নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্যানপুর

কল্যানপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবরের আযাব ও আমার কিছু প্রশ্ন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭





কবর সম্পর্কে আমরা আলেমদের নিকট থেকে যেসমস্ত কথা শুনে থাকিঃ
লাশকে কবর দেওয়ার পর মুনকার নাকীর নামক দুজন ফেরেশতা কবরে গিয়ে লাশকে জীবিত করবে । এরপর মৃত ব্যাক্তিকে তারা নিম্নের ৩টি প্রশ্ন করবেঃ
১। তোমার রব কে?
২। তোমার দ্বীন/ধর্ম কি ছিল ?
৩। ( রাসূল স. এর ছবি দেখিয়ে বলবে ) এই ব্যাক্তি কে ?
যে ব্যাক্তি এ ৩টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে সেই ব্যাক্তির জন্য জান্নাত এবং যে উত্তর ‍দিতে পারবে না তার জন্য কবরে জাহান্নামের ব্যবস্থা করা হবে । কবরের আযাব সম্পর্কিত ২টি হাদীসঃ
-একদা নবি (সা) বিকাল বেলা ভ্রমণে বের হলেন। পথিমধ্যে এক প্রকার শব্দ শুনে বললেন, এক ইহুদিকে কবরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে (ইহা উহারই শব্দ)। [ দ্র: বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ প্রকাশ, শায়খ আজিজুল হক; পৃ: ৩৫২]
-একদা নবি (সা) একটি বাগানের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তথায় তিনি ২টি কবরের মধ্য থেকে কবরবাসীদের বিকট চীতকার শুনতে পান। তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। তিনি বললেন, কবরবাসীদের আজাব দেয়া হচ্ছে; তা যদিও কোন কঠিন কাজের জন্য নহে, তবে গোনাহ অতি বড় (কবিরা) ছিল। এক ব্যক্তি প্রস্রাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতো না। ২য় ব্যক্তি চোগলখুরী করতো এই বলে তিনি একটি খেজুরের ডালা দুই খন্ড করে দুই কবরে গেড়ে দিলেন। এক ব্যক্তি বল্লো: এরূপ কেন করলেন? হযরত (সা) উত্তর দিলেন, আমি আশা করি ডালা ২টি শুক্না না হওয়া পর্যন্ত তাদের আজাব আল্লাহর তরফ থেকে লাঘব করা হবে। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ প্রকাশ, শায়খ আজিজুল হক; পৃ: ১৩৭]
হাদীস দুটি দ্বারা বুঝা যাচ্ছে লাশকে যেখানে কবর দেওয়া হয় সেখানেই মৃত ব্যক্তির আযাব হয় ।

আমার প্রশ্নসমূহঃ
১। কেয়ামতের পর হাশরের মাঠে আল্লাহ মানুষের বিচার করে কারা জান্নাতে যাবে আর কারা জাহান্নামে যাবে তা ঠিক করবেন । বিচারের আগেই জান্নাত জাহান্নামের ব্যবস্থা, এটি কি ঠিক ?
২। যারা কবর থেকে লাশ উঠিয়েছেন / উঠাতে দেখেছেন তারা কি কখনো জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্ব পেয়েছেন ?
৩। লাশ কবর দেওয়ার কয়েক মাস পর কঙ্কাল ছাড়া আর কিছু থাকে ? সেখানে জান্নাত জাহান্নাম পাবেন ?
৪। যাদের লাশ পোড়ানো হয় কিংবা যাদের লাশ মেডিকেলে দান করা হয়, তাদেরকে কবরে কিভাবে জীবিত করবে মুনকার নাকীর ফেরেশতারা ? (একদিন রাছুল (সা) বক্তৃতা করতে দাঁড়িয়ে কবরের মানুষকে যে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে, সে সম্পর্কে বর্ণনা দেন। যখন তিনি বর্ণনা দিলেন তখন কবরের আজাবের ভয়াবহতা শুনে মুসলমানগণ চীতকার করে উঠলেন।-অতঃপর তাকে (কবরের মধ্যে লোহার গুর্জ দ্বারা ভীষণ আঘাত করা হবে; ঐ গুর্জ দ্বারা পাহাড়কে আঘাত করলে উহা বালুকা স্তুপে পরিণত হতো) আঘাতের চোটে সে এতবড় চীতকার করবে, যা তার আশ-পাশের সকলে (বরং দুনিয়ার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সকলেই) শুনতে পাওয়ার যোগ্য। অবশ্য মানুষ ও জ্বীন জাতি তা শুণে না-। [বোখারী, ১ম খ. ১২ প্রকাশ, শায়খ আজিজুল হক; পৃ: ৩৫০-৩৫২])
৫। হাদীস অনুযায়ি মানুষ ও জ্বীন ছাড়া অন্যান্য প্রাণিরা কবরের আযাব টের পায় । আপনি কয়েকটি গরু ছাগলকে অনেকগুলো কবরের কাছে নিয়ে যান আর দেখুন কিছু টের পায় কিনা ?

যারা বলবেন লাশ নয় মৃত্যুর পর কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আত্মার জন্য জান্নাত জাহান্নাম, তাদের প্রতি আমার প্রশ্নঃ
১। হাশরের বিচারের পূর্বে জান্নাত জাহান্নামের ব্যবস্থা করা হলে আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা থাকল কোথায় ? নাকি একই কাজের দুই বার বিচার হবে ?
২।আপনি কি কবরে মুনকার নাকীর কর্তৃক লাশ জীবিত করার কাহীনি বিশ্বাস করেন ? করলে কিভাবে করেন ? না করলে, মৃত্যুর পর কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আত্মার জান্নাত জাহান্নামের ব্যবস্থা কিভাবে হবে বলে আপনার বিশ্বাস ?
৩। এক্ষেত্রে যেসব হাদীসে কবরে লাশ জীবিত করার কথা বলা হয়েছে সেসকল হাদীসকে আপনি অস্বীকার করলেন না ?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

মৌমুমু বলেছেন: ব্লগার কল্যানপুর, জানিনা আপনি মুসলিম নাকি অন্য ধর্মের। তবে এটাই বলবো যে, এই উত্তরগুলো জানার জন্য
আপনাকে কোরআন শরীফের বাংলা অনুবাদ পড়া উচিত অথবা সহীহ্ বুখারি শরীফ। ধর্ম অনেক সেনসিটিভ ব্যাপার। কিছু মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাওয়া হয়তো সম্ভব নাও হতে পারে। আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করলে আল্লাহ্ র সব বিধান ও নবীর সব কথা ও কর্মকেও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
আপনার জন্য শুভকামনা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

কল্যানপুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগার হানিফ ঢাকার এই লেখাটি পড়ুনঃ THERE IS NO LIFE IN GRAVE- NOR ANY PUNISHMENT IN GRAVE

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

আশাবাদী অধম বলেছেন: মি. কল্যাণপুর, আপনি ইতিপূর্বেও এই পোস্ট প্রসব করিয়াছিলেন। খুঁজতে যেয়ে দেখলাম আগের পোস্টগুলো মুছে দিয়েছেন।
এতদিনেও আপনার চুলকানির উপশম হয় নাই দেখিয়া বড়ই দুঃখিত হইলাম।

অট: ব্লগার হানিফঢাকা কি আপনার পরিচিত নাকি? উনি ব্লগার আশাবাদী অধমের গদাম খেয়ে যেই ব্লগ ছেড়ে পালিয়েছেন আর ফিরে আসেন নি। আমার পক্ষ থেকে তার নিকট দাওয়াত পৌঁছে দিবেন।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

কাউয়ার জাত বলেছেন: শালা ব্লগ ভরিয়া গেল হরিদাস পালে।


২।আপনি কি কবরে মুনকার নাকীর কর্তৃক লাশ জীবিত করার কাহীনি বিশ্বাস করেন ? করলে কিভাবে করেন ? না করলে, মৃত্যুর পর কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আত্মার জান্নাত জাহান্নামের ব্যবস্থা কিভাবে হবে বলে আপনার বিশ্বাস ?

তের হাত লম্বা প্রশ্ন। রাস্তায় নামেন। দ্যাখেন সক্রেটিসকে কোথাও খুঁজে পান কিনা। আজাইরা কামে সময় দেয়ার মত আর কাউকে পাবেন বলে মনে হয় না।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

হাসান৭৮৬ বলেছেন: বিশ্বাস এর নাম ঈমান ...তবে আপনার আরোও কিছু জানার দরকার আছে..? ভালভাবে না জেনে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে এরুপ বলা টা ঠিক হয়নি! ভালো কোনো আলেম এর সাথে বসুন, আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আর সবার কবরে যে হাড় পাওয়া গেছে এমন নয় অনেক সাহাবীগণ এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কবরে তাদের কে যেভাবে দাফন করা হয়েছে, সেইভাবে পাওয়া গেছে ...।
সুতরাং ইসলাম যুক্তি দিয়ে চলে না! কুরআন এবং হাদিসের মাধ্যমেই ইসলাম চলে ...

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব প্রমাণ দিয়ে দিলে তো আর কেউ অমুসলমান থাকবে না ব্রো...

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই আপনি আগে যথাযথ সঠিক ভাবে ইসলাম সম্পর্কে, কুরআন, হাদীস জানুন।
তারপর কথা বলুন, এখানে অনেক তথ্যই সঠিক ভাবে আপনি দেন নাই, হয়তো আপনি সঠিক জানেন না।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শোভন১ বলেছেন: এখানে অনেকেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানার উপদেশ দিচ্ছেন। যারা উপদেশ দিচ্ছেন, ধরে নেয়া যায় তারা নিজেরা নিশ্চই ভালোভাবে জেনেই উপদেশটা দিচ্ছেন কারন তারা নিজেরা "সঠিক ভাবে" জানতে পেরেছে নিজেরা কাজটা করে। কাজেই তাদের উত্তর দিতে পারা উচিৎ... উত্তর দিতে পারলে দিবেন না পারলে দিবেনা, উপদেশতো কেউ এখানে শুনতে চায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.