নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির মিডল স্কুল (গ্রেড ৬-৮) ও হাইস্কুল (গ্রেড ৯-১২) এর সাইন্স টিচার দের জন্য বিজ্ঞান কারিকুলাম নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ হয় যাতে তারা তাদের স্কুলের সাইন্স ক্লাশের কারিকুলামে নতুন নতুন সাইন্স এক্টিভিটি যোগ করাতে পারে। আমি আমেরিকার একটা প্রফেশনাল সোসাইটির পক্ষে ভলান্টিয়ার হিসাবে কিছু ছোট ছোট সহজেই করা যায় সাইন্স এক্টিভিটি প্রদর্শন করি। এর মাঝে রংগিন ফলের জুস দিয়ে সোলার প্যানেল বানানোর সাইন্স প্রজেক্ট টা বিপুল ভাবে টিচারদের আকর্ষন করে। আমি নিজেও এটা বানিয়ে দেখাতে খুবই উপভোগ করেছি। আমার আশা এই পোস্ট পড়ে যদি কোন টিচার বা আপনার পরিচিত কোন টিচার ক্লাশ টেন/ইলেভেন/টুয়েলভ এ এই এক্সপেরিমেন্ট টা ছাত্র/ছাত্রীদের শিখায়, তারা যে শুধু সোলার প্যানেল কিভাবে কাজ করে তা শিখবে, তারা অর্গানিক ভাবে নিজেরা বানিয়ে অনেকেই বিজ্ঞান এর প্রতি অনেক আকর্ষন লাভ করবে। অবশ্য আমি হয়ত জানি না যে এটা অলরেডী বাংলাদেশের স্কুলে ব্যবহার হচ্ছে। এনিওয়ে, অনলাইনে এটা নিয়ে যত রিসোর্স আছে, বিনা পরিশ্রমে একজন বিজ্ঞান শিক্ষক অনায়াসে এটা কে ল্যাবেরটরি এক্সপেরিমেন্ট হিসাবে এডপ্ট করতে পারবেন। নিচে কিছু লিং দেওয়া আছে।
সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ১৯৯৮ সনে প্রথম এই কনসেপ্ট টা কে পেপার হিসাবে পাবলিশ করেন।
দেখি কিভাবে কাজ করে: (আমি বায়োলজির লোক ...বিদ্যুতের না)
আপনি যখন গাছের পাতার দিকে তাকান, আপনি কিন্তু কখনই চিন্তা করেন না যে গাছের পাতা যেই কাজটা করছে...এক্জাক্টলি সোলার প্যানেল ও সেই কাজ টাই করছে...গাছের পাতা সূর্যের আলো 'ভক্ষন' (absorb) করে ...আলোর শক্তি টাকে ক্যামিক্যাল শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ক্যামিক্যাল শক্তি টা হল সুগার আর এর অনুর মাঝেই এই শক্তি টা থাকে আর আমরা এটা খেয়েই আমাদের শক্তি টা আহরন করি। যতদিন না আমরা সূর্যের আলো নিজেরা absorb করতে না পারব (জীবনেও পারব না), তত দিন আমরা আমাদের শক্তির জন্য গাছ অথবা গাছ খাওয়া প্রানীর উপরই নির্ভর করতে হবে।
আর সোলার প্যানেল সূর্যের শক্তিটাকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। আমরা অনেকেই জানি কারেন্ট কি জিনিষ। পরমানু ইলেক্ট্রন ছুটে একটা বিদ্যুত পরিবাহী তারের মাঝে প্রবাহিত হওয়াকেই মোটা দাগে বিদ্যুত বলতে পারেন। সোলার প্যানেলে সূর্যের আলো পড়লে পিউর সিলিকন অনু থেকে পরমানু ইলেক্ট্রন (নেগেটিভ চার্জ) বের হয়ে মুভ করা আরম্ভ করে ...আর সিলিকন টা নেগেটিভ চার্জ হারিয়ে নিজে পজিটিভ চার্জে রূপান্তরিত হয়..।আর এই ইলেক্ট্রন একটা সার্কিট এর মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হওয়াটাই কারেন্ট তৈরী হচ্ছে।
গাছের পাতা সুবজ কেন? তারা সূর্যের সব আলো absorb করতে পারে কিন্তু সূর্য্যের সবুজ আলোটাকে absorb করতে পারে না বিধায় সেটা কে রিফ্লেক্ট করে ..তাই পাতা কে সবুজ দেখায়। যে কোন কালো রং মানে, সূর্যের সব আলো কে absorb করে ফেলা...কোন রিফ্লেক্ট নাই তাই রং কালো...আর সাদা রং কোন আলো absorb করে না মানে পুরা আলোটাই রিফ্লেক্ট করে। তাই সোলার প্যানেল ও গাড়ো রং করা হয় যেন বেশী সূর্যের আলো absorb করতে পারে। বেশী আলো absorb মানে বেশী শক্তি আহরন করা।
গাছের পাতার মাঝে থাকা পিগমেন্ট ক্লোরোফিল সূর্যের আলো absorb করে উচ্চ শক্তি লাভ করে আর তার ফলে সে নিজের থেকে পরমানু ইলেক্ট্রন বের করে দিয়ে আবার পূর্বের শক্তিতে ফিরে যেতে চায়... সে তার 'হারানো' ইলেক্ট্রন ফেরত পাওয়ার পর আবার আলোতে উজ্জবীত হয়।
সিলিকন সূর্যের আলোতে যে কাজ টা করে সোলার প্যানেলে (পরমানু ইলেক্ট্রন কে বের করা), সেই একই কাজ করতে পারে যে কোন গাছের যে কোন পিগমেন্ট। যত গাড়ো সেই রং তত বেশী আলো সে absorb করতে পারে, তাই রংগীন ফলের জুস এই কাজে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের জামের রসের পিগমেন্ট অতি উত্তম ভাবে ব্যবহার করা যাবে এখানে।
এই সেলে, সিলিকনের বদলে সস্তা কন্ডাক্টর কে ফলের জুসের সাথে মিশানো হয়। সূর্যের আলো বা অন্য আলো পড়ার পর জুসের পিগমেন্ট থেকে পরমানু ইলেক্ট্রন বের হয়ে তা কনডাক্টরকে দান করে, কন্ডাক্টর সেই পরমানুটাকে একটা সার্কিটের এর মাঝ দিয়ে আরেকটা ক্যামিক্যাল কে সেটা দান করে, আর সেই ক্যামিক্যাল আবার পরমানু টাকে জুস কে দান করে এবং জুস আবার রেডী হয় আলো absorb করার জন্য। এই সার্কিট এর মাঝে বাল্ব রাখলে সেটা জ্বলে উঠবে।
পুরা লেসন প্ল্যান, স্টেপ বাই স্টেপ ম্যানুয়াল দেওয়া আছে নিচের লিং গুলিতে..এই কিট বিক্রি হচ্ছ ১০০-১৫০ ডলার দিয়ে যার দ্বারা আপনি শুধু জুস টা সরবরাহ করে ৩০-৩৫ জন ছাত্র/ছাত্রীকে হাতে কলমে বানানো শিখাতে পারবে।
Dye sensitized solar panel kit
এই কিট বিক্রি করার ওয়েব সাইটে স্টেপ বা স্টেপ ম্যানুয়াল পিডিএফ হিসাবে দেওয়া আছে (নিচের দিকে
Lesson plans:
DSSC High School Lesson Plan PDF document- এই শিরোনামে)। (লিং টা দিতে চাইলাম কিন্তু পাতা বার বার এড্রেস টা চেন্জ করে দিচ্ছে)
আরেক টা লিং
University of Tennessee lab
সোলার সেল তৈরী করার মুভি
https://www.youtube.com/watch?v=17SsOKEN5dE&spfreload=1
আরেক টি ইউটিউব ভিডিও
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এই বিষয়ে আগ্রহ থাকার জন্য
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কপার আর জিংক দন্ড ব্যবহার লেবু আর আলু এন্যাজি পাওয়া যায় দেখেছি, এছাড়া ইল ফিস হতে ১০ ভোল্ট বিদৎ উৎপাদন করা যায় শুনেছি, জামের জুশ ব্যপারটা জানা ছিল নাহ। কি পরিমান এন্যাজি পাওয়া যাবে ১৫০ ডলার খ রচ করে??
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা বানিজ্যিক ভাবে করার জন্য দেখানো হয় না। এটা স্কুলে শিক্ষা দানের জন্য ব্যবহার হচ্ছে....এতে যেমন ছাত্র/ছাত্রীরা সোলার প্যানেল কিভাবে কাজ করে তা শিখতে পারবে আবার কিভাবে ন্যাচার্যাল পিগমেন্ট ইউজ করে বিদ্যুত তৈরী করা যায় তা শিখানো যায়।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিজ্ঞান মেলায় অংশ গ্রহনকারী ছাত্র ছাত্রি সহ সাধারণ বিজ্ঞান মনস্ক ছাত্র ছাত্রীদেরকে পোষ্টের তথ্যমালা অনুরুপ কিছু তৈরী করতে সহায়তা করবে ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে কোন শিক্ষক তার ক্লাসে ইউজ করলে ও অনেক ছাত্র/ছাত্রী উপকৃত হবে
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৮
নতুন বলেছেন: গবেষনা দরকার কিভাবে ঘরের বাইরের রং এর কোটিং থেকে বিদ্যুত ধরা সম্ভব...
যার ফলে সব বাড়ীর বাইরের দেয়াল গুলি সোলার প্যানেল হয়ে যাবে...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৯
কলাবাগান১ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লিড... পেইন্টের মধ্যে তো টাইটিনিয়াম অক্সাইড এমনি তেই আছে
ট্রাম্পের বর্ডার ওয়ালেও তো সোলার প্যানেল বসানোর কথা হচ্ছে
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দারুন পোস্ট। আগ্রহী বিজ্ঞান গবেষক ও বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীরা উপকৃত হবেন।
ধন্যবাদ।