কল্পিত স্বর্গে নরকবাস

০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৮

আজ রাতে আমাদের কফি হাউস থেকে ফেরার পথে কর্নে আবার একজোড়া কপোত-কপতীর কথোপকথন, কিন্তু এবারের বিষয় একটু ঝামেলাযুক্ত।এবার মূল কাহিনীতে আসি,নায়ক-নায়িকা কিছুদূর হেটে আসার পর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বান্ধবীর উদ্দ্যেশে মেয়েঃদোস্ত তুই এভাবে একা দাড়িয়ে থাকবি?তুই চাইলে আমাদের সাথে আসতে পার।
ছেলেঃহ্যা আপনি একা থাকবেন কেন, আমরা এক সাথেই গল্প করি..যদিও আমার পরবর্তী বক্তব্য এই দুটি মন্তব্য নিয়েই। প্রথমদিকে অর্থাৎ কুসুম কুসুম প্রেমের প্রেমিক -প্রেমিকার সাক্ষাত একটু ঝামেলাময় রোমান্সকর হয়।মারাত্মক ঝামেলাগুলোর দিকে না যাই,একটা পিপড়ে ঝামেলার কথা বলি,কমবেশি রাজকন্যারাই তাদের রাজপুত্রের সাথে প্রারম্ভিক দিকে শুভদৃষ্টি অথবা শুভদৃষ্টিপরবর্তী সময় লজ্জায় কিংবা ভয়ে জানা নেই, সেরা বান্ধবীকে সাথে করে নিয়ে যায়।তবে প্রেমিকার বান্ধবী যদি অধিক সুন্দরী হয় সেই ধারায় ব্যাপারটা প্রেমিকের চোখে মধু মধু বলে বিবেচিত হয়।তবে বান্ধবী যদি সুন্দরী না হয়ে একটু অলক্ষ্মী ধরনের কেউ হয় তাহলে প্রেমিকের মধুর চোখের রাঙানি তার প্রিয়তমার উপর গিয়েই পরে।(আমাদের ভিতরে আবার ওর আসার কি দরকার)পূর্বের কথায় আর একবার ফিরে যাই,নিজের থেকে বেশি আকর্ষানীয়া বান্ধবী থাকার কারনবশত অগনিত নারীর সাজানো ফুলের বাগানের ফুটন্ত তথা প্রতিটা ফুলের কুড়ি ভস্ম হয়ে যায়।চোখ মেলে দেখতে হয় তার স্বপ্ন কিভাবে তারই বন্ধুত্বের আচলে বাধা পরেছে।বিধবা হয়না নারী কেবলই স্বামীর মরনে,স্বামীর বিপথগমনেও নারী বিধবা মনে প্রানে।পার্থক্যটা শুধুই সাদা কাপড়ের।কথা হল এককভাবে একপক্ষীয় কথা যেহেতু বেমানান তাই কথাগুলি ভাইস-ভার্সা করে দিলে পুরুষজাতিরও কেবলি সাদা কাপড়ের অভাব।আর এইসব ঘটনার যার স্বীকার, যারা এই কল্পিত স্বর্গে নরকবাসের পরও আত্নহত্যা করেননি,সেইসব মানব-মানবীদের বুকচাপা কান্নার জল এক হলে মুষলধারায় যে বর্ষন নামবে তার আগেই যেন....লাইলি-মজনু,শিরি-ফরহাদরা আরও একবার ফিরে আসে....

০ টি +০/-০