নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই লিখলামনা

kajolrainু

একজন শিক্ষার্থী

kajolrainু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নেই ঘুমানোর সময় করনীয় সুন্নতসমূহ!!

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

অনেক জরুরী ২টি নসিয়ত।পড়ার অনুরোধ
থাকলো।ফায়দা হবে ইন'শা'আল্লাহ;
পবিত্র অবস্থায় ঘুমালে তার আত্মা
যা করে:আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,মানুষ
ঘুমালে
তার আত্মা আকাশে চলে যায় এবং
তাকে আল্লাহর আরশের কাছে
সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়।যে
ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার
আত্মা আল্লাহর আরশের কাছেই
সিজদা দেয় এবং যে ব্যক্তি অপবিত্র
ছিল তার আত্মা আরশ থেকে দূরে
সিজদা দেয়।(বায়হাকী,ইমাম বুখারী
এ হাদীসটি তাঁর আত্-তারীখুল
কাবীর’ গ্রন্থে বর্ণনা
করেছেন)।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি
পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার মাথার
কাছে একজন ফেরেশতা রাতযাপন
করে এবং ঐ
ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দোয়া
করতে থাকে,“হে আল্লাহ!তুমি
তোমার এই বান্দাকে ক্ষমা করে দাও
কেননা
সে পবিত্র অবস্থায় রাতযাপন করছে।
(তাবরানী ও বায়হাকী)
অতএব আসুন আমরা পবিত্র অবস্থায় ঘুমায়
যাতে আমাদের আত্মা আল্লাহর
আরশের কাছেই সিজদা দিতে পারে
এবং
ফেরেশতা আমাদের ক্ষমা চেয়ে
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।
যেভাবে ঘুমানো সুন্নাত:
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)
এর প্রতিটি কাজ তাঁর আদর্শ এবং
রেখে যাওয়া পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে
একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের
প্রত্যেকেরই
জ্ঞ্যান থাকাটা খুব জরুরি।ঘুম বান্দার
প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিরাট
নেয়ামত।সেই নেয়ামতের শোকর তখনই
হবে, যখন
আমরা আল্লাহর নেয়ামতকে রাসুলের
(সা.) এর সুন্নাত মোতাবেক পালন
করবো।এতে একদিকে আমাদের
আমলের সাওয়াব লাভ হবে,
নেয়মাতের শোকার আদায় হবে, একই
সাথে আল্লাহ রাসুলের (সা.) এর
নির্দেশনায় যে কল্যাণ রয়েছে, তা
থেকেও বঞ্চিত
হবো না ।
হাদিসে বর্ণিত ঘুমানোর আগে যে-
সব সুন্নাত রয়েছে, তা হলো-
১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে
নেয়া।
২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ
করে ঘুমানো।
৩. ঘুমের সময় ঘুমের দোয়া পাঠ করা।
হাদিসে বর্ণিত ঘুমের
দোয়া হলো, ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা
আমুতু ওয়া আহইয়া।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আপনার নামে
আমরা মৃত্যুবরণ করি আবার
আপনার নামেই জীবিত হই। কেননা,
ঘুমকে বলা হয় মৃত্যুর ভাই ।
মানুষ যখন ঘুমে যায়, তখন তার রুহ
আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়।
এরপর তার জাগরণের পূর্বে রুহ আবার
তার দেহে ফিরিয়ে
দেয়া হয়। (বুখারি)
৪. ডান কাত হয়ে শোয়া। অর্থাৎ ঘুমের
শুরুটা যেনো ডান
কাতে হয়। এরপর ঘুমের ঘোরে অন্য যে
কোনোভাবে ঘুমালেও
সুন্নাত পরিপন্থী হবে না।
৫. অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে হলে
শরীরের বাহ্যিক
অপবিত্রতা ধুয়ে অযু করে ঘুমানো ।
৬. নগ্ন হয়ে না ঘুমানো । (বুখারি)
৭. একান্ত প্রয়োজন না হলে উপুড় হয়ে
না ঘুমানো সুন্নাত ।
৮. ঘুমানোর সময় আগুন জ্বালানো
বাতি নিভিয়ে ঘুমানো।
(তিরমিযি)
৯. ঘুম ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব
পরিবর্তন করে শোয়া ।
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে বাম দিকে
তিনবার থুথু ছিটানো এবং
দোয়া করা, ‘হে আল্লাহ আমি
তোমার নিকট দুঃস্বপ্ন ও শয়তান
থেকে পানাহ চাই।’
এভাবে তিনবার বলা । তবে দুঃস্বপ্ন
কাউকে না বলা সুন্নাত।
(মুসলিম)
(সংগ্রহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.