নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।
প্রিয় সুধী! দয়া করে, আপনি হাসুন এবং হাসুন।
বাধভাঙ্গা জোয়ারের মতো;
সমুদ্রের বাতাসের মতো শোঁ শোঁ শব্দ করে,
প্রাণ খুলে বারবার হাসুন।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই দেখুন;
এবং হাসুন।
আপনার অমল ও প্রাণখোলা হাসি দেখে,
চারপাশের যে পরিবেশ আছে- পৃথিবী প্রকৃতি;
তারা হেসে উঠবে আপন স্বভাবে বিচিত্র রূপ ধরে।
অতঃপর, আপনি নিজের দুটি চোখ বন্ধ করুন;
এবং হাসুন।
সমর এবং হাসি পরস্পর বিরোধী বিষয়,
জীবন এবং মৃত্যু বৈপরীত্যে নিয়েও সহাবস্থান করে;
তা নিয়ে চিন্তা করুন।
সমস্যা এবং আনন্দকে নিয়ে ভাবুন।
সবকিছু তুচ্ছ করে,
সবকিছু অবহেলা করে প্রাণের ভেতরে তুলে আনুন
মানুষের ভালোবাসা,
মানুষের প্রতি মানুষের অগাধ বিশ্বাস;
তারপর, স্বাভাবিকভাবে হাসুন।
মায়াময়ী জননীর কণ্ঠ ধরে হাসুন,
প্রেমময় পিতার পার্শ্বেতে বসে হাসুন,
কাঙ্খিত সন্তানকে বুকে নিয়ে হাসুন,
প্রিয়ার চোখে চোখ রেখে অমলিনভাবে হাসুন,
ভাই ও বোনের হাতে হাত রেখে বারবার হাসুন;
নির্মোহ ব্যক্তিত্বে শুধু একবার প্রাণ খুলে হাসুন।
ক্যামেরার সম্মুখে যেমন করে হেসে উঠেন,
সেইভাবে নয়।
মাঠের বুকের মাঝে ফসলের আয়োজন দেখে
যেভাবে কর্মঠ কৃষকের চোখ হেসে উঠে;
তেমনই হাসির ফুল্লুরি ছড়ায়ে পড়ুক
আপনার চোখে, ঠোঁটে, বুকে সারা অঙ্গ জুড়ে।
শাওয়ারের নিচে বসে নিজেকে নিজে দেখুন,
এবং হাসুন;
এক কাপ গরম চা খেতে খেতে
অথবা একটি সিগারেটের ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে;
বোতলের শেষ ফোঁটাটি গেলাসে ঢেলে,
প্রাণ খুলে হেসে উঠুন।
এ হাসি ছড়িয়ে পড়ুক ধীরে ধীরে
পৃথিবীর শেষ প্রান্ত অবধি।
হাসিতে মনের হতাশা ঝরে,
হাসিতে পালায় কান্না;
হাসিতে আনে প্রাণের সুরভী,
এবং হাসিতে চমকিয়া উঠে পান্না।
বিকৃতির বিরুদ্ধে আপনি ঘৃণায় হাসুন,
এ হাসি বর্মের মতো রক্ষা করবে আপনাকে;
শরীরের রসায়নগুলো
আরো চঞ্চল হয়ে উঠবে হাসির পরম পরশে।
হাসি! হে আমার প্রিয়তর হাসি!
আমার জীবনকে তুমি সুন্দর করে দিয়েছো।
দিব্যি করে এ সত্য বলছি-
আমার ভেতরের ভালোবাসাগুলো
তোমার কারণেই অনুভূত হয়।
আমি একটি ফুলকে ভালোবাসতে চেয়েছি,
প্রতিটি সকালে এসে তুমি আমাকে দিয়ে যাও।
হাসি, তুমি যে আমার অন্তরাত্মা পূর্ণ করো
তোমারই অপার ভালোবাসা দিয়ে।
তাই, পৃথিবীতে তুমিই সুন্দর!
তোমাকেই ভালোবাসি
নির্মল সত্যের মতো অবিরাম, নিরন্তরভাবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হাসতে পারা এবং হাসাতে পারা বড় ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন। শুভ কামনা রইলো।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৫
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা। সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: অতি চমৎকার লিখেছেন।