নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কবি। কবিতা লিখি আর মানুষের সুন্দর কবিতা গুলো দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাই হই।

রুবাইয়াত নেওয়াজ

কবিতা লিখি গান গাই মাঝে মাঝে গীটার বাজাই

রুবাইয়াত নেওয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

ছোটবেলা থেকেই তার আকাশ ভালো লাগে। মা বলত ছোটবেলায় নাকি ঘুমানোর সময় জানালার ফাকা দিয়ে এক চিলতে আকাশ টুকু দেখেই সে ঘুমাতো। সেই ছোটবেলার ভালোলাগা এখনোও তাকে ঘিরে রাখে। আকাশটাকে দেখলেই মনটা উদাস হয়ে যায়। অন্যসব মেয়েদের মত তার মনেও ছোটবেলা থেকে এক ঘোড়ায় বসে থাকা এক রাজপুত্রের ঘোলাটে ছবি ছিল। হয়তো কারও কথা, কারও হাসি অথবা তাকানোর সাথে নিজের মনের অজান্তেই সে তার মনের ছবির তুলনা করত। ভেবে নিত তার মনের রাজপুত্রের সাথে সামনের মানুষটির ঠিক কত টুকু মিল। যারা কাছা কাছি তাদের সাথে হয়তো একটা সময় বন্ধুত্ব হত, কথা হত কিন্তু যতই দিন যেত সে বুঝতে পারত তার রাজপুত্রের সাথে মানুষগুলোর কত অমিল। এভাবে করে ঠিক মনের মানুষটিকে কখনই পায় নি। আর তাকে পায়নি বলেই কখনও নিজের মনটাকেও বেধে দিতে পারে নি কারও সাথে।



এই আকাশ, বৃষ্টি, সবুজ প্রকৃতিই তার ভালোলাগা ভালোবাসা, আর বুকের মাঝে সেই রাজপুত্রের ঘোলা ছবি। এভাবে দিন চলে যায় মাস চলে যায়। সে বেড়ে ওঠে। প্রকৃতি অকৃপণ হাতে তার রূ্পের ভান্ডার তুলে দেয় মেয়েটির মাঝে। আসে পাশে কত চোখ মেয়েটির চোখের এক পলক দৃষ্টির জন্যে হাহাকার করে, একপলক শুধু একটা চাহুনীর জন্যে। কিন্তু মেয়েটির সে দিকে মন নেই। সে থাকে তার মত করে।



ইউনিভার্সিটিতে পড়বার সময় সাহসী কিছু ছোকড়া তাকে নানা ভাবে মনের ভাব বোঝাতে চেষ্টা চালালেও সে যেন বুঝেও বোঝে নি। এড়িয়ে গিয়েছে সব গুলো হাত। আর মনে মনে খুজতে থেকেছে তার সেই রাজপুত্র কে। তারপর এখন তো কর্মক্ষেত্র। কাজে কর্মে তার নৈপুণ্যের প্রশংসাতেও তার সহকর্মিরা পঞ্চমুখ।



একটা মাল্টি ন্যাশনাল ইঞ্জিনীয়ারিং ফার্মে সে কাজ করে, ইন্টার্ন হিসেবে জয়েন করার পর কাজ আর মেধার জোড়ে আজ সেখানে খুব ভালো একটা পজিশানে নিজেকে নিয়ে গেছে। আগেই বলেছি তার সহকর্মিরাও তাকে খুব পছন্দ করে। সেও নিজেকে কাজে ব্যাস্ত করে ফেলেছে। খুব বেশী সময় করে আকাশ দেখা হয় না এখন। তাও সুযোগ পেলেই আকাশে তাকায়। বৃষ্টি হলেই নিজেকে একটু ভিজিয়ে নেয় তাতে।



এমন এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় সে অফিসের গেটে দাঁড়ানো, মন একটু খারাপ। মাত্রই জ্বর থেকে উঠেছে এ অবস্থায় ভিজে বাড়ি ফিরলে মা আস্ত রাখবে না। দাঁড়িয়ে আছে খালি কোন রিক্সার অপেক্ষায়। হঠাত তার অফিসেরই একজন ছেলে পাশে এসে দাড়ালো। ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে কোম্পানী তে কাজ করে, বেশীর ভাগ সময় বাইরেই থাকে অফিসের। আর চেহারায় ক্ষেপা ক্ষেপা ভাব। কখনও কথা বলা হয় নি, ইচ্ছাও করে নি। চোখের কোনা দিয়ে দেখল একটু, ইস কী বাজে পোষাক, হাতে জ্বলন্ত সীগারেট। চোখের দৃষ্টি উদ্ধত। চোখ ফিরিয়ে নিল সে। কিছু সময় পর ছেলেটি নেমে গেল, একা হয়ে গেল সে। মনে মনে ভাবল, কেমন বেয়াদব ছেলেরে বাবা, মানুষতো কুশল বিনিময় করে, এর তো কোন আদব কায়দা বলে কিছু নাই। রাত হয়ে যাচ্ছে একটা রিক্সা নেই্, অন্ধকার। নিজের মাঝে এক ধরনের অস্থিরতা চলে আসছে। বৃষ্টি প্রায় থেমে গেছে টিপ টপ কয়েক ফোটা কিন্তু পানি জমে আছে ময়লা পানি। সে এদিক ওদিক তাকাতে থাকল। হঠাত একটা রিক্সা থামল তার সামনে, রিক্সায় ছেলেটি বসা। তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ছেলেটি বল্ল আপনি আমি তো একই এলাকায় থাকি, ডাক্তার গলিতে আমার বাসা। চলেন নামিয়ে দেই, কোন রিক্সা নাই আসে পাশে। এক মুহুর্ত ইততস্ত করে সে রিক্সায় চড়ল। আসলে অন্ধকার নেমে আসছে, আর রাস্তার অবস্থা নাজুক।



- আমি রেহান, ইঞ্জিনীয়ারিং ডিভিশানে আছি। আপনি তো ফিনান্সে তাই না?

- হ্যা। আমি জরি।

- হাহাহাহা আপনাকে চিনি, আপনার অনেক নাম শুনি সবার থেকে।

একটু অপ্রস্তুত হয়ে

- কেন?

- না সবাই আপনার কাজের খুব প্রশংসা করে, জামিল ভাই তো সব সময় আপনার রেফারেন্স দেয়,

আমাদের বকা ঝকা করার সময়। আপনাকে আমরা আড়ালে গুড গার্ল অফ ফ্যামিলী।



লোক টা এত কথা বলে? মনে মনে ভাবল সে। কিন্তু হাসিটা ভালো। সহজ সরল।



- ও। ভালোই।



তার পর টুক টাক কিছু কথার পর কথা আগায় না। হঠাত ছেলেটা গান ধরে। অদ্ভুত সুন্দর গলা। কিন্তু এই অবস্থায় গান? মনে মনে ভাবে জরি। কিন্তু কিছু বলে না। শুনতেও ভালো লাগে। কিছুক্ষন পর বাড়ি চলে আসে, জরি নেমে যায়। সাথে ধন্যবাদ দিতে ভোলে। ছেলেটা দেখতে অভদ্র হলেও আদতে ভদ্র, কেন যেন মনে হয় জরির।



কিছুদিন পর ছেলেটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায় ফেসবুকে। জরি তাকে বন্ধু করে নেয়। মাঝে মাঝে কথা হতে থাকে তাদের। ছেলেটা মজার। যেমন বেরাছেড়া দেখতে আসলে তেমন না। বরঙ অনেকের থেকে চিন্তা ভাবনা অনেক পরিষ্কার। মানুষকে ভালোবাসে। মনটা ভালো। তাদের কথা বাড়তে থাকে, তারা বন্ধু হতে থাকে।



রেহানকে জরির ভালো লাগতে শুরু করে। তারা মাঝে মাঝেই একসাথে বাড়ি ফেরে। রেহান খুব মজা করে কথাও বলতে পারে, আবার যে কোন সিরিয়াস ইস্যুতে সুস্পষ্ট মন্তব্য করতে পারে। প্রথম প্রথম যেমন খারাপ লাগত তেমন কিছুই এখন আর লাগে না। বরং ভালো লাগতে থাকে। রেহানের মাঝে একটা শিশুর সারল্য আছে, সে যে একটা ভালো মনের মানুষ তার চোখে মুখে লিখা থাকে সব সময়। যে কোন রাগ ক্ষোভ অথবা আনন্দের অনুভুতি রেহান লুকাতে পারে না। তার চোখে মুখে মনের ছায়া ফুটে ওঠে।

জরির খুব ভালো লাগে। আর খুব প্রায়োরিটি দেয় জরিকে। যে কোন ইস্যুতে জরির প্রায়োরিটি সবচাইতে বেশী। মাঝে মাঝে অপ্রস্তূত লাগলেও জরির ভালো লাগে।



মাঝে মাঝে রেহানকে সে তার রাজপুত্রের সাথে মেলায়, নাহ কোথাও মিল নেই। কোথাও না। কিন্তু রেহানকে ভালোলাগে। খুব ভালো লাগে। কথা বলতে, রাস্তায় হেটে চলতে। কিন্তু তার মনের রাজপুত্রের ছবি আর রেহান তো এক মানুষ না।



জরি এটাও বোঝে রেহান তাকে মনে মনে হয়তো অনেক বেশী পছন্দ করে ফেলেছে। ওর চোখে মুখে জরি ভালোবাসা দেখতে পায়। কিন্তু নিজেকে খুব অসহায় লাগে। রেহান তার স্বপ্নের মানুষ নয়।





জরির বাবা মা আদরের মেয়েকে নিয়ে ভাবে। শান্ত শিষ্ট চুপ চাপ মেয়েটাকে কার হাতে তুলে দিবে? এত আদরের মেয়ে। হঠাত কোথা থেকে একদিন খুব ভালো একটা সম্মন্ধ এসে পরে। ছেলের বাড়ি তো মেয়েকে দেখে চমকায় গেছে একদম। ছেলেও তাই। খুব ভালো ছেলে, নম্র ভদ্র। ছেলে ইউনিভার্সিটিতে টিচার। ছেলের কলিগ, ছাত্র ছাত্রী, বন্ধু বান্ধব আত্মিয় স্বজন সবাই খুব ভালোবাসে। খুব মেধাবী, ফিজিক্সে পি এইচ ডি মাত্র আটাশ বছর বয়সে। ভবিষ্যত সুন্দর। ছিম ছাম একটা মানুষ। মেয়ের বাবা মাও মনে মনে খুব রাজী হয়ে যায়। এখন শুধু মেয়েটার রাজী হতে হবে। আর রাজী না হবার বা কী আছে, ছেলে রাজপুত্রের মত। কথা বার্তা চাল চলন সব কিছুতেই। ছেলের বাড়িতে তারা জানিয়ে দেয় একদিন সময় করে ছেলের সাথে মেয়েকে দেখা করিয়ে দিতে। আধুনিক যুগ এ যুগে বিয়ের আগে জেনে শুনে নেয়া ভালো, তাই ঠিক হয় সামনের সপ্তাহে তারা দেখা করবে কোথাও। জরি বাসায় ফিরতেই তাকেও জানানো হয়। জরি খুব রাগ করতে থাকে কিন্তু বাবা মায়ের জিদের বসে, তাকে শেষ পর্যন্ত হার মানাতে হয়, রাজি হয়ে যায় সে, দেখা করলে কী হবে।



রেহানের সাথে এ ব্যাপারে জরির কথা হয়। রেহান এখন জরির খুব কাছের বন্ধু। রেহান কিছু বলে না। চুপ চাপ হুম হাম করে যায়। দেখতে দেখতে সেই বিশেষ দিন চলে আসে।

কথা ছিল কাছেই ভালো কোন রেস্টুরেন্টে তাদের দেখা হবে। জরি ঠিক সময় মত পৌছে যায়। গিয়ে দেখে কর্ণার টেবিলে এক সুদর্শন ছেলে বসে আছে। ছবিতে দেখেছিল আগেও কিন্তু সামনাসামনি ছেলেটি আরও সুন্দর, ব্যাক্তিত্ব চোখে মুখে। আর আশ্চর্য সজীবতা।

তারা কুশল বিনিময় করে নিজেদের মাঝে, কথা বলতে শুরু করে। তাদের কথার লয় আশ্চর্য গতিতে বাড়তে থাকে। ছেলেটির চিন্তা চেতনা এক কথায় দারুণ। তারা রাস্তায় বের হয়, বিকেলের হলুদ আলোতে ছেলেটির মুখ ঝলমল করে উঠে। জরি চমকে তাকায়, তার মনের সেই রাজপূত্রের ঘোলা ছবিটার সাথে কী আশ্চর্য মিল। এই কী সে? জরির হৃদপিন্ডের অাওয়াজ যেন সে নিজেই শুনতে পেল। এই সে, কথা বলার ধরন এত চমৎকার। এক কথায় একে একে সব কিছু ভালো লাগতে থাকে মানুষটার। রেহানকে সব জানায়, রেহান শোনে আর হাসে।



জরির সাথে ঐ মানুষটার কথা হতে থাকে। মানুষটার মাঝে না ভালোলাগা কিছু খুজে পায় না জরি। রেহানের সাথে খুব কথা বলতে চায়, কিন্তু রেহান ইদানীং খুব ব্যাস্ত। জরির এই বড় বড় ফেসবুক মেসেজ গুলোর খুব ছোট ছোট রীপ্লাই থাকে তাও সবসময় না। জরি বুঝতে পারে, রেহানের সমস্যা। মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে, কিন্তু রাগও হয় এইভেবে, যে রেহান তার ব্যাপারটা কেন বুঝবে না। এভাবে দিন যায়, মাস গড়ায়। জরিদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। হবু বরের সাথে সম্পর্ক অনেক স্বাভাবিক। তারা বাইরে বেড়াতে যায়, একসাথে বন্ধু মহলে আড্ডা দেয়। কথা পটু ছেলেটা সব আসরের প্রাণবিন্দু হয়ে যায়।

খুব ভালো সময় কাটতে থাকে, তাদের। শুধু মাঝে মাঝে জরি রেহানকে খুব মিস করে। রেহান অফিসেও খুব একটা আসে না। আসলেও মিটিং করে ব্যাস্ত ভংগিতে বের হয়ে যায়। জরির সাথে হয়তো কথা হয়, কী খবর খুব ব্যাস্ত বোঝ তো? তোমার হবু বর কেমন আছে? একদিন দেখা করব।



জরি বোঝে সব বোঝে। খুব কষ্ট হয় আর খুব অভিমান। মাঝে মাঝে নিজেকে একা লাগে। মনে হয় রেহানকে বলতাম এই কথা গুলো। কিন্তু রেহানকে তো পায়না।

ফোন করলেও সবসময় রিসিভও করে না। হবু বরের ব্যাক্তিত্ব এতটাই চমকিত, জরির মাঝে মাঝে নিজেকে, নিষ্প্রভ লাগে। ব্যাপার গুলোকে প্রথম প্রথম খুব উপভোগ করলেও এখন মাঝে মাঝে করে না। রেহানের আসরে জরি সবসময় কেন্দ্রে থাকত কিন্তু এই মানুষটা সূর্যের মত। জরির ভালো লাগাটা কোথায় যেন মন খারাপ করে দাড়িয়ে পরে।

মানুষটা যখন শাণিত কণ্ঠে গল্প করতে থাকে, আর তার আশে পাশে সব মুগ্ধ নয়ন, জরি আনমনা হয়ে যায়, রেহানের কথা মনে পরে। রেহানের চোখ। জরি সরাসরি তাকিয়ে কথা বলার সময় রেহানের কথা জড়িয়ে যেত, অথচ সারাক্ষণ কী অবিরাম কথা।

যেন খৈ ফুটতো। রেহানের চোখে জরির আকুলতা এই মানুষের মাঝে দেখে নি এখোনও।



যতই বিয়ের দিন কাছে আসতে থাকে জরির রেহানের কথা ততবেশি মনে হতে থাকে। জরির হবু বরের শাণিত কথার ভীড়ে মাঝে মাঝে অন্যমানষ্ক হয়ে যায়। আজকাল রেহান জরির ফোন রিসিভ করে না। বিয়ের কেনাকাটা প্রায় শেষ। জরির মন খুব অস্থীর। বার বার মনে হতে থাকে কী নেই কী নেই। বাসায় সবাই ব্যাস্ত, বিয়ে বাড়ির হাজার ব্যাস্ততা। জরির বিয়ের শাড়ি গহনা কোন কিছুই জরিকে আকর্ষণ করে না। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষটাও। কিন্তু এই মানুষটাই তো স্বপ্নের মানুষটার মত। কী নেই এর মাঝে ?

রেহন কে ফোন করে জরি, আশ্চর্য্য রেহান ফোন ধরে। জরি ভেবেছিল ধরবে না। তাই ফোন ধরতেই জরি খানিকটা অপ্র্বস্তুত হয়ে যায়।



-হ্যালো রেহান?

-কেমন আছ

-ভালো তুমি?

- ভালো।

- বিয়ে কবে পরশু না?

- হ্যা আসছ তো?

- না ।

চুপ

- জরি পরী খুব ভালো থেক তুমি। হাহাহাহাহা



খট করে ফোন কেটে যায়।



জরির চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরতে শুরু করে। কানে বাজতে থাকে একটা কথা জরী পরী খুব ভালো থেক। এত সুন্দর করে এই কদিনে তাকে কেউ ডাকে নি, সামনে কখনও ডাকবে আশা করে না। কী সুন্দর নাম তার দিয়েছে রেহান জরি পরী। জরি কাঁদতে থাকে।





আর কিছুক্ষনের মাঝেই জরির বিয়ে। জরির চোখ মুখ শান্ত,গম্ভীর। জরি বুঝে গেছে সে রেহানকে ভালোবাসে স্বপ্নপুরুষের জন্যে জমানো সব ভালোবাসা রেহান কখন কিভাবে নিয়ে গেছে সেই জানে। এতদিন কেন বুঝেনি জরি এটাতেও অবাক হয়। যে মুহুর্ত থেকে সে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে তার সমস্ত অস্থীরতা চলে গেছে। সে জানে রেহান নিজের ভালোবাসা পাবার জন্যে কিছুই করতে পারবে না, তার ক্ষমতা শুধু ঐ ভালোবাসাময় তাকানোতেই। যাই হোক জরি ঠিক করেছে সে এই বিয়ে করবে না। সে রেহানকেই বিয়ে করবে, আজই এই বৌ বেশেই। সময় খুব কম। এক্ষুনি ফোন করতে হবে। ওকে বলতে হবে রেহান মগবাজার কাজী অফিসের সামনে দাড়াও সাথে কিছু ফুল আর মালা এন। আমি আসছি। রেহান আসবে তো? জরি ঘর থেকে লুকিয়ে বের হয়ে পরে। রিক্সায় চরে রেহান কে ফোন দেয়, রেহান রিসিভ করছে না। বার বার রিং হচ্ছে রিসিভ করছেনা, জরি চলে এসেছে বাড়ি ছেড়ে, রিক্সা থেকেই দেখতে পেল বরের গাড়ি ঢুকছে জরিদের বাড়ি। অনেক অপমান সইতে হবে বাবা মার, কিন্তু আজ এই মুহুর্তে আর সেসব ভাবার সময় নেই। জরি জানে তার সুখ বাবা মেনে নিবে। আকাশে বিশাল চাঁদ। আজ সুপার মুন হবার কথা। কী সুন্দর আলো।

জরি আবার ফোন করে রেহানের নাম্বারে।

রিং রিং রিং

রেহানের গলা



হ্যালো জরি পরী? .।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।









মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগল।


প্রথম প্লাস।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

রুবাইয়াত নেওয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো লাগার জন্যে আর প্লাস এর জন্যে।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

সকাল হাসান বলেছেন: জরি পরী! নামটা বেশ! ছন্দময়!

গল্পটাও বেশ লাগলো! তবে মাঝে মাঝে জরি বানানটা জরী লিখে একটু গুলিয়ে ফেলেছেন!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

রুবাইয়াত নেওয়াজ বলেছেন: হ্যা আমিও খেয়াল করলাম। সময় মত ঠিক করে দিব। ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.