রান্ত চলছে।
২১শে আগষ্ট সেই চক্রান্তের এক নারকীয় দিন। এইদিন ততকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতির জনকের কন্যা, আজকের প্রধানমন্ত্রী এবং সেই সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ভাগ্যক্রমে তিনি অক্ষত থাকলেও মারা যায় প্রায় উনত্রিশ জন।আহত হন শতাধিক। নির্মম ভাবে আহত হয়ে নিহত হোন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি আইভী রহমান। মেয়র হানিফ সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মানব বর্ম তৈরী করে জননেত্রীকে প্রাণে রক্ষা করেন। পরবর্তীতে মেয়র হানিফ দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থেকে প্রিবাদ মিটিং চলাকালীন সময় ইন্তেকাল করেন। শেখ হাসিনা নিজেও অসুস্থ্য হয়ে পরেন। এই কুখ্যাত হামলার পরেও আরো কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে। সারাদেশে টার্গেট করে আওয়ামী লীগের নেতা, সাংসদ, মন্ত্রী, বুদ্ধিজীবি, লেখক কবি, প্রকাশক, মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা করে জাতিকে, আওয়ামী লীগ কে পংগু করার এক অশুভ চক্রান্তে আজো ততপর একটা চক্র। এই চক্র ৭১ এর পরাজিত শক্তি, এই চক্র পচাত্তরের পুরানো ঐক্যবদ্ধ শক্তি। যারা আন্দোলন দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে পারে না।
এক্ষেত্রে আবারো এক পুরানো কথা বলতে হয়, আওয়ামী লীগ যখন জিতে তখন সে একা জিতে, আর যখন হারে তখন সবাইকে নিয়ে হারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হ্যাপী ব্লগিং,
লেখা চালিয়ে যান! ঈদ মোবারক!