নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Click This Link
বিরোধীরা বলবে কৃষকের সাফল্য, পক্ষের লোকেরা বলবে সরকারের সাফল্য। আসলে সাফল্য যারই হোক- বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু চাল নয়, অন্যান্য কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশকে এখন আর আমদানির পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয় না। খাদ্য কিনতে মানুষকে কাঠফাটা রোদে ন্যায্যমূল্যের দোকানের সামনে দিনভর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। চালের জন্য বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না।
পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য নিজেরা উৎপাদন করতে না পারার যন্ত্রণা কতখানি, তা টের পেয়েছিল বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। টনপ্রতি হাজার ডলার দাম দিয়েও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য কিনতে পারেনি তারা। ভারত পাঁচ লাখ টন চাল দেওয়ার কথা বলে প্রয়োজনের সময় দেয়নি। চালের উচ্চমূল্যের কারণে মোটামুটি আয়ের মানুষকেও লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল তখনকার বিডিআরের দোকানের সামনে।
শুধু ধান নয়, বর্তমান সরকারের আমলে অন্যান্য ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। দূর হয়েছে সার নিয়ে সংকট। ইউরিয়ার বাইরে অন্যান্য সারের দাম কমিয়ে কৃষকের ইউরিয়ানির্ভরতা কমানো হয়েছে। কৃষিঋণ বিতরণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে বর্গাচাষিদের। লবণসহিষ্ণু, খরাসহিষ্ণু, জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ হচ্ছে। কৃষি গবেষণার জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকার। কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব হয়েছে। এক কোটি ৪০ লাখ কৃষক পরিবার পেয়েছে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড। পাটের জীবন রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবন রহস্যও জানা গেছে। সব মিলিয়ে আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মতো এ আমলেও সাফল্য দেখিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
এত সাফল্যের পরও কিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। প্রতিবছর কমতে থাকা কৃষিজমি রক্ষায় সরকার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। ভূমি জোনিং হয়নি। বাড়তি উৎপাদন করে কৃষক তার পণ্যের ভালো দাম পায়নি। কৃষিপণ্যের বীমার সুবিধা বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়নি এখনো।
উৎপাদন বেড়েছে, কমছে আমদানিনির্ভরতা : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) হিসাবে, মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগের বছর ২০০৭-০৮ অর্থবছরে চাল, গম ও ভুট্টা মিলিয়ে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল প্রায় তিন কোটি ১১ লাখ টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে তা তিন কোটি ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার টনে উন্নীত হয়। চাল উৎপাদন দুই কোটি ৮৯ লাখ টন থেকে বেড়ে তিন কোটি ৩৯ লাখ টনে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ গম চাষের জন্য তেমন উপযোগী নয়। তাই এর উৎপাদনও তেমন বাড়েনি। তবে আমদানি পণ্য ভুট্টার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে।
গমের উৎপাদন ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ছিল আট লাখ ৪৪ হাজার টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৯৫ হাজার টনে। আর ভুট্টার উৎপাদন ১৩ লাখ ৪৬ হাজার টন থেকে বেড়ে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার টনে উন্নীত হয়।
পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ করছে দেশীয় চাষিরা। তৈলবীজ, গম, সবজি, আলু ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। মসলাজাতীয় পণ্য কয়েক বছর আগেও প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি করা হতো। বর্তমানে ৮০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হচ্ছে। আমদানি হচ্ছে ২০ শতাংশের মতো। ডিএইর তথ্য মতে, দেশে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল আট লাখ ৪৯ হাজার টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় প্রায় ১৯ লাখ টন। আদা ও রসুনের উৎপাদন বাড়ায় এগুলোর দাম এখন প্রায় বছরজুড়ে মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে মোট সবজির উৎপাদন হয়েছিল প্রায় এক কোটি ৮৭ হাজার টনের মতো। ২০১১-১২ অর্থবছরে এক কোটি ২৬ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়েছে বলে ডিএইর তথ্যে দেখা যায়।
তৈলবীজ ও ডালের উৎপাদন আগের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও এখনো চাহিদার বড় অংশ আমদানি করতে হচ্ছে। সয়াবিন তেলের চাহিদার ৯০ শতাংশই আমদানি থেকে পূরণ হচ্ছে। তবে সবজির উৎপাদন বাড়ছে। ডিএইর তথ্য মতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে এক কোটি ৮৬ হাজার টন সবজি উৎপাদন হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ উৎপাদন করেছে এক কোটি ২৬ লাখ টন সবজি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন হয়েছে ৮২ লাখ টন।
সফলতার খতিয়ানই বড় : এ সরকারের আমলে কৃষিতে প্রতিবছর গড়ে ৪.৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সাফল্যের পেছনে কৃষকের চেষ্টার সঙ্গে সরকারের প্রচেষ্টাও ছিল। সরকার এক কোটি ৪০ লাখ কৃষক পরিবারকে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দিয়েছে। সঙ্গে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব। তাদের যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় তা সরাসরি চলে যায় ব্যাংকে। ফলে অনিয়মের সুযোগ থাকে না। কিছু কৃষক বিনা মূল্যে কৃষি উপকরণও পেয়েছে। বিনা-৭ জাতের ধান চাষ করে মঙ্গা দূর করা এ সরকারের অন্যতম সাফল্য।
কয়েকটি বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি বীজ সরবরাহ করছে। কৃষিঋণ বিতরণ অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি হবিগঞ্জে চালু করা হয়েছে পাইলট ভিত্তিতে শস্য বীমা স্কিম। লবণসহিষ্ণু বিনা-৮ ও ব্রি-৪৭ ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। একই ধরনের আরো কিছু জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। বন্যা এলাকার জন্য ব্রি-৫১ ও ৫২ জাতের ধান উদ্ভাবন করে পরীক্ষামূলক চাষ চলছে। আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছে নোরিকা জাতের খরাসহিষ্ণু ধান। ইউনিয়নগুলোতে চালু করা হয়েছে কৃষি তথ্য যোগাযোগ কেন্দ্র।
কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ অনেকখানি দূর হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের দল আবিষ্কার করেছে পাটের জীবন রহস্য। এ আবিষ্কারে কৃষিমন্ত্রীর সহায়তা ছিল। এর মাধ্যমে প্রতিকূলতাসহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল পাটের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। পাটসহ ৫০০ প্রজাতির উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবন রহস্যও উদ্ঘাটিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই সব উদ্ভিদকে ছত্রাক থেকে রক্ষার উপায় বের করা যাবে। 'বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন-২০১২' করা হয়েছে। গবেষণার জন্য করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল। এত দিনের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে আবার গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প।
দুই বিশ্লেষকের মত : কৃষিতে সরকারের সাফল্যই দেখছেন দুই কৃষি বিশ্লেষক ড. আবদুস সাত্তার মণ্ডল ও ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক তারিক হাসান। তাঁদের মতে, বর্তমান সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে কৃষির উৎপাদন আরো বাড়বে। তবে ভূমি কমে যাওয়া, কৃষকের পণ্যের ভালো দাম নিশ্চিত করা, গবেষণায় ব্যয় বাড়ানো এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আবদুস সাত্তার মণ্ডল কালের কণ্ঠকে বলেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো সরকারের বড় সাফল্য। এর পেছনে সরকারের উপকরণ সহায়তা, সার ও সেচসুবিধা দেওয়ার বিষয়টি কাজ করেছে। তবে দিন দিন যে জমি কমে যাচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। শিল্প ও আবাসনে জমি ব্যবহার হবে, তবে একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।
ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক তারিক হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, এক সময় সার নিয়ে মানুষের মধ্যে হৈচৈ হতো। এখন তা নেই। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, সার মানুষের পেছনে ছুটবে। মানুষকে ছুটতে হবে না। আসলে এখন তেমনই চলছে। পাশাপাশি ইউরিয়ার বাইরে অন্যান্য সারের দাম কমিয়ে কৃষকের সুষম সার ব্যবহারের পথ সুগম করেছে সরকার। ফলে উৎপাদন বেড়েছে।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
কলাবাগান১ বলেছেন: "এক ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৮০ থেকে ৮১ টাকার মতো। আর এক ডলারের বিপরীতে রুপির মান ৯৬ থেকে ৯৮-এর মতো। "
এক বাক্যে সমস্ত ইকনমি
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
াহো বলেছেন: ২০১২ সাল বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মন্দ কাটেনি একেবারে। বিনিয়োগ ছাড়া অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো ছিল ইতিবাচক। বছর শেষে এসে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ পৌঁছে গেছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারে।
বিদায়ী বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতায় আমদানি ব্যয় কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। ফলে নেতিবাচক অবস্থা থেকে বহুদিন পর চলতি হিসেবে উদ্বৃত্ত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
নভেম্বর শেষে গড় বার্ষিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে। ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হতে শুরু করেছে টাকা। ৮০ টাকার নিচে নেমে এসেছে ডলারের বিনিময় হার, এক বছর আগে যা প্রায় ৮৫ টাকা ছিল।
চলতি অর্থবছরে ১৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতাও কমে এসেছে।
ঘাটতি বাজেটের দেশে বাজেট উদ্বৃত্ত থাকাটা কতোটা স্বস্তির হতে পারে, তা অর্থমন্ত্রীর নির্ভার হাসিমুখ দেখলেই বোঝা যায়। পদ্মা সেতুর ঋণ নিয়ে দোলাচলের মধ্যেই আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাতে মেট্রো রেলের জন্য জাপান সরকারের ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের সম্মতিপত্র বছর শেষে আশা জাগানিয়া খবর বটে
bdnews24
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০০
ফজল বলেছেন: অতিরিক্ত দামে বিদেশী পণ্য আমদানী বন্ধের উদ্যোগ নেয়া দরকার। দেশী রসুনের দাম যখন পাইকারী পর্যায়ে ২০-২৫ টাকা বড় শহরগুলোতে তখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় আমাদের বিদেশী রসুন আমদানী করার প্রয়োজন কোথায়? দেশের কৃষক যদি ন্যায্য দাম না পায় তবে এই উৎপাদন সাফল্য হাইজ্যাক হয়ে যাবে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি শুধু একটা পণ্য নিয়ে নেগেটিভি টাকেই বড় করে দেখলেন। সামগ্রিক সাফল্য কে উৎসাহিত করুন
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: এই পোস্টে জামাতিরা আসবে না
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২
মুফতি বাবা বলেছেন:
ছাগীর কথা কে পুছে??
ধান চাষে স্বয়ং সম্পুর্ন আর ব্যাংক লুটেও চ্যাম্পিয়ন তো লাভ কী হইলো??
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনিই তো রাজাকার সাঈদীর ...
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
াহো বলেছেন: ফিরে দেখা ২০১২
বেশির ভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে
আজ নতুন বছরের শুরু। বিদায় নেওয়া ২০১২ সালে দেশের আর্থিকখাত নানা সংকট ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। তারপরও বেশিরভাগ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক আগের বছরের চেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: হ্যাঁ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ন........এজন্য মতিয়া চৌধুরী অবশ্যই ধনবাদের যোগ্য.......। তবে মন্ত্রীপরিষদের প্রতিটি প্রান্তে একটা করে মতিয়া চৌধুরী পেলে বলতে পারতাম দেশ নিয়ে আশাবাদী কথা......।
এক মতিয়া এগিয়ে যাবে.........আর আবুলরা...সাহারা.....মহিউদ্দিন....ফারুক....উপদেষ্টা পরিষদ সব্বাই মিলে পেছন পানে টানবে.........। মতিয়াদের কৃতিত্ব ম্লান করতেতো এমন একটা আবুলই যথেষ্ট.......।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: কথাটার যুক্তি আছে
৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
লোপা এসহক বলেছেন:
বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে সবক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, ২০১৩র প্রথম সকালে এই কথাটা জেনে খুব ভাল লাগলো।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের এটম বোমা নাই (যেটা পুষতে বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে).. কিন্তু আমাদের গার্মেন্টস আছে যার থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয় হয়।
১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
ফজল বলেছেন: নেগেটিভ দেখলেন কোথায়? সাফল্যটাকে কি ধরে রাখতে হবে না? নাকি বিলিয়ে দেবেন? এটি শুধু একটি পণ্যের বেলায় বলে এড়িয়ে যাওয়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। মানসিকতা পরিবর্তন করুন। অল্পতেই তুষ্ট হওয়া আমাদের পরিহার করে এই সাফল্য সুসংহত করা প্রয়োজন।
সাফল্যকে অবশ্যই উৎসাহিত করছি। একই সাথে সরকারের প্রয়োজন যথাযথ বাণিজ্যনীতি যা প্রতিবছর ফসল উৎপাদনের উপাত্তের ভিত্তিতে পুন:নবায়ন করা প্রয়োজন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: পন্যটা যদি চাল হত, তাহলে হয়ত এড়িয়ে যেতাম না... but you have a point
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১
শয়ন কুমার বলেছেন: হ্যাঁ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ন........এজন্য মতিয়া চৌধুরী অবশ্যই ধনবাদের যোগ্য......উনি বস্তা সারে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের বস্তা প্রতি১০০০ টাকা করে বাচিয়েছেন । তবে মন্ত্রীপরিষদের প্রতিটি প্রান্তে একটা করে মতিয়া চৌধুরী পেলে বলতে পারতাম দেশ নিয়ে আশাবাদী কথা......।
এক মতিয়া এগিয়ে যাবে.........আর আবুলরা...সাহারা.....মহিউদ্দিন....ফারুক....উপদেষ্টা পরিষদ সব্বাই মিলে পেছন পানে টানবে.........। মতিয়াদের কৃতিত্ব ম্লান করতেতো এমন একটা আবুলই যথেষ্ট.......।
১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: ভালো লাগে দেশের এমন কথা শুনে। কোনদিন শুনব আসা করিনি।
++++++++++++++++
১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: +++++
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: লোপা এসহক বলেছেন:
বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে সবক্ষেত্রে এগিয়ে আছে,এই কথাটা জেনে খুব ভাল লাগলো। ----
Bangladesh is one of the six countries in Asia and Africa which has been feted for its progress towards achieving its Millennium Development Goals, a set of targets that seek to eradicate extreme poverty and boost health, education and the status of women worldwide by 2015. Lets see some comparisons--
REFERENCE: IMF Public Database
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
শাদা-অন্ধকার বলেছেন:
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: You can use the comments as a new post to highlight the progress Bangladesh is making vis-a-vis Pakistan's progress.
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: ঠিক বলেছেন স্যার, আমিও কয়েকদিন যাবত ভাবছি উন্নয়নের এমন হেড টু হেড তুলনামূলক চিত্র নিয়ে একটা আলাদা পোষ্ট করবো। এটা নিয়ে একটু -আধটু পড়াশুনার পাঠ চুকলে অচিরেই দিতে পারবো আশা রাখছি।
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: চমতকার পোস্ট । তবে দুর্নীতি নিয়ে কিছু কথা ছিল। দুর্নীতিবাজরা কোথায় এখন? তারা মামলায় জেল খাটছে অথবা বিচারের সম্মুখীন অধিকাংশ ক্ষেত্রে। মতিয়া চৌধুরীর একক সাফল্য এর কারনে। যদি ভবিষ্যতে বিএনপি আসে ক্ষমতায় তাদের উচিত মতিয়াকে খাদ্যে রেখে দেয়া, শিক্ষা তে নাহিদকে আর যোগাযোগে কাদেরকে রেখে দেয়া।
পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারী আওয়ামী লীগকে ভোগাবে। দক্ষিন অঞ্চলের ভোট ব্যাঙ্কের অবস্থা ভাল না। গোপাল্গঞ্জ আর বৃহত্তর ফরিদপুর ছাড়া বাকি সব জায়গায় অবস্থা খারাপ।
রাজাকারের বিচার হতেই হবে ২০১৩ এর মধ্যে। তা না হলে তরুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।
ছাত্রলীগকে কিছু বলার নাই। এর মূল্য আমাদের দিতে হবে।
তবে জামাত আর তাদের বিএনপি শাখার তুলনায় অনেক ভাল করেছে এই সরকার।
সীমান্ত হত্যা একেবারে জিরো বানানো যাবে না। গরু চোরাচালানকারীদের ওরা মারবেই। তবে আমাদের সময়ের মাহচুদুর রহমানরে যদি বলেন ২০০১ - ২০০৬ পর্যন্ত সীমান্তে কত লোক মারা গেসে তখন সে চুপ করে ছিল টক শোতে। কারন ২০০৩ এই মারা গেসে ২৭৩ জন। আর ২০১১ তে মারা গেসে ১৩১ আর ২০১২ তে মারা গেসে ৪৮ জন(আজকের প্রথম আলো দ্রষ্টব্য)। ২০০১ থেকে ২০০৬ এর ডাটা কালেকশান আর একটা বিশস্ত রেফারেন্স জোগাড় করে রাখবেন । ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে।
সব শেষে চমৎকার একটা পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: খাদ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুত, ডিজিটাল, রেমিটেন্স, ইত্যাদি ক্ষেত্রের উন্নয়ন, কিছু লোকের লোভের কাছে জলান্জলি দিতে হবে
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
নেক্সাস বলেছেন: মতিয়া চৌধুরী
এদেশের সকল সংগ্রামে একজন যোদ্ধা..
এরা যেখানেই থাকুক দেশ কে ভালবাসবে...
এরা কোনদিন আবুল- মখা- ফারুক-মাল হবেনা...
মতিয়া চৌধূরী শত দূর্নিতিগ্রস্থ এই সরকারের একজন নীরব সফল মন্ত্রী। বিএনপি কোরাম থেকে তার সাফল্যে প্রসংসা ও শুভকামনা থাকলো...
তবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নিয়ে কৃষক বরাবরের মতই অসন্তুষ্ট।
কৃষি বিপনণে এখনো টেকসই কোন ব্যাবস্থা সরকারী ভাবে নেওয়া হয়নি।
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
স্বরলিপির-ব্লগ বলেছেন: নেক্সাস. সবজায়গায় থাকে . হালারে কইষা লাথ্থি , খায় চাগুর বড়ি দিয়ে চা ,
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নেক্সাস বলেছেন: পোষ্ট দাতা আশা করি ুপরোক্ত কমেন্টের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লক করা হলো
২১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: এতো বেশী দুঃসংবাদের মাঝে একটা ভালো খবর শুনে ভালো লাগলো।
ব্যাক্তি মতিয়া চৌধুরীকে খুব ভালো লাগে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ । এখন উৎপাদন ঘরে তোলার মৌসুমে বিদেশি খাদ্য পণ্য আমদানি বিষয়ে সচেতন হতে হবে । যেমন আমরা দেখেছি ১০ টাকা কেজি ভারতীয় পেয়াজ , ৩০ টাকা কেজি ভারতীয় পোলাউয়ের চাল, ২৫ টাকা রসুন । কৃষকের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে । কৃষক বাচলে দেশ বাচবে ।
২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮
ভিটামিন এ বলেছেন: ভাল খবর শুনলে ভাল লাগে। কৃষকরা যদি ন্যায্য মূল্য পেত তবে আরও ভাল হত।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮
াহো বলেছেন: ২০১২ সালে আমাদের অর্থনীতি নিয়ে বিদেশি বেশকিছু পত্রপত্রিকা মন্তব্য করেছে, যা আমরা স্মরণ করতে পারি। যেমন ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল লিখেছিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার আগে, পূর্ব পাকিস্তান ছিল একটি পশ্চাদপদ এলাকা। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসনসহ অনেক দিক থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিদের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তান অনেক নিচে ছিল। সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪০ বছর পর বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে যে অবস্থানে আছে, সেটা ৪০ বছর আগে কষ্টকল্প ছিল। আজকে যদি আমরা দুটি দেশ, একটি বাংলাদেশ অন্যটি পাকিস্তানের মধ্যে তুলনা করি, তাহলে দেখতে পাই বাংলাদেশ সবদিক থেকেই পাকিস্তানের চেয়ে উন্নত অবস্থানে রয়েছে। এই বিশ্লেষণ একটি বিদেশি পত্রিকার।
আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করি, তাহলে দেখতে পাই, পাকিস্তানের জিডিপির গ্রোথ ছিল সাড়ে তিন ভাগের একটু বেশি। আর বাংলাদেশের গ্রোথ ছিল ছয় ভাগের ওপর। এই দিক থেকে দুই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বেশ তফাত আমরা দেখতে পাই। টাকার মানের দিক থেকেও আমরা এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশের মুদ্রার মান পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। এক ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৮০ থেকে ৮১ টাকার মতো। আর এক ডলারের বিপরীতে রুপির মান ৯৬ থেকে ৯৮-এর মতো। এই দিক থেকেও আমরা দেখছি, বাংলাদেশের মুদ্রা পাকিস্তানের মুদ্রার চেয়ে শক্তিশালী। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী অগ্রগতির দিক থেকেও আমরা এগিয়ে। যে দেশ থেকে আমরা বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই দেশের সঙ্গে তুলনা করলে অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর পাড়ি দিয়ে আমরা একটি নতুন বছর শুরু করছি। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে এ তুলনা চলে আসে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে আশঙ্কা পোষণ করেছে কিংবা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে বিপরীত মত পোষণ করে তাদের জন্য এ তুলনা। যাদের হাত থেকে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তারা একটা সময় আমাদের চেয়ে উন্নততর অবস্থানে ছিল; আজ আমরা তাদের চেয়ে উন্নততর অবস্থানে আছি। সেই সূত্র ধরে বলা যায়, স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল তা পূরণ হয়েছে অনেকাংশে।
আরেকটি বিষয় তুলনা না করে সরল চোখে দেখলে আমরা দেখব, একাত্তর সালে আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের খাদ্য উৎপাদন হতো ৯০ লাখ টনের মতো। আর আজকের দিনে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি টন। সেই সময়ে আমাদের জনসংখ্যা ছিল বর্তমানের অর্ধেক। ৯০ লাখ টন খাদ্য দিয়ে আমাদের স্থানীয় চাহিদা মিটত না। আর আজকের দিনে ৩ কোটি টন উৎপাদিত খাদ্য দিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা দেখতে পাই, আমাদের উন্নতি হয়েছে। আমরা পিছিয়ে পড়িনি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, একাত্তর সালের আগে কিংবা পরে বাংলাদেশের কোনো শিল্পপতির নাম কী_ জানতে চাইলে আমরা বলতে পারতাম না। কারণ সে অর্থে আমাদের এখানে কোনো শিল্পপতি ছিল না। যারা ছিলেন সে সময়ে তাদের ব্যবসায়ী বলা চলে, শিল্পপতি নয়। আজকের দিনে এসে আমরা অন্তত ৫০০ শিল্পপতির নাম বলতে পারব, যারা শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেদের ব্যবসার কারণে পরিচিত এবং সমাদৃত।
গার্মেন্ট শিল্পের কথাই যদি বলি তাহলে দেখব, স্বাধীনতার আগে এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান এই শিল্পে ভালো করছিল। কিন্তু বাংলাদেশ যখন ধীরে ধীরে এই শিল্পে প্রবেশ করল, তখন পাকিস্তানের চেয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম, পাকিস্তান আমাদের পেছনে পড়ে গেল। মাত্র দুই বছর আগে আমাদের আরেক প্রতিবেশী দেশ ভারত গার্মেন্ট রফতানির দিক থেকে এগিয়ে ছিল। কিন্তু আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ভারতও বর্তমানে আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। গার্মেন্ট রফতানির দিক থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের যে চিত্র আমরা দেখতে পাই তা হলো, চীনের পরই বর্তমানে আমাদের অবস্থান। গার্মেন্ট শিল্প আমাদের অন্যতম প্রধান একটি শিল্পমাধ্যম। এ ছাড়া অন্যান্য শিল্প যেমন_ ওষুধ, টেক্সটাইল, সিরামিক, প্লাস্টিকসহ আরও কিছু শিল্পে আমাদের দেশের শিল্পপতিরা ভালো করছেন। আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃতও হচ্ছে। আরেকটি বিষয় বলা জরুরি।
জনশক্তি রফতানির দিক থেকে আমরা ক্রমেই উন্নতি করছি। ফলে আমরা অধিক হারে রেমিট্যান্স দেশে আনতে সক্ষম হচ্ছি। ২০১২ সালেও দেখেছি, অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে পেরেছি। এই হচ্ছে আমাদের উন্নতির ক্রমধারা। আর ২০১২ সালের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার কথা যদি বলি তাহলে বলতে হবে, এই উন্নতির ধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
অর্থনীতি ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য দিকে যদি নজর দেই সে ক্ষেত্রে দেখতে পাই বিগত বছরগুলোর তুলনায় আমাদের উন্নতির ধারা অগ্রগতি লাভ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে আমাদের উন্নতির ধারা ঈর্ষণীয়। একই সঙ্গে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এর কারণ সম্পর্কে বলা যায়, অর্থনৈতিক দিক থেকে আমাদের গ্রামীণ জনপদ শহরের তুলনায় পিছিয়ে আছে। ফলে গ্রামের ছেলেমেয়েরা দু-এক ক্লাস লেখাপড়া করে পরিবারের কারণে শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জনে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ ছাড়া সরকার যদি বৃত্তি কিংবা স্কুল ফিডিং চালু করতে পারে তাহলে হয়তো আরও কমে আসবে এই হার।
২০১২ সালের অর্থনৈতিক দুরবস্থার একটি খাতের কথা না বললেই নয়। আমাদের আবাসন শিল্প গত বছর দারুণ দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছে। এই খাতটি একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প খাত বলে আমরা মনে করি। আবাসন শিল্পে একটি স্থবিরতা আমরা লক্ষ্য করেছি ২০১২ সালে। ফ্ল্যাট তৈরি হয়ে আছে কিন্তু সেগুলো বিক্রি হচ্ছে না। আগে দেখা যেত তৈরি হওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ফ্ল্যাটগুলো। কিন্তু গত বছর আমরা সম্পূর্ণই ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করেছি। এর কারণ হলো_ গ্যাস এবং ইলেকট্রিসিটি সংযোগ না পাওয়া। শহরে একটি বাসায় গ্যাস, ইলেকট্রিসিটি ছাড়া বসবাস করা অসম্ভবই বলা যায়। সে ক্ষেত্রে তৈরি হয়ে থাকা এসব ফ্ল্যাট ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকারও কথা নয়। ইলেকট্রিসিটি সংযোগ দেওয়া হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় কিন্তু গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছেই না একেবারে। ২০১৩ সাল নির্বাচনের বছর, সরকারের প্রতি আশাবাদ থাকবে, বিদ্যুতের বাড়তি উৎপাদন নিশ্চিত করে নতুন সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আবাসন শিল্পের এ স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। কারণ এ খাতে ইতিমধ্যে অনেক টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, যা অব্যবহৃত আছে অনেক দিন ধরে। সরকারের সুদৃষ্টির কারণে আবার প্রাণ ফিরে পাবে এ শিল্প খাত সেই প্রত্যাশা করা যায়।
২০১৩ সালের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন যাবে তা ২০১২ সালের অর্থনৈতিক অবস্থা অবলোকন করে অনুমান করা যাবে হয়তো। সে ক্ষেত্রে অনেকের সঙ্গে এই অনুমানের অমিল হতে পারে। প্রথমেই বলি বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স আহরণের দিকটি। সরকারের মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের প্রয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ফরমাল ওয়ে অর্থাৎ সরকারিভাবে রেমিট্যান্স আসার হার বেড়ে গিয়েছে। আর ইনফরমাল ওয়ে যেমন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসার হার অনেক কমে গিয়েছে। এই উন্নতির হার বর্তমান নতুন বছরেও অব্যবহৃত থাকবে বলে বিশ্বাস। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে, সরকার নিজ উদ্যোগে স্বল্প খরচে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যেখানে বেসরকারি মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে সরকার মাত্র ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচে জনশক্তি রফতানি করবে। ফলে মালয়েশিয়ায় যারা যাবেন তারা অল্পদিনেই তাদের খরচ উঠিয়ে অধিক হারে টাকা পাঠাতে পারবেন। এ বিবেচনা থেকে বলা যায়, ২০১২ সালে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। ২০১৩ সালেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বরং নতুন রেকর্ড ঘটবে বলে মনে হচ্ছে।
আমাদের প্রধান রফতানি খাতের মধ্যে গার্মেন্ট অন্যতম। ২০১৩ সালে এ খাতেও সফলতা লাভ করবে। যদিও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা যেখানে আগুনে পুড়ে শতাধিক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন, যা আমাদের গার্মেন্ট শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। অনেকেই এই কোম্পানি কিংবা অন্যান্য কোম্পানি থেকে তাদের রফতানির বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। এরপরও আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালের গার্মেন্ট রফতানি বেড়ে যাবে। এর কারণ, আমাদের চেয়ে কম দামে আর কেউ তৈরি পোশাক উৎপাদন করতে পারে না। এমনকি চায়নাও পিছিয়ে আছে আমাদের চেয়ে। সেই দিক থেকে আমরা টিকে থাকব বলে আমার বিশ্বাস। আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের তৈরি পোশাক মানের দিক থেকে উৎকৃষ্ট। যেসব পোশাক আমরা তৈরি করছি আন্তর্জাতিক মহলের চাহিদা পূরণ করেই তা
উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের বিপণন ব্যবস্থাও বেশ ভালো বলে আমার ধারণা। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে সম্পূর্ণ তৈরি পোশাক খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে বলে আমি মনে করি না। বরং ২০১৩ সালেও এই খাত তার উন্নতির ক্রমধারা ধরে রাখতে পারবে।
আগেও বলেছি, ২০১৩ সাল নির্বাচনের বছর। সরকারের কিছু উদ্যোগ থাকবে এটা স্বাভাবিক। সরকারের উচিত হবে তাদের নির্বাচনী ওয়াদা এবং কাজ-কর্মগুলো আরও পরিষ্কার করে করা। জনগণের সন্তুষ্টি বিধানের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো কমিয়ে আনার দিকে যথার্থ দৃষ্টি দেওয়া। অর্থনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান সরকারের অনেক সফলতা রয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক সমালোচনাও রয়েছে এ সরকারের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে অন্যতম হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি শুধু বর্তমান সরকারেরই নয়, বিগত সরকারগুলোরও একটি দুর্বল দিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল, যা একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে বর্তমানে আমাদের সবার চিন্তার বিষয়। মাত্র এক বছরে বর্তমান সরকার দুর্নীতি কমিয়ে আনবে_ এ বিষয় প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ সামাজিক ব্যাধির চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু তারা দুর্নীতি কমিয়ে আনার জন্য এবং তাদের এদিকে মনোযোগ বা সাহস আছে সেটা প্রদর্শনে আপ্রাণ চেষ্টা করবে বলে আমার বিশ্বাস।
২০১৩ সালের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে বাজেট। এবারের বাজেট বর্তমান নির্বাচিত সরকারের শেষ বাজেট বলে বিবেচিত হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা জনতুষ্টির কিছু বিষয় লক্ষ্য করব হয়তো। বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো, যাতে করে জনগণ আর্থিক দিক থেকে খুব বেশি পীড়িত না হয়। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আর্থিক বরাদ্দ অন্যান্যবারের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে বলে মনে হয়। এর কারণ বর্তমানে শহর ও গ্রাম_ দুই অবস্থানের মানুষের মধ্যে ভোট প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারকে দু'দিকেই সমান মনোযোগী হতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আর্থিক বরাদ্দ বেড়ে গেলে দুর্নীতিও বেড়ে যাবে তৃণমূল পর্যায়ে। সরকার কীভাবে এ দুর্নীতি কমিয়ে আনবে সেটা দেখার বিষয়।
আমাদের উল্লেখযোগ্য রফতানিযোগ্য পণ্য হাতেগোনা। ২০১৩ সালে এই পণ্য অনেক বেড়ে যাবে, তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকারি উদ্যোগ এবং নজর না বাড়লে তা অনেকাংশে কমে যাবে। এ ছাড়া শিল্প-কারখানার কাঁচামাল আমদানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ সরকারের কিছু উদ্যোগের কারণে মানুষের হাতে টাকা থাকবে এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফলে শিল্প-কারখানায় উৎপাদনও বাড়তে পারে। উৎপাদন বেড়ে গেলে কাঁচামাল আমদানিও বাড়বে। নতুন নতুন কল-কারখানা স্থাপনে স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে ২০১২ সালে। ২০১৩ সালে এর উন্নতি হবে তেমনটা বলা যায় না। কারণ জ্বালানি সরবরাহে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাগুলো দূর করা গেলে ২০১৩ সালে শিল্প কল-কারখানা স্থাপনে অগ্রগতি আসবে। ২০১৩ সালে দ্রব্যমূল্য খুব একটা বাড়বে না বলে মনে হয়। কারণ উৎপাদন ব্যবস্থা ভালো অতীতের চেয়ে। এ ছাড়া মৃদু মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা দেখা যাবে হয়তো বছরজুড়ে।
সব কিছু মিলিয়ে বলা যায়, ২০১৩ সাল ২০১২ সালের তুলনায় অনেক প্রবৃদ্ধি বয়ে আনবে, অধিক অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত হবে। সরকারের উদ্যোগগুলো সফল হবে। জনগণের শান্তি নিশ্চিত হবে_ এটাই নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা।
Click This Link