![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেদের জমানো টাকায় কেনা শখের জিনিস ঘরের বউ বা স্বামীর মতো। পছন্দ না হলেও মানিয়ে চলে সংসার করতে হয়। সবারই স্বপ্ন থাকে ভালো কিছুর। সার্থক শিক্ষিত ধনবান স্বামী কিংবা সার্থক শিক্ষিত সুন্দরী স্ত্রী সবারই মনে জায়গা করে থাকে। কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেদের কপালে কেন যে দুটোই একসাথে কেউ পায় না। তেমনি তাদের কেনা শখের জিনিসগুলোও। জাগতিক সুখ-দুঃখের কাছেই এরা কেন যেন বন্দী। এর কারণ কি? আজহার সাহেব নিয়মিতই এসব নিয়ে ভাবেন। বিয়ের ৩০ বছর ধরেও তিনি এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। ব্যক্তি জীবনে তিনি খুশী তবে এরপরেও এসব প্রশ্নের উত্তর তিনি কেন খুজবেন? তাঁর বড় মেয়ের বেলাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। ৩০ বছর আগে তিনি যেমন দিন এনে দিন খেতেন, তাঁর মেয়ের জামাইয়ের অবস্থাও একই। তাঁর মেয়েও আহামরি সুন্দরী নয়। যেমনটা তিনি পাননি। কালো মেয়েদের কপালে ধনী স্বামী জুটে না। তেমনি বিত্তহীন ছেলের কপালেও সুন্দরী মেয়ে জুটে না। এর কারণ কি? নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা কি কোন চক্রে আবদ্ধ!
একই কথা বারবার ঘুরে-ফিরে আজহার সাহেবের মাথায় খেলছে। বাসস্ট্যাণ্ডে দাঁড়ানো অবস্থায় কোন ফাঁকে যে তাঁর পকেট কাঁটা হয়ে গিয়েছে তিনি সেটা টেরও পাননি। তবুও তিনি ভেবেই চলেছেন কথাগুলো। একহাতে একটা ঠোঙা। ভেতরে দুইটা আপেল আর তিনটা কমলা। আরেক হাতে তাঁর নাতির জন্য কেনা টিয়া পাখির জোড়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শখের জিনিসের মাঝেও একটা না একটা খুঁত থেকে যায়। এই পাখির জোড়ার মধ্যেও আছে। একটা পাখি অসুস্থ। দোকানদার জোর করে গছিয়ে দিলো। তিনি টেরই পাননি। কেনার সময়েও বেশ তাগড়া ছিলো পাখি দুইটা। কিন্তু আস্তে আস্তে একটা পাখি ঝিমিয়ে পড়লো। আকাশে মেঘ ডাকছে, বৃষ্টিও পড়বে বোধহয়। বাসে ওঠার আগেই বৃষ্টি চলে এলে পাখিদুটির একটিও বাঁচবে না। তিনি মনে মনে খুব কষ্ট পেলেন, পাখিগুলো আজ না কিনলেও পারতেন। একবার ভাবলেন ফেরত দিয়ে আসবেন। কাটাবন থেকে ফার্মগেট কি খুব বেশি দূর? বেশি দূর না তো। চাইলেই যাওয়া যায়। একবার ভাবলেন যাবেনও। পরে ভাবলেন এতক্ষণে নিশ্চয়ই ঈদ বাজারের জ্যাম লেগে গেছে।
ছেলেটা জিন্সের প্যান্ট আনতে বলেছিলো। কোমরের সাইজ ৩৪। তাঁর নিজের কোমরের সাইজই ২৮। তাঁর ছেলেরটা এত বেশি কেন হবে? এতদিন মেসে থেকে খেয়ে খেয়ে শরীর ফুলেছে। মেসে থাকলে ছেলেদের শরীর বাড়ে, আর মেয়েদের বিয়ের পর। এর কারণ কি?
আজহার সাহেব এতগুলো অনর্থক চিন্তা ভেবেই চলেছেন গত তিন ঘন্টা ধরে। ছেলের প্যাণ্ট দেখছিলেন ফুটপাথ থেকে। পছন্দ হচ্ছিলো না। মধ্যবিত্ত হলেও শখ বলে কথা। তাই ভাবলেন ছেলের হাতেই টাকা দিয়ে নিজকেই কিনে নিতে বলবেন। দুপুর দুইটা সময় তিনি কাটাবন থেকে ফার্মগেটে এসেছিলেন। এখন বাজছে ৫টা ১৩। এতক্ষণে উত্তরা যাওয়ার বাস এসেছে মাত্র ৪টা। সবগুলোতেই উপচে পড়া ভীড়। তিনি ভীড় ঠেলে উঠতে পারেননি। কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন। তাও পারেননি। কয়েকজন লোক সিএনজি ভাড়া করে চলে গেছে। তিনিও চেয়েছিলেন। কিন্তু সাধ্যে কুলায়নি। কয়েকজন আবার প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকেও হাত করে উত্তরা পর্যন্ত গিয়েছে। তিনি যাননি। পেপারে পড়েছিলেন, এধরণের প্রাইভেট কারে নাকি ছিনতাই হয় বেশি। রাস্তার এক পাশে দাঁড় করিয়ে সবার কাছ থেকে যা যা পাওয়া যায় সব রেখে দিয়ে ছেড়ে দেয়। তাঁর কাছে হয়তো বা তেমন কিছুই সঙ্গে নেই, তবে এরপরেও যতটুকুই আছে, ততটুকুই যদি চলে যায়, তিনি অসহায় হয়ে পড়বেন। নোকিয়া ১১০০ মোবাইল আর ফোলাফাঁপা মানিব্যাগ। টাকার চেয়ে যেখানে ভিজিটিং কার্ডই বেশি। বেতন বোনাস আজকেই হলো। তাই আজকের মানিব্যাগ অন্যদিনের চেয়ে একটু বেশিই ফোলা। মাসে বেতন ১২ হাজার টাকা। বোনাস সহ ২৫ হাজার পেয়েছেন। পাখি কিনতে চলে গেল ১২০০টাকা। এত দাম পাখির জানলে তিনি নাতিকে অন্য কিছু বায়না করতে বলতেন। পাঁচ মাস আগে জন্মদিন চলে যাওয়ায় পাঁচ মাস পর ঈদের বোনাস পেয়ে সেই আবদার শোধ করছেন। জন্মদিনের গিফটও হলো, ঈদের গিফটও হলো। সদা শাশ্বত মধ্যবিত্ত ট্র্যাডিশন। নাতির মুখে হাসি ফুটলে তাঁর খুব ভালো লাগবে। এই হাসির দাম হবে ১২০০টাকা।
অনেক্ষণ পর একটা বিআরটিসির ডাবল ডেকার চলে এলো। অন্য বাসগুলোর চেয়ে কিছুটা ফাঁকা। তিনি দৌড়ে সবার আগে বাসের দরজার কাছে দাঁড়ালেন। যাত্রীরা কেউ নামেনি। বা যারা নামতে চেয়েছিল তারা নামতে পারেনি। তিনি যুদ্ধ করে বাসে উঠলেন। ফার্মগেট থেকে একমাত্র তিনিই উঠলেন। উঠলেন বললে ভুল হবে, উঠতে পারলেন। দরজায় দাঁড়িয়ে রইলেন। দুই হাতে কোনমতে ঠোঙাটা আর খাঁচাটা ধরে রইলেন। বাসের হ্যাণ্ডেল ধরার দরকার নেই, ভীড়ের ঠেলায় আপনাআপনিই তিনি স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মনে মনে শুধু এটাই ভাবছিলেন, পাখিগুলো যেন পায়খানা না করে ফেলে। করলেও তাঁর গায়ে যেন করে। নিজের জন্য মানুষ সহনশীল, অন্যের জিনিসের জন্য অন্যেরা কেন সহনশীল হতে যাবে?
পাখিগুলোকে নিয়ে তিনি যে দুশ্চিন্তা করছিলেন, সেটা ঠিক হয়ে উঠেনি। দুই ঘন্টা বাদুরঝোলা হয়ে ফার্মগেট থেকে তিনি এখন এয়ারপোর্টের কাছাকাছি চলে এসেছেন। বাস অনেকটাই ফাঁকা। যে সিটের পাশে তিনি এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেটিতে বসতে যাওয়া মাত্রই একটা ছেলে সেখানে বসে পড়লেন। কানে হেডফোন লাগিয়ে ছেলেটে মাথা ঝাকিয়ে গান শুনছে। ঢোলাঢালা থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট আর গায়ে টাইট গেঞ্জি। আজহার সাহেবের দিকে তাকিয়ে ছেলেটা অকারণেই মুচকি হাসলো। অকারণ বলা চলে না। এই হাসির মাঝেও কারণ আছে। সিট দখলের হাসি। বিজয়ের হাসি।
সেই সিটে বসতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর আরেকটি সিট খালি হলো। বাসে ভীড় এখনো আছে। একটি মেয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল সিটটির পাশে। তিনি সেটা খেয়াল করেননি। সিট খালি হতে ধরেছে দেখেই তিনি এগিয়ে গেলেন। তার আগেই মেয়েটি বসে পড়লো। কি মনে করে মেয়েটি সিট তাঁকে ছেড়ে দিতে চাইলো। তিনি অনেক অনুরোধ করলেন মেয়েটিকেই বসতে। কিন্তু মেয়েটি বসলোই না। মেয়েটার সাথে তাঁর মেয়ের চেহারার অনেক মিল আছে। আসলেই কি আছে? নাকি কেউ উপকার করলে মানুষ তার মাঝে কারোর ছায়া দেখতে পায়?
বাস জয়দেবপুর এসে পৌছলো পৌনে নয়টায়। ইফতার করার মধ্যে এতক্ষণে শুধু তিনি মাম পানির বোতল দিয়েই সেরেছেন। একবার ভেবেছিলেন, ঠোঙা থেকে একটা আপেল বের করে খাবেন কি না। কিন্তু পরে যদি এসিডিটি হয়, সে ভয়ে আর খাননি।
বাসস্ট্যাণ্ড থেকে নেমে তিনি কখনো রিকশায় করে বাসায় যান না। আজ খুব টায়ার্ড লাগছিলো। রিকশা নিলেন একটা। রিকশায় চড়ে বাসায় যেতে যেতে ভাবতে লাগলেন পাখিটা পেয়ে আশফিয়া কি খুশিটাই না হবে। ভেবেই তাঁর বড় ভালো লাগছিলো। রিকশা বাসার সামনে পৌছুনোর পরই তিনি প্রথম আবিষ্কার করলেন, তাঁর ভিজিটিং কার্ডের সাথে ২৫ হাজার টাকার ফোলাফাঁপা মানিব্যাগটা কাঁটা পড়েছে। সারাদিন রোযা রেখে, কাজ করে, জার্নি করে বাসায় ফেরার কারণেই হোক, আর টেনশন বেড়ে যাওয়ার কারণেই হোক তিনি দরদর করে ঘামতে লাগলেন। হঠাৎ করেই মনে হলো, তিনি জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়বেন। কোনমতে নিজেকে সামলে, পাশের দোকান থেকে ২০টা টাকা ধার করে রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে তিনি ঘরে ঢুকলেন। ঘরের সবাই তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিলো। তিনি কোন দেরী না করে সোজা বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিজের বিছানায় এসে বসলেন। বাসায় কি বলবেন তিনি ভেবে পাচ্ছেন না। মেয়ের বিয়ে হয়েছে, বিয়ের দশ বছরে মেয়ের জামাই এখন আগের থেকে অনেকই পরিণত হয়েছে। তারা হয়তো বা তাঁর কাছে কিছু দাবী রাখে না। তবুও বাবা হিসেবে তাঁর তো কিছু দিতে মনে চায়ই। ছেলেটার প্যান্টও কেনা হয়নি। ইদানিং ছেলেটা বেশ জেদী হয়েছে। টিন এজ বয়সে ছেলেদের মেজাজ খুব চড়া থাকে। বয়স্কদের মান্যগণ্য কম করে। তাঁর ছেলেও ব্যতিক্রম না। বাবার এই দুর্ঘটনা কি ছেলে মেনে নিবে? তবে এটুকু ভেবে ভালো লাগছে, যে পাখিদুটো তিনি অক্ষত অবস্থায় আনতে পেরেছেন। এই দুঃসময়ে অন্তত নাতির মুখের নিখাদ আনন্দ দেখে তিনি একটু হলেও ভরসা পাবেন।
ঘড়িতে পৌনে এগারোটা বাজছে। সবাই খাবার টেবিলে এসেছে। তিনিও এসেছেন। চেয়ারের কাছে পাখির খাঁচাটা রেখে দিয়েছেন। সবাই যে যার মতো খেয়ে চলেছে। কেউ কারোর সাথে কথা বলছে না। এরা কেউ ঘটনাটা এখনো জানে না। সবার মনেই একটাই কথা হয়তো ঘুরপাক খাচ্ছে। কার জন্য কি এনেছেন তিনি। খাওয়া শেষে নীরবতা ভেঙে তাঁর ছেলেই প্রথম বললো,
-বাবা, আমার প্যান্ট এনেছো?
তিনি চুপ হয়ে আছেন। কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। অনেকক্ষণ চুপ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে ছেলেই আবার বললো,
-কি হলো বাবা? এনেছো?
-না।
-তোমাকে না আনতে বলেছিলাম। আনলে না যে?
-সময় করে উঠতে পারিনি।
-তা কবে আনবে? ঈদের আছেই আর কয়দিন? সবাই যার যার কাপড় কিনে ফেলেছে। আমারটা কি আমি কিনবো না?
-ঈদ কাছে আসছে, চলে তো আর যায়নি। ঈদের আগেই পাবে।
-সেই কথা তো কবে থেকেই শুনছি।
আজহার সাহেব কোন জবাব দিলেন না, বিমর্ষ নয়নে খাবার ঝোলে মাখা প্লেটের উপর দাগ কাটছেন। তাঁর স্ত্রী রাশেদা এবার বললেন,
-বাসায় তো বাজার নেই। কাল বাজার এনো তো। আজ কি বেতন দিলো অফিস থেকে?
আজহার সাহেব এখনো চুপ করে আছেন। এই দুর্ঘটনা তিনি কিভাবে বলবেন তিনি বুঝতে পারছেন না। রাশেদাকে অবশ্য বলবেন। কিন্তু এই ঘটনা শোনার পর তাঁর মুখের চাহুনীটা কেমন হবে সেটা ভেবেই তিনি মুষড়ে উঠছেন। কোন কথা না বলে টেবিল থেকে উঠে হাত ধুয়ে এসে তিনি পাখির খাঁচাটা হাতে নিয়ে আশফিয়ার ঘরে গেলেন। মেয়েটা শুতে ধরেছিলো। নানাভাইকে দেখেই উঠে বসলো। আহ্লাদী গলায় জিজ্ঞেস করলো,
-নানাভাই, আমার জন্য পাখি এনেছো!
-হ্যাঁ নানাভাই। এই নাও তোমার পাখি।
খাঁচাটা হাতে নিয়ে আশফিয়ার মুখ কেমন যেন মলিন হয়ে গেল। এর কারণ কি তিনি জানেন। একটা পাখি খুব সম্ভবত কিছুক্ষনের মধ্যেই মারা যাবে। অবাক হয়ে আশফিয়া তাঁকে বললো,
-এ মা নানাভাই। পাখিগুলো এমন কেন? তুমি কেন আমার জন্য এই পঁচা পাখিটা এনেছো? দেখে আনতে পারোনি?
-ঠিকই তো এনেছিলাম, কিন্তু রাস্তায় আনতে আনতে ওগুলো যে অসুস্থ হয়ে পড়লো।
-তা তুমি ফেরত দিতে পারলে না! যাও আমি এই পাখি নিবো না। তুমি নানাভাই খুব পঁচা।
আজহার সাহেব আশফিয়ার ঘর থেকে বেড়িয়ে এলেন। সবকিছুর শেষে তিনি ভেবেছিলেন অন্তত আশফিয়া পাখিগুলোকে পেয়ে খুশি হবে। তিনি সেই হাসিমাখা মুখ দেখে একটু হলেও ভরসা পাবেন। কিন্তু মেয়েটাও এমন করলো। তাঁর কান্না পাচ্ছে। পুরুষদের কাঁদতে নেই। তবে বয়স্ক লোকেরা কেন যেন অল্পতেই কেঁদে উঠে। বৃদ্ধ বয়সে আবেগের কোন লাগাম থাকে না। তাই তাঁর কাঁদতে তেমন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে না।
এ কান্নার সাথে তাঁর পরিচয় আজ থেকে না। এমনও দিন গেছে ঈদে আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই কাটিয়েছিলেন তারা। ছেলেটার তখন দুই বছর বয়স। মেয়েটা ক্লাস ফাইভে পড়তো। তখন ঈদের আগেই সবে তিনি তাঁর চাকরীটা হারিয়েছিলেন। সেদিনের সেই যুবার সাথে আজকের এই বৃদ্ধের কান্নার মাঝে খুব একটা তফাৎ নেই। সদা শাশ্বত মধ্যবিত্ত পরিবারের গোপন কান্না। যে কান্না কেউ দেখে না।
মনে মনে তিনি এখনো সেইসব অনর্থক কথাই আবার ভাবছেন। মানুষ উচ্চবিত্তের মতো আশা নিয়ে জন্মায়। জগতের খেলায় সে নিম্নবিত্তের আশায় অভ্যস্থ হয়। উচ্চবিত্ত হওয়ার লক্ষে নিম্নবিত্ত থেকে সে মধ্যবিত্তের চক্রে পড়ে যায়। সেই চক্রে থেকে আর বেরোতে পারে না। উচ্চবিত্তের মতো সাধ, নিম্নবিত্তের মতো সাধ্য। এই নিয়েই তো মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্তদের চক্রের শেষটা আসলে কোথায়? এক জীবনে কি তিনি এর শেষ দেখবেন?
©somewhere in net ltd.