নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় জেগে উঠুক আগুনের পরশমনি

জীবনের প্রত্যেক প্রবাহ অমৃত চায়।

কবীর হুমায়ূন

কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।

কবীর হুমায়ূন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথোপকথন

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৩



কবি- এই! এসো, আজ কবিতার জাল বুনি।
নারী- কবিরা শুধুই কথা বলে বেশি, কাজে বড়ো ঠনঠনি।
কবি- কবিতা হলো যে সময়ের সাদা ফুল।
নারী- কবি তুলে আনে কাব্য কথায় জীবনের সব ভুল।
কবি- কবিতা যে হ'লো জীবনের কথা রঙের তুলিতে আঁকা।
নারী- কবিরা মিথ্যার বেসাতি করে, জীবনকে ঝাকানাকা।
কবি- কবিতায় আনে সত্য-সুন্দর পঙ্কিল কাদা জলে।
নারী- কবি সত্যকে পাশ কেটে যায় মিথ্যাকে নীল বলে।
কবি- কবির কবিতা নারীর চেতনা, প্রকৃতির শুভ্রতা।
নারী- কবিরা ছড়ায় শব্দ-ছন্দে জীবনের বাতুলতা।
কবি- কবিতা বোঝ না সুন্দরী নারী, অন্ধ তোমার দৃষ্টি।
নারী- কবি আনে জানি দারুণ খরায় ভাবনার তলে বৃষ্টি।
কবি- বৃষ্টিতে করে অতুল সৃষ্টি জীবন-গোলাপ ফুল।
নারী- সেই না গোলাপে দাঁতালো কীটেরা দংশনে মশগুল।
কবি- কবি দেখে নারী, মানবী প্রেমের সোহগী অরূপ ধারা?
নারী- যত্তো সব কল্পনায় আনে, সকল সৃষ্টিছাড়া।
কবি- তুমি যে আমার কবিতা আকর, তুমি যে আমার প্রেম।
নারী- এক রাধিকায় মন যে ভরে না, আরো চাহে গোপী শ্যাম।
কবি- দুত্তরী ছাই! উল্টা পাল্টা তোমার সকল কথা।
নারী- কবিতা ছাড়িয়া সংসারী হও, পাবে তুমি অমরতা।

কবি- তুমি এসো যদি কবির দিঠিতে, কেটে যায় ঘোর রাত্রি,
শাপলার বনে পরিযায়ীদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
নারী- কথার মালায় বন্দী করার কৌশলে, ওগো যাত্রী!
হারিয়ে ফেলি যে আপন চেতনা অজান্তে অজানায়।
কবি- গভীর পিরিতি যেখানে প্রবল, সেখানেই ভাষা মূক,
নয়নে আমার স্বপ্নের ঢেউ, ভুলে যাও ভুলচুক।
নারী- কবিরা কতো না ন্যাকাপনা জানে, জানিনে তো আমি আগে,
উষর ভূমিতে পুষ্প ফোটায় শব্দের অনুরাগে।
কবি- তোমাতে আমার স্বপ্ন-বিলাস, কাব্যের কারুকাজ,
শরীরে তোমার শব্দ নাচে গো, ছেনে নেবো আমি তাহা।
নারী- কি হলো আমার জানিনে গো কবি! বিবশ হয়েছি আজ,
ক্রমশঃ অবস হয়ে যাই বুঝি, বুকে বড়ো ব্যথা, আহা!
কবি- তুলে ধরো তুমি সরলতা আর সুন্দরতার আলো,
কবির চোখের জ্যোতিমালা দিয়ে ঘুচিয়ে দেবো যে কালো।
নারী- থাকো তুমি আজ কবি প্রাণ নিয়ে সবুজ বনানী তলে,
চাহিব না আর বাঁধিতে তোমায় উষ্ণ করের তলে।
কবি- আজ হতে তুমি কবি লক্ষ্মী হে, রাজ-নন্দিনী মানি,
তুমিই আমার কাব্য-বিলাস, প্রিয়তম-অভিমানী।
নারী- হায়রে, কবির প্রাণ!
যুগে যুগে এসে নারীর হৃদয়ে রহো তুমি অম্লান।

কবি- আমি তো এসেছি জগতের মাঝে পুজিতে মানবী প্রাণ,
ভগ্ন হৃদয়ে ঝংকারি ওঠে অরূপ সুরের গান।
যতো সুন্দর এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে-
সবকিছু ধরা পড়িয়াছে আজ মহা-মানবীর কাছে।
নারী- অনেক বলেছো চাটুকার কবি! তুমিতো সহজ নও,
কালিমার মাঝে রাংতা মিশিয়ে সোহাগী কথন কও।
যতো বলি ওগো, হাত দিয়ে দেখো বুকেতে আগুন জ্বলে.
সোহাগা বিহীন স্বর্ণ-হৃদয় উথলিয়া যায় গলে।
কবি- তুমি যে আমার মহা-মহিয়সী উজ্জ্বলতর প্রভা!
স্বর্গ হইতে নামিয়া এসেছো মনোহরা মনোলোভা।
একটি জীবন বিসর্জন করি তোমার নামে, রাণী!
পরভৃত সব করে কলরব, অন্যেরা কানাকানি।
নারী- আজ হতে কবি, মুক্তি দিলেম ছিঁড়ে সব ভালোবাসা,
বুঝবে সেদিন চলে গেলে দুরে, নহি আমি কাচা-কাঁসা।
পরশ পাথর লুকিয়ে রেখেছি যতন করিয়া বুকে,
আঁধার সরাতে ঝড়োয়াল রাতে রাখিতে পরম সুখে।
কবি- তা'কি হয় রাণী! কবিতা বাখানি বন্ধ যে হলো আজ,
প্রয়োজন নেই অলস সময়ে কবিতা লেখার কাজ।
আঁচলের তলে ঢেকে রেখে মোরে সোহাগের জল ঢালো,
কাব্য কথার উজ্জ্বল আলো হয়ে যাক ঘন কালো।

নারী- তোমায় আমি রাখবো বেঁধে আঁচল তলে, কবি!
দুঃখবোধের সরলতায় রাখবো এঁকে ছবি।
অলস ক্ষণে আসলে কভু বিষন্নতার রাগ,
তোমায় স্মরি সুখ লভিবো এইতো অনুরাগ।
নাইবা হলে জগৎ মাঝে প্রাণ-পাপিয়া তুমি,
তোমার নামে হৃদয় মাঝে বাজবে রুমিঝুমি।
ঝংকার জাগে জগৎ ব্যাপি উথাল সুরে উঠি'-
কাঁপন পেয়ে ত্রস্ত হৃদি করবে লুটোপুটি।
কবি- আজকে বুঝি সফল হলো কাব্য করে শেষে,
ভয় সকলি কাটলো বুঝি তোমায় ভালোবেসে।
যেথায় অতি প্রেমের ধারা সেথায় বহু দুখ,
দুখ মথিয়া এনেছি এই কাব্যলতা সুখ।
প্রিয়তি নও, স্বর্গ-দেবী মর্ত্যলোকের 'পরে,
উজল আলো ছড়াও তুমি কবির অন্তরে।
তোমার ছোয়া উষর ভূমে সাজায় নানা ফুলে,
সকল যুগে কবির প্রাণে ভাবনা আনো তুলে।


নারী- বন্ করগো কবি তোমার কাব্য কথার ছল,
জলের ধারা নয়ন তলে বইছে অনর্গল।
কবি- চুম্বনখানি রেখে গেলাম তোমার হস্ত দেশে
মানুষ হয়ে আসবো ফিরে, আর না কবি বেশে।

কবি- এই! এসো, আজ কবিতার জাল বুনি।
নারী- কবিরা শুধুই কথা বলে বেশি, কাজে বড়ো ঠনঠনি।
কবি- কবিতা হলো যে সময়ের সাদা ফুল।
নারী- কবি তুলে আনে কাব্য কথায় জীবনের সব ভুল।
কবি- কবিতা যে হ'লো জীবনের কথা রঙের তুলিতে আঁকা।
নারী- কবিরা মিথ্যার বেসাতি করে, জীবনকে ঝাকানাকা।
কবি- কবিতায় আনে সত্য-সুন্দর পঙ্কিল কাদা জলে।
নারী- কবি সত্যকে পাশ কেটে যায় মিথ্যাকে নীল বলে।
কবি- কবির কবিতা নারীর চেতনা, প্রকৃতির শুভ্রতা।
নারী- কবিরা ছড়ায় শব্দ-ছন্দে জীবনের বাতুলতা।
কবি- কবিতা বোঝ না সুন্দরী নারী, অন্ধ তোমার দৃষ্টি।
নারী- কবি আনে জানি দারুণ খরায় ভাবনার তলে বৃষ্টি।
কবি- বৃষ্টিতে করে অতুল সৃষ্টি জীবন-গোলাপ ফুল।
নারী- সেই না গোলাপে দাঁতালো কীটেরা দংশনে মশগুল।
কবি- কবি দেখে নারী, মানবী প্রেমের সোহগী অরূপ ধারা?
নারী- যত্তো সব কল্পনায় আনে, সকল সৃষ্টিছাড়া।
কবি- তুমি যে আমার কবিতা আকর, তুমি যে আমার প্রেম।
নারী- এক রাধিকায় মন যে ভরে না, আরো চাহে গোপী শ্যাম।
কবি- দুত্তরী ছাই! উল্টা পাল্টা তোমার সকল কথা।
নারী- কবিতা ছাড়িয়া সংসারী হও, পাবে তুমি অমরতা।

কবি- তুমি এসো যদি কবির দিঠিতে, কেটে যায় ঘোর রাত্রি,
শাপলার বনে পরিযায়ীদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
নারী- কথার মালায় বন্দী করার কৌশলে, ওগো যাত্রী!
হারিয়ে ফেলি যে আপন চেতনা অজান্তে অজানায়।
কবি- গভীর পিরিতি যেখানে প্রবল, সেখানেই ভাষা মূক,
নয়নে আমার স্বপ্নের ঢেউ, ভুলে যাও ভুলচুক।
নারী- কবিরা কতো না ন্যাকাপনা জানে, জানিনে তো আমি আগে,
উষর ভূমিতে পুষ্প ফোটায় শব্দের অনুরাগে।
কবি- তোমাতে আমার স্বপ্ন-বিলাস, কাব্যের কারুকাজ,
শরীরে তোমার শব্দ নাচে গো, ছেনে নেবো আমি তাহা।
নারী- কি হলো আমার জানিনে গো কবি! বিবশ হয়েছি আজ,
ক্রমশঃ অবস হয়ে যাই বুঝি, বুকে বড়ো ব্যথা, আহা!
কবি- তুলে ধরো তুমি সরলতা আর সুন্দরতার আলো,
কবির চোখের জ্যোতিমালা দিয়ে ঘুচিয়ে দেবো যে কালো।
নারী- থাকো তুমি আজ কবি প্রাণ নিয়ে সবুজ বনানী তলে,
চাহিব না আর বাঁধিতে তোমায় উষ্ণ করের তলে।
কবি- আজ হতে তুমি কবি লক্ষ্মী হে, রাজ-নন্দিনী মানি,
তুমিই আমার কাব্য-বিলাস, প্রিয়তম-অভিমানী।
নারী- হায়রে, কবির প্রাণ!
যুগে যুগে এসে নারীর হৃদয়ে রহো তুমি অম্লান।

কবি- আমি তো এসেছি জগতের মাঝে পুজিতে মানবী প্রাণ,
ভগ্ন হৃদয়ে ঝংকারি ওঠে অরূপ সুরের গান।
যতো সুন্দর এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে-
সবকিছু ধরা পড়িয়াছে আজ মহা-মানবীর কাছে।
নারী- অনেক বলেছো চাটুকার কবি! তুমিতো সহজ নও,
কালিমার মাঝে রাংতা মিশিয়ে সোহাগী কথন কও।
যতো বলি ওগো, হাত দিয়ে দেখো বুকেতে আগুন জ্বলে.
সোহাগা বিহীন স্বর্ণ-হৃদয় উথলিয়া যায় গলে।
কবি- তুমি যে আমার মহা-মহিয়সী উজ্জ্বলতর প্রভা!
স্বর্গ হইতে নামিয়া এসেছো মনোহরা মনোলোভা।
একটি জীবন বিসর্জন করি তোমার নামে, রাণী!
পরভৃত সব করে কলরব, অন্যেরা কানাকানি।
নারী- আজ হতে কবি, মুক্তি দিলেম ছিঁড়ে সব ভালোবাসা,
বুঝবে সেদিন চলে গেলে দুরে, নহি আমি কাচা-কাঁসা।
পরশ পাথর লুকিয়ে রেখেছি যতন করিয়া বুকে,
আঁধার সরাতে ঝড়োয়াল রাতে রাখিতে পরম সুখে।
কবি- তা'কি হয় রাণী! কবিতা বাখানি বন্ধ যে হলো আজ,
প্রয়োজন নেই অলস সময়ে কবিতা লেখার কাজ।
আঁচলের তলে ঢেকে রেখে মোরে সোহাগের জল ঢালো,
কাব্য কথার উজ্জ্বল আলো হয়ে যাক ঘন কালো।

নারী- তোমায় আমি রাখবো বেঁধে আঁচল তলে, কবি!
দুঃখবোধের সরলতায় রাখবো এঁকে ছবি।
অলস ক্ষণে আসলে কভু বিষন্নতার রাগ,
তোমায় স্মরি সুখ লভিবো এইতো অনুরাগ।
নাইবা হলে জগৎ মাঝে প্রাণ-পাপিয়া তুমি,
তোমার নামে হৃদয় মাঝে বাজবে রুমিঝুমি।
ঝংকার জাগে জগৎ ব্যাপি উথাল সুরে উঠি'-
কাঁপন পেয়ে ত্রস্ত হৃদি করবে লুটোপুটি।
কবি- আজকে বুঝি সফল হলো কাব্য করে শেষে,
ভয় সকলি কাটলো বুঝি তোমায় ভালোবেসে।
যেথায় অতি প্রেমের ধারা সেথায় বহু দুখ,
দুখ মথিয়া এনেছি এই কাব্যলতা সুখ।
প্রিয়তি নও, স্বর্গ-দেবী মর্ত্যলোকের 'পরে,
উজল আলো ছড়াও তুমি কবির অন্তরে।
তোমার ছোয়া উষর ভূমে সাজায় নানা ফুলে,
সকল যুগে কবির প্রাণে ভাবনা আনো তুলে।


নারী- বন্ করগো কবি তোমার কাব্য কথার ছল,
জলের ধারা নয়ন তলে বইছে অনর্গল।
কবি- চুম্বনখানি রেখে গেলাম তোমার হস্ত দেশে
মানুষ হয়ে আসবো ফিরে, আর না কবি বেশে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯

জগতারন বলেছেন:
অসাধারন !
খুব ভালো লাগিল।
লাইক দিলাম।

সুভেচ্ছা জানাই কবির প্রতি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ভালোবাসা সব সময়।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ভালোবাসা কবি রাজীব নুর। ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

ওমর আমজাদ বলেছেন: অসাধারণ একটি কবিতা।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.