নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে কুমোন (Kumon)

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

আজ সকালে খবরে দেখলাম যে জাপানের বিখ্যাত কুমোন পদ্ধতি এর বাচ্চাদের টিউটরিং সেন্টার বাংলাদেশে তাদের 'কোচিং সেন্টার' এর কাজ আরম্ভ করেছে। BRAC Center এর সাথে তাদের চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশে তাদের অপারেশন চালানোর জন্য।

কুমোন নিয়ে আমার উৎসাহ অনেকদিনের। এই কুমোন আমাদের পরিবারে যে পজিটিভ ইমপেক্ট রেখেছে তার কিছুটা বলার জন্যই এই পোস্ট....এখানে আমি কুমোন এর বিজ্ঞাপন করছি না কিন্তু আমি সব সময় তাদের পদ্ধতির এক জন স্ট্রং সাপোর্টার হিসাবে অন্যদের কে পরিচয় করে দিতে চাচ্ছি যাতে এর থেকে আমরা যে সুফল পেয়েছি, অন্যারা ও সেই সুফল টা পেতে পারেন।

আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে আমি একবার জাপানে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করি বাংলাদেশে এর প্রচার কিংবা সেন্টার খোলার জন্য কিন্তু তাদের উত্তর ছিল যে বাংলাদেশে তাদের পদ্ধতি এর কপিরাইট কেউ মানবে না, তাই তারা ইন্টারেস্টেড না (তারা মনে করে যে তাদের পড়ানোর ওয়ার্ক সিট- ফটোকপি করে অন্যরা অন্য নামে এই ব্যবসা করবে - কুমোন হয়ত সুমন নাম দিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করবে অথবা অভিভাবক রা অংকের ওয়ার্কসিট কে ফটোকপি করে নিজেদের মাঝে বিলি করবে- কেউ সেন্টারে তার বাচ্চা কে দিবে না)।
এখন কিভাবে তারা তাদের কপিরাইট রক্ষা করবে জানি না তবে রক্ষা করা জরুরী কেননা এর দেশ ব্যাপি পরিসর বাড়ানো একান্ত জরূরী।

যদিও এখন কিছু সাইট ইললিগ্যালি কুমোন এর ওয়ার্কসিট এর পিডিএফ সলিউশন বুক সহ আপলোড করা আছে। কিন্তু আমি দেখেছি, অনলাইন এর পিডিএফ অথবা অন্য পেরেন্ট এর থেকে ফটোকপি করে নিজের বাচ্চার জন্য ইউজ করার জন্য অনেকেই চেস্টা করেছে এবং করছেন কিন্তু নিজে নিজে রুটিন করে ওয়ার্কসিট কমপ্লিট হয় না..। যখন সেন্টার এ ভর্তি করা হয়, তখন একটা দায়বদ্ধতা থেকে ই রুটিন করে ওয়ার্কসিট কমপ্লিট করা হয় কেননা একটা লেভেল পর্যন্ত্য কমপ্লিট না করলে পরের লেভেলেই যাওয়া যায় না।

যদিও এটা একটা টিউটরিং সেন্টার, এখানে কোন টিউটর থাকে না...সব স্টুডেন্ট দের প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট করে অংক/ইংরেজীর ৭-৮ পাতার ওয়ার্ক সিট কমপ্লিট করতে হয়। প্রতিদিন করতে হয়। সপ্তাহে একদিন সেন্টারে গিয়ে সেই ওয়ার্কসিট জমা দিয়ে সেখানে কোন ভুল থাকলে তা চেক করে পরের সপ্তাহের ওয়ার্ক সিট আনতে হয়...এভাবেই ৩ বছর এর বাচ্চারা আরম্ভ করে 1 +1 =2; 2+ 2 = 4; 2+1=3 এরকম সিম্পল অংক দিয়ে
৫ থেকে ৬ সপ্তাহ ধরে এই একই যোগ অংক করতে হয় প্রতি দিন অনেক বাচ্চা হাপিয়ে উঠে এবং ছেড়ে দেয় পরের লেভেল এ আর যায় না। কিন্তু যারা লেগে থাকে তারা জানে যে এই একই জিনিস বার বার করতে করতে যে ব্রেইন যেভাবে সার্প হচ্ছে সেটা একদিনে কেউ বুঝতে পারে না ...আর রুটিন করে প্রতিদিন ৩০ মিনিট ধরে ওয়ার্কসিট কমপ্লিট করতে করতে পড়ালিখার যে একটা অভ্যাস হয়ে যায় সেটা পরবর্তি জীবনে ভীষন ভাবে উপকারি অভ্যাসে পরিনত হয়।

ধাপে ধাপে বাচ্চারা উপরের লেভেলে এর অংক করতে থাকে, আপনি যদি ৩ বছর এর বাচ্চা কে কুমোন এ ভর্তি করেন, তাহলে লেভেল অনুযায়ী অস্টম শ্রেনীর আগেই ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস এর ওয়ার্কসিট করবে। নিচে বাচ্চাদের একটা ওয়ার্কসিট এর ছবি দিলাম


আমরা যখন আমেরিকায় আসি পড়ালিখা করার জন্য, বাসা ভাড়া , বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ইত্যাদি দিতে পারতাম না সময় মত কিন্তু বাচচাদের কুমোন এর ১৪৫ ডলার এর ফি আমরা কখনই বন্ধ করে নাই শত কস্ট করে হলেই মাস শেষে ফি টা ঠিকই জমা দিতাম। ....আর তার সুফল হল, আমাদের মেয়ে এবং ছেলেই দুজনই বর্তমানে পৃথিবীর সেরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির চান্স পেয়েছে, সেই ড্রিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ভর্তি হওয়া তো দুরের কথা, ভর্তি এর অ্যাপ্লিকেশন করার ই সাহস ও 'যোগ্যতা' ছিল না।

এই কুমোন এর শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে হাইস্কুলে থাকতেই সব এপি (AP= Advanced Placement) কোর্স এ ৫/৫ নিয়ে শেষ করে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হাই স্কুল (গ্রেড ১২) এর এপি কোর্স গুলিতে যদি ৫/৫ থাকে, তাহলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে দেয়, এই সুযোগ এ এক বছর এর সমান বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্রেডিট হাই স্কুল থেকেই ট্রান্সফার হয়ে যাওয়াতে ৪ বছর এর প্রোগ্রাম তিন বছরেই শেষ করা যাচ্ছে, তাতে এক বছর টিউশন ফি এবং হলের খরচ বেচে যাচ্ছে।

আমাদের বাচ্চাদের দেখে আশেপাশের অনেক বাংগালী পরিবার তাদের বাচ্চাদেরও কে কুমোন এ দিয়েছিল, কিন্তু যে ডেডিকেশন, কমিটমেন্ট, এবং ডিসিপ্লিন লাগে এটাতে লেগে থাকতে, তার বড়ই অভাব.....৭ -৮ মাস যাওয়ার পরই প্রায় সবাই খ্যান্ত দিয়েছে।

যত ছোট বয়স থেকে এই রুটিন ওয়ার্ক এর টিউটরিং এ আপনার সন্তান কে দিবেন, তত বেশী ই আপনার সন্তান গড়ে উঠবে মডেল স্টুডেন্ট হিসাবে...আমি আশা করি বাংলাদেশ কুমোন শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক না হয়ে সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়ে....তবে তাদের ফি টা বাংলাদেশের অবস্হা অনুযায়ী নির্ধারন করা উচিত যাতে শুধু মাত্র ধনীদের সন্তান রাই না, সবার ই সন্তান রা যাতে এই সেন্টারে তাদের শিশুদের পড়ানো এর এবিলিটি অর্জন করতে পারে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,




অজানা কিন্তু ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: বাচ্চা রা এমন ভাবে গড়ে উঠে যে বাবা মাকে ক্লাশের পড়াশুনার জন্য আর কিছু বলতে হয় না

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার একটি বিশয় লিখেছেন যা এতদিন আমার অজানাই ছিলো।

ধন্যবাদ। +

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। এই পোস্ট এর সুবাধে আমার ব্যান টা এবার উঠানো যায় না?????

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: @কলাবাগান-১, ব্যান? আমিতো ভুলেই গিয়েছি ব্যান করার বিশয়টা এবং কিভাবে ব্যান মূক্ত করা যায় আমাকে বাততে দিলে খুব খুশী হয়ে ব্যান মুক্ত করতে চাই। :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার প্রফাইল পিকচার এর সাথে নিন্মমুখি এ্যারো তে ক্লিক করে কমেন্ট মডারেশন সিলেক্ট করুন, তারপর অন্যান্য তালিকা থেকে 'নিষিদ্ধ তালিকা' এ ক্লিক করুন, তারপর তালিকা থেকে যাকে নিরাপদ করতে চান, তাকে নিরাপদ বাটনে ক্লিক করুন।

আজ শনিবার অনেক রাত কিন্তু ঘড়ি কে এক ঘন্টা পিছানো হবে রাত দুটার সময় (ডে লাইট সেভিং শেষ আজকে), তাই এক ঘন্টা বেশী জেগে আছি...

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৪

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: নিজ দেশের খোঁজ খবর রাখেন?
দেশে লঞ্চ বাস গাড়ি চলছে না। আর আপনি আছেন ''কুমোন'' কিয়া আজিব!!!

এই জন্যই বাঙ্গালীদের আজ এই অবস্থা। মূলত আপনারাই দায়ী।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: কি নিয়ে লিখব?? পাড়ার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া মেয়ের বয়সী ছাত্রীর সাথে রেস্টুরেন্টে (লকডাউন এর সময়) বিরায়ানী খাওয়ার গল্প????

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপার সম্পর্কে তো একদমই ধারণা ছিল না । দেখি আরও কিছু পড়াশুনা করে ।
ব্যাপারটা পড়ে মনে হল যে এমন টা যদি শুরু করা যায় তাহলে আমাদের বাচ্চাদের ম্যাথের ভয় কাটানো সম্ভব ! অনেক দিন ধরে বাচ্চাদের পড়ানোর কাজের সাথে আমি যুক্ত তাই জানি তারা ম্যাথ আর ইংরেজিতে কতখানি ভয় পায় । মফস্বলে সেটার অবস্থা আরও ভয়ানক ! এই পদ্ধতিতে কী সে ম্যাথ কাটানো সম্ভব বলে মনে হচ্ছে !

পোস্টে প্লাস !

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯

কলাবাগান১ বলেছেন: এটা পরীক্ষিত পদ্ধতি...লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। ম্যাথে ভাল হলে, অন্য যেকোন বিষয়ে ভাল হতে আর বেশী কস্ট করতে হয় না...। ম্যাথ ব্রেইন ইজ দ্যা সার্পেস্ট ব্রেইন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: কয়েকজনে মিলে কুমোন এর ফ্রাইন্চাইজি কে কিনতে পারেন নিজের এলাকায় সেন্টার দেওয়ার জন্য। আমার ইচ্ছা অবসর জীবন এর সময় কুমোন সেন্টার কিনে রিটায়ার্ড লাইফ কাটানো।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের গ্রামে কুমোনের মতো পড়ালেখার ব্যবস্হা চালু সম্ভব।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: সম্ভব কিন্তু বাংগালীরা খুব সহজেই বোরড হয়ে যায়... একই ই কাজ বার বার করতে চায় না অনেক স্টুডেন্ট...বরং দেখেছি ফাকি দেওয়ার প্রবনতা (সলিউশন বই দেখে ওয়ার্কসিট কমপ্লিট করা)

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

জ্যাকেল বলেছেন: ভাল জিনিস বটে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ইয়েস ইনডিড...।

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি নিয়ে লিখব?? পাড়ার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া মেয়ের বয়সী ছাত্রীর সাথে রেস্টুরেন্টে (লকডাউন এর সময়) বিরায়ানী খাওয়ার গল্প????

আপনি কি খোচা না দিয়ে কথা বলতে পারেন না?
লেখার স্বাধীনতা আপনার আছে। আপনার যা মন চায় সেটাই আপনি লিখতে পারেন। তবে আমার কাছে ভালো লাগে, কেউ দেশের সমস্যা গুলো নিয়ে লিখলে।
আপনি কি আমাকে বুড়া মনে করেন? আমি বুড়া নই।
আমাদের এলাকার এক মেয়ে। আমার পরিচিত। সে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। হঠাত দেখা হয়ে গেছে। মেয়েটাও বাসায় ফিরছিল, আমিও বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। তাই দুজন একসাথে বাসায় ফিরলাম। এই তো। দুপুরবেলা ক্ষুধা লাগাটাই স্বাভাবিক। রেস্টুরেন্টে খেলে সমস্যা কি? মন কে পরিস্কাররাখতে পারলে- কোনো সমস্যা থাকার কথা না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার সাথে হঠাৎ ই দেখা হয় সব মেয়েদের সাথে!!!!! তবে সবই স্বপ্ন!!!!!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: "এই জন্যই বাঙ্গালীদের আজ এই অবস্থা। মূলত আপনারাই দায়ী।"
শিক্ষিত জাতি গঠনে কুমোন এর অবদান রাখার স্কোপ আছে, সেটা বলাতে বাংগালীদের কি এমন অবস্হা হয়েছে????? ফালতু কথা বলার আর জায়গা পান না........

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:২১

নগরবালক বলেছেন: রূহানের ক্লাশ ৮ এ পড়ে , তার বয়স ১৪ অথবা ১২। সে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যায় সকাল আটটায়। সকাল ১১ টায় টিফিন ব্রেক আধা ঘন্টা। তখন সে স্কুলের ভেতরের কেন্টিন থেকে সিংগারা কিনে খায় অথবা বাসা থেকে আনা খাবার খায়। স্কুল শেষ হয় দুপুর ২ টায়। তারপর সে স্কুলের পাশের দোকান থেকে বার্গার অথবা রোল কিনে খায় সাথে কোক। তার পরে সে যায় তার ক্লাশ টিচারের কাছে কোচিং করতে। এই কোচিং না করলে সে পরীক্ষায় ভাল করতে পারবে না । চারটা বাজে কোচিং শেষ হয় তারপরে সে বাসায় আসে। ক্লান্ত রূহান তখন একটু ঘুমায়। তারপরে তার ধর্ম শিক্ষক তাকে ধর্ম শিক্ষা দিতে বাসায় আসেন রুহান চোখ মুছতে মুছতে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসে। তিনি একঘন্টা পড়ান। তারপরে রূহান একটু টিভি দেখে অথবা গেমস খেলে। তারপরে তার রাতের শিক্ষক বাসায় আসেন। তাকে স্কুলের পড়া তৈরী করতে সাহায্য করেন।
ছোট্ট রূহানের এখন কুমনের খুব দরকার। কারন এত শিক্ষার পরেও তার কুমন ,উদ্ভাস, উজ্জ্বল, প্রগতি এসবের দরকার। স্কুলের শিক্ষার বাইরে এসব বাড়তি শিক্ষা দেখলে আমার খুব রাগ হয়। খুব রাগ হয় । এদেরকে কি আমরা মানুষ বানাচ্ছি নাকি ফার্মের মুরগী।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আমরাও ছেলে মেয়ে বড় করেছি..ক্লাশ থেকে ফিরে স্কুলের হোমওয়ার্ক (নিজে নিজে করা) আর কুমোন এর ওয়ার্কসিট কমপ্লিট করেই বড় হয়েছে এবং ভাল ভাবেই বড় হয়েছে (ফার্মের মুরগী হয় নাই)। কোনদিন কোন ধরনের গৃহশিক্ষক এর কোন দরকার হয় নাই...।

আপনাদের মত প্যারেন্ট যারা অন্যের উপর নিজের ছেলেমেয়ের শিক্ষাকে ছেড়ে দেন, তারা নিজেরাই তাদের ছেলেমেয়েদের কে ফার্মের মুরগী বানাচ্ছেন।

সার্কাজম করেই বাংগালী আত্মতৃপ্তি তে ভুগে...নিজে কোন দায় নেওয়ার চেয়ে অন্যকে ব্যাংগান্ত্মক ভাবে আক্রমন করতেই বাংগালীরা বেশী পারদর্শী।

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

নগরবালক বলেছেন: কেউ কেউ ফার্মের মুরগী তৈরী করাকেই মনে করে জীবনের সেরা সফলতা। বাচ্চা ফার্মের মুরগী হবে ১০ টা ৫ টা অফিস করবে এটাতেই জীবনের সকল স্বার্থকতা। কুমনের মতো আরো অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে। যেমন এলোহা। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চারা সেখানে স্কুলের পরে সপ্তাহে দুই একদিন যায় দেখেছি। তথাকথিত মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্তা আসলে কন্সটেন্ট দক্ষ শ্রমিক বের করার একটা পন্থা মাত্র।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: অন্য কোন বেটার শিক্ষাব্যবস্হা না আসা পর্যন্ত্য বর্তমান শিক্ষাব্যবস্হা এর ভিতর থেকে কিভাবে নিজের উন্নয়ন করা যায়, সেটাই চেস্টা করা উচিত

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৫

কালো যাদুকর বলেছেন: Kumon খুবই ভাল জিনিস। তবে কথা আছে ৷ লক্ষ রাখতে হবে স্টুডেন্টের সৃজনশীলতা যাতে ঠিক থাকে ৷
আমি অনেককে দেখেছি Kumon করে অংক তে ভাল করছে ৷ তবে ইনোভেটিভ থিকিংয়ের জন্য Kumon সাহায্য করে না। সেজন্য দরকার প্রচুর উঁচু ক্লাসের বই পড়া ৷Kumon খুবই ভাল জিনিস। তবে কথা আছে ৷ লক্ষ রাখতে হবে স্টুডেন্টের সৃজনশীলতা যাতে ঠিক থাকে ৷
আমি অনেককে দেখেছি Kumon করে অংক তে ভাল করছে ৷ তবে ইনোভেটিভ থিকিংয়ের জন্য Kumon সাহায্য করে না। সেজন্য দরকার প্রচুর উঁচু ক্লাসের বই পড়া ৷

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: কুমোন করলে ই যে স্টুডেন্টের সৃজনশীলতা 'কমে' যাবে তা কিন্তু নয় (আপনি তা সরাসরি বলেন নাই...আমি assume করলাম)। কুমোনকে খুব কাছ থেকে অবজার্ভ করেছি অনেক বছর এবং অনেক পরিবারের সন্তান দের এবং নিজের সন্তান দের ও কাছ থেকে দেখেছি যারা প্রায় সবাই SAT/GRE এর Aptitude বা ক্রিটিক্যাল থিন্কিং এ 99th percentile এ স্কোর করে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: সুন্দর পদ্ধতি, রেগ্যুলারিটি মেইনটেন করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রেগ্যুলারিটির অভাব মনোবিকাশের প্রধান অন্তরায়। নতুন একটা পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: জানতে পেরে আনন্দিত। নিজের সন্তানদের কে এই 'মেথড' থেকে বন্চিত করবেন না যেন।

১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩২

কালো যাদুকর বলেছেন: রাইট ৷ কুমোন সাহায্য করে৷ 'কোনভাবেই স্রজনসৃলতা তে বাধা প্রদান করে না ৷ তবে স্রজনসৃলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যও করেনা ৷ আমার ও সুযোগ হয়েছে কুমোনকে কাছে থেকে দেখার ৷ মনে হয়েছে যে, স্কিল কে অনেকটা মাসল মেমোরীতে পরিনত করে কুমোন ৷ যাইহোক এটা একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত ৷ আপনার সাথে নাও মিল হতে পারে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার কথার দ্বিমত করছি না...কুমোন সৃজনশীলতা বাড়ানোর সেন্টার না। কিন্তু সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য যে পারিবারিক পরিবেশের কথা আপনি বলেছেন সেটাতে ১০০% একমত। তবে আমার কাছে এই অনলাইন এর যুগে টেকনিক্যাল কমপেটেন্সী ইজ ভেরী ইমপোর্টেন্ট.... আগেই মন্তব্য করেছি যে এ্যা ম্যাথ ব্রেইন ইজ ওয়ান অফ দ্যা সার্পেস্ট ব্রেইনস

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কুমোন যেহেতু ব্রাকের সাথে চুক্তি করেছে আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশে কুমোনের প্রসার হবে। পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোস্ট।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: কুমোন তার নিজস্বতা বজায় রাখবে বাংলাদেশে এটাই আশা করি

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৩০

গরল বলেছেন: আমার মেয়েকেও কুমোনে দিয়েছি প্রায় ৭-৮ মাস হল। ওদের ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বেশী ভালো লাগছে না কারণ ওরা চেষ্টা করে একই জিনিষ বার বার করিয়ে মুখস্থ করে ফেলতে। একই জিনিষ যদি ঘুরে ফিরে ২০-৩০ বার করিয়ে ফেলে মুখস্থ না হয়ে উপায় নাই। আমার মেয়ে এখন গ্রেড ফোর এ এবং এক একটা শীট করতে ৮-১২ মিনিট সময় নেয়। অ্যাকুরেসি রেট বলতে গেলে ৯৯%। বছর খানেক দেখব তারপর বিবেচনা করে দেখব কি করা যায়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: এই ভুলটা করবেন না..।লেগে থাকুন, আখেরে ভাল হবে... এটা মুখস্হ না...এটা ব্রেইনে অবচেতন মনেই গেথে যাবে..।রিয়েল সিচুয়েশনে অন্য প্রবলেম ও অনায়াশে সলভ করতে পারবে..নিজের ছেলে-মেয়েদের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২০

সাসুম বলেছেন: আমার বাচ্চাকে দিতে চেয়েছিলাম বাট আমার ওয়াইফ হুট করে চেঞ্জ ট্রান্সফার হয় অন্য শহরে ফলে এখন আর পসিবল না, বাট আমি অনলাইন থেকে যতটা পারি চেষ্টা করি ইনফো আর ওয়ার্কশিট নিয়ে বাচ্চাকে শিখানোর জন্য।

সুন্দর জিনিষ লিখেছেন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: পারলে কুমোন সেন্টার এর ভর্তি করে দিবেন। প্রোগ্রামে থাকলে একটা দায়বদ্ধতা থেকে হোম ওয়ার্ক টা রুটিনলি করা হয় ...। আমরা দুজন ই ছেলে এবংনমেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে আর কোন চিন্তা করি না কেননা এই কুমোন প্রোগ্রাম ওদেরকে এমনভাবে তৈরী করে তুলেছে যে আমাদের ওদের পড়ালিখা নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হচ্ছে না...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.