![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল ৭:৩০ এ এলার্ম বেজে উঠলো। সাধারণ সময়ে এই সময়ে আমি অফিসের জন্য বাসা থেকে রওনা দিয়ে দেই। কিন্তু রোজার মাস হবার কারণে আমি এখন ঘুমে।
মূলত আমি রোজার মাসে পুরা রাতই জেগে থাকি। কখনও কখনও মাগরিবের পর ঘন্টা খানেকের ঘুম দেই। মূল ঘুম দেওয়া হয় ফজরের পরে। ৪:৩০ থেকে ৫টার মধ্যে বিছানায় যাই। সকাল ১০টায় উঠি। ১১টার মধ্যে অফিসে। রোজায় অফিস ৬ঘন্টা হওয়ায় ৫টাতেই বের হয়ে যাই। মোট কথা অফিস শেষ টাইম আমি ঠিক রাখি।
টেকিদের এই একটা বিশাল সুবিধা। মাঝে মধ্যে অফিসে না গেলেও চলে। বাসা থেকে কাজ করে দিলেই হলো। বস মাস শেষে শুধু জানতে চান কতটা প্রোজেক্ট শেষ করেছি। কতটুকু কাজ আগিয়েছে। খাপে খাপে মিলে গেলে মাঝে মধ্যে ২/৪দিনের জন্য ছুটি না নিয়েও কক্সবাজারে বসে কাজ করা যায়।
যাই হোক। আজকে ৭:৩০ এ এলার্ম বাজার কারণ হচ্ছে একটা মিটিং আছে ৮:৩০ এ। অফিসের গর্ধভ টাইপের একজন পাওয়ারফুল লোক সকাল ৮:৩০ এ মিটিং রেখেছেন। ঘুম ঘুম চোখে অফিসে হাজির হলাম ৮:২০ এর দিকে। অন্য দিন হলে গাদি খানেক কফি গিলে নেওয়া যতো। রোজা থাকায় তা হচ্ছে না।
মিটিং শুরু হলো সকাল ৯:৩০ এ। কারণ ঐ কর্তা এলার্ম শুনে উঠতে পারেন নি। উনি এক ঘন্টা দেরী করে অফিসে এসেছেন।
মিটিং এর মূল বিষয় হচ্ছে, আমাদের আর সুযোগ সুবিধা দেওয়া যাবে না! আমরা নাকি বেশ পেয়ে বসেছি। আমরা এতটাই পেয়ে বসেছি যে বসেরাও নাকি নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন!
তাই এখন থেকে সারা বছরই অফিস টাইম সকাল ৮টা। প্রতিদিন ৮:৩০ এ মিটিং! হঠাৎ কি হলো জানি না, রুম ভর্তি সবাই হো হো করে হেসে দিলো। বেচারা বস কিছু না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন কিছু সময়।
মিটিং বেশী আগালো না। বস খুব একটা ভাও পেলেন না। দুপুর ২টা ২০ বাজতেই অফিস থেকে বের হতে গেলাম। ঐ বস এসে জিজ্ঞাসা করলেন যে এত দ্রুত বাসায় যাচ্ছি কেন আজকে! আর এক দফা হেসে উনার হাতে একটা কফির কাপ ধরিয়ে দিয়ে বললাম, ইফতারের সময় এই কাপে করে কফি বানিয়ে খাবেন, উত্তর পেয়ে যাবেন!
অফিস থেকে বের হতেই ফারিয়ার কল। এই মেয়েটা যার সাথেই কথা বলে, ভাইয়া বলে গড়িয়ে পড়ে! আমার ভিষণ বিরক্ত লাগে। এই স্বভাবের একটা গার্লফ্রেন্ড ছিলো আমার। তার সাথে রিলেশন থাকার সময় বুঝতেই পারতাম না কোনটা তার আপন লোক, আর কোনটা তার পর! সবার সাথেই ভাইয়া বলে গড়িয়ে পড়ে।
যাই হোক, সে খবর দিলো আমাকে নাকি চাকরী থেকে বের করে দেওয়া হবে! এবং সেটা আগামীকালই। আরও এক দফা হাসলাম। আমাকে অফিস থেকে যে তাড়াবে, সেই তো আগে অফিস থেকে তাড়া খাবে!
বাইকটা স্টার্ট দিতেই মনে হলো আজকে আর বাইকে না যাই, সিএনজিতে করে চলে গেলেই হলো। গেলামও তাতে করেই। আহ, হোম সুইট হোম!
কখন ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক বুঝতে পারিনি! ৭:৩০ এ এলার্ম বাজলো। বিরক্ত হয়ে মোবাইল হাতে নিলাম। এই সময়ে কেন এলার্ম দিয়েছি বুঝতে পারলাম না!
পাশ থেকে স্ত্রী বললো, তোমার না ৮:৩০ এ মিটিং?
ঘুম ঘুম চোখে জানালার বাইরে তাকালাম; না এখন রাত ৭:৩০ না, সকাল ৭:৩০ বাজে!
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
ঘুম ঘুম চোখে বলেছেন: ঈদের পর স্বাভাবিক টাইমে এডজাস্ট করেন কি করে?
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাধারন সময়েও রাতের দেড়টা দুইটায়া ঘুমাই। সকালে ৮টায় উঠে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে আবার ঘুম দিয়ে ১১টায় উঠি। চাকরি বাকরি করি না, তাই সমস্যা হয় না।
২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:১৭
ঘুম ঘুম চোখে বলেছেন: বেশ বেশ!
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন: গার্লফ্রেন্ডের স্বভাবটা পড়ে অনেক হাসলাম।
০২ রা মে, ২০২২ রাত ১:৫৬
ঘুম ঘুম চোখে বলেছেন: আফা, বিশ্বাস করেন, এডি হাসির কিছু না। এডি চরম বিরক্তিকর!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রজামনে আমিও সারা রাত জেগে থাকি। সাহেরীর পরে ঘুমাই। উঠি সকাল ১১ টা থেকে ১২টার মধ্যে। গত কয়েকদিন আরো পরে উঠতেছি।