নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুত্তোর!!

ধৃষ্টদ্যুম্ন

... ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল!

ধৃষ্টদ্যুম্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অক্টোবর \'১৫ ও \'ব্যাক টু দ্য ফিউচার\' প্রসঙ্গঃ ভবিষ্যত পৃথিবীর গল্প

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩




মিসৌরিতে থাকা বাবা-মায়ের কাছে ঘুরতে গিয়ে একদিন বব গেইল চিলেকোঠায় একটা ডায়রি খুঁজে পায়। মালিক তার বাবা, স্কুলে থাকাকালীন ব্যবহার করা জিনিস। এ ভদ্রলোক যে একসময় স্কুল প্রেসিডেণ্ট ছিলেন, তা বব ডায়রি পড়ে প্রথমবারের মত আবিষ্কার করে। আশ্চর্য বিষয়! কারণ বব নিজে এ ধরনের স্কুল গভর্মেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জড়িত ছিল। কাজেই বিপরীত মানসিকতার বাপ-ছেলে যদি কোনভাবে একইসাথে স্কুলে যেত, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হত? তাদের মধ্যে কি আদৌ বন্ধুত্ব হত?

এখান থেকেই মূলত শুরু। বব গেইল তার ছেলেমানুষী চিন্তাকে কাজে লাগাতে চায়। তাই বন্ধু রবার্ট জেমেকিসের সাহায্যে চিত্রনাট্য লেখা আরম্ভ করে। এরপর প্রডিউসার জোগাড় করে শুরু হয় শ্যুটিং। অতঃপর ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় সাই-ফাই মুভি ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’। ব্লকবাস্টার হিটে পরিণত হয় সে মুভি। যদিও সিক্যুয়েল করার কোন ইচ্ছা পরিচালকের ছিল না, কিন্তু বাজারদর মাথায় রেখে আরো গোটা দুয়েক মুভি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম মুভির সময়কাল ছিল ১৯৫৫ সাল। দ্বিতীয় মুভির ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয় ২০১৫ সাল ... ২১ অক্টোবর, ২০১৫।

ভবিষ্যত পৃথিবীর ব্যবহৃত জিনিস নিয়ে অনুমানের ক্ষেত্রে ‘স্টার ওয়ার্স’ সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। এরপর ‘২০০১: আ স্পেস অডেসি’ কিংবা ‘ব্লেড রানার’এর কথা বলা যায়। এক্ষেত্রে ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’ও তেমন পিছিয়ে নেই। টাইম ট্রাভেল নিয়ে তৈরি করা এ অ্যাডভেঞ্চারাস ট্রিলজির ভক্তসংখ্যা প্রচুর। বেশিরভাগের মতে ‘অলটাইম ফেভারিট’ ট্রিলজি। তাই সেই ট্রিলজির পার্ট টু যখন ২০১৫ সাল নিয়ে কাজ করে এবং বর্তমানেও সময়টা ’১৫, তখন ইন্টারনেট জুড়ে ‘মুভি বনাম বাস্তবতা’ সংক্রান্ত ব্যাপক কাটাছেঁড়া আরম্ভ হয়। সবার ঘুরেফিরে একই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় ...


২০১৫ সাল অনুমানে ‘ফিউচার ট্রিলজি’র দ্বিতীয় পার্ট কতটুকু সফল, আর কতটুকুই বা ব্যর্থ?


চলুন ... দেখা যাক!





“স্পয়লার অ্যালার্ট! ব্যাক টু দ্য ফিউচার সিরিজের কোন মুভি দেখা বাদ থাকলে এ পোস্ট আপনাকে একগাদা স্পয়লার দিয়ে দেবে ... কাজেই সাবধান!!”


সফলতার গল্প _




☼ হভারবোর্ডঃ

ব্যাক টু দ্য ফিউচারের যত প্রেডিকশান আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বা কমন হচ্ছে এই হভারবোর্ড। সিরিজের প্রথম দুইটা মুভিতে বিফ ট্যানেনের হাত বাঁচবার জন্য প্রত্যেকবার মার্টি ম্যাকফ্লাই এই হভারবোর্ড ব্যবহার করে। প্রথমবারেরটা ছিল একেবারেই সাধারণ, চাকায় লাগানো জিনিস। কিন্তু লোকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় দ্বিতীয় বোর্ডটা যা কিনা শূন্যে ভেসে বেড়াত। বাস্তবে আদৌ সম্ভব?

২০১৫ তে অন্তত না। কিন্তু কাজ চলছে। ‘হেন্ডো হভারবোর্ড’ নামক একটা ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে, চাইলে অর্ডার করে কিনে নেওয়া যাবে। তবে এর জন্য দুইটা জিনিসের প্রয়োজন; এক, ১০ হাজার ডলার এবং দুই, মেটালিক র‍্যাম্প। কারণ জিনিসটা চুম্বকীয় প্রযুক্তির সাহায্যে চলে। এই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এমন আরেকটা হভারবোর্ড হচ্ছে ‘লেক্সাস স্লাইড’। এটা দেখতে প্রায় মুভিটির মতই। কিন্তু চাইলেই কেনা সম্ভব নয়। কারণ পুরোটাই এখন পর্যন্ত থিওরি কেবল, বাস্তবায়িত হতে বহু দেরি!




☼ ইলেকট্রনিক ডিভাইসঃ

হভারবোর্ডের ক্ষেত্রে কিছুটা হতাশাজনক ফলাফল আসলেও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ক্ষেত্রে বাস্তবতা অনেক অনেক বেশি সমৃদ্ধ। মুভিতে যেমন মারলিন ম্যাকফ্লাইকে কল রিসিভ করার সময় একটা বাঁকানো হেডসেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবার ডক ব্রাউন একটা বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে অন্যদের যাবতীয় তথ্য চট করেই দেখে নিচ্ছিল। এ সবগুলাই আজকের গুগল গ্লাস, অকিউলাস রিফট কিংবা স্যামসাং গিয়ারের প্রতিনিধি।

এরপর আসা যাক ঘরের ভেতর। ভবিষ্যতের ম্যাকফ্লাইকে যখন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছিল, তখন বেশ কিছু জিনিস চোখে পড়ে। যেমন – ভিডিও কলিং, ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে হোম পেমেন্ট, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। প্রথম দুইটা বুঝা গেলেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়। কারণ মুভিতে ব্যাপারটা আমাদের বহুল ব্যবহৃত ‘ফেসবুক’ কিংবা ‘টুইটার’-এর মত করে দেখায়নি। তবে আপনি যদি ‘লিঙ্কেডিন’ ইউজার হন, তাহলে অনেকখানি পরিচিত লাগবার কথা।




☼ পেপসি পারফেক্টঃ

ব্যাক টু দ্য ফিউচারের সবচেয়ে ‘লোভনীয়’ জিনিসগুলার মধ্যে একটা – পেপসি কোলা। আপনাকে কিছু করতে হবে না। স্রেফ অর্ডার দিবেন, সাথে সাথে একটা আস্ত বোতল এসে হাজির হবে। মুভিতে ব্র্যান্ড হিসেবে পেপসি দেখানো হলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাস্তবে এ ধরনের সফল প্রজেক্ট প্রথম আনে কোকাকোলা, ২০০৯ সালে। তাতে প্রায় ১০০ ধরনের ড্রিংক্স ছিল।

পেপসি অবশ্য পুরোপুরি হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। তারা মুভি সিরিজটির ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে পেপসি পারফেক্টের ৬৫০০টি লিমিটেড এডিশান আনে। দাম মোটামুটি হাতের নাগালে – পার পিস একুশ ডলার।




☼ থ্রিডি হলোগ্রাফিক মুভি ও সিক্যুয়েলঃ

এ ব্যাপারে মুভির প্রেডিকশান প্রায় নিখুঁত বলা যায়। আজকাল প্রায় প্রত্যেকটা হলিউডি মুভির থ্রিডি ভার্সন বের হয়। পর্দা থেকে রীতিমত গায়ের উপর লাফিয়ে পড়া ইমেজে মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে এখন আর তাতে কাজ হয় না। যে কারণে ফোর্থ ডাইমেশান নিয়েও ফিল্ম মেইকারদের মাথা ঘামাতে হচ্ছে।

আর আছে সিক্যুয়েলের প্যারা! যেকোন একটা মুভি সেমি-হিট হলেই হল, সিক্যুয়েল দিয়ে পুরা ভরিয়ে ফেলা হয়। স্পিলবার্গের Jaws 19 মুভিটার অ্যাডের মাধ্যমে এ ব্যাপারটা খুব ভালভাবে প্রেডিক্ট করেছিল পরিচালক। ব্রাভো ম্যান!




☼ নাইকি শ্যুঃ

হভারবোর্ডের পর সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রডাক্ট হচ্ছে এই নাইকি শ্যু। এ জুতার বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে পা গলালেই কাজ শেষ। পুরো জুতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আঁটসাঁট হবে এবং ফিঁতেও এক ঝটকায় আটকে যাবে। ব্যস, আপনার কাজ কেবল হাঁটা!

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নাইকি এ স্পেশাল জুতা বাজারে আনবার ঘোষণা দেয়। এ খবর ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেললেও এখন পর্যন্ত তাদের খালি হাতেই থাকতে হয়েছে। নির্দিষ্ট কোন তারিখ না দিলেও ডেভেলপারদের আশা, তারা সামনের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ‘ম্যাকফ্লাই’ শ্যু ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে পারবে। তবে এতে ঐ ফিঁতে আটকে যাবার ফিচারটা থাকবে না। আহারে!


ব্যাক টু দ্য ফিউচার টু’র বাস্তবায়িত হওয়া প্রেডিকশান এখানেই শেষ না। আরো কিছু আছে ... যেমন – মাল্টিপল চ্যানেল টিভি, ফ্রি হ্যান্ড গেইমিং, ফিঙ্গার-প্রিন্ট রেকগনিশান ... ইত্যাদি ইত্যাদি!


এখনো যা বাকি _




☼ জ্বালানীরূপ আবর্জনাঃ

যে কম্পোজিট ফ্লাক্স নিয়ে প্রথম মুভিতে রীতিমত তোলপাড় হয়ে গেছে, সে জিনিসটাই আবার দ্বিতীয় মুভিতে এসে একদম সহজ হয়ে যায়। কারণ তখন জ্বালানী হিসেবে প্লুটোনিয়ামের বদলে সাধারণ আবর্জনা ব্যবহার করা হয়। একটা সাধারণ কলার খোসা আর এক বোতল বিয়ার ... ব্যস! ডিলরিয়ান এখন ঘণ্টায় ৮৮ কিলো গতিতে যেতে পুরোপুরি সক্ষম।

এভাবে ময়লা-আবর্জনাকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা বর্তমানে সম্ভব, যা কিনা বায়োগ্যাস হিসেবে পরিচিত। তবে এসব এখনো অতটা সাধারণভাবে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেনি। এমনকি আগামী পাঁচ বছরেও তা সম্ভবপর নয়। দুঃখজনক!




☼ উড়ন্ত গাড়িঃ

“রাস্তা? ছেলে, আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে রাস্তার কোন দরকারই নেই!” কেন? কারণ ২০১৫ সালে গাড়ি ত আকাশে উড়ে!

হ্যাঁ, আমাদের ফাল্গুন-বলাকা এখনো ঢাকার রাস্তায় গড়াগড়ি খেলেও ব্যাক টু দ্য ফিউচারের মতে, বর্তমানে আমাদের আকাশে উড়বার কথা। এ ধরনের উড়ন্ত গাড়ির চিন্তাভাবনা অবশ্য বেশ আগে থেকেই করা হচ্ছে। তবে প্রায় সবই এখন পর্যন্ত পরীক্ষাগারে আবদ্ধ। সেসব বাস্তবায়িত হতে তাই আরো সময় লাগবে ... আর মেইনস্ট্রিম হওয়া অনেক অনেক পরের কথা।




☼ ডিহাইড্রেটেড ফুডঃ

সহজ কথায়, রান্নার ঝামেলায় না গিয়ে রান্না করা। যেমনটা করেছিল মিসেস ম্যাকফ্লাই। একটা ছোট্ট, তালুর সমান পিৎজাকে হাইড্রেটরে ঢুকায়। কিছু সময় পর সেটা প্রমাণ সাইজের একটা পিৎজায় পরিণত হয়। আফসোসের বিষয়, এমন চমকপ্রদ জিনিস এখনো ঐভাবে আবিষ্কৃত হয়নি। পাস্তা, ভাতের মত খাবার যদিও রিহাইড্রেট করা যায়, কিন্তু পিৎজার মত জটিল জিনিস এখনো হয়ে উঠেনি। তবে এক্ষেত্রে থ্রিডি ফুড প্রিন্টিং একটা বড়সড় আশার বাণী।


এছাড়া ‘হল না, হল না’ লিস্টে ‘ভাসমান বিজ্ঞাপন’, ‘রোবোটিক পেট্রোল স্টেশান’, ‘লেজার ডিস্ক’ কিংবা ‘ডাবল টাই’কেও রাখা যায়।


ঐতিহাসিক চমক _




কুখ্যাত ৯/১১ নিয়ে আমেরিকানদের এক ধরনের অবসেশান কাজ করে। সেই নস্ত্রাদামাস থেকে শুরু করে হালের সিম্পসন – সব জায়গাতে তারা সেই দুর্ঘটনার ছায়া খুঁজে বেড়াতে ওস্তাদ। এর সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ব্যাক টু দ্য ফিউচারের নাম। বছরখানেক আগে এক ইউটিউবার এ সংক্রান্ত একটা ভিডিও আপলোড করে। সেখানে সিরিজের কিছু সিকোয়েন্সের সাথে ৯/১১ এর ব্যাপারটা এত চমৎকারপভাবে মেলানো হয় যে তা দেখলে কিছুটা হলেও কনভিন্সড হওয়া অস্বাভাবিক না। আবার এই একই আপলোডার মাস কয়েক পর আরেকটা ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যার সাথে ট্রিলজির যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছিল। পাবলিক পারেও রে ভাই!

এখানে প্রিন্সেস ডায়ানার কথাও বলা যায়। ট্রিলজির পার্ট টু মতে, তাঁর বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাণী থাকার কথা। কিন্তু ১৯৯৭ সালে গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যাওয়ার তা সম্ভব হয়নি। তেমনি মুভি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এখনো কোন মহিলা প্রেসিডেণ্ট আসেনি।

আর রইল কাবসের কাহিনি। শিকাগোর এই বেসবল টিম সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, ২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ তাদের পকেটে যাবে। তখনকার হিসেবে এটা অনেক সাহসী একটা অনুমান ছিল। এমনকি বছর পাঁচেক আগেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে ব্যাপারে খানিকটা হলেও আশার আলো ফুটেছে। শিকাগো কাবস বর্তমানে এনএলসি’তে খেলছে। এ টাইটেল জিতলে তবে হবে ওয়ার্ল্ড সিরিজ। কাজটা যদিও অনেক কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়।


ভিডিওস সেকশানঃ



উপরে এতক্ষণ ধরে যা বকবক করলাম, তারই একটা সংক্ষিপ্ত রূপ এ ভিডিও। বিখ্যাত ইউটিউব চ্যানেল 'কলেজ হিউমার'-এর ভিডিওটিতে মার্টি ম্যাকফ্লাই আর ডক ব্রাউনকে দেখা যায় যারা কিনা আজকের ২০১৫-তে এসে হাজির হয়। অতঃপর ... ...




টয়োটা কম্পানি এ ডকুমেন্টারি ভিডিওর আসল উদ্যোক্তা। এখানেও ক্যারেক্টার সেই দুইজন - মার্টি ম্যাকফ্লাই ও ডক ব্রাউন। বিষয়বস্তুও মোটামুটি একই, বাস্তবতার নিরিখে মুভির বিভিন্ন দিক আলোচনা।




আজকের দিনে মার্টি ম্যাকফ্লাই বিভিন্ন ফিউচারিস্টিক গ্যাজেট নিয়ে যা যা করল, তা-ই নিয়ে টিনেজ রি-অ্যাকশান।




আর সেই বিখ্যাত Jaws 19 ট্রেইলার!


ফ্যান থিওরিঃ

বিখ্যাত মুভি নিয়ে ভক্তদের যে পরিমাণ পাগলামি থাকে, তা বুঝা যায় তাদের ফ্যান থিওরি দিয়ে। ইন্টারনেটে এগুলা Crazy Fan Theories নামে পরিচিত। ব্যাক টু দ্য ফিউচার ট্রিলজি নিয়েও অনেক ফ্যান থিওরি আছে। যেমন, আমরা এখনো উন্নত হভারবোর্ড পাইনি কারণ ডক আর মার্টি টাইমলাইনে কোন একটা গণ্ডগোল করে রেখেছিল। তেমনি আরেক ফ্যানের দাবি, গিলেনহালের বিখ্যাত মুভি ‘ডনি ডার্কো’ আসলে ব্যাক টু দ্য ফিচার সিরিজের একটা অংশ। কারণ সে মুভির পরিচালক রিচার্ড কেলি নিজেকে ‘ফিউচার ট্রিলজি’র একজন বড় ভক্ত দাবি করেছিল।

তেমনি আরেকটা হচ্ছে মার্টি ম্যাকফ্লাইয়ের মৃত্যু। কিছু ফ্যান বিশ্বাস করে, সিরিজের দ্বিতীয় পার্টে মার্টি বেশ কয়েকবার মারা গেছে। বিফ ট্যানন যখন গাড়ি নিয়ে তাকে টানেলের মধ্য দিয়ে তাড়া করে কিংবা ম্যাকফ্লাইকে বাধ্য করে যাতে ছাদ থেকে পড়ে যায়। এ দুই ক্ষেত্রেই ডক ব্রাউন এসে মার্টিকে উদ্ধার করে। এখন ফ্যানদের প্রশ্ন, ডক আগে থেকে এ বিপদগুলা জানতে পেরেছিল? জোর সম্ভাবনা, ডক আসলে কোন অল্টারনেট টাইমলাইনে ছিল। একারণে সে ‘অ্যাকচুয়েল টাইমলাইনে’ ঘটা মার্টির মৃত্যুগুলো সম্পর্কে অবগত হয় এবং পরে উদ্ধার করতে পারে। পার্ট ওয়ানের শেষদিক নিয়েও এমন আরেকটা থিওরি আছে।

আর টোটাল ট্রিলজি নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া বিশেষ থিওরি হচ্ছে এটা। বেশ গুছিয়ে লেখা আছে, কাজেই মিস করা বোধহয় ঠিক হবে না।




যাই হোক। আজ এখানেই ইতি। কিছু ফ্যাক্টস দেবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সময়ে কুলালো না। শেষে একটা কথাই বলি ... আপনি যদি মুভিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এ দিনে 'ফিউচার' ট্রিলজি একবার রিভাইজ দেওয়া অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। তাই দেরি করে লাভ নেই, হাতে সময় থাকতে দেখা শুরু করে দিন!

হ্যাপি মুভি টাইম! :)


গ্রেট স্কট-ট-ট!!


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

চ্যাং বলেছেন: কান্দিতে মুন চায়!! :(

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:



বড় হয়ে গেছেন সেজন্য? B-)

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

চ্যাং বলেছেন: নারে ভাই.... পোস্টু পইত্তে চেচ হয় না...... প্রিয়তে নিচি...... :) :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:




প্রিয়তে? ধন্যবাদ! :D

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: প্রিয় মুভি :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:





আমারও পছন্দের ট্রিলজি! :#)

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সময় নিয়ে পড়বোনে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৬

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:




ওকে! /:)

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: প্রিয় ট্রিলজি নিয়ে লেখা খুব ভালো লাগে ।লেখার জন্য ধন্যবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:




আপনাকেও ধন্যবাদ পড়বার জন্য! :)

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট। মুভি রিভিউতে অনেকদিন পর একটা মানসম্পন্ন পোস্ট পড়লাম। আমার মনে আছে, এই মুভিটা যখন প্রথম দেখি, তখন এই ২০১৫ সাল নিয়ে কত কি ভাবতাম। হলিউডের সিনেমাগুলো মাঝে মাঝে আসলে বিজ্ঞান চর্চাকে উৎসাহ দেয়, অনুপ্রানিত করে উদ্ভাবকদের।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:




হলিউডের মানসম্পন্ন সাই-ফাই মুভির এমন গ্যাজেটগুলা আসলেই অনুপ্রেরণা দেবার মত ... ক্রিয়েটিভিটি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।


ধন্যবার আপনাকে কাল্পনিক_ভালোবাসা! আর আপনার ক্যারিকেচারটা বেশ ভালো ...

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ট্রিলজি টা দেখতে হবে ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন: অবশ্যই! :)

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বনমহুয়া বলেছেন: দারুন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন: ধন্যবাদ! !:#P

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আমার ল্যাপটপ সাধারণত বন্ধ করি না। যখন ইউজ করি না তখন স্ট্যান্ডবাই হয়ে থাকে।
গত ৫/৬ দিন ধরে সম্ভবত আপনার পোষ্টটা একটা ট্যাবে খুলে রেখেছি সময় নিয়ে পড়ব বলে হতাশ হয়নি চমৎকার একটা পোষ্ট।

পোষ্টে +

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:




একটা পোস্ট একজনের ল্যাপিতে ৫/৬ দিন ধরে খোলা থাকা ত সোজা কথা না ... ... :-B


ধন্যবাদ algolbdblog! !:#P

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

তাসজিদ বলেছেন: বিটিভি তে এই মুভি দেখিয়া মাথা নষ্ট হইছিল। B-)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:

Dat Golden BTV!! :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.