নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতবাক

অবাক আমি

সময়

Walking alone in road with no direction...........

সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইকিং রুপকথা - পর্ব ২

২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

সৃষ্টির রহস্য



নর্স পুরাণশাস্ত্রতে পৃথিবী তথা সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস একটু জটিল। হিন্দু, গ্রীক মিথের মতো এরাও আদি-দেবতার অস্তিত্তে বিশ্বাস করে। সময় সৃষ্টির আগে এবং বিশ্ব তৈরির আগে , গিনুঙ্গাগাপ (Ginnungagap) নামের একটা জায়গা ছিল। গিনুঙ্গাগাপ (Ginnungagap) হচ্ছে বিশাল এবং অতল শূন্যস্থান (অনেকটা Black Hole এর মত) । নিলফিম (Nilfheim) ছিল অন্ধকারতম এবং শীতলতম অঞ্চল, এবং বরফ , তুষারপাত এবং কুয়াশার গঠিত। ভাইকিংদের মতে সৃষ্টির পরেও গিনুঙ্গাগাপ (Ginnungagap) এর উত্তরাঞ্চলে নিলফিম (Nilfheim) বিরাজমান।

গিনুঙ্গাগাপের দক্ষিনে মুসেফেলহিম (Muspelheim) এবং উত্তরে নিলফিম (Nilfheim) অবস্থিত। মুসেফেলহিমে সার্ট (Surt) নামের দানব শাসন করতো। এই অঞ্চল ছিল অগ্নি-অপদেবতা এবং আগুন-দানবদের বিচরণস্থান।




একদিন হঠাৎ মুসেফেলহিম থেকে আগুন এবং নিলফিম থেকে বরফগলা পানি মাঝখানের গিনুঙ্গাগাপে জমা হয়ে ইমি (YMI- a Jotun) নামের দৈত্য(giant) তৈরি হয়। ইমির ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাহুমূল থেকে আর দুটি দৈত্য(giant) তৈরি হয় যাদের একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা ছিল। ভাইকিংরা এসব দৈত্যদেরকে জাতুন (Jatun) নামে অভিহিত করে থাকে। এরা দুজন ‘আধুমলা’ (Audhumla) নামের এক দৈত্যাকার গরুর দুধ পান করে বেঁচে থাকে, যেটি ইমির মত একইভাবে গিনুঙ্গাগাপে বরফগলা পানি থেকে তৈরি হয়। ‘আধুমলা’ (Audhumla) নামের দৈত্যাকার গরুটি নিলফিমের লবনাক্ত বরফ খেয়ে বেঁচে থাকতো। এই লবনাক্ত বরফ খাওয়ার সময় একদিন একটি মানবদেহ বের হয়ে আসে, যিনি হচ্ছেন সর্বপ্রথম দেবতা বা আদিদেবতা বুরি (Buri)!




বুরির ছেলের নাম হচ্ছে বোঁর (Borr)। বোঁরের তিন সন্তান হচ্ছে- ওডিন (Odin), ভিলি (Vili) এবং ভি (Vi)। এরা কেউই ইমির (Ymir) মত দৈত্য (Giant) বা জতুন ছিলেন না। হিংসার বশীভূত হয়ে এই তিনভাই সর্বপ্রথম সৃষ্টি- দৈত্য ইমি সহ অন্যান্য দৈত্যকে মেরে ফেলে যাতে জাতুনদের/ দৈত্যদের (Jatun) কেউ বেঁচে থাকতে না পারে। তারপরেও দুইজন জাতুন বেঁচে থাকে, যারা পরবর্তীতে সমগ্র জাতুন/ দৈত্যদের জন্ম দেয়।


ওডিনরা তিন ভাই মিলে ইমির মৃতদেহ গিনুঙ্গাগাপের মাঝখানে নিয়ে আসে বিশ্ব সৃষ্টির জন্য। দৈত্য ইমির (Ymir) এর দেহাবশেষ থেকে সমগ্র বিশ্ব তৈরি করা হয়।



ইমির (Ymir) দেহ থেকে যেভাবে পৃথিবী তৈরি করা হয়ঃ
• রক্ত -মহাসাগর এবং জলে রুপান্তরিত হয়
• মাংশ- জমি হয়ে ওঠে
• হাড়- পর্বত হয়ে ওঠে
• দাঁত- রুপান্তরিত হয় পাথরে
• চুল- ঘাস এবং গাছ হয়ে ওঠে
• চোখের পাতা- রুপান্তরিত হয় মিডগার্ডে (মিডগার্ড হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থান (Middle Earth), যেখানে মানুষরা বাস করে। The Hobbits, The Lord of the rings এ যে Middle Earth এর কথা বলা হয়েছে, সেটিই হচ্ছে মিডগার্ড!


মানব সৃষ্টি :
একদিন ওডিন , ভিলি (Vili) এবং ভি (Ve) তিনভাই সৈকতে যেয়ে তারা দুটি কাঠের টুকরো খুঁজে পায়। এই দুই টুকরো কাঠ থেকেই পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব-মানবী তারা তৈরি করে।
• ওডিন কাঠের টুকরোকে আত্মা এবং জীবন দেন।
• ভি তাদের চলাফেরার ক্ষমতা, মন এবং বুদ্ধি দান করেন।
• ভিলি তাদের আকৃতি , কথা বলার ক্ষমতা , অনুভূতি এবং পঞ্চইন্দ্রিয় প্রদান করেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

রিকি বলেছেন: Mythological এসব জিনিসের মধ্যে একটা আলাদা মজা আছে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ারের জন্য। ২ য় ভালো লাগা :)

২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

সময় বলেছেন: ধন্যবাদ। :#)

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: ভাই চালায় যান +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.