![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।
কিছু লালন
০১
মনের মানুষ খেলছে দ্বিদলে।
যেমন সৌদামিনী মেঘের কোলে
রূপ নিরূপণ হবে যখন
মনের মানুষ দেখবি তখন
জনম সফল হরে ও মন
সে রূপ দেখিলে
আগে না জেনে উপাসনা
আন্দাজি কি হয় সাধনা
মিছে কেবল ঘুরে মরা
মনের গোলমালে
সেই মানুষ চিনলো যাঁরা
পরম মহাত্মা তাঁরা
অধীন লালন বলে
দেখ নয়ন খুলে
০২
পারে লয়ে যাও আমায়।
আমি অপার হযে বসে আছি
ওহে দয়াময়
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটি
তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়
নাই আমার ভজন সাধন
চিরদিন কুপথে গমন
নাম শুনেছি পতিত পাবন
তাইতে দিই দোহাই
অগতির না দিলে গতি
ও নামি হবে অখ্যাতি
লালন কয় অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়
০৩
ধন্য ধন্য বলি তাঁরে।
বেঁধেছে এমন ঘর শূন্যের উপর
পো¯তা করে
ঘরে সবে মাত্র একটি খুঁটি
খুঁটির গোড়ায় নাইরে মাটি
কিসে ঘর রবে খাঁটি
ঝড় তুফান এলে পরে
ঘরের মূলাধার কুঠরি নয়টা
তার উপরে চিলেকোঠা
তাহে একা পাগলা বেটা
বসে একা একেশ্বরে
ঘরের উপর নিচে সারি সারি
সাড়ে নয় দরজা তারি
লালন কয় যেতে পারি
কোন দরজা খুলে ঘরে
০৪
যেখানে সাঁইর বরামখানা।
সেখানে সাঁইর বারামখানা
শুনিলে প্রাণ চমকে ওঠে
দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা
যা ছুঁইলে প্রাণে মরি
এ জগতে তাইতে তরি
বুঝেও তা বুঝতে নারি
কীর্তিকর্মার কী কারখানা
আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে
দিব্যজ্ঞানী সেই হযেছে
কুবৃক্ষে সুফল ফলেছে
আমার মনের ঘোর গেলো না
যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন
সেই ধনের হলো না যতন
অকালের ফল পাকায় লালন
দেখে শুনে জ্ঞান হলো না
০৫
পাখি কখন যেন উড়ে যায়।
বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়
খাঁচার আড়া প’লো ধসে
পাখি আর দাঁড়াবে কিসে
ওই ভাবনা ভাবছি বসে
চমক জ্বরা বইয়ে গায়
ভেবে অšত নাহি দেখি
কার বা খাঁচায কেবা পাখি
আমার এ আঙ্গিনায় থাকি
আমারে মজতে চায়
আগে যদি যেত জানা
জংলা কভু পোষ মানে না
তবে উহার সঙ্গে প্রেম করতাম না
লালন ফকির কেঁদে কয়
০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১১
কবীর হুমায়ূন বলেছেন:
জীবাত্মা আর পরমাত্মা পৃথক সত্ত্বা নয়। এ জীবাত্মা মানব দেহের ( শুন্য) ভেতর শক্ত ( পোস্তা) করে কেমন করে অবস্থান করছে , এ বিস্ময় বাউল লালনকে অভিভূত করে তোলে।
এই কালামটা মূলতঃ দেহতত্ত্ব ভিত্তিক একটি রূপক বাণীবদ্ধ। আপনার বিকশিত চিন্তাধারা , আরো সুন্দর ব্যাখ্যা হয়তো তুলে ধরতে পারে।
ধন্যবাদ।
০৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: আর যে কোনো সাড়াশব্দ নেই?
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৪৩
রূপম দা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। দেখুন, অনেক জানতে ইচ্ছে হয় লালনের চিন্তাধারা, তার গানের মধ্যে দিয়ে। যদি পারতাম তাকে আরো বুঝতে, তাকে ধারন করতে...
০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৫১
কবীর হুমায়ূন বলেছেন:
মানুষের অসাধ্য নহে কিছু। ইচ্ছাশক্তি ইচ্ছাপূরণে সহায়ক। লালনের উপর অনেক লেখা আছে। পাঠ করলে আশা করি লালন সহজ হয়ে ধরা দিবে।
আমার ব্লগে ''রবীর উপর বাউলের প্রভাব'' নামে একটি প্রবন্ধ আছে। পড়লে আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫০
রমিত বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। লালন অনেক বড় দার্শনিক ছিলেন।
০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:১৭
কবীর হুমায়ূন বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
একজন দার্শনিক অন্ধকার গৃহে একটি কালো বিড়াল খুঁজে ফিরে, যেটা সেখানে নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৭
রূপম দা বলেছেন: ধন্য ধন্য বলি তারে গানটার মানে কিছু বুঝতে পারেন? পারলে প্লিজ জানান।