নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানের চমক: প্রথম মানব ভ্রুন এডিটিং (নিরাপদে)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১৯



ভ্রুন এডিটিং এর জনক


প্রানের বিকাশ থেকে এটাই চিরন্তন যে বাচ্চা তৈরি হবে বাবা এবং মা থেকে ৫০%/৫০% জিন (gene- made of DNA) নিয়ে। বাচ্চার শরীরের সব কোষে যত ডিএনএ আছে (যার দ্বারা তার চারিত্রিক বৈশিস্ট্য গুলি ফুটে উঠে), তার অর্ধেকটা আসে বাবা থেকে আর অর্ধেক টা আসে মায়ের কাছ থেকে। এটাই চিরন্তন, এটাই শ্বাশত।

যদি বাবা অথবা মায়ের কোন জন্মগত রোগ থাকে, সেটা সহজেই বাচ্চার মধ্যে যাবে। কিন্তু ভ্রুন তৈরী হওয়ার পর যদি সেই জন্মগত রোগ এর বাহক (ডিএনএ মিউটেশন) কে এডিট করে নরমাল করে দেওয়া যায়, তাহলে সেই শিশু তৈরী হবে যার DNA হবে তার বাবা মায়ের থেকে কিছুটা ভিন্ন এবং সেই বাচ্চা যখন বড় হবে, বিয়ে করবে, তার প্রজন্ম পাবে এই 'নতুন সংশোধিত' ডিএনএ। এটা প্রকৃতি কখন ই চায় নাই। যদি বাচ্চার ডিএনএ বাবা মায়ের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যাতয় হয়...

এখানে তো রোগের কথা বলা হল। এখন যদি কেউ চায় তাদের ছেলে মেয়ে তাদের চেয়ে লম্বা হোক, বুদ্ধিমান হোক, খেলা-ধুলায় চৌকশ হোক, তাহলে তো ভ্রুন কে এডিট করে এসব করাও আরম্ভ হবে (ডিজাইনার বেবী)। এটা তো মনে হয় অর্ডার দিয়ে বাচ্চা বানানো হয়ে যাবে।

আজ দেখলাম এর প্রথম পদক্ষেপ। হঠাৎ হার্ট এটাক করার জন্য দায়ী যেই জিন, সেই জিনকে এডিট করে নিরাপদ ভাবে (আরো মিউটেশন/মোজাইক কোষ গঠন না করে) ভ্রুন তৈরা করা হল
দেখুন এখানেIn Breakthrough, Scientists Edit a Dangerous Mutation From Genes in Human Embryos

এই কাজ টা সম্ভব হয়েছে যুগান্তকারী আবিস্কার: CRISPR Technology. আমি বিশ্বাস করি এই টেকনলজি এর আবিস্কারের ফলে, অনেক রোগ কে প্রতিরোধ অথবা ম্যানেজ (ডায়বেটিকেস এর মত) করা যাবে এবং মানব জাতি অনায়াসে ১২৫-১৩০ বছর বেচে থাকতে পারবে অদুর ভবিষ্যতে। পরে এক সময় এই টেকনোলজি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার আশা রাখি।

ক্রিসপার কিভাবে কাজ করে


হার্ট এটাকের জিন কে মডিফাই করার পদ্ধতি এই ছবিতে দেখানো হচ্ছে


এখানে একজন সুস্হ মায়ের ডিম্বকে হার্ট এটাকের জিন বাহক বাবার স্পার্ম দিয়ে নিষিক্ত করার সময়, বাবার হার্ট এটাকের জিনকে সনাক্ত করে কেটে বের করার জন্য CRISPR ডিএনএ ও একসাথে মায়ের ডিম্বতে প্রবেশ করানো হয়। স্পার্ম আর CRISPR ডিএনএ একসাথে দেওয়াতে নিরাপদভাবে ই বাবার হার্ট এটাক জিন টা সরিয়ে এই জিন এর সঠিক কপি টা যেটা মায়ের মাঝে আছে, সেটা ভ্রুনের মাঝে কপি হয়ে যায়। ফলাফল, ভ্রুনের মাঝে বাবার হার্ট এটাক জিন সরে গিয়ে নরমাল জিন প্রবেশ করল। এই ভ্রুন থেকে যে বাচ্চা হবে, তা হবে নরমাল, তার হঠাৎ হার্ট এটাক হওয়ার আর কোন সম্ভবনা নাই।

আগে CRISPR ডিএনএ ভ্রুন তৈরী হওয়ার পর প্রবেশ করানো হত, এতে নিরাপদ ভ্রুন তৈরী হত না।

Researchers have learned to avoid patchwork embryos by editing genes during fertilization instead of after. Previously, scientists fertilized eggs and then added the CRISPR/Cas9 gene editor (top row). Sometimes eggs had already copied DNA, and a mutant gene escaped editing (top, middle). That led to a patchwork, or mosaic, embryo with edited and unedited cells (top, right). Injecting CRISPR/Cas9 along with sperm (bottom row) repairs the mutation before DNA replicates, leading to an embryo with all healthy cells.

বিস্তারিত দেখুন এখানে
Human Embryo Editing

যদি বাবা মা দুজনেরই সেইম জিন এ মিউটেশন থাকে, তাহলে এই প্রক্রিয়া আপাতত কাজ করবে না (একজন মানুষে সব সময় দুই কপি জিন থাকে- আর দুইটাই যদি রোগের বাহক হয়, তাহলে প্রবলেম)

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৩৪

নতুন বলেছেন:
হুম ডিজাইনার বেবী আমরা দেখে যেতে পারবো। কারন এতে অনেক লাভ আছে, চাহিদা আছে তাই এটার গবেষনা খুবই দ্রুত আগাবে।

কিন্তু এতে বিবত`নের ফলে মানুষের যেই পরিবত`ন গুলি হতো তা না হয়ে আপাত দরকারী পরিবত`ন গুলি আসবে ।

যেমন টা হয়েছে কুকুরের ক্ষেত্র... দেখতে কিউট হয়েছে কিন্তু তারা বেশি দিন বাচেনা এবং অনেক সমস্যায় ভোগে...

নিচের ছবির মতন হলে মানবজাতি বিপদে পড়বে... তাই আমি নেচারল সিলেকসনেরই পক্ষে...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৪৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি এক্সট্রিম একজাম্পল দিয়েছেন....আমি জিন এডিটিং এর পক্ষে কেননা এটাই পারবে আমাদের কে ১২৫-১৩০ বছর বাচিয়ে রাখতে (রোগের হাত থেকে বাচিয়ে)

যার আরেকটা উদাহরন নিয়ে আমি পোস্ট দিয়েছিলাম কিভাবে ক্যান্সার আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে...সেইম CRISPR Technology
http://www.somewhereinblog.net/blog/kalabagan1/30202422#c11867305

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৬

নতুন বলেছেন: আমি এর বিপক্ষে কারন এটা শুধুই বিশ্বের ধনীরাই এফোড করতে পারবে.... তাই একটা গোস্ঠি ধনী এবং সুপারহিউম্যান হয়ে উঠবে... আর একটা গোস্ঠি দরিদ্র এবং সাধারন মানুষই থাকবে...

যেটা এখনই কিছুটা টের পাচ্ছেন আশা করি।

আপনি যেহেতু বিদেশে আছেন একটু খেয়াল করে দেখুন আপনার বন্ধুরাই কিন্তু আপনার থেকে শারীরিক ভাবে বেশি সমস্যায় আছে....

কারন আপনি উন্নত বিশ্বে আছেন...তারা বাংলাদেশে আছে...

আরেকটা জিনিস অমরত্ব কিন্তু মানুষের জীবনটাকে বরিং করে দেবে... টিথোনাসের মতন হয়ে যাবে মানব সভ্যতা... :)

তাই আমার কাছে ৭০-৮০ বছরের মানব জীবনটা ভালই লাগে.... এরচেয়ে বেশি লম্বা হলে জীবন বোরিং হয়ে যাবে...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: You have arguably great logic. I concur wholeheartedly.


আমরা বিদেশী থাকি কিন্তু তাই বলে এটা নয় যে আমরা বেশী দিন বাচি...পার্থক্য হল যে আমরা যতদিন বাচি, ততদিন মোটামুটি সুস্হ্যভাবে থাকি ছোট-খাটো রোগে আক্রান্ত হই না কিন্তু দেশে থাকলে হয়ত বেশী বয়স পর্যন্ত্য সুস্হ্য ভাবে থাকা হত না।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


থিওরিক্যালী সবই ভালো শোনাচ্ছে; মানব দেহে দেয়ার পর, পুর্ণ-জীবন যাপনের পর বুঝা যাবে; আসল রেজাল্ট পাওয়া যাবে ২১০০ সালের পর।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: 42 embryos were created and the whole genome of each of the embryos were sequenced to show that no unwanted mutation was introduced.

যেহেতু নরমাল ভ্রুন ছিল, এটা যদি মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্হাপন করা হত, নরমাল বাচ্চা না হওয়ার কোন কারন নাই।

টেস্ট টিউব বেবী কি এবনরমাল জীবন যাপন করে????

আপনার কাছ থেকে আরেকটু স্মার্ট কমেন্ট আশা করেছিলাম

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

প্রোলার্ড বলেছেন: তবুও কি মৃত্যু থেকে পলায়ন সম্ভবপর হবে ? বরং বেশী বাঁচতে চাইলে এমন অনেক কিছু ফেস করতে হবে যা বাঁচাটাকেই বোঝা বানিয়ে দেবে । আর যার আয়ু ও সম্পদ যত বেশী তার হিসেবেও হবে তত বেশী।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: সেটা আপনার অভিমত। সবাই বেশী বাচতে চায় আর যদি রোগ বিহীন ভাবে বেশী বাচা যায়, সেটা হবে ১০০ বছর বয়সে হাতে লাঠি নিয়ে চলা ফেরা না করে। ফেরাউনদের সময় তো মানুষ ৪০ বছর ও বাচত না এখন তো অনায়াসে ৮০-৯০ বছর বেচে থাকছে...

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: জনকের নাম কি ?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: Shoukhrat Mitalipov, director of the Center for Embryonic Cell and Gene Therapy at Oregon Health and Science University

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: হার্ট এ্যাটাক কি জিনেটিক প্রব্লেমের কারণে হয়? অতিরিক্ত চর্বি খেয়ে কেউ যদি করোনারি আর্টারি ব্লক করে হার্ট এ্যাটাকের শিকার হয়, তবে বিজ্ঞানের এই প্রযুক্তি তো ফেল মারবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

কলাবাগান১ বলেছেন: সোজা ভাষায় বলার জন্য হার্ট এটাক লিখেছি কিন্তু এই জিন হঠাৎ করে হার্ট ফেইল করে মারা যাওয়ার জন্য দায়ী জিন। এই মিউটেশনে যদি জিনে একটা কপি ও থাকে (বেশীর ভাগ রোগে জিনের দুই কপি তে ই মিউটেশন লাগে) সেটা হয়ে থাকে মরনকামড় (লিথাল)

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

রুহুল আমিন খান বলেছেন: জেনেটিকাল মডিফাইং হাইডব্রিড ক্ষেত এর তরকারি হাইডব্রিড বারো মাসি ফলের সাথে সিজনাল ন্যাচেরাল ফল ও গেরস্থের মাচায় হওয়া তরকারির গুনগত পার্থক্য স্বাদের পার্থক্য যেমন এই মডিফাইং জিন জাত বাচ্চা আর ন্যাচেরাল বাচ্চার কোয়ালিটিও তেমন হবে। বিজ্ঞান কখনোই নেচার এর বিকল্প হতে পারে না

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: "বিজ্ঞান কখনোই নেচার এর বিকল্প হতে পারে না"

তাই বিজ্ঞান বাদ দিয়ে আপনার মত 'জ্ঞান' নিয়ে সারা জীবন পার করাই হওয়া উচিত জীবনের লক্ষ্য। বিজ্ঞানের আবিস্কার ঔষুধ ও ব্যবহার করেন না??? টেস্ট টিউব বেবী কি অন্য বাচ্চাদের চেয়ে ভিন্ন ভাবে গড়ে উঠে।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

নতুন বলেছেন: আমি অবশ্যই এই রকমের গবেষনার বিপক্ষে না। গবেষনা হবে এবং সেটা অবশ্যই ভালো কাজে লাগবে....

আজকের দিনের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেশি....তার পেছনে বিজ্ঞানের অবদান আছে...পানিপড়ার অবদান নেই।

কিন্তু আমাদের হঠাত পরিবত`নের চেয়ে লক্ষ কোটি বছরের বিব`তনের ফলে যেই পরবত`ন সেটার মাঝে ভালো জিনিস বেশি থাকবে।

আর survival of the fittest এই বিষয়টা কে পাল্টে দেবে ধনীরা কারন তারা এই প্রযুক্তি কিনতে পারবে।

এই গবেষনার ফলে হয়তো জিনেটিক প্রব্লেম গুলি সমাধান করে মানবজাতির সবার কাজে লাগবে এমন অনেক তথ্য আমাদের কাছে আসবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আজকের দিনের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেশি....তার পেছনে বিজ্ঞানের অবদান আছে...পানিপড়ার অবদান নেই।
কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশীরা যেভাবে বিজ্ঞান বিমূখ হয়ে পানি পড়ার গুন গান গাইতে দেখা যাচ্ছে, তাতে আমি শংকিত।

When genie comes out of the bottle, it is very hard to put back in. So ultimately technologies will be available for all but it may come slowly. Cell phone, internet, vaccines are examples.

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

নতুন বলেছেন: কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশীরা যেভাবে বিজ্ঞান বিমূখ হয়ে পানি পড়ার গুন গান গাইতে দেখা যাচ্ছে, তাতে আমি শংকিত।

এটা আগেও ছিলো কিন্তু এখন সবার হাতে বিজ্ঞানের অবদান মোবাইল ফোন+ইন্টারনেট থাকার ফলে সবাই তাদের কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তাই বেশি দেখাচ্ছে।

কিন্তু আমাদের দেশে বিজ্ঞানের চচা` কমে যাচ্ছে। পোলাপাইন বই পড়ে না। মোবাইলে টাইম পাস করে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানের চর্চা কম হবে না কেন?? এই আবিস্কার নিয়ে গতকালের সব নাম করা সংবাদ মাধ্যম গুলি যেভাবে লিড নিউজ করেছে আর আমাদের প্রথম আলোর নিউজ হল আট বছর পরে রিয়াজ-চৈতি একসংগে!!!!!!!

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্ট টির জন্য ।
বায়োটেকনোলজি নি:সন্দেহে আমাদের জীবনকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। ক্লোনিং প্রক্রিয়া বায়োটেকনোলজির এক অনিন্দ্য সুন্দর শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে । এটি এমন এক বিষয় যা মানুষের অনেক বড় বড় সীমাবদ্ধতাকে দূর করার জন্য নিরন্তর গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে । তবে এ কথা মানতেই হবে যে পারমানবিক গবেষনার যেমন ভাল খারাপ দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ক্লোনিং টেকনোলজিটি একেবারে কম যায় না । ভবিষ্যতে যদি মানব ক্লোনিং ব্যপক হারে স্বীকৃতি পায় তাহলে এই পৃথিবী এক নিদারুণ, অমানবিক জগতে পরিনত হলেও হতে পারে । বায়ো - ক্রাইম এর ক্ষেত্রে ক্লোনিং মারাত্মক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটাও ঠিক এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক ভাল কিছুও করা সম্ভব হবে । যদি বলা হয় একসময় এই পৃথিবীতে শুধু মেয়েরাই রাজত্ব করবে, তারা পুরুষদের সাহায্য ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পুরুষরা বিলুপ্ত হতে থাকবে, তাহলে হয়তো অনেকেরই খুব হাসির উদ্রেক হতে পারে । কিন্তু এটা মোটেই অসম্ভব নয় বরং খুবই সম্ভব, কারণ প্রকৃতি মেয়েদেরকেই সম্পূর্ণ করে তৈরি করেছে। অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত ক্লোনিং এর প্রধান তিনটি উপাদানের দুটিই সম্পূর্ণ তাদের হাতে – ডিম্বাণু ও উর্বর জরায়ু। অন্যদিকে একথাও সত্য যে ক্লোনিং আছে বলেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারছেন , ক্লোনিং এর মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে মৃত্যুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জীবনের আয়ু বাড়ানো সস্ভব হবে , যাহোক, সব কিছুরই যেমন ভাল-মন্দ দিক আছে এবং তা থাকবেও , আমাদের উচিত হবে মানবিক দিকগুলিকে বিবেচনায় নিয়ে ক্লোনিং এর ভাল দিকগুলো কে গ্রহণ করা।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "সব কিছুরই যেমন ভাল-মন্দ দিক আছে এবং তা থাকবেও " সহমত

মেয়েদের থেকে ক্লোনিং করে শুধু মেয়ে ই তৈরী হবে। Y chromosome এর জন্য পুরুষের 'এখনও' দরকার আছে যতদিন না X chromosome এ SRY জিন কে এক্সপ্রেস করা না হয়

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: তিনদিন পর প্রথম আলোর ঘুম ভাংলো। ফাইনালী এই প্রযুক্তি নিয়ে বিবিসির সংবাদ লাইন বাই লাইন ট্র‌ান্সলেট করে ছাপালো আজকে। কিন্তু অনুবাদ যেভাবে করা হল, কয়জন এটা পড়ে বুঝতে পারবে, তা আমার সন্দেহ

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: বায়োটেকনোলজিতে অার্শিবাদের চেয়ে অভিশাপের মাত্রা বেশি হওয়ার অাশংকা বিদ্যমান

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: যার যার অভিমত
যত ঔষুধ আপনি খান তার সবই বায়োটেকনোলজির গবেষনার ফসল.......

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব থেরাপী কোন নতুন সমস্যার সৃস্টি করলে বুঝতে সময় লাগবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: এফডিএ এর অনুমোদন পেতে সব পরীক্ষ-নিরীক্ষা করেই এসবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১




জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং নতুন কিছু নয় মনে হয় । বায়োটেকনোলজিও অনেক এগিয়ে গেছে ।
এসব বিষয়ের "কি" ও "কেন" নিয়ে বিস্তারিত লেখা দিলে ভালো লাগবে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: CRISPR Technology আবিস্কার হওয়ার পর, জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং এ নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগে কখনই ডিএনএ কে এভাবে এডিট করা যেত না।

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

তপোবণ বলেছেন: কোন কারনে এই প্রযুক্তি গড ফাদারদের হাতে চলে গেলে এই বিশ্বকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আমরা ভালো টা আগে দেখি না...সারাক্ষন ই কন্সপিরিউসি থিয়োরী টা কে বিশ্বাস করি বেশী।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: জীন বা ডিএনএ এডিটিং নি:সন্দেহে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তবে এইটা এখনও প্রাইমারী স্টেজেই রয়েছে। এর সুফল পেতে অারো অপেক্ষা করতে হবে।

ভালো পোষ্ট।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: নিশ্চয়ই সুফল আসবে এই টেকনোলজি থেকে। ধন্যবাদ

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের জীবনযাপন বেশ সহজ ও আনন্দদায়ক করেছে। আশাকরি এটাও আমাদের ভালো কিছু দেবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার পজিটিভ অভিমতের জন্য ধন্যবাদ। অনেক ব্লগার এর মাঝেও খারাপ টা দেখে

১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্ট। আমার মতে মানুষের মধ্যে জেনিটিক্যালি চেঞ্জ যত আসবে সমস্যা ততই বাড়বে। যেমন হয়েছে পরমানুর ক্ষেত্রে।







ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু রোগ শোক ও কমে আসবে প্রপার প্রয়োগে

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ইউভাল নোয়া হারারির স্যাপিয়েন্স, আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড বইতে উনি এই দৃশ্যটাই তুলে ধরেছেন -

"বর্তমানে প্রাকৃতিক নির্বাচনের বদলে প্রাণীরা ক্রমবর্ধমানভাবে ইন্টেলিজেন্টলি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জীবনধারা কি ইন্টেলিজেন্টলি ডিজাইন হবে ? হোমো সেপিয়েন্সরা কি সুপারহিউমেনদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে ?"

অনেকদিনের সাধনার ফলস্বরুপ এই অসাধারন অগ্রগতি, তবে ভয়ের কারনটাই বেশী। ন্যাচারাল সিলেকশন গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।আর এই টেকনোলজী উন্নতবিশ্বের টাকার কুমিরদেরকে সুপারহিউম্যান বানিয়ে সাধারন মানুষদেরকে স্লেভ বানিয়ে ছাড়বে। এক পর্যায়ে তারা বিলীনতার দিকে যেতে বাধ্য হবে। যেটা এক দুদিনে ঘটবে না সময় নিয়ে ঘটবে।

তবে চাইলে এই প্রযুক্তি জীবিত মানুষকে কষ্ট-জ্বরাপূর্ন জীবন থেকে মুক্তি দেবে কিনা, সেটা নীতিনির্ধারনী দেশ ও মানুষগুলির উপর নির্ভর করবে। জয়তু বিজ্ঞান।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "আর এই টেকনোলজী উন্নতবিশ্বের টাকার কুমিরদেরকে সুপারহিউম্যান বানিয়ে সাধারন মানুষদেরকে স্লেভ বানিয়ে ছাড়বে। এক পর্যায়ে তারা বিলীনতার দিকে যেতে বাধ্য হবে। যেটা এক দুদিনে ঘটবে না সময় নিয়ে ঘটবে।

তবে চাইলে এই প্রযুক্তি জীবিত মানুষকে কষ্ট-জ্বরাপূর্ন জীবন থেকে মুক্তি দেবে কিনা, সেটা নীতিনির্ধারনী দেশ ও মানুষগুলির উপর নির্ভর করবে। জয়তু বিজ্ঞান।"

খুবই যুক্তিপূর্ন কথা। তবে এই অবস্হার জন্য শুধু ধনী দেশগুলিকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। তারা তাডের টা করবেই আমাদের উচিত বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দেওয়া। আর কত কাল অন্যেরা আবিস্কার করবে তারপর আমরা ইউজ করব।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: প্রতিমন্তব্য করেছিলাম আপনার মন্তব্যের সাথে সাথে কিন্তু প্রতিমন্তব্য না হয়ে মন্তব্য হয়ে গিয়েছিল।

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: "আর এই টেকনোলজী উন্নতবিশ্বের টাকার কুমিরদেরকে সুপারহিউম্যান বানিয়ে সাধারন মানুষদেরকে স্লেভ বানিয়ে ছাড়বে। এক পর্যায়ে তারা বিলীনতার দিকে যেতে বাধ্য হবে। যেটা এক দুদিনে ঘটবে না সময় নিয়ে ঘটবে।

তবে চাইলে এই প্রযুক্তি জীবিত মানুষকে কষ্ট-জ্বরাপূর্ন জীবন থেকে মুক্তি দেবে কিনা, সেটা নীতিনির্ধারনী দেশ ও মানুষগুলির উপর নির্ভর করবে। জয়তু বিজ্ঞান।"

খুবই যুক্তিপূর্ন কথা। তবে এই অবস্হার জন্য শুধু ধনী দেশগুলিকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। তারা তাডের টা করবেই আমাদের উচিত বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দেওয়া। আর কত কাল অন্যেরা আবিস্কার করবে তারপর আমরা ইউজ করব।

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: view this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.