নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোভিড ভাতা- হিসাবে মিলে না

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:১৩


আবারো আমেরিকান সিনেট/কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বাইডেন এর থেকে প্রস্তাবিত প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার ($২,০০০,০০০,০০০,০০০) এর কোভিড বিল পাশ করছে। টাকাতে এর পরিমান কত হবে??? 169,510,440,000,000 Bangladeshi Taka। এর থেকে প্রতি আমেরিকান পাবেন $১৪০০ ডলার তার মানে যার পরিবারে দুজন বাচ্চা আছে, তারা পাবেন $৫৬০০। কিছুদিন আগেই প্রতি জন পেয়েছিলেন $৬০০ করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগেও দিয়েছিলেন প্রতি জনে $ ১,২০০ করে। আর কভিড কালীন প্রবলেম এর জন্য ছোট ব্যবসা এর মালিক রা আলাদা ডলার পাবেন। বেকার ভাতা হবে সপ্তাহে $৩০০ ডলার করে। তো দেখা যাচ্ছে সরকার ঘরে বসিয়েই সবাই কে সচ্ছল রাখার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন..। এবার এর ভাতার আয়তায় আমেরিকার ৯০ শতাংশ জনগন এই ভাতা পাবেন। ফ্যামিলি আয় বছরে $১৬০,০০০ এর নীচে হলেই সেই ফ্যামিলি পাবেন এই সহায়তা।

কিন্তু এই ডলার আসবে কোথা থেকে? আমেরিকার সরকার এর ঋন অলরেডি ২০ ট্রিলিয়ন ডলার এর উপর...আরো ২ ট্রিলিয়ন ঋন নিতে হবে এই ডলার জনগন দেওয়ার জন্য। সামান্য অর্থনীতির জ্ঞান দিয়ে এটা বুঝি যে, এভাবে মানি সাপ্লাই বাড়ালে (কোন ইকনিমিক এক্টিভিটি ছাড়া), যে ইনফ্লেশন হবে, তাতে এই ধরনের সাহায্য এর আর কোন কার্যকারিতা থাকবে না।

নতুন ধরনের ইকনোমিক মডেল দেখা যাচ্ছে, যেখানে সরকারগুলি 'বায়বীয়' ভাবে টাকা তৈরী করে জনগন কে দিচ্ছেন (জাপান অনেক দিন থেকেই করে আসছে)। সাদা কাগজে সরকার (অর্থ মন্ত্রানালয়) লিখে (I owe you), আর এই কাগজ (ট্রেজারী বিল), আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ই কিনে নিচ্ছে। অনেকটা সরকার এর এক পকেট থেকে টাকা আরেক পকেটে স্হানান্তর হচ্ছে। কেননা যখন এই বিল এর মেয়াদ শেষ হবে, রিজার্ভ টাকা টা আবার সরকার এর অর্থ মন্ত্রানয়তে হস্তান্তর করে। অনেকটা টাকা প্রিন্ট করার মতই....

কিন্তু আমার প্রশ্ন হল...এভাবেই যদি দেশ চলতে পারে, তাহলে ইকনমিক এক্টিভিটি এর দরকার কোথায়?? সরকার কি আনলিমিডেট ভাবে এভাবে টাকা 'ধার' করে জনগন কে দিতে পারে??? শাস্ত্রীয় ইকনোমিক মডেল কি ফেইল?????
ব্লগে যারা অর্থনীতি তে অভিজ্ঞ, তারা কি একটু জ্ঞান দিবেন ...কেন আমেরিকাতে কোন ইকনমিক এক্টিভিটি ছাড়াই এত মানি সাপ্লাই হওয়ার পরও কেন বাজারে ইনফ্লেশন দেখা যাচ্ছে না??

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৩৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: এই মূহুর্তে আমেরিকান জংনের টাকা দরকার।
সরকার এই বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: সবসময় ই জনগনের টাকার দরকার..তার জন্যই বাজার ব্যবস্হা...যেখানে কাজ কর্মের দ্বারা মানি সাপ্লাই হবে...ভেলোসিটি অফ মানি বাড়বে...সবার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে..সরকার এর ভাতা দ্বারা, তা হবার সম্ভাবনা কত???

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রথমত: ট্রাম্প প্রথমবার বেশী টাকা দিয়ে ফলেছে: যাদের চাকুরী ছিলো, এবং পরিবার মর্টগেজ কিংবা ঘরভাড়া দিয়ে মাসে ১০০০ ডলার হাতে থাকলে (মানে মাসিক চেক গড়ে ৪০০০/ ডলার বা তার উপরে ) তাদের ১২০০ ডলার করে দেয়া অন্যায় হয়েছে; সে সাথে, সপ্তাহে ৬০০ ডলার করে বেকার ভাতা দিয়েছিলো, সেটাও বেশী। ট্রাম্পের সময়, দেড় বিলিয়ন ডেয়া হয়েছে কর্পরেশন ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের, ইহা আর ফিরে আসবে না।

বাইডেন একই ভুল করছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: দিচ্ছে ভাল কথা কিন্তু এই ডলার আসবে কোথা থেকে??? এভাবে যদি ইকনমি কে বাচিয়ে রাখা যায়, তাহলে ইকনমিক এক্টিভিটির দরকার কি, সবাই বাড়ীতে বসে থাকবে, আর সরকার ভাতা দিয়ে যাবে??

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:০৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সরকারের খুব বেশি করারও নেই এই মুহূর্তে, অর্থনীতির গতি ঠিক রাখতে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি করা, যাতে আসন্ন মন্দাকে যতদূর সম্ভব ঠেকিয়ে রাখা যায়। ডলারের বৈশ্বিক শক্তির কারণে আমেরিকার সরকারের স্বাধীনতাও বেশি, তবে আরেকটি মন্দা যে আসছে আপনি ধরে রাখতে পারেন। বড় ধনীরা আরও ধনী হবে, মাঝারি ধনীদের উপর মিশ্র প্রভাব হবে, আর গরীবেরা আরও গরীব। করোনার প্রভাব কেটে গেলে ব্যাংকগুলো আরও ফুলবে, অনেক গরীবের হাতে থাকবে খালি ছালা, যদিও তাদের কিছু করার নেই।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু এই যে তিন বারে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার কোন ইকনমিক এক্টিভিটি ছাড়া বাজারে ছাড়া (প্রায় 'বায়বীয়' ভাবে ডলার প্রিন্ট করে) হল, তাতে আমেরিকার বাজারে ইনফ্লেশন হচ্ছে না কেন??????

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে এ ব্যাপারে কিছু আলোচনা চলছে
Monet Creation vs Inflation

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এই মুহূর্তে যেহেতু অর্থনীতির গতি মন্থর, মানুষ এখনও ব্যাপকভাবে কনজিউম শুরু করে নাই, বরং সতর্ক খরচের ব্যাপারে, এটি একটি বড় কারণ। করোনার প্রভাব কমলে খরচ করতে শুরু করবে। তবে তখন ইনফ্লেশন বাড়লে ফেড একে নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়াবে। কাজেই বড় সমস্যাটি ইনফ্লেশনের দিক থেকে হয়তো আসবে না। সমস্যা হতে পারে শেয়ার মার্কেট ও আবাসন খাতে, বিশেষ করে আমেরিকার শেয়ার মার্কেট বেশ ফুলে ফেঁপে আছে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনের পর থেকে।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: তার মানে সামনে আবার হাই ইন্টারেস্ট রেইট এর জমানা আসছে। এখন তো ইন্টারেস্ট রেইট নেগেটিভ।

যারা ফিউচার/অপশান এর ব্যবসা করেন, তাদের তো পোয়াবারো হবে হাই ইন্টারেস্ট আসছে সেটার উপর 'বেট' ধরে.....

তবে এই যে ঋন করে 'ঘি' খাওয়া, সেটার জন্য আবার জনগন দের ই মাসুল দিতে হবে, যখন সরকার টেক্স বাড়াবে, এই ঋন শোধ করার জন্য

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৫

স্থিতধী বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যে মামুন সাহেবের পর্যবেক্ষণ সঠিক বলে মনে হচ্ছে । ফিস্কাল বা মানিটারি পলিসি থেকে মন্দার সময়ে স্টিমুলাস প্যাকেজ দেয়ার চল প্রচলিত। ইনফ্লেশন বাড়ার ঝুকি থাকে তখন যখন ঐ টাকা মার্কেটে রোল হয় কনজামশন বাড়ার কারনে । কিন্তু কভিড সিচুয়েশন খুব ভিন্ন হবার কারনে এখন কনজামশন সেভাবে নাই, ফলে ইনফ্লেশনটাও এখনই হচ্ছেনা ।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: স্টিমুলাস দেওয়া যায় যখন নিজের পাহাড়সম ঋন না থাকে..কমন সেন্স তাই বলে....এত বড় রিস্ক নেওয়া হচ্ছে..নিশ্চয়ই কোন সলিড থিয়োরী এর পিছনে আছে...সেটাই জানতে চাচ্ছি

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার ২০০৮ এর মত মন্দা যাতে না দেখা দেয় এজন্য খুব সতর্ক ছিল।

কোন কর্ম ছাড়া এভাবে বড় অর্থ দেয়া কোন ভাল ফল বয়ে আনবে না। এভাবে ডলারের বান্ডিল ধরিয়ে দেয়া মানে মানুষক কে অকর্মন্য অলস বানানো।
দীর্ঘমেয়াদি বিনা শুদে ঋন দিতে পারতো ও ব্যাবসায়ীদের আরোসহজ সর্তে ঋন দিতে পারতো।
তাহলে তাদের কাজ করার তাগিদ থাকতো। ঋনখেলাপি হলে তখন নাহয় মাফ করে দিত।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: এর আগের টা তো সেটাই ছিল ....স্মল বিজিনেস ওনার দের কে বিনা সুদে "ঋন" হিসাবে ই দিল ....

তবে যারা ভাতা পাবে, তাদের আসলেই ক্যাশ দরকার...অনেকেই বিজেনেস হারিয়েছেন, চাকরী হারিয়ে, বাসার ভাড়া/মর্টগেজ নিয়ে ঋনখেলাপি হয়ে আছেন...তারা সাথে সাথেই এই ডলার খরচ করবেন, তাহলে বাজারে ডিমান্ড নাই (তাই ডলার খরচ হবে না, জমিয়ে রাখা হবে), তাই ইনফ্লেশন হচ্ছে না সেটাও কোন মেইন কারন হতে পারে না।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২০

জুন বলেছেন: থাইল্যান্ডে সরকার বয়স্ক ছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষকে করোনাকালীন ভাতা দিচ্ছে। তবে এই টাকা তারা কোন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি যেমন টেস্কো লোটাস,ইভেন সিপির মালিকানাধীন সেভেন ইলেভেনও নয় কিংবা ধনীদের থাই গুরমিট বা টপস মার্কেটও নয়, নয় সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড এ কেনাকাটা করতে পারবে না। কিনতে হবে সাধারণ থাই দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য, যাতে তারাও তাদের ব্যাবসা চালাতে পারে।
পেপারে পড়লাম আমেরিকায় যাদের পরিবারের সদস্য বেশি তাদের ভাতার পরিমাণ ও বেশি এবং টাকা নিয়ে অনেকে নিউইয়র্ক ছেড়ে সল্প খরচের স্টেট এ চলে যাচ্ছে এমনকি সেই টাকায় বাড়িও কিনছে। জানিনা এমন অনুতপাদনশীল খাতে টাকা খরচ হলে কতদিন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে পারবে তা সে যত ধনী দেশই হোক। অবশ্য আমেরিকা সর্বোচ্চ স্বাধীনতার দেশ। তাদের কথাই আলাদা।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: বসিয়ে খেতে দিতে পারলে, সারা পৃথিবীর সব সরকার ই সেটা করত...। কিন্তু ইকনমিস্ক এর কোন মডেল ই তো এটা সাপোর্ট করে না।

থাইল্যান্ড মডেল টা ভাল যদি লোকজন সৎ হয়।

এরকম ৫ ট্রিলিয়ন ডলার কোন ইকনমিক এক্টিভিটি ছাড়া বাজারে আসলে, বাজার তো বসে পড়ার কথা!!!!!!

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব দোষ গাজীসাবের !!
তিনিই ম্যারিকার অর্থনীিতি
:ধ্বংশ করেছেন ! তার বিচার চাই!

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: মানানসই মন্তব্যই কাম্য

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশে চলে আসেন, ম্যারিকা ম্যাম্যাগারিকাতে পরিনত হয়েছে। ওরা খেতে পারছে না। ওখানে খাদ্যের অভাবে মানুষ লতাপাতাঘাস খেয়ে বেঁচে আছে। মানুষ সেই রেড ইন্ডিয়ানদেরও আগের বর্বর যুগে প্রবেশ করেছে। আপনি না খেয়ে মরেন কলাভাই, আমরা তা চাই না। আর দেশে আসলে আপনারই লাভ। যা চাইবেন তাই পাবেন।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকাতে না খেয়ে মানুষ মরবে না...যত মানবতাবাদী আছে এই দেশে, পৃথিবীর সব মানবতাবাদীরা এক সাথে হলেও এদের মত এত উদারভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবে না...

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:




@আমি সাজিদ ,

বাংলাদেশের লোকদের বেশী সুবিধা হলো, সেখান থেকে আগেবাগে ও হেঁটে বেহেশতে চলে যাওয়া যায়।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: তাই কেউ কোয়ান্টাম মেকানিস্ক কস্ট করে পড়তে চায় না

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্প টাকা মানুষকে টাকা দিয়ে ছিলো ভোট কেনার জন্য রিপাবলিকানরা না করেনি; বাইডেন দিচ্ছে ট্রাম্পকে থামাতে; যোগবিয়োগ করলে, আমেরিকা জাপানের মতো শ্লো হয়ে যাবে আগামী ১০ বছরের জন্য।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকাতে অনেক বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ আছেন...। নিশ্চয়ই তারা কোন পরামর্শ দিয়েছেন?

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার কাছে কি এর ব্যাখ্যা আছে? আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আপনার কাছে ব্যাখ্যা আছে এবং আপনি ক্রসম্যাচ করে নিতে চাচ্ছেন আপনার জানা বিষয়টি আর কেউ জানে কিনা?

***বাই দ্য ওয়ে আমেরিকার কোনো সমস্যা হবে না।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: কিছুটা পড়ালেখা তো করেই এই পোস্ট দিলাম...পড়ে যা মনে হল। নানাবিধ কারন দেখানো হয়েছে কেন ইনফ্লেশন হবে না (তার একটা মামুনর রশীদ সাহেব বলেছেন- বাজারে ডিমান্ড কম, কেননা সবাই সতর্ক খরচের ব্যাপারে), যেহেতু ডলার 'প্রিন্ট' হচ্ছে, আমেরিকার জিডিপি-লোন এর অনুপাত, ফেডারেল রিজার্ভ এর ইউনিক ক্ষমতা মানি ক্রিয়েশন এ, আরো নানা বিধ কারন বলা হচ্ছে।
কিন্তু দিন শেষে সবাই একমত- যদিও এটা প্রচন্ড রিস্কি মুভ।

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

এমেরিকা বলেছেন: মাঝখান দিয়ে ডলারের রেট কমে গেলে আমরা খুশি। ইম্পোর্ট এলসি খুলতে বেশ আরাম হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: সেই খুশী বেশী দিন থাকবে না যখন ইম্পোর্ট করা জিনিষ কেনার লোক পাবেন না

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৬

স্থিতধী বলেছেন: এত বড় রিস্ক নেওয়া হচ্ছে..নিশ্চয়ই কোন সলিড থিয়োরী এর পিছনে আছে...সেটাই জানতে চাচ্ছি

কোন এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নাকি একবার বলেছিলেন যে আমাকে এমন কোন ইকনমিস্ট কে এডভাইজর হিসেবে দাও যার শুধু একটা হাত আছে। কারন ইকনমিস্টদের সাথে আমি যখনি কোন পলিসি নিয়ে পরামর্শ চাই তখনি তাঁরা আমাকে একথা বলবেই যে "অন দা আদার হ্যান্ড!"

কভিডের এই সিচুয়েশনে এর বাইরে আর বেটার অলটারনেটিভ আমেরিকান ইকনমিক পলিসি মেকারদের হাতে এখন ছিলো কিনা সেটাই প্রশ্ন । ইমিডেয়েট ইকনমিক কলাপ্স ঠেকানর জন্য অনেকসময় কিছু ডেস্পারেট স্টেপ ও নেওয়া হয় । হতে পারে সেটার লং রান ইম্প্যাক্ট খারাপ হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ভালো বলেছেন...সেটাই ভয় সর্ট টার্মে হয়ত ভাল হবে কিন্তু লং রানে এটার জন্য আবার জনগন কেই হাই ইন্টারেস্ট রেটে মূল্য দিতে হবে...থেয়ার ইস নো ফ্রি লান্চ ইন আমেরিকা।

কিন্তু এভাবে ঢালাও ভাবে প্রায় সবাইকে ক্যাশ দেওয়া টা মনে হচ্ছে টু মাচ। যারা চাকরী/ব্যবসা হারিয়েছেন, তাদের কে দিলেই হত..

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমারো এই হিসেব মিলে না! তবে আপনি একটি কমেন্টের উওরে বলেছেন ' ফেডারেল রিজার্ভ এর ইউনিক ক্ষমতা মানি ক্রিয়েশন এ' এটা যক্তিযুক্ত মনে হয়! ডলারের একছত্র আদিপত্র যতদিন থাকবে ততদিন আমেরিকা এই ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি সুবিদা পাবে! তবে ইনফ্লেশোন হবে মনে হয় পরে!

প্রতি আমেরিকান এবং গ্রিন কার্ড হোল্ডারদের টাকা দেয়া হচ্ছে কোন বাচ বিচার না করেই মনে হয়, আমার এক পরিচিতি জন বলল আমার পরিবারের সবাই এটা পেয়েছি তবে ব্যাপারটা আমার কাছে আন ফেয়ার লাগছে কারন আমার ইনকাম করোনার আগেও যা ছিল এখনো তাই!! আমার মনে হয় এখানে একটা ফিল্টার করে টাকা দিলে এত খরচ হত না!!

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: যেভাবেই যাকে ই দিক, এই যে বায়বীয় ভাবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারে এল, এর ফল ভবিষ্যতে খুব একটা ভাল হবে না।

যাদের চোখ-কান খোলা আছে, তারা তাদের মর্টগেজ/স্টুডেন্ট লোন/ইকুইটি লোক ইত্যাদি কে যদি ভ্যারিয়েবল রেইট এ থাকে, এখনই রিফাইনান্স করে ফিক্সড রেইটে নিয়ে আসলে ভবিষ্যতের আনসার্টেনিটি থেকে বাচতে পারবে।

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:২২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যের জবাবে যে বললেন, অনেকে সঙ্গে সঙ্গে ডলার খরচ করবে, সুতরাং ডিমান্ড আছে, এই জেনারেলাইজ করাটা ভুল হয়েছে। ২০২০ সালের পুরোটা হিসাব করলে আমেরিকার সামগ্রিক কনজিউমার স্পেন্ডিং প্রায় ৪% কমে গেছে ২০১৯ এর তুলনায়। ২০১৯-এর পর্যায়ে আবার পৌঁছতে ২০২২ সাল লেগে যেতে পারে। ২০২০ সালে জিডিপিও কমেছে বেশ। ২০১৯ এর তুলনায় বেকারের সংখ্যাও এখন বেশি। সুতরাং ইনফ্লেশন না হওয়ার অনেক ফ্যাক্ট বিদ্যমান। মোট কথা, সরকারি অনুদান যত ব্যাপকই হোক, এটি কখনো স্বাভাবিক অবস্থার সমতুল্য হবে না, যদিও অনুদান বন্টন ব্যবস্থা সুষম হয়নি, এটি হয়তো বড় সত্য। কিন্তু বড় দেশে কে পাবে, কে পাবে না, এই হিসাব করার হাঙ্গামাও কম নয়।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি আমার এই পোস্টের আসল উদ্দেশ্য টা বুঝতে পারছেন না...আমেরিকা পেরেছে বায়বীয় ভাবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ইকনমিতে ইনজেক্ট করতে যাতে রিসিশান না হয়। কিন্তু তেমন একটা ক্ষতি হবে বলে মনে হচ্ছে না.।অবশ্য লং টার্মের ব্যাপার টা আলাদা।

আমার প্রশ্ন টা ছিল, অন্য সব দেশ কি কোন ক্ষতি ছাড়া এভাবে বায়বীয় টাকা বাজারে ছাড়তে পারে কিনা...মর্ডান ইকনমিক থিয়োরী কি আমেরিকার বেলায় ফেইল কিন্তু অন্যদের ব্যাপারে স্ট্রিক্ট??? বিশেষ করে যাদের জাতীয় লোন আর জিডিপির ২০০-৩০০% দেশ যেমন এক সময়ের আর্জেন্টিনা, বা গ্রীস, জাপান...

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লোকজনের কাজ এবং আয় রোজগার না থাকলে স্বভাবতই ব্যয়ের পরিমান কমে যায় যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য খাতেও। এই গণভাতা প্রদানের ফলে সবারই নুন্যতম এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ্য কিছুটা কোভিড পূর্ববর্তী পর্যায়ের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী করবে। আর মানি সার্কুলেশনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সেক্টর সহ আরো অনেক সেক্টরে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা অনেকটা ক্ষতিপূরণের মতোই কাজ করবে, মুদ্রাস্ফীতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা আছে বলে মনে হয় না। বরং এই ধরণের দুর্যোগের সময় সাধারণ জনগণকে ভাতা দিয়ে মানি সার্কুলেশন না বাড়ালে গোটা অর্থনীতিই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: সেটা বুঝলাম....রিসিশান সামলাও কিন্তু প্রশ্ন টা হল পৃথিবীর সব দেশই কি এমন ম্যাসিভ ভাবে বায়বীয় ভাবে টাকা বাজারে ছাড়তে পারবে? (ট্রেজারি বিল/টাকা প্রিন্ট করে) ইকনমিতে কোন ক্ষতি না করে

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার ঐ প্রশ্নের জবাব আগেই দেয়া হয়েছে, ডলার ও আমেরিকার বৈশ্বিক শক্তি কারণে। অন্যদেশগুলো, বিশেষ করে চীন আমেরিকার ট্রেজারি সিকিউরিটিজ কিনে থাকে। চীন আগেও এসব কিনে আমেরিকাকের একবার সাহায্য করেছে। কথা হচ্ছে, এভাবে কতদিন? আমেরিকার আগামী দিনের সমীকরণ অতীতের তুলনায় ভালো দেখা যাচ্ছে না।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৪৩

কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু স্টিমুলাস এর ট্রেজারীর বিল কিনছে ফেডারেল রিজার্ভ। চীন না..।
"Between March 11 and April 15 alone, the Fed bought $1.3 trillion in Treasuries, more than total Chinese holdings as of February" চীনের টোটাল ট্রেজারী বিল যা কিনেছে সারা জীবনে, ফেডারাল রিজার্ভ এক মাসে তার সমান কিনেছে, স্টিমুলাস মানি দেওয়ার জন্য।

আপনি quantitative easing program এর ব্যাপারে কিছু না জানলে সেটা অন্য কথা।

সাধারন সময় চীন, জাপান হল আমেরিকান ট্রেজারী বিল এর প্রধান ক্রেতা... কিন্তু স্টিমুলাস বিল কিনছে না। সোট ফেডারাল রিজার্ভ 'বায়বীয়' ভাবে ই তৈরী করছে।

শুধু ডলার এর বৈশ্বিক শক্তির কারনেই ফেডারাল রিজার্ভ এটা করতে পারছে সেটা ঠিক না।

এখানে দেখুন

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: quantitative easing program-এর ব্যাপারে পেশাগত কারণে আমার না জানার কারণ নেই (কোবিদের আগেও ইউরোপ আমেরিকা জাপান quantitative easing প্রয়োগ করেছে, যা আমি আগ্রহ নিয়ে পড়েছি)। এছাড়া ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে ফেড পলিসি আমি বেশ নিবিড়ভাবে Janet L. Yellen-এর সময় থেকেই অনুসরণ করে আসছি। বর্তমানে যে ফেডারেল রিজার্ভ কিনছে এটিও জানা; কিন্তু নিজের জিনিস নিজে কেনা বা কিনতে বাধ্য হওয়া সমাধান নয়, বরং সমস্যা। আমেরিকার অনেক সিনেটরই এর সঙ্গে একমত নয়। আপনার সঙ্গে পরে সময় হলে বিশদ আলোচনা করা যাবে। তবে উপসংহারে বলা যায়, সরকারে হাতে স্টিমুলাস ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই, তবে শীঘ্রই এর উপসর্গ দেখা যাবে আমেরিকায়।

১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩০

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ।

এটা নিয়ে আর কোন আলোচনা করব না কিন্তু আমার প্রশ্নটা র একটা যুতসই (থিয়োরী সাপোর্টেড) উত্তর পেলাম না এখনও। অনান্য দেশ তার নিজের লোন নিজে কিনে স্টিমুলাস দিচ্ছে না কেন বা দিতে পারে কিনা?

২০| ২০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: চিন্তার কথা হচ্ছে যে, ভ্যাকসিনেশন হওয়াতে যদি সবাই আবার কাজ আরম্ভ করে - ইকনমি 'গরম' হতে বাধ্য আর তার সাথে স্টিমুলাস এর বায়বীয় মানি যোগ হয়ে লাগামহীন ইনফ্লেশন হওয়ার সমূহ সম্ভবনা কে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫১

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: আলামত ছালামত পোস্টে দেখেছি লাইক থাকে ১০ টা! এই পোস্টে একখানও লাইক নাই। লাইক দিতে আঙুলে ব্যাথা নাকি কার্পণ্যতা !

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.