নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগের প্রানীর আত্মহত্যা বিষয়ক পোস্টে জীবানুর দ্বারা আক্রান্ত প্রানীর মাইন্ড কন্ট্রোল বিষয় টি উঠে আসে। তাই এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। আমরা অনেকেই জানি না যে জীবানুরা তার নিজের সুবিধার জন্য তার দ্বারা আক্রান্ত প্রানীর মাইন্ড 'কন্ট্রোল' করে থাকে। তার কয়েকটা উদাহরন নীচে দিলাম কিন্তু ইন্টারনেট সার্চ করলে প্রচুর একজাম্পল পাওয়া যায়।
বিড়াল-ইদুরের সম্পর্কের কথা আমরা সবাই জানি। ইদুর বিড়াল কে এড়িয়ে চলে শুধুমাত্র বিড়ালের প্রস্রাবের গন্ধ শুকে। Toxoplasma নামে এক কোষী প্রোটোযোআন 'প্রানী' শুধু মাত্র বিড়ালের পাকস্হলীতে রিপ্রোডাকশন করতে পারে। কিন্তু সে যখন কোন প্রানীকে আক্রান্ত করে তখন শুধু ব্রেইনে সিস্ট হিসাবে থাকতে পারে। তার রিপ্রোডাকশনের জন্য তাকে বিড়ালের পাকস্হলীতে যেতে হবে। Toxoplasma যখন ইদুরের ব্রেইনে ইনফেক্ট করে, তখন ইদুরের মাইন্ডকে এমন ভাবে চেন্জ করে যে ইদুর বিড়ালের প্রস্রাবের গন্ধ হিসাবে টের পায় না বরং অনেকটা সেক্স হরমোনের মত গন্ধ পায়। তাই সে বিড়ালের আশেপাশে ঘুরাঘরি করতে থাকে এবং যা হয় বুঝতেই পারছেন। বিজ্ঞানীরা গবেষনাগারে ইদুরকে Toxoplasma দিয়ে ইনফেক্ট করে এই বিহেভিয়ার দেখতে পায় এবং Toxoplasma কে ধ্বংস করার ওষুধ দেওয়ার পর ইদুর আবার বিড়ালকে এভোয়েড করা আরম্ভ করে।
ম্যালেরিয়ার জীবানু তার জীবনের প্রথম অংশ মশার মাঝে কাটায় এবং ম্যাচিয়ুর হওয়ার পরই শুধু মাত্র মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এর আগে প্রবেশ করলে তার রিপ্রোডিউস করার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। তাই ম্যালেরিয়ার জীবানূ Plasmodium যেটা Toxoplasma গোত্রের ই জীবানু, যখন মশাকে আক্রান্ত করে, তখন মশকে এমন ভাবে কন্ট্রোল করে যে যাতে সে ব্লাডের জন্য থার্স্টি না হয় (makes blood shy) এবং মানুষের কাছে যাতে না আসে। Plasmodium ম্যাচিয়ুর হওয়ার আগেই যদি এক থাবায় মশা টা মারা যায়, তাহলে তো Plasmodium এর লস!! আর ম্যাচিয়ুর হওয়ার পর পুরা উল্টা কাজ। তখন মশাকে Plasmodium blood hungry করে তুলে আর তার ফলাফল কি তা আমরা সবাই জানি।
জিপসী মথ কেটারপিলার (উপরের ছবি) স্বভাবগত ভাবেই গাছের পাতায় থাকে নীচের দিকে। কিন্তু একটা ভাইরাস যখন তাকে আক্রান্ত করে, কেটারপিলার হিপনোটাইজড হয়ে গাছের মগডালে চলে আসে মারা যাওয়ার জন্য। মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মাঝে মৃতদেহ লিকুয়েডে পরিনত হয় যাতে ফোটায় ফোটায় (মিলিয়নস অফ ভাইরাস সহ) নীচে পড়তে পারে - নীচের দিকের পাতায় থাকা অন্য কেটারপিলার গুলিকে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত করার জন্য।
বিচিত্র এই প্রানী জগত।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: এক কথায় দারুন। আপনার পোস্টে +।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ব্যাপার!!!
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
কলাবাগান১ বলেছেন: পোস্ট নির্বাচিত পাতায় যাওয়াতে ধন্যবাদ
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
প্রতিবাদী আর যুক্তিবাদি বলেছেন: তারপরওকী লোকেরা স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে? যে অণুজীব নিজেেই জানেনা সে কী করছে আর কেন করছে?
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: অনুজীব জেনেই এটা করছে।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
রিকি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ভাই পোস্টে ভালোলাগা রইল।
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নতুন বলেছেন: এখন গবেষনা করতে হবে কোন কোন অনুজীব আমাদের আক্রান্ত করে আর কি কি কাজ করে।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
কলাবাগান১ বলেছেন: সেটা করার যে মাইন্ড সেট এবং ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার লাগে তার বড়ই অভাব বাংলাদেশে। বিদেশে কেউ ই বসে নাই...... এই রিসার্চ আরো অনেকদুর যাবে
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
নতুন বলেছেন: হুম আমাদের দেশেও রিসাচ হয়না। তার জন্য টাকা আর ইচ্ছা কোনটাই নাই।
আমাদের দেশেও হবে আস্তে আস্তে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
কলাবাগান১ বলেছেন: আামাদের দেশে যখন জিনোম সিকোয়েন্স আরম্ভ হবে তখন পৃথিবী জিনোমকে ল্যাবে তৈরী করে আর্টিফিশিয়াল লাইফ তৈরী করবে। আমাদের দরকার appropriate/applied technology develop করা... পাট, ধান, কলেরা ইত্যাদি.......বেসিক রিসার্চ টা উন্নত দেশগুলিই করুক। পাটের জিনোম সিকোয়েন্স বাংলাদেশ করেছে.. ভালো উদ্দোগ কিন্তু তার কি কোন এপ্লিকেশন বাংলাদেশ করতে পারবে। উনি মারা যাওয়াতে মনে হয় পুরা কাজ টাই হিমাগারে। আমার খুব খারাপ লাগে বলতে কিন্তু বলছি যে যতদিন পর্যন্ত্য পাটের জিনোমের উপর কোন পেপার পাবলিশ হচ্ছে, পুরা দুনিয়া এটা বিশ্বাস করবে না। এই সিকোয়েন্স এখনও ডাটাবেস এ পাওয়া যায় না।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই বিষয় নিয়া একসময় ঘাঁটাঘাঁটি করেছিলাম। ইন্টারেস্টিং জিনিস।
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: কিছু উদাহরন দিন তাহলে।
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের বাস্তব দরকারী বিষয়ে গবেষনা দরকার। যেটা আমাদের সমস্যা সমাধানে কাযকর হবে।
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪২
বোরহান উদদীন বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আরেকটা তথ্য: পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ লোকের ব্রেইনে Toxoplasma আছে কিন্তু ইনফেক্টিভির লেভেল নাই বললেই চলে কিন্তু যারা সুইসাইডাল তাদের মধ্যে Toxoplasma লেভেল অনেক হাই পাওয়া গেছে। ডেনমার্কের এক গবেষনায় পাওয়া যায় যে: Women with Toxoplasma infections were 54% more likely to attempt suicide