নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনাম নাই

[email protected]

কাজরী...

কিছু বলার নাই তবে মন্তব্য নয়, পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করুন।

কাজরী... › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্দা এবং বোরখা (২)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮



وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا”



“তারা যেনো যা সাধরনত: প্রকাশমান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।”



প্রকাশমান বলতে হাতের তালু, মুখ-মন্ডল, পায়ের পাতা অর্থাৎ যে সব অন্ঙ সাধারন কাজ কর্মে বের হয়ে যায়।



অতএব, কোরআন মতে আমরা পাচ্ছি মেয়েদের পর্দার কথা বলতে মাথায় বুকে কাপড় দেয়া। দৃষ্টিকে নত করা। এমন ভাবে হাটা, চলা ফেরা যাতে তার দৌহিক সৌন্দর্য্য প্রকাশ না পায় অন্য পুরুষের সামনে।

অর্থাৎ কোন বিশৃংখলা না সৃষ্টি হয় একজন নারীর পোষাক বা এটিটিউটে।



يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا9



“হে নবি! আপনি আপনার পত্নিগনকে ও কন্যগনকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগনকে বলুন, তারা যেনো তাডের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা স হজ হবে । ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”



এখানে চাদরের কিয়দংশ টেনে নিতে বলা হয়েছে।



কোরআনে কোথাও বোরখার কথা বলা হয়নি, পর্দা যে কাপড় দিয়ে করা হবে তার রং বা লেন্থ এর কথাও উল্লেখ করা হয়নি।

বলা হয়নি পা পর্যন্ত লম্বা কাপর পরতে হবে। বা কালো কাপড়ের বোরখা পরতে হবে।বলা হয়নি হাত মোজা-পা মোজা পরতে হবে। চোখের সামনে ২ পার্টের কাপর ঝুলাতে।



মুল ব্যপার হচ্ছে মার্জিত থাকা। যাতে করে সমাজে কোন রকম উচ্ছৃংখলতার সৃষ্টি না হয়।



বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা স হ তাবলিগ-জামাতের লোকেরা তাদের স্ত্রী এবং কন্যাদের যে সমস্ত বোরখা পরিধান করান তার কথা কোরআনে কোন রকম হিন্টস ও দেয়া নাই।



এব্যপারে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, বর্তমান দুনিয়ার অবস্থা খারাপ। ফেতনা-ফাসাদে ভরে গেছে। তাই মেয়েদের পর্দা আরো কঠোর হতে হবে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মেয়েরা বোরখার ভেতরে ঢুকলেই পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসবে।



কথা হচ্ছে পৃথিবী কখন কোন অবস্থায় যাবে সেটা মহান আল্লাহ ছাড়া আর কে ভালো বলতে পারবেন? এই রকম বোরখা পরার পরিস্থিতি আসলেই আসলে আল্লাহ কি সেটা কোরআনে উল্লেখ করে দিতে পারতেন না?



“……….We did not leave ANYTHING out of this book.” 6:38



কাওকে তো মাতাব্বরি করতে বলা হয়নাই ধর্মের ব্যপারে।



একটা ওড়না দিয়ে মাথা, বুক বলা হয়েছে যেখানে ,সেখানে হাতমোজা-পা মোজা স হ চোখের উপর ২ পার্টের বোরকার ফতোয়া দেয়া কি সীমালংঘন নয়??? এ দায়িত্ব কি ওলামাদের দেয়া হয়েছে? পর্দার ব্যপারে এসব ফালতু পোষাক চাপিয়ে দেয়া দূঃসাহসিক সীমালংঘন।



আল্লাহ তা’য়ালা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত আছেন। ইসলাম স হজ-সুন্দর ধর্ম। ইসলামে এমন কিছু নাই যা মানুষের জন্য ব হন করতে কষ্টকর হবে।



“You shall strive for the cause of GOD as you should strive for His cause. He has chosen you and has placed no hardship on you in practicing your religion - the religion of your father Abraham. …………………………..” 22:78



ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভুল ব্যখ্যা দিয়ে ইসলাম টা কে নষ্ট করে ফেলছে।



আল্লাহ বলেছেন,



7:26] “O children of Adam, we have provided you with garments to cover your bodies, as well as for luxury. But the best garment is the garment of righteousness. These are some of GOD’s signs, that they may take heed.”



মানুষের সাভাবিক বিবেক বুদ্ধিকে ব্যব হার করতে বলে ইসলাম। মোরাল প্রিন্সিপালটাই প্রধান ব্যপার। ইনটআরনেটে কোরআনের আয়াত গুলোতে দেখা যায় ব্রাকেটের ভিতর বিশ্লেষন মুলক অর্থ দেয়া হয়। তাদের এই অধিকার কে দিয়েছে কোরআনের আয়াতের অর্থ নিজেদের মত করে করা?



পোষাকের ব্যপারে কোরআনের বেসিক রুল হচ্ছে মার্জিত থাকা। এবং একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে মার্জিত থাকতে হয় ভালো ভাবেই জানেন। এ জন্য কোরআনের আয়াতের এক্সট্রা ব্যখ্যা দেয়া কোন প্রয়োজন নেই।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১৪/-৫

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তারিক-আল-হাসান বলেছেন:

বোরকা প্রথার বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়াকে দেখেছি আপোষ হীন সংগ্রাম করতে। আপনার কথায় বুঝতে পারলাম আসলে ইসলাম নয় বরং কিছু কাঠেমোল্লায় এ বাড়াবাড়িটা করছে।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৬

ফজলুল কবিরী বলেছেন: "তাদের এই অধিকার কে দিয়েছে কোরআনের আয়াতের অর্থ নিজেদের মত করে করা? "- এই জায়গাতে আমি যে সমস্যা খুঁজে পায় তা হলো ধর্ম এবং অধর্মের ব্যাখ্যা মানুষের হাতেই থাকে। ব্যক্তির প্রকাশের মাধ্যম যেহেতু স্বীয় চিন্তা ও প্রজ্ঞা সেক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের ভালমন্দ ব্যাখ্যা করা প্রত্যেকের পক্ষে সম্ভব। কথা হচ্ছে এই ব্যাখ্যা আমার ও আপনার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার পঁয়তারা করছে কিনা। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদের প্রয়োজন হয়। আপনার প্রতিবাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রইল।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪১

কাজরী... বলেছেন: কবিরী,
আপনার সাথে আমার ব্যখ্যা নাই মিলতে পারে।
কিন্তু আমি আপনার উপড় আমার ব্যখ্যা বা বিশ্বাস চাপিয়ে দিতে পারিনা।
বর্তমানে বলা হয় আমি যে ছবিটি দিয়েছে এভাবে পর্দা করা নাকি ফরয। ফরয মানে হচ্চে কোরআন এ যা আছে। অথচ কোরআনে এরকম জিনিস নেই। আমার পোষ্ট এর মাধ্যমে সেটাই দেখাতে চেয়েছি।


৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩০

ফয়সাল তারিক বলেছেন: ভালো পোস্ট।
বাংলাদেশে বাড়াবাড়ি করা হয় তাতে সন্দেহ নাই।

তবে 'ইনটআরনেটে কোরআনের আয়াত গুলোতে দেখা যায় ব্রাকেটের ভিতর বিশ্লেষন মুলক অর্থ দেয়া হয়।' এইটা আপনার অতি সরলীকরন। ভাষান্তরের সময় কিছু বিশ্লেষন মুলক কথা দরকার হতে পারে। আপনি নিজেই ব্যবহার করেছেন ;)

'প্রকাশমান বলতে হাতের তালু, মুখ-মন্ডল, পায়ের পাতা অর্থাৎ যে সব অন্ঙ সাধারন কাজ কর্মে বের হয়ে যায়।'

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৮

কাজরী... বলেছেন: তারিক,

প্রকাশ্যমান বলতে হাতের তালু,মুখমন্ডল ইত্যাদি না বল্লেও কিন্তু বুঝতেন প্রকাশ্যমান টা কি?

আমি যা বলতে চেয়েছি: (পর্দা এবং বোরখা ১ পড়তে পারেন।)



সুরা আন-নুর, আয়াত-৩১
Click This Link থেকে অনুবাদটি নেয়া।

আরবি আয়াত ” وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ” এর শাব্দিক অর্থ হবে
“তারা যেনো জামার কলারের উপর উড়না ফেলে রাখে” ।

অনুবাদক বলেছেন: “তারা যেনো মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে

অথচ, আয়াতটিতে "মাথা" বা "বক্ষদেশ" এই দুটির কোনটিই ব্যভার করা হয়নি।

আপনিই বলুন, এটা কি সীমা লংঘন নয়?

এবার আসি ব্রাকেটের কথায়।
কোরআনের আয়াতের অনুবাদের জন্য ব্রাকেটের আদতে কোন প্রয়োজন আছে কি? অনুবাদকের যা মনে হয়েছে তাই সে লিখেছে। পাঠকের ব্যখ্যা অন্য রকম লাগতে পারে। যেহেতু, এখানে মতের পার্থক্যের অপশন থেকে যায় , সেহেতু ব্রাকেটে তার নিজের কথাগুলো না দিলে জিনিষটা পরিচ্ছন্ন থাকতোনা?

ধন্যবাদ
ফয়সাল

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৯

নুশেরা বলেছেন: কাজরীকে অভিবাদন এমন সুলিখিত পোস্টের জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০০

কাজরী... বলেছেন: ধন্যবাদ নূশেরা।

আপনার মেয়ে কেমন আছে?
শুভেচ্ছা দিবেন।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪৯

রাইডার বলেছেন: তাইলে দাদা সৌদিতে মহিলারা কি বেইসলামী তড়িকায় আপাদমস্তক ঢাইকা রাখে /:)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০০

কাজরী... বলেছেন: রাষ্ট যেভাবে ঠিক করে দিছে সেভাবেই পর্দা করে।

তবে কারো যদি ইচ্চা করে আমি প্যকেট হইয়া থাকবো সে থাকুক। যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার।


আমার কথা হচ্ছে কেনো জোর করা হবে পর্দার ব্যপারে যে হাত মোজা, পা-মোজা, লম্বা, কালো বোরখা পরতে হবে`?

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৪

শাহ জাহান বলেছেন: কোরআন হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ যেমন তোমরা নামাজ পড়, কিন্তু কিভাবে পড়বো বা কয় রাকাত পড়বো তার সুন্দর ব্যাখা রয়েছে হাদিস শরীফে; ঠিক তেমনই কোরআনে পর্দার কথা বলা আছে , আর হাদিস শরীফে আছে তার বিস্তারিত বর্ননা ; কতটুকু ঢাকতে হবে বা কতটুকু খোলা রাখা যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি: কাজেই কোরআনের একটি আয়াতের দ্বারা পর্দার সব কিছু জানা সম্ভব নয়। পর্দা বিষয়ের হাদিস অধ্যয়ন করার পরেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১১

কাজরী... বলেছেন: আপনার হাদিস পরা জরুরি হলে আপনি হাদিস পরেন।

অন্যের হাদিস পড়তেই হবে সে কথা আপনি বলতে পারেননা।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৪

রাইডার বলেছেন: এখন আমার আরেকটা কথা হইল,সৌদিতে এই বিষয়টাতো একদিনে নির্ধারিত হয় নাই,মহানবীর সময় থাইকাই এরকমভাবে চলে আসছে,
তাইলে কি নবীজি কোরান কম বুঝতেন /:)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩১

কাজরী... বলেছেন: আপনি কি আমাকে দয়া করে সোর্স টা উল্লেখ করবেন কোথা থেকে আপনি জনালেন যে নবী আমল থেকে এরকম ভাবে চলে আসছে?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৯

কাজরী... বলেছেন: এ ব্যপারে আমার ব্লগের ব্লাগ নীড় সন্ধানীর একটি মন্তব্য হুবহু তুলর দিচ্ছি:
নীড় সন্ধানী :
আজকে যে হিজাব প্রথা দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফগানিস্থানের মতো দেশগুলোতে সেটা ইসলামের কোন আইনের ফসল নয়। ইসলাম কোথাও এমন গবেট ধরনের পর্দা প্রথার কথা বলেনি। এমনকি ইসলামের নবীও কোথাও বলেননি। আপনি যে আয়াতের কথা বলেছেন সেটি সম্ভবতঃ একমাত্র আয়াত যা দিয়ে পর্দার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও নাক-মুখ-চোখ কাপড়ে বেঁধে রেখে চলাচল করতে বলা হয়নি।

মজার ব্যাপার হলো নবী বোরকা চালু করেননি। বোরকা চালুর উদ্যোগ কিন্তু নিয়েছেন খলিফা ওমর। তিনিই প্রথম নবীকে তাঁর স্ত্রীদের পর্দার ব্যাপারে অভিযোগ করেন এবং তাঁদেরকে পর্দার আওতায় আনতে বলেন। তবে সেই পর্দাও আজকের আফগান বা সৌদি আরবের মতো হাস্যকর ছিল বলে মনে হয় না। হাদিস থেকে যতদুর বোঝা যায় বিবি আয়েশা প্রায়ই ইসলামের নানান বিষয়ে সাহাবাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতেন। এমনকি অনেক যৌন সমস্যার সমাধানও তিনি দিতেন ইসলামের আলোকে যেটা আজকের অনেক আধুনিক নারীও পারবেন না। আজকের মোল্লারা সে যুগে জন্ম নিলে খুব সম্ভব বিবি আয়েশাকে মুরতাদ ঘোষনা করতো।

আরেকটা কথা, সম্পুর্ন চোখ মুখ ঢেকে যে বোরকা/হিজাব প্রথা, সেটা চালু হয়েছে খলিফাদের আমলে। তখন বাইজানটাইন সম্রাটের স্ত্রীগন পর্দার আড়ালে থাকতেন। জনসম্মুখে দেখা দিতেন না। সেটা একটা অভিজাত্যের লক্ষন ছিল। ইসলামে কিন্তু সেরকম আভিজাত্যের কোন স্থান ছিল না। সে যুগে ইসলামের ভুমিকা ছিল অনেকটা আজকের সমাজতান্ত্রিক আদর্শের বিপ্লবীদের মতো। সবাই সমান জীবন যাপন করবে -এরকম ধারনাই প্রাধান্য পায়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে খলিফাদের জীবন যাপন বদলাতে থাকে। নবীর অনেক আদর্শ থেকে সরে আসেন তাঁরা। আভিজাত্য ইত্যাদির ব্যাপারে সচেতন হয়ে আসেন। নবী যেভাবে সাধারন মানুষের সাথে মিশে থাকতেন, খলিফারা সেরকম ছিলেন না। খলিফা হারুন-উর-রশীদের জীবন যাত্রা কেমন ছিল তা আমরা অনেকেই পড়েছি। সেরকম খলিফাদের স্ত্রীরাই আজকের হিজাব ধরনের পর্দার প্রবর্তক।

শালীনতা বা ধর্ম নয়, আভিজাত্য-অহংকার প্রকাশ করার সুত্রেই হিজাব প্রথার প্রচলন।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪২

শাহ জাহান বলেছেন: হাদিস হচ্ছে কোরআন শরীফের ব্যাখা এটা যদি আপনি না মানেন তবে আমার বলার কিছু নেই; ইসলামী শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ন উৎস হচ্ছে হাদিস, হাদিস অধ্যয়ন ছাড়া জ্ঞান পুর্ণ হতে পারে না

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৩

কাজরী... বলেছেন: জ্বী, আমি না মানলে আপনার কিছু বলার নাই।

যার যার ধর্ম বিশ্বাস তার তার কাছে।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৭

রাইডার বলেছেন: নবী আমল থেকে এরকম ভাবে চলে না আইলে কি সৌদিরা এইটা আসমান থাইকা পাইছে/:)নবীজির সময় থাইকা জেনারেশন বাই জেনারেশন সিস্টেমটা চইলা আসছে,
একটু মাথার ব্যবহার করলেই এবিষয়গুলো বুঝা যায়, লিংক লাগেনা :)
নবীজিতো আর আমাদের দেশে আভিভূত হন নাই।

আসলে আপনার ব্যাখ্যা হইতাছে মডারেট মুসলিমীয় ব্যাখ্যা,যার সাথে পুরাতন ইসলামের অনেক ফারাক।
যেমন :-আমাদের দেশের মৌলানা,হুজুরারা সারাজীবন কোরান নিয়ে লেখাপড়া করতাছে,
এজন্যই ওরা কোরান বুইজাই সে অনুযায়ী অদের পরিবারে পর্দা বজায় রাখতেছে। :)

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৫

কাজরী... বলেছেন: আপনি হুজুরদের কথায় চলুন। আমার আপত্তি নেই।

আপনার মাথা আর আমার মাথা এক না। তাই চিন্তা বা বিশ্বাসও এক হবেনা।

খোদা হাফেজ

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৪

সত্যান্বেষী বলেছেন: ইসলামের এই পর্দা প্রথা পুরুষজাতিকে কতটা নিচে নামিয়েছে তা কি একবার ভেবে দেখেছেন?

বিষয়টা এমন যে পুরুষরা একধরনের যৌনসর্বস্ব পশু। কোন নারীর গলা কিংবা ঘাড়, একটু চুলের গোছা দেখল তো আর অমনি ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা দুর্বিনিত হয়ে উঠে। এমনি জাতপাত, প্রেম, হৃদয় ইত্যাদির বালাইহীন এক লিঙ্গসর্বস্ব পশু সে। তাই তার কবল থেকে বেচারা নারীকুলকে ঢাকো। ঢাকো ঘাড়। ঢাকো গর্দান। ঢাকো চুল। ঢেকে ফেলো তাকে। আড়াল করো পশু পুরুষের চোখ থেকে। এমনকি কিছুদিন আগে সৌদির মুফতি ফতোয়া দেয় - নারীর বোরখা (তারা যেন কি বলে একে) তো থাকবেই। তার উপর এখন থেকে দুচোখের এক চোখের উপরও কাপড় দিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে তাদের ঘন ঘন ঈমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কুবেরের শালীর (নামটি এ মূহুর্তে ঠিক মনে পড়ছে না) মতো করে বলতে হয় - হায়রে পুরুষ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪২

কাজরী... বলেছেন: কপিলা মনে হয়।

:)

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তাবলিগ-জামাতের লোকেরা তাদের স্ত্রী এবং কন্যাদের ,..

তাবলীগের বিরুদ্ধে দাহের উৎসটা বুঝা যায়। কারো হাতে পড়ে ইসলাম নষ্ট হবার জিনিস নয়, বা কোরআন বিকৃত হবার গ্রন্থ নয়। ইসলামের সমর্থনকারীরা কোরআনের সুন্দর যুগ-সময় বান্ধব কথা গুলো তুলে আনবে এটাই কাম্য। এর বাইরে কিছু স্পষ্ট বক্তব্য যাতে নারীদেরকে পুরুষের অধনস্ত বলে ঘোষনা দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত কথা বিশ্বাসীদের বিব্রত করে এবং অবিশ্বাসীরা সে সুযোগটিই নেয়। কোরানে নারী-পুরুষের সম্পর্কের মূল বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে গেলে আমি নিশ্চিত বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল রা অবিশ্বাসের সুরে বেকে বসতেন। ধর্ম পাঠে আমি সুখ পাইনা, ওটা বিশেষ শ্রেণীর পেশাজীবীদের পাঠের বিষয়। তারপরেও বহু মাত্রিক ব্যাখ্যা দিয়ে বিশ্বাসী জনতাকে বিভ্রান্ত করে উদার-উগ্র পন্থার মাঝে শ্রেণীভেদ করার পক্ষে আমি নেই।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫

স্বাতী রেজা বলেছেন: মেয়েদের বোরখা পরা না পরার উপরই কখনো সমাজের শািন্ত নির্ভর করে না।একজন মেয়ে কিভাবে পোশাক পড়ল সেটা নিয়ে গবেষনা না করে তারা যদি নিজেদের মানসিক উন্নতির চেষ্টা করে তাহলেই বরং অনেক বেশি উন্নতি হবে।আমার মনে হয় পর্দা নিয়ে নানান ধরনের ফতেয়া আবিষ্কার (!) করাটা তদের একটা বিনোদন।তাই এসব অসুস্হ বিনোদনকে তুচছ করে মার্জিত ভাবে থাকাই যথেষ্ট।

১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাদা কাগজ বলেছেন: আফা ,আল্লার রসূল (সা) কি কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখ্যা
দেন নি ???
পর্দার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কি ?

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

পারভেজ বলেছেন: কেউ কেউ মনে হয় সৌদি আরব কে আদর্শ মুসলিম দেশ হিসাবে ধরে নিয়েছেন!!!একদল মাতাল, কামলোলুপ, সুদখোর, বিলাস বাসনে মত্ত লোকদের দখলে পবিত্র কাবা আছে- এটা ভাবতেই কষ্ট হয়।
কাজরী- আপনার পড়াশোনার গভীরতা দেখে অবাক হচ্ছি!
আরো লেখা চাই।

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাদা কাগজ বলেছেন: আল্লার রসূল (সা) যদি পর্দার বিষয়ে গুরুত্ব না দেন ,
তাহলে তো বিরাট মজা!!!!!!!!!!!!!
দুধ বের করে বা শুধু ব্রা পরে ঘুরে বেড়ালেও অসুবিধা নাই ।
নাস্তিকতার একটা সীমা থাকা জরুরী ছিল .
যাই হোক ,আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দিন।

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা কাগজ বলেছেন: পারভেজ ভাই ,ঠিক বলেছেন

১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আরিফুর রহমান বলেছেন: সাদা কাগজ টাইপের কাঠমোল্লাগুলার জন্যই মানুষ ইসলামকে ঘৃনা করে।

শিক্ষিত হয়েও এধরনের নিম্নস্তরের মানসিকতা সাদা-কাগজ যে কিভাবে দেখায় ভাবলেই ঘেন্নায়...

১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাদা কাগজ বলেছেন: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তাবলিগ-জামাতের লোকেরা তাদের স্ত্রী এবং কন্যাদের ,..

তাবলীগের বিরুদ্ধে দাহের উৎসটা বুঝা যায়। কারো হাতে পড়ে ইসলাম নষ্ট হবার জিনিস নয়, বা কোরআন বিকৃত হবার গ্রন্থ নয়। ইসলামের সমর্থনকারীরা কোরআনের সুন্দর যুগ-সময় বান্ধব কথা গুলো তুলে আনবে এটাই কাম্য। এর বাইরে কিছু স্পষ্ট বক্তব্য যাতে নারীদেরকে পুরুষের অধনস্ত বলে ঘোষনা দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত কথা বিশ্বাসীদের বিব্রত করে এবং অবিশ্বাসীরা সে সুযোগটিই নেয়। কোরানে নারী-পুরুষের সম্পর্কের মূল বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে গেলে আমি নিশ্চিত বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল রা অবিশ্বাসের সুরে বেকে বসতেন। ধর্ম পাঠে আমি সুখ পাইনা, ওটা বিশেষ শ্রেণীর পেশাজীবীদের পাঠের বিষয়। তারপরেও বহু মাত্রিক ব্যাখ্যা দিয়ে বিশ্বাসী জনতাকে বিভ্রান্ত করে উদার-উগ্র পন্থার মাঝে শ্রেণীভেদ করার পক্ষে আমি নেই।

২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাদা কাগজ বলেছেন: আরিফুর রহমান বলেছেন: সাদা কাগজ টাইপের কাঠমোল্লাগুলার জন্যই মানুষ ইসলামকে ঘৃনা করে।

শিক্ষিত হয়েও এধরনের নিম্নস্তরের মানসিকতা সাদা-কাগজ যে কিভাবে দেখায় ভাবলেই ঘেন্নায়.


আমি ঠিকমত নামাজই পড়ি না .আর কাঠমোল্লা।
কি খবর নাস্তিক ভাই ,কেমন চলছে ছাগলামী

২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৫

অন্তু বলেছেন: মুফতি কাজরী।
ভালো নতুন ফতোয়া নতুন ইসলাম। আল্লাহ আপনাকে হেতায়েত দান করেন।

শরীয়তে ইজতেহাদ এর অবস্থান সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই।

২২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

মুহাম্মদ জ িহরুল কাইয়ুম ভূঁইয়া বলেছেন: বিদ্যা শিখতে যেরকম বিদ্যালয়ে যেতে হয়, তদ্রুপ ধর্ম সম্পর্কে জানতে হলে কোন ধর্মালয়ে (রিসার্চ সেন্টার, ...) যেতে হবে; এতে কি কোন সন্দেহ আছে?

যাদের অন্তর, ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, যারা পথভ্রষ্ট এদের কাছে কি ধর্ম শিখতে আসবেন?? আপনার কলেজ ডিগ্রীটা কি আমার থেকে নিবেন?????

আপনার পি.এইচ.ডি. ডিগ্রীটা টা কী আপনার স্কুল থেকে নেয়া যেতে পারে না??? আপনার শিক্ষক যিনি আপনাকে ক, খ, গ... শিখিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি অধিক পন্ডিত, অধিক জ্ঞানী, বিদ্বান...!!!
---
অতএব, কোরআন মতে আমরা পাচ্ছি মেয়েদের পর্দার কথা বলতে মাথায় বুকে কাপড় দেয়া। দৃষ্টিকে নত করা। এমন ভাবে হাটা, চলা ফেরা যাতে তার দৌহিক সৌন্দর্য্য প্রকাশ না পায় অন্য পুরুষের সামনে।
অর্থাৎ কোন বিশৃংখলা না সৃষ্টি হয় একজন নারীর পোষাক বা এটিটিউটে।

মানলাম। আপনার মা, বোন, স্ত্রী, মেয়ে কি ঠিক সেভাবে চলছে? দেখার দায়িত্ব কিন্তু আপনার! তাহলে আগে নিজের পরিবার সাজিয়ে ফেলুন; আর আমাদের জন্যও দোয়া করুন, যেনো আমরাও পারি। (অবশ্য আমি আগে নিজে, তারপর পরিবার, তারপরই আপনার মত লেকচার দিতে আসি, দোয়া করবেন)
---

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অন্ঙের হেফাযত করে। তারা যেনো যা সাধারনত: প্রকাশ মান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে এবং তারা যেনো তাদের মাথার উড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেনো তাদের স্বামী, পিতা, শশুর, পু্ত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতু্স্পুত্র, ভগ্নি পুত্র, স্ত্রিলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অন্ঙ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেনো তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারনা না করে। মুমুংন, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”

--- ধর্মের অপব্যাখ্যা করতে এসো না। ধিক তোমাদের মূর্খতাকে...।
উপরের আয়াতটি ভালভাবে বুঝার চেষ্টা কর, যদি মেনে থাক, অন্যথায়...///
তোমরা যদি বুঝে থাক তাহলে এতটুকুই যথেষ্ট পর্দা বা বোরখার ব্যাপারে। তবে তোমরা তো ভন্ড, ভন্ডামীই তোমাদের পেশা...

ভন্ডামী না করে বরং উপরোক্ত আয়াতের সঠিক তাফসীর তুলে ধর যাতে মুসলিম নারীরা উপকৃত হতে পারে।

কাপড় দিয়ে লজ্জাস্থান সহ পুরুষকে কামুক/যৌনদীপ্ত করে এমন সব অংগ ভালভাবে ঢেকে রাখাই হচ্ছে পর্দার বিধান। বোরখা যে পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই; একটি চাদর বা ওড়না (তবে বর্তমান কালের ফ্যাশনবল ওড়না দেয়া আর না দেয়া একই- এটা সাধারণত মেয়েরা গলা ব্যাথার জন্য ব্যবহার করে...দু:খিত) দিয়ে পর্দার কাজ সারতে পারেন।

...মাথার উড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে...: মাথা ঢেকে রেখেই বক্ষ দেশ ঢাকতে বলা হয়েছে, যেভাবে একজন মুসলিম নারী নামাজ আদায় করেন। মেয়েদের মাথার চুলও পুরুষদের জন্য লোভনীয়... (বিস্তারিত লিখলাম না, দয়া করে একজন ভাল আলেম থেকে জেনে নিবেন)
--- আসুন, ভন্ডদের থেকে সাবধান থাকি। এই সব নব্য ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত দেই। আমিন।

মাথায় কাপড় দেয়ার ব্যাপারে স্বয়ং বাইবেলে বলা আছে তাদের ধর্ম যাজকদের উদ্দেশ্যে তোমরা তাদের মাথা মুড়িয়ে (চুল কামিয়ে) দাও।

২৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬

মুহাম্মদ জ িহরুল কাইয়ুম ভূঁইয়া বলেছেন: তবে বোরখা পড়লে এই পুরো কাজটিই একসাথে সমাধা হয়ে যায়। এবং যে সমস্ত নারীরা তা বুঝে থাকেন তাদের কাছে বোরখা অত্যন্ত পছন্দ পর্দা করার জন্যে। যেমন পছন্দ আমার স্ত্রীর, আমার মায়ের, আমার বোনের....

২৪| ০৬ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২০

রেড ওয়াইন বলেছেন: +++ "একদল মাতাল, কামলোলুপ, সুদখোর, বিলাস বাসনে মত্ত লোকদের দখলে পবিত্র কাবা আছে - এটা ভাবতেই কষ্ট হয়।" +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.