![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল: এক অসাধারণ অভিযানের গল্প
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবুন, আজ আপনাকে ১৫-২০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। রাত হবে পাহাড়ের কোলে তাঁবুতে, খাওয়া-দাওয়া চলবে নিজের রান্না করা খাবারে, আর গোসল? সম্ভব হলে কোনো ঝর্ণা বা নদীতে। এমন একটা জীবন যদি কয়েক মাস চলতে থাকে? অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? কিন্তু আমেরিকায় প্রতিবছর শত শত মানুষ ঠিক এই কাজটাই করে — অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল (Appalachian Trail) হেঁটে শেষ করে
অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল কী?
অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল একটি দীর্ঘতম পদযাত্রা পথ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে জর্জিয়া (Georgia) অঙ্গরাজ্যের Springer Mountain থেকে শুরু হয়ে উত্তরদিকে মেইন (Maine) অঙ্গরাজ্যের Mount Katahdin পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ট্রেইলটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার (২,১৯০ মাইল)!
এই ট্রেইলটি পাড়ি দিতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ মাস সময় লাগে। একে বলা হয় "thru-hike", অর্থাৎ সম্পূর্ণ ট্রেইল একবারে হেঁটে পার হওয়া
তারা কোথায় ঘুমায়?
পথে ঘুমানোর জন্য হাইকাররা সাধারণত তাঁবু (tent) ব্যবহার করে। ট্রেইলের কিছু অংশে shelter বা কাঠের তৈরি ছোট কুটির আছে, যেখানে কয়েকজন একসাথে রাত কাটাতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ই প্রাকৃতিক পরিবেশে, গাছের ছায়ায় তাঁবু খাটিয়ে রাত কাটাতে হয়।
তারা কী খায়?
যেহেতু রেস্টুরেন্ট বা বাজার নেই মাঝখানে, তাই হাইকাররা সঙ্গে করে শুকনো খাবার নিয়ে চলে – যেমন পিনাট বাটার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, ওটমিল, শুকনো ফল ও বাদাম। মাঝে মাঝে ট্রেইলের পাশে ছোট শহর বা গ্রামে পৌঁছালে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করে নেয়া হয়।
তারা কীভাবে হেঁটে চলে?
প্রতিদিন গড়ে ২০ কিমি মতো হাঁটতে হয়। ট্রেইলটি পর্বতময় এবং নানা ধরনের আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় – কখনো তুষারে, কখনো কাদায়, আবার কখনো বৃষ্টিতে। কিন্তু এই অভিযাত্রায় প্রকৃতির সৌন্দর্য, নির্জনতা, এবং আত্ম-আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অসাধারণ।
কেন মানুষ এই কষ্টকর ট্রেইল পাড়ি দেয়?
অনেকেই মানসিক প্রশান্তির জন্য, কেউ নিজের সীমা পরিক্ষা করার জন্য আবার কেউ একেবারে "off-the-grid" জীবনযাপন করতে চায় বলেই এই যাত্রায় নামে। অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল অনেকের জন্য এক spiritual journey হয়ে ওঠে।
ছবি যা এই ট্রেইলের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে:
হাইকারদের জীবনযাপন
নিদ্রা: হাইকাররা সাধারণত তাঁবু বহন করে এবং ট্রেইলের নির্ধারিত শেল্টার বা ক্যাম্পসাইটে রাত কাটায়। কিছু স্থানে কাঠের তৈরি শেল্টারও পাওয়া যায়, যেখানে কয়েকজন একসাথে রাত কাটাতে পারে।
খাদ্য: পথে খাবারের দোকান না থাকায় হাইকাররা শুকনো খাবার যেমন ওটমিল, নুডলস, বাদাম ও শুকনো ফল বহন করে। মাঝে মাঝে ট্রেইলের পাশে ছোট শহর বা গ্রামে পৌঁছালে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করে নেয়।
হাঁটা: প্রতিদিন গড়ে ২০ কিমি মতো হাঁটতে হয়। ট্রেইলটি পর্বতময় এবং নানা ধরনের আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় – কখনো তুষারে, কখনো কাদায়, আবার কখনো বৃষ্টিতে। কিন্তু এই অভিযাত্রায় প্রকৃতির সৌন্দর্য, নির্জনতা, এবং আত্ম-আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অসাধারণ।
এই ট্রেইলটি প্রকৃতি প্রেমী ও অভিযাত্রীদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আপনি যদি প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটাতে চান, তবে অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
আমার পরিচিত দুজনকে চিনি যারা কাজ থেকে বছর খানিক ছুটি নিয়ে এই ট্রেইল পাড়ি দিয়েছিলেন....। অনেক বছর আগে ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়াতে 'ভ্রমন' এর সময় এই ট্রেইল এর কিছু অংশে হাইকিং করেছিলাম...কিছুক্ষন পর পর ই কাধে বিরাট বিরাট ব্যাগ/টেন্ট নিয়ে দলবদ্ধ লোকজন/একাকী/যুগল লোকদের সেই ট্রেইল ধরে হাটতে দেখেছিলাম।
সোর্স: চ্যfট জিপিটি
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: আজ বাসায় ফিরার পথে রেডিও তে একজনের গল্প শুনছিলাম সে কিভাবে সকল চাকরি ছেড়ে জীবন বুঝার জন্য এই সব ট্রেইলে ট্রেইলেই জীবন কাটাচ্ছে.।অদ্ভুত জীবন...পথে পথে ছবি তুলে সেটা বিক্রি করেই জীবন চলে যাচ্ছে
বাংগালী র কাছে এগুলি পাগলামো....তারা ব্যস্ত কোন নারীর চুল দেখা যাচ্ছে, নারী কেন বাসার বাহিরে... কে হবে গনিমতের মাল, সাত আসমান উপর কোন আসমান এসব নিয়ে দুনিয়াবি চিন্তা.... এসব এর হিসাব মিলাতেই ব্যস্ত। মতের মিল না হলেই মব জাস্টিস...। এর ধর এর মারো...ট্রেইলে যাবার সময় কোথায়...অন্য দিকে অন্যরা পৃথিবী থেকে বসে মংগল গ্রহে গাড়ী চালাচ্ছে....
২| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
ইলুসন বলেছেন: দারুণ পোস্ট। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: জীবনকে উপলব্ধি করার দারুন অভিজ্ঞতা
৩| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো। মানসিক প্রশান্তির জন্য হাটুক, ঝর্নার পানিতে স্নান করুক। কিন্তু পায়খানা পেলে কি করে?
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
কলাবাগান১ বলেছেন: নোয়াখালীর লোকজন এর কাছ থেকে এমন ধরন এর প্রশ্ন আশা করি কিন্তু আপনার মত লোকেরাও!!!!!!!
সব ব্যবস্হা ই আছে পথে পথে..। ছোট ছোট কটেজআছে পথে পথে হাইকারদের বিশ্রাম এর জন্য। আর পুরা পথ টাই হল ঘন বন/পাহাড়...সাথে টিস্যু পেপার থাকলেই হল
৪| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
কালো যাদুকর বলেছেন: আমি এ রকম একটি হাইকে যাওয়ার কথা ভাবছি, অনেকদিন ধরে। তবে আমি ৭ দিনের জন্য চেষ্টা করবো। প্রতিদিন ১৫ মাইল করে। এধরনের হাইকে গেলে মানসিক প্রশান্তি আসে, কনফিডেন্স বারে।
আমি এপালাচিয়ান ট্রেইল নিয়ে একটা মুভি দেখেছিলাম। বাবা ছেলে ওই হাইকে যায়,এবং একটি পারিবারিক টানাপোড়ন এই মুভিতে দেখানো হয়।
ধন্যবাদ।
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
কলাবাগান১ বলেছেন: আমি অনেক বছর নর্থ ক্যারোলাইনা তে থেকেছি, তখন প্রাই মাউন্টেনে যাওয়া হত। রকি মাউন্টেন এর চিমনি রক (ফেমাস কেননা the last of the Mohicans মুভির শুটিং হয়েছিল এখানে) কয়েকবার গিয়েছি চমৎকার যায়গা
৫| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯
মুনতাসির বলেছেন: কিছু্ও পাইতে হলে কিছু ছাড়তে হয়। সিয়াটল থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি তে সাইকেলে ভ্রমণ করার জন্যও আমাকে অনেক কিছু ছাড়তে হয়েছিল। কে কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিবে, সেটা একটা ব্যপার। ভার্জিনিয়া থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি এর রাস্তায় যথেষ্ট পাহাড় পরে যা অনেকটাই এপেলাসিয়ান এর মতন আবার পশ্চিমের আইডাহো, মন্টনার থেকে আলাদা।
রাজীব নুরের জন্যে : পায়খানা আসলে সময় করে চাপে। যেমন দৈনন্দিন জীবনে মাঝে মাঝে হুট করে আমাদের পায়খানা চাপে যে না, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বডি ক্লকের সাথে তাল মিলিয়ে পায়খানা চাপে। তাই যখন আপনি লম্বা ট্রেকিং এ যাবেন, তখন শরীর ঠিক সে ভাবে মানিয়ে নেয়। এর ব্যতয় ঘটে। মানুষ তো। তখন জঙ্গল ছাড়া উপায় থাকে না। যেমন রাজস্থানে পায়খানা করতে আমাদের প্রায়শই ঝোপঝাড় খুজতে হয়েছিল। পাবলিক টয়লেট এর ব্যপারটা সেখানে তেমন পাওয়া যায়নি। তবে আমেরিকা বা উন্নত দেশগুলোতে যদি সেখানে রাস্তা থাকে বা পার্ক থাকে, সেখানে বিরতী নেয়ার স্থানে টয়লেট পাওয়া যায়। এটা আমার ১৪০০০ কিলো মিটার সাইকেল ভ্রমণের অভিঞ্জতা শুধু উত্তর আমেরিকায়।
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার চমৎকার অভিজ্ঞতা...তবে ভার্জিনিয়া/ডিসি/ম্যারিল্যান্ড এর এলাকায় থাকার সুবাধে, নানান মাউন্টেন, কেইভ, ট্রেকিং, হাইকিং করার সুবিধা পাচ্ছি....। বাড়ীর পিছনেই দিনের বেলাও প্রায় অন্ধকার থাকে এমন ঘন জংগল এর ভিতর দিয়ে হাটার জন্য মাইল তিনেক লম্বা চমৎকার ট্রেইল তৈরী করা আছে..।প্রায়ই পুরা পরিবার সহ সেখানে হাটা হয়, তবে ভয়ে থাকি মাঝে মাঝে ভালুক খাবার এর লোভে লোকালয়ে এসে পরে....
৬| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমেরিকার জর্জিয়া থেকে মেইন পর্যন্ত বিস্তৃত ৩,৫০০ কিমি দীর্ঘ অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল যে বিশ্বের দীর্ঘতম পদযাত্রা পথগুলোর একটি এটা জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫-৭ মাসের দীর্ঘ এই ট্রেইল ভ্রমনে হাইকারদের দৈনিক গড়ে ২০ কিমি হাঁটতে হয়, রাতে ঘুমাতে হয় তাঁবুতে এবং খেতে হয় শুকনো খাবার - সব মিলিয়ে অন্যরকম অনুভূতিতে ভরপুর এক সফর।
প্রকৃতির মাঝে একাকীত্বকে উপভোগ করা এবং আত্ম-আবিষ্কারের এই যাত্রা অনেকের কাছে হয়ে ওঠে এক ধরণের আত্মিক অভিজ্ঞতা।
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ধর্মীয় উন্মাদনা, জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক উন্মাদনা, মব জাস্টিস, এর মার .এর ধর.... এসব করার থেকে একাকী ৬-৭ মাস হাটা অনেক শ্রেয়
৭| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
মুনতাসির বলেছেন: কন্টিনেন্টাল ডিভাইড ট্রেইল বলে একটা ট্রেল আছে। এটার একটা অংশ হলো ইউকন টু ইয়োলোস্টন। কিছু মানুষ আছেন যারা সাইক্লিং করেন ডিভাইড ধরে। আইডাহো, মন্টনা আর ওয়াইওমিং এ দেখা হয়েছিল দুই জনের সাথে। আমার সাইকেলের এক ব্যাগে যা ছিল তাদের সাথে তার থেকেও কম জিনিসপত্র দেখেছি।
লম্বা ধরনের অভিযানে অভ্যাসগত ভাবে আমরা বেশ নাজুক। আমাদের অনেক কিছু লাগে। বিশেষত খাবারে। একটা এনার্জি বার খেয়ে ৮ ঘন্টা থাকা, আমাদের জন্যে কঠিন।
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার চমৎকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখতে থাকুন...বাংগালীর কাছে খাওয়া-দাওয়া হল জীবন এর একটা বিরাট অংশ। এই জন্যই বিয়ে বাড়ীতে দেখা যায় বরপক্ষ/কন্যা পক্ষের মারামারি খাওয়া নিয়ে...দু:খিত যে আমি এভাবে বলছি...বিদেশী দের দেখে শিখিছি জীবন এর কোন টা বেশী মূল্যবান....আপনি আমেরিকায় পড়তে এসে যদি শয়নে স্বপনে স্বপ্ন দেখেন যে একদিন হোয়াইট হাউসের মাথায় কলেমা লিখা পতাকা উড়বে, তখন বুঝা যায় লক্ষ্য কোথায়.........।
৮| ০১ লা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
দেশ অবস্হা কি, ইহা থেকে বের হওয়াার উপায় কি?
০১ লা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: বিনপি-আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৮:১০
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আরে কি যে বলেন না @ কলাবাগান! আপ্যালাশিয়ান ট্রেইল কোনো ব্যাপার নাকি।
এই যে ভেতো বাঙালি হররোজ সকাল বেলা উঠেই বৌয়ের মুখ ঝামটা খেয়ে লুঙ্গির উপর দিয়া শুঁটকো পাছা খাউজাইতে খাউজাইতে টঙের দোকানে এক কাপ চা নিয়ে বইসা, রাজা-উজির মাইরা আপামর জনসাধারণকে ধন্য করে, এইটা কি কোনো অংশে কম?
এই সিডেড মূর্খগুলি জানে না; দুনিয়াতে এমন কোনো ব্যাপার আছে নাকি! বাংলাদেশের নিরানব্বই শতাংশ মানুষ ভিতরগতভাবে কতটুকু মূর্খ, এই প্লাটফর্মে আসলেই মোটামুটি একটা ধারণা হয়ে যায়।