নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিল বোর্ড কমেন্টস

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৬

প্রথম আলোর এই কমেন্টের কন্টেট টা খুবই অবজেক্টটিভলি লিখা বিধায় কাট-পেস্ট করলাম:



নুর ইলাহি:



Click This Link





ইস্যু একঃ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে মামলার প্রধান ৮ আসামির সবাই গ্রেফতার হয়ে জেলে আছে। অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হইছে ৫ই মারচ।বিচারের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হইছে ৮ই জুলাই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ১৮ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন অধিবেশন-১ এ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি গত ৩০ জুন আদালতে এসে পৌছায়। গত ২৫শে জুলাই পর্যন্ত ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।



ইস্যু দুইঃ পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ইসুতেই বিশাল ভুল আছে। এই সেতু প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোন বৈদেশিক সাহায্য এসে পউছায়নি- একটা টাকাও নয়। এমন কি পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছিল, সেইটাতেও একটি টাকাও ছাড় করা হয়নি। এই ইস্যুকে মুলত "দুর্নীতির ষড়যন্ত্র" বললেই ঠিক হবে।

বিসয় টা ঠিক এমনই, ধরেন আমি আপনাকে মেরে ফেলার কথা ভাবছি-এইটা আমার দোষ, যদিও আমি হাতে ছুরি-চাকু কিছুই নেইনাই। এরপরেও শুধু বিশ্ব ব্যঙ্ক কে খুশি করবার জন্য আবুল কে সরানো হইছে।



ইস্যু তিনঃ র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন। তার বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং র্যাবের দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা এখনো চলমান। যদিও বেশ

দেরি করা হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার আগাবে।



ইস্যু চারঃ হলমার্ক ইস্যু। এইখানে সরকারের অন্তত একজন নেতার নাম বলেন যিনি দায়ী থাকতে পারেন। খেয়াল করলে দেখবেন, হলমার্ক এর প্রতিটা লোণ অথবা ওভার ড্রাফ্ট

(যেগুলি দিয়ে প্রতারনা করা হয়েছে এবং ৪ হাজার কোটি টাকা সরানো হয়েছে) ইস্যু করা হয়েছিল ্রেফারবিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে-এইখানে বর্তমান সরকার কিভাবে দায়ী বিসয় টা আজ পর্যন্ত বোধগম্য নয়। যাই হউক, সেইখানেও সাফল্য আছে। হলমার্কের মালিক পক্ষের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজকেই এক জন কে জামিন দেওয়া হয়ে (চেয়ারম্যন জেস্মিন রহমান) এই সর্তে যে তাকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভালো কথা, এই "দুর্নীতি" সোনালী ব্যাঙ্কের দুর্নীতি হিসাবেও পরিচিতি পাইছে।



ইস্যু পাঁচঃ ডেস্টিনি ডেস্টিনি কবে চালু হয়েছিলো জানেন? ২০০১ সালের ৫ই জানুয়ারি। এই প্রতিষ্ঠানের সবথেকে দুর্নীতি গ্রস্ত প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করা "বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী"-এর অনুমোদন কারা দিয়েছিল জানেন? না জানলে খোঁজ খবর নিন ভাই।এই সরকারের ব্যর্থতা হইলো,ডেস্টিনিরে দেস্তিনির মতবাটপারি করতে না দেওয়া। তাই এই প্রতিষ্ঠানেরসকল আরথিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে,যেটাকে আপনারা ডেস্টিনির দুর্নীতি বলে জানেন।সেইটা কিভাবে সরকারের দুর্নীতি হয়, এই বিসয়টা বিবেচনার দাবি রাখে।



ইস্যু ছয়ঃ সাগর-রুনি।

না, এই ইস্যুতে সরকারের দালালি করব না। এইখানে সরকার এবং আইন

শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি ব্যর্থ। এই হত্যারবিচার এবং খুনিদের শাস্তি হবে এইটা আমরা আশা করতেই পারি।



ইস্যু সাতঃ শেয়ার বাজার কেলেংকারি একটা গল্প বলি, এক গ্রামে এক দরবেশ এসে ঘোষণা দিলেন তিনি গ্রামের সব বানর পিস

প্রতি এক টাকা করে কিনবেন, কিন্তু কেউ আগ্রহ দেখাল না বানর বিক্রির জন্য। এর পড়ে তিনি ঘোষণা দিলেন, ৫ টাকা করে কিনবেন। কিছু মানুষ বানর ধইরা বিক্রি করল। কিছু দিনপরে সেই বানর তিনি ৪টাকা করে বিক্রি করে দিলেন, সেই একই গ্রামের মানুষের কাছে। এইভাবে বেশি দামে কিনে অল্প দামে বিক্রি কইরা কইরা একদিন তিনি ঘোষণা দিলেন, প্রতি পিস বানর ৫০০০০ টাকায় কিনবেন, মানুষে বানর ধইরা পুরায়ে ফেলল। এরই মধ্যে কিছু মানুষ দরবেশের কাছে থাকা বানর গুলারে ৫০০০০ টাকা কইরা কিনেও ফেলল। এবং এক দিন সকালে সেই শেষ বানর কিনা মানুষ গুলা দেখল দরবেশের আস্তানা খালি।

এইখানে দোষ কার?বিচারের ভার আপনাদের উপরে দিলাম।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৯

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনি আম্লীগ এইটা জানতাম। কিন্তু এতটা বিচার-বিবেচনাহীন মানুষ এইটা বুঝতে পারি নাই। সবগুলা বাদ দিলাম। লাষ্টে শেয়ার বাজার নিয়ে যেইটা দিলেন ঐটা কতটা বেক্কলামী এইটা বুঝার মত মাল-মশলা কি মাথায় আছে নাকি আসলেই নাই? সরকার কি ক্ষমতায় থাকে ঘুমায় থাকার জন্য? একটা দেশের ইকোনমি'র সাথে শেয়ার মার্কেট কতটা রিলেটেড এইডা বুঝার মত কি অবস্থা নাই আপনার? আচ্ছা আর একটা জিনিষ কইতে পারবেন আম্লীগ আইলেই কেন শেয়ার বাজার ধরা খায়?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "সবগুলা বাদ দিলাম"

ইস্যু সাতটা, তা নিয়ে কথা নাই, কিন্তু একটা নিয়েই আপনার প্রশ্ন...

শেয়ার মার্কেট নিয়ে দরবেশকে না ধরার জন্য এই সরকারকে পস্তাতে হবে সেটা যেমন আপনি বুঝেন, তেমনি আমিও বুঝি.... আবুলের জন্য আরো বেশী.....।

কিন্তু সামগ্রীক ভাবে যদি চিন্তা করেন, তাহলে বলব বিনপি আমলের তুলনায় আইনের শাসন বেশি ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এই সরকারেরর সময়. এবং দেশের সামগ্রীক উন্নয়নও বেশী হয়েছে

রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়রও স্বীকার করলেন যে লিটন সাহেব রাজশাহী শহরের অনেক উন্নতি করেছেন কিন্তু উন্নতি করে ভোট পাওয়া যায় না .... তাহলে কি করলে ভোট পাওয়া যায়??? এফবিআই এর ওয়েব সাইটে দেশের টাকা চুরি করে পাচার করার প্রমান প্রকাশ হওয়ার পর ভোট পাওয়া যাবে??? কোকোর দ্বারা দেশের টাকা চুরির খবর দেখুন এখানে
Click This Link

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৭

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: যাক হাটহাজারী ও হারুন এর অভাব দুর করতে "কলাবাগান-১" চলে আসছে।
আতলামী কাকে বলে "বিল বোর্ড কমেন্টস" পোষ্ট কি? আর ভিতরে কি? দালালী করারও একটা সিমা থাকা উচিত, যা এই আবাল বলদ গুলা বুঝতেই পারেনা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি বুঝতে পারলে ভালোই ......... এ্যানলাইসিস টা কোথায় খারাপ তা বলেন নি কিন্তু রাজাকার বান্ধবদের মত গালি দেওয়া স্ট্যার্ট করলেন.......

আপনাদের কাছে দেশের উন্নয়ন ভালো লাগে না, ভালো লাগে হাওয়া ভবন, লালু, ফালু, আব্বাস, গিয়াস, হারিস, পিন্টু, বাবর এদের শাসন, গ্রেনেড হামলা

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৪

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ব্যাপুক জ্ঞ্যানী পুষ্ট । পুষ্টে ভাল লাগা ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: বিনপি এর আমলের দু:স্বপ্নে যেতে চাই না

পোস্টের কন্টেন্ট নিয়ে কথা বুলুন... লেখক তো ৭টি ইস্যু নিয়ে কথা বললেন আপনি কিছুটা খন্ডন করুন যে লেখক মিথ্যা লিখেছেন

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

প্রবাসী১২ বলেছেন: ইস্যু এক# বিশ্বজিত কি ফিরে আসবে? খুনি পশুরা জাতির কপালে যে কলন্ক মেখে দিল তা কখনো মুছবেনা।

ইস্যু ২# অল ওয়াজ সেট টু বি ডান। প্রমাণীত অপরাধ।

ইস্যু নং ৩# লিমন কি পা ফিরে পাবে?

ইস্যু নং ৪# কারা কারা জড়িত, তা সকলেই জানে।

ইস্যু নং ৫# প্রতিষ্ঠাকাল বিবেচ্য নয়, অপরাধের সময় বিবেচ্য।

ইস্যু নং ৬# কলন্ক আর কলন্ক

ইস্যু ন ৭# ক্ষমার একেবারেই অযোগ্য।

ভাইজান বাকী ইস্যুগুলা কই?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: এই যদি হয় যুক্তি খন্ডনের নমুনা, তাহলে আর কি বলব.......

শেষ কথা হল..... অপরাধ করার পর যদি সাজা না হয় তাহলে বলতে পারি সরকারের যোগ সাজশ আছে কিন্তু প্রায় মামলারই তো বিচার হচ্ছে


ঈদ উপলক্ষে সরকার প্রায় হ্ত দরিদ্র ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দিবে (হিন্দু/খ্রীস্টানরা ও বাদ যাবে না....... কিন্তু আপনার মত লোকরাই ছিদ্র খুজে বলবেন যে দূর্নীতি করার জন্যই এই প্রজেক্টে হাত দেওয়া হয়েছে.......। বিনপির আমলে ঈদে ১০ কেজি কেন ১ কেজি চালও তো দেওয়া হয় নাই

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ও হা.. কুড়িল উড়াল সেতু থেকে সরকার কত টাকা দূর্নীতি করল তা জানতে ইচ্ছা হয়.......

ভালো কাজ করলেও আমরা বাংগালী নেগেটিভ কথা বলে যে কোন অর্জনকে ছোট করতে সিদ্ধ্বহস্ত

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আরে ভাই ইস্যু সাতটা না, ইস্যু এতগুলা যে লিখতে গেলে এখন সামুর সার্ভার ডাউন খাইবো ( ত্যানা পেচাঁনোর জন্য আবার এইটা ধইরা বইসা থাইকেন না, সামনে বাড়েন যেইগুলা কই ঐগুলি শুনেন)। কিন্তু এই সরকারের আমলে সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনের কিছু দুর্নীতি'র একটা অন্যতম উজ্বল দৃষ্টান্ত হইলো শেয়ার বাজার। আর আমি নিজেও এই ইস্যুটাকে সাংঘাতিকভাবে হাইলাইট করি এই কারনে যে এইটা হইলো দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চুরি। এমনকি পার্থর ঐ জ্বালাময়ি ভাষনেরও কোন উপযুক্ত প্রতিবাদ আম্লীগ করতে পারে নাই। এইটা এমন এক ইস্যু যেইটা নিয়া নাকি আম্লীগ এর ঘোরতর সমর্থক রাও প্রচন্ড ভাবে বিব্রত। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দুলাভাই, আম্লীগ এর ঘোরতর সমর্থক। উনার বাসায় গেলেই আমরা উনারে আম্লীগ এর কাহিনী বইলা ক্ষেপাইতাম মজা নিতাম। উনি নিজেও চিল্লাইতো। উনার নিজের ব্যাবসা ছিলো একটা ইমপোর্টের। চিটাগাংয়ে অফিস। কিন্তু এর পাশাপাশি উনি হেভিলি শেয়ার ব্যাবসাও করতো বহু বছর ধরে। ভালোই স্বচ্ছল ছিলো অন্তত চলাফেরা দেখে তাই মনে হত। আর এই বেচারা এখন ধরা খেয়ে সাংঘাতিক ষ্ট্রাগল করছে। বউ-কে এখন বাধ্য হয়ে জব করতে ঢুকাইছে। আর আমার নিজের পার্সোনাল কাহিনী যদি বলেন সেটা হলো, আমার বাবা ৯৭'এর শেয়ার বাজারে (তখন আমি স্কুলে পড়তাম) ধরা খায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা, এই টাকা ছিলো উনার রিটায়ারমেন্টের টাকা। এখন এই পরিমান টাকা কিছুই না। কিন্তু ঐ আমলে একটা খুবই সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিশাল কিছু। আমাদের স্ট্রাগলিং শুরু হয় (ষ্ট্রাগলিং এর বর্ননা দিলাম না, নিজের কাছেই লজ্জা লাগবে, শুধু বলি সকালের নাস্তায় অর্ধেক ডিম টাও পেতাম না) , এবং তার মাস তিনেকের মধ্যেই আমার বাবা ষ্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যায় এবং তার এক বছর পরে ঐ অবস্থায় মারা যায়।

এই সব কারনেই শেয়ার বাজার টা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার, যদিও আপনাদের কাছে মনে হবে জাষ্ট একটা পরিস্থিতির শিকার। যেমন নাকি, যে ধর্ষন করে সে মনে করে এইতো একটু জাষ্ট করলাম, আধা ঘন্টার ব্যাপার মাত্র, এইটা নিয়ে এত শোরগোল করার কি আছে? কিন্তু যে ধর্ষিতা সেই বুঝে এর যাতনা কি।

শেয়ার বাজার জালিয়াতি হচ্ছে এমন একটা জালিয়াতি যেটা নাকি প্রকাশ্যে চুরি সবার নাকের ডগায়। যেইটা নাকি অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। এই কারনেই আমি শেয়ার বাজার চুরি টাকে হাইলাইট করি। এবং এইখানে কত বড় বাটপাড়ি করা হয়েছে সেইটা আরো বুঝা যায় যে তারা একই কাজ পর পর দুইবার রিপিট করলো। মানে হইলো গিয়া চুরি করে তো করে আবার কি পরিমান সাহশ থাকলে একই ধরনের চুরি পর-পর দুই বার করে আবার প্রতিবাদ করতে গেলে লাঠি পেটাও করে। এমনি এমনি গালি সৃষ্টি হয় নাই যে তুই মানুষ না আম্লীগ।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪

অহনাব বলেছেন: শেয়ার বাজার অনেক বড় একটা ইস্যু। যারা ধরা খেয়েছে তারা কি পারবে ভোটটা নৌকায় দিয়ে আসতে? মন কখনও চাইবে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: শেয়ার মার্কেট নিয়ে দরবেশকে না ধরার জন্য এই সরকারকে পস্তাতে হবে সেটা যেমন আপনি বুঝেন, তেমনি আমিও বুঝি.... আবুলের জন্য আরো বেশী.....।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

ফুলকপি বলেছেন: নিতান্ত অন্ধ হাবাগোবা আওয়ামী সাপোর্টার না হলে এধরনের লেখা কারো পক্ষে লেখা সম্ভব না। আমি নিজেও আওয়ামী লীগ পছন্দ করতাম, ভোটটা প্রতিবারই নৌকায় দিয়েছি। কিন্তু এই পাঁচ বছর যা দেখলাম, সেটাকে সাপোর্ট করা কোন ভাল সুস্থ লোকের পক্ষে সম্ভব না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ভোটার হিসাবে এটা আপনার অধিকার পছন্দের লোককে ভোট দেওয়া

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

আঠারো বছর বয়স বলেছেন: সবাই আওয়ামীলীগ সাপোর্টার, দালাল ইত্যাদি বলছে কিন্তু কেউ যুক্তি খন্ডন করতে পারছে না। হাস্যকর ব্যাপার।

তবে শেয়ার বাজার নিয়ে গল্পটার চেয়ে আরেকটু যৌক্তিক লেখা আশা করেছিলাম। মার্কেটে যে বাবল তৈরি হয়েছিল তা বার্স্ট হওয়া অনিবার্য ছিল। আজ নাহোক কাল পতন হতই। পাগলের মত দাম বাড়ার পরও পাবলিকও পাগলের মত হাই রেটে শেয়ার কিনছিল। আত্নীয়স্বজনের মধ্য অনেককেই দেখা যেত শেয়ার বাজার থেকে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে, তার দেখাদেখি আত্নীয়দের মধ্য আরো অনেকেই স্বর্ণ বেচে বাড়ি বন্ধক রেখে শেয়ার কিনতে লাগল। ব্যাপারটা এমন হল যে অমুক তো লাভ করছে আমি কেন বসে থাকব এভাবে শেয়ার মার্কেট থেকে লস শব্দটাই উঠে গেল। কিন্তু এইভাবে আর কত? নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ব্যার্থতা (ব্যাংকগুলোকে শেয়ারে ইনভেস্ট কমাতে বাধ্য করা) এবং পাবলিকের লোভ এখানে সমান দায়ী। আমি নিজেও ২০১০ এর শেষ দিকে বন্ধুবান্ধবদের দেখাদেখি শেয়ার মার্কেটে ঢুকি এবং আন্দাজেই মানুষের কথার উপর ভিত্তি করে কিছু শেয়ার কিনি যা এখন প্রায় ৮০% কম রেটে লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য পুরোপুরি সরকার দায়ী বলতে চাই না।

আওয়ামীলীগ শুধু উন্নয়ন করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে, টেন্ডারবাজি করেনা এগুলো ভুয়া কথা। কোন সরকারই দেশপ্রেম দিয়ে দেশের উন্নয়ন করে না। সব সরকারই লুটপাট করবে এটা ধরে নিলে বিএনপি সরকার লুট করার তুলনায় উন্নয়নের হার কম অপরদিকে আওয়ামীলীগ সরকার লুট করলেও তার থেকে কিছু উন্নয়নও করে। এটা বিএনপি সাপোর্টাররা ভাল করেই বুঝে তারপরও নিজ দলের বিপক্ষে বিরোধিতা করতে হয় বলেই করে। ভাল কাজকে এপ্রিশিয়েট করা উচিত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: " সব সরকারই লুটপাট করবে এটা ধরে নিলে বিএনপি সরকার লুট করার তুলনায় উন্নয়নের হার কম অপরদিকে আওয়ামীলীগ সরকার লুট করলেও তার থেকে কিছু উন্নয়নও করে। এটা বিএনপি সাপোর্টাররা ভাল করেই বুঝে তারপরও নিজ দলের বিপক্ষে বিরোধিতা করতে হয় বলেই করে। ভাল কাজকে এপ্রিশিয়েট করা উচিত। "

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

সর্বদাবেলায়েত বলেছেন: শেয়ারবাজার ইস্যুতে দরবেশের পাশাপাশি ফালুর নামও এসেছে, যা আমরা মনে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছি।

যাই হোক্ এই ইস্যুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে সরকার কাউকে জোর করে শেয়ার কেনায় নি। ফাটকাবাজির মাধ্যমে টাকা কামাই করতে হলে বিচক্ষণতার সঙ্গে পা ফেলতে হয়। ওয়ারেন বাফেট কিন্তু 'শেয়ার কিনে সবাই লাভ করছে'- এমনটা দেখলেই শেয়ার কেনায় ব্যস্ত হতেন না। যখন সবাই লস খেতো তখন তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে শেয়ার কিনতেন। এর ফলাফল তিনি হাতেনাতে পেয়েছিলেন। বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় একটা শক্তিশালী স্থান করে নিতে পেরেছিলেন। এসব কারণে কখনো তাকে বাংলাদেশের ধরাশায়ী শেয়ার ব্যবসায়ীদের মতো অবস্থায় পড়তে হয় নি। আর আমাদের দেশে ২০১০-১১ সালে যারা পাগলের মতো শেয়ার ব্যবসায় ঢুকেছে, তাদের মধ্যে শতকরা ৫ জনও এ ব্যবসার দুই লাইন খুঁটিনাটি বুঝতো না। তারা জীবনে এক লাইন শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে পড়ে নি। কোনোদিন অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা নেয় নি কিন্তু দৌড়ে এসে ঢুকে গিয়েছিলো শেয়ার বাজারে। সবকিছু এত সহজ হলে তো হতোই। অন্তত আবু আহমেদের লেখা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহজপাঠ্য বইগুলো পড়লেও এতখানি ধরা খাওয়া দরকার পড়তো না। কিন্তু হুজুগে বাঙালির একবার হুজুগ উঠলে তাকে ঠেকায় কার সাধ্য। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখন সেই দোষ ধামাচাপা দেবার জন্য সবাই মিলে দাবি তুলেছে- এ ঘটনায় দায়ী সরকার। কেউ বলছে না- সরকার কাউকে জোর করে শেয়ার কেনায় নি। যারা কিনেছে তারা ওভাররেটেড শেয়ার বেশি দামে কিনেছে। দোষ কার?

তারপরও; দরবেশ-ফালু গংকে ধরে আওয়ামী লীগ যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো না- আমি তা বলছি না। কিন্তু শেয়ার বাজার প্রেমীদের তাতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তারা আবারো হুজুগে মাতবে। দরবেশের জায়গায় অন্য কেউ আসবে। আবারো প্রেমিকেরা ছ্যাঁকা খাবে। তারপরও দরবেশ-ফালু গংকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই। আর প্রেমিকদের আরো খানিকটা সংযত হতে বলি।

নূর ইলাহির অন্য পয়েন্টগুলোর সঙ্গে আমি একমত। লিমনের হারানো পা ফিরে পাওয়া সম্ভব না। আর কখনো বিশ্বজিৎকেও ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে লিমনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার হবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। এটাকে আমি আমাদের একটা জাতিগত উন্নতি হিসাবে দেখতে চাই।

এর কারণ, বাংলাদেশে প্রতি ঘন্টায় গড়ে কয়জন মানুষ মারা যায় তার একটা হিসাব আছে। এদেশ এখনো জিরো প্রবলেমের দেশ হয়ে ওঠে নি। বিএনপি'র আমলে খুন-খারাবি এখনকার চেয়ে কোনো অংশে কম হয় নি। আশার কথা হচ্ছে, আমরা এখন সুবিচারের আশাটুকু অন্তত করতে পারি। লুৎফুজ্জামান বাবরের মতো ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে বাইরে ‌বাইরে 'উই আর লুকিং ফর শত্রুজ' বলে কেউ আমাদের সঙ্গে ভন্ডামী করে না। এই উন্নতিটুকুকে আমাদের স্বীকার করতেই হবে।

আর হলমার্ক-পদ্মা সেতু সবগুলো ক্ষেত্রেই আমি সরকারকে সাধুবাদ দিতে চাই। সরকারের সদ্ভাবের কারণে হলমার্ক কেলেংকারীর নায়কেরা আজ চৌদ্দশিকের ভেতরে। বিএনপি সরকারের আমলে ব্রিফকেস ভর্তি করে টাকা পাচার করে দেয়া হয়েছে দেশের বাইরে। তখন সরকার দেখেও দেখে নি। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হওয়ার আগেই দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেয়েছে। তারপরও দুর্নীতির পরিকল্পনাকারীকে প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আরো ভালো হয় পরিকল্পনাকারীকে একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে অন্য পরিকল্পনাকারীদের মনের ভেতর ভয় ঢুকিয়ে দেয়া গেলে।

তবে সরকার সাগর-রুনী ইস্যুতে ব্যর্থ। যেভাবে বিএনপি তাদের প্রত্যেকটা ইস্যুতে ব্যর্থ হয়েছিলো, সেভাবে আওয়ামী লীগ এই এক ইস্যুতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এখনও ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার সময় আছে। দেখা যাক, সামনে কি হয়।

আমার মতে আওয়ামী লীগের সামনে পাঁচটি অতি জরুরি কাজ-

১. সাজাপ্রাপ্ত মানবতা বিরোধী অপরাধীদের রায় কার্যকর করা।

২. জামাতের রাজনীতি সাংবিধানিক ভাবে নিষিদ্ধ করা। উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নয়।

৩. সাগর-রুনী ইস্যুর মোড়ক উন্মোচন।

৪. আবুল হোসেন গংকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।

৫. দরবেশ-ফালু গংকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।


আমার ধারণা নির্বাচনের আগে এ কাজগুলো আওয়ামী লীগ শেষ করবে। পাঁচ সিটিতে হারার পর কথা উঠেছিলো আওয়ামী লীগ তাদের সফলতা প্রচারে ব্যর্থ হয়েছে। কথা ওঠার পরপরই আওয়ামী লীগ সফলতা প্রচারে মনোযোগ দিয়েছে। এটা একটা পলিটিক্যাল টুল। ডেমোক্রেসিতে এ টুলের চর্চা নতুন কিন্তু আনকোরা নয়। ডেমোক্র্যাটরা ২০০৪ সালে এ টুলের যথাযথ ব্যবহার করেই ওবামাকে ক্ষমতায় এনেছিলো।

যাই হোক্ প্রচারাভিযানে পর এবার কথা উঠেছে কোন্ জরুরি কাজগুলো মেয়াদ শেষ হবার আগে আওয়ামী লীগকে করতে হবে- তা নিয়ে। খুব দ্রুত এ কাজগুলোও শেষ করা হবে- তা আমরা এখন আশা করতেই পারি। কেননা দেশে এখনই এমন একটা সময় চলছে, যখন মানুষ যা চাচ্ছে তা হচ্ছে। এটা কি একটা চমৎকার ব্যপার নয়?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: সহমত
"শেয়ারবাজার ইস্যুতে দরবেশের পাশাপাশি ফালুর নামও এসেছে, যা আমরা মনে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছি। "

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

_উল্লাস_ বলেছেন: আজাইরা আওয়ামীলীগ আর আজাইরা বিএনপি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.