নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের অর্থনীতিতে হরতালের কু-প্রভাব

সামহয়ারের আমি একজন নিয়মিত পাঠক। এই প্রথম কোন নিক খুলে লিখতে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

সত্য কথায় যত দোষ !

সামহয়ারের আমি একজন নিয়মিত পাঠক। এই প্রথম কোন নিক খুলে লিখতে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

সত্য কথায় যত দোষ ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে পড়ে সেই পুরানো দিনের কথা;;;;

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

অনেকদিন পরে কারমাইকেল কলেজের চূড়াটা খবরের কাগজে দেখে মনটা এক বিষন্নতায় ভরে গেল। মনে হল আমার ধড়টা এখানে অসাড় হয়ে পড়ে আছে আর মনটা চলে গেছে ওখানে। অবারিত সবুজ আর সারি সারি ইউক্লিপটাস গাছের মাঝে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে কত ভালইনা লাগত। সেই ছোট ছোট মেহগনি গাছের চারা গুলো নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়ে গেছে; জানিনা হয়তো সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে পুরা ক্যাম্পাস। নতুন নতুন ছাত্র ছাত্রীর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে আছে সর্বক্ষণ। পিছন ফিরে তাকালে চোখে ভেসে ওঠে...............



মহিলা হোস্টেলের দুষ্টু মেয়েদের ক্ষেত থেকে আলু চুরি করে রান্না করা আর ছেলেদের কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার সেই অনাবিল আনন্দের দিনগুলোর কথা। সেই দিনগুলো কি আর কোন দিন ফিরে আসবে? জানি আসবে না, তবুও স্মৃতি চরণ করে আনন্দ পাই, বেজায় আনন্দ। এমনই একদিনের ঘটনা;

আমি ছিলাম কাঁঠাল চোর বন্ধুদের সর্দার। সন্ধা হলে চার পাঁচ জনের একটা বেপরোয়া টিম নিয়ে ক্যাম্পাসের সব থেকে বড় কাঁঠাল চুরি করতে। একরাতে বস্তায় পুরে পনের বিশটি কাঁঠাল চুরি করে খাটের নীচে রেখে দিতাম। খাটের নীচে সর্বদা কাঁঠালের স্টক থাকত। কাঁচা কাঁঠাল পাকতে সাধারণত দুই তিনদিন সময় লাগত; তবে পাকা শুরু হলে এক সাথে চার পাঁচটা পেকে যেত। আমি ছিলাম বিখ্যাত কাঁঠাল খাদক, প্রতিদন্দি হিসাবে পেয়ে গেলাম বাদশাকে। বাদশা যেমন ছিল নামে ঠিক তেমন ছিল কামে। আফ্রিকার এমব্রোসের মতো দেখতে যে বাদশা তার সাথে টক্কর লাগানো চারটিখানি কথা না। একমাত্র হিম্মতওয়ালা ছাড়া বাদশাকে পেছনে ফেলার কথা কেউ ভাবত না।



শুরু হল আমাদের মাঝে কাঁঠাল খাওয়ার প্রতিযোগীতা। আমি কাঁঠালের বিচির সাথে জড়িয়ে থাকা কালো আঁশ ফেলে ধীরে ধীরে খেয়ে চললাম। বাদশার সেই সময়টুকু ছিল না, আমাকে টক্কর মারতে অনর্গল কাঁঠালের কোয়া মুখে পুরে আর কুলের আঠি ফেলার মতো বিচি ফেলে দেয়। চোখের পলকে ওর সামনে বিচির পাহাড় জমে গেল। সবার চোখ তখন ওর দিকে কারন ওই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন। আমি কচ্ছপের গতিতে খেয়ে চলেছি। ওকে দেখে হাসি পাচ্ছে। এমন জঙ্গি খাদক আমি পূর্বে কখনো দেখি নাই।



একটা কাঁঠাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ বাদশা থেমে গেল, মুখটা ক্যামন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে কারন ওর ভিতর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে অলরেডি। কাঁঠালের বিচির সাথে লেগে থাকা কালো পর্দা যে ব্যাটা খাবে তার কপালে নির্ঘাত দুঃখ আছে। আমি খেয়েই চললাম, বাদশা বমি করার জন্য উঠে গেল। প্রচন্ড পেট ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে বাদশার। বন্ধুরা হাসাহাসি করছে বাহাদুরের রণেভঙ্গ দেবার দৃশ্য দেখে। অবশেষে টপকে গেল বাদশার বিচির পাহাড়। সবাই আমাকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ানের খেতাব দিল।



আহ সেই দিনের কথা মনে পড়লে দু চোখ গড়িয়ে পানি ঝরে পড়ে। বুকের মাঝে একটা ঘন্টা হাতুড়ি পেটানো শব্দে ঢং ঢং করে.........................।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.