নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় জেগে উঠুক আগুনের পরশমনি

জীবনের প্রত্যেক প্রবাহ অমৃত চায়।

কবীর হুমায়ূন

কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।

কবীর হুমায়ূন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশপ্রেমিক

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩২



কবি রবার্ট ব্রাউনিং (৭ মে ১৮১২ – ১২ ডিসেম্বর ১৮৮৯) একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তিনি ভিক্টরিয়ান যুগের একজন প্রসিদ্ধ কাব্য-নাট্যকার ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন পিয়ানো বাদক এবং পিতা ছিলেন ব্যাংক কর্মচারি। তিনি একাধারে একজন শিল্পী, পণ্ডিত ও প্রত্নতাত্ত্বিক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব মনযোগী ছাত্র ছিলেন। ধারণা করা হয় যে, মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তিন লিখতে ও পড়তে পারতেন। ব্রাউনিং এর সাহিত্যজীবনের শুরুটা খুব সফল হলেও, তিনি সেই সফলতা খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি (তার সম্পর্কে আরো জানতে গুগলের সাহায্য নিতে পারেন)।

কবিতা ভাষান্তর করা সহজ নয়। তবুও, কবি রবার্ট ব্রাউনিং-এর The Patriot (আমরা অনেকেই এ কবিতাটি পড়েছি) কবিতার ভাবের আলোকে আমি 'দেশপ্রেমিক' নামে অনুবাদ করতে চেষ্টা করেছি। ভুলগুলো ক্ষমা করবেন। সম্ভব হলে পরামর্শ দেবে, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা।
==============================

গোলাপ-পাপড়ি ছড়ানো পথের পথিক ছিলাম আমি,
প্রতিটি বাড়ির ছাদগুলো যেনো পুষ্পে আচ্ছাদিত!
হর্ষোজ্জল রঙিন নিশানে আলোকিত ছিলো যামী;
মসজিদ-মন্দির-গীর্জাগুলো আবেগে কম্পিত,
এমনই ছিলো আনন্দময় আগের বছরখানি।

কুয়াশার সেই দিনগুলো কেঁপে উঠেছিলো থরে থরে;
পদভারে আর বায়ুর প্রভাবে, পুরোনো দেয়ালগুলি
কেঁদে উঠেছিলো অঝোর ধারায় আর্তনাদের স্বরে।
চয়েছিলাম আমি, 'উপহার রূপে সূর্যকে দাও তুলি'!
বলেছে সকলে, 'আর কী চান, ওই সূর্যের পরে'?

ভেবেছি তখন মাটির জগতে আমিই চিরঞ্জীব!
আমার বীর্য-ত্যাগের মহিমা কেহ ভুলবে না আর।
ইচ্ছে মতোন বীজ বুনেছি, ভেবে নিজেকে সদাশিব;
আমার ভেতরে জন্ম লভেছে অতুল অহঙ্কার!
রোপিত ফসলে পোকা ধরে শেষে, রইলো না তা' সজীব।

বিদায়ের কালে ছাদে নেই কেহ, সুনসান নীরবতা;
জানালার পাশে দুই-একজনে জীর্ণ ধূসর দৃষ্টি।
ব্যথাতুর পদে ধীরে চলি একা, নেই কোন কলকথা;
শহরের পথে অঝোর ধারায় নামলো অকাল বৃষ্টি।
মেপে মেপে শুধু পাও তুলে হাঁটি মনে জাগে কতো কথা!

দু'হাত আমার পশ্চাতে বাঁধা, অপকর্মের ফল!
পাথর-বৃষ্টি ঝরছে তুমুল আমার চতুর্দিকে,
মাথা ফেটে লাল শোণিতের ধারা ঝরছে অনর্গল।
এ কী পরিহাস! মানুষজীবনে দেখে যাই অনিমিখে;
এক বছরের পুরাতন স্মৃতি অশ্রুতে বিহ্বল।

বিজয়ীর বেশে এই শহরেই আমার প্রবেশ হয়,
হতাশা-মাখানো জনতার রায়ে চলছি শহর ছেড়ে।
ঈশ্বর জানে কোথায় মুক্তি-নিরাপদ আশ্রয়!
অযাচিত ব্যথা, বিবর্ণ বেশ, রইলো অতীতে পড়ে।
দেশপ্রেমিকের বর্ণাঢ্যতা শুধু কি দুঃখময়?

০১/০৫/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।


মূল কবিতাটি-
The Patriot - by Robert Browning

I.
It was roses, roses, all the way,
With myrtle mixed in my path like mad:
The house-roofs seemed to heave and sway,
The church-spires flamed, such flags they had,
A year ago on this very day.

II.
The air broke into a mist with bells,
The old walls rocked with the crowd and cries.
Had I said, ``Good folk, mere noise repels---
But give me your sun from yonder skies!''
They had answered, ``And afterward, what else?''

III.
Alack, it was I who leaped at the sun
To give it my loving friends to keep!
Nought man could do, have I left undone:
And you see my harvest, what I reap
This very day, now a year is run.

IV.
There's nobody on the house-tops now---
Just a palsied few at the windows set;
For the best of the sight is, all allow,
At the Shambles' Gate---or, better yet,
By the very scaffold's foot, I trow.

V.
I go in the rain, and, more than needs,
A rope cuts both my wrists behind;
And I think, by the feel, my forehead bleeds,
For they fling, whoever has a mind,
Stones at me for my year's misdeeds.

VI.
Thus I entered, and thus I go!
In triumphs, people have dropped down dead.
''Paid by the world, what dost thou owe
Me?''---God might question; now instead,
'Tis God shall repay: I am safer so.

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার,

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১০

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: সুস্থ থাকুন।

২| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ প্রেমিক লোক আমাদের দেশে ৭১ এ ছিলো।
এখন নেই। এখন পরিবার প্রেমিক লোক আছে।

২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব নুর। ভালো থাকুন।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কলেজের পাঠ্য বইয়ে এই কবিতা ছিল। এটার উপর কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতাও হত। আপনার অনুবাদ যথার্থ হয়েছে বলেই মনে হয়।

২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০০

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: আসলে, এটা কবিতার ভাবানুবাদ। পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয়। শুভ কামনা সব সময়।

৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ। বেশ ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগছে আপনাকে নিয়মিত দেখে।

২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর। দোয়া করবেন, যেন নিয়মিত থাকতে পারি। বুড়োদের শরীর কখন কি হয়!! সামুর কার্যক্রম এখন খুবই ধীরস্থির। শুভ কামনা আপনার প্রতি।

৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ১৯৬৬ কলেজের পাঠ্য বইতে এই কবিতা পড়েছি।খুব সুন্দর করে পড়াতেন।

৬| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুরুল ইসলা০৬০৪ ভাই। ১৯৬৬ সনে আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি। সুস্থতার সাথে ভালো থাকুন। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.