![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।
ঘুম ঘুম চোখে সকাল আটটায় বাথরুম সেরে আবার বিছানায় আসা আরফানের অভ্যাস। সকালের ঘুম খুব আরামের হয়। কিন্তু আজ খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। বেশ কয়েকদিন হল একটা মেয়ের সাথে তার খুব ভাব হয়েছে। আজ সেই মেয়েটির সাথে তার প্রথম দেখা। অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে একদিন একটা কল আসলো। সময় মত কলটি ধরতে না পারায় সেটি মিস কল হয়ে গেল। সেই মিস কলকে মিসেস করতে সে কলব্যাক করল। ওপাশ থেকে একটা নরম মোলায়েম কন্ঠের একটি মেয়েলি কন্ঠ খুব আহ্লাদী স্বরে ‘হ্যালো’ বললো। যেহেতু আননোন নাম্বার থেকে কল, তাই একটু হম্বিতম্বি হয়ে ঝাড়ি মেরে কথা বলেই ফোনটা রেখে দিল। সারাদিনের কাজ সেরে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কি মনে করে আবার হঠাৎ সেই নাম্বারের কল। এবারে অবশ্য সে খুব শান্ত ও ভদ্র স্বরেই কথা বলল। কিন্তু মেয়েটা ততক্ষণে উল্টো সুরে কথা বলছে। এরপর মান-অভিমান ভাঙ্গা-গড়ার খেলা খেলতে খেলতেই এক সময় তারা বন্ধু এবং দুইজন দুইজনের শূন্যস্থান থাকার কারণে শূন্যস্থান পূরণ করে নিল। আজ সেই শূন্যস্থান পূরণ করার পর প্রথম এক সংখ্যা যোগ করার পালা, মানে দেখা করার পালা।
অন্য সময় বাইরে বের হলেই চুলে জেল দিয়ে স্পাইক, গলায় রঙ বেরঙের চেইন, গায়ে চে-গুয়েভারার ছবি আকা গেঞ্জি, জায়গায় জায়গায় ছেড়া জিন্সের প্যান্ট পড়ে সে যায়। কিন্তু আজকে যেহেতু ফার্স্ট ডেটিং, তাই একটু ভদ্রভাবেই যাবে। নিজের কোন ক্যাজুয়্যাল লুকড ড্রেস না থাকায় বড়ভাইয়ের ফরম্যাল প্যান্ট আর কর্পোরেট সু, বাবার বেল্ট, ছোট ভাইয়ের শার্ট গতকাল মাঝ রাতেই সে সরিয়ে নিজ ঘরে এনেছে। এখন সেগুলো পড়ে চুলে ডানদিকে সিঁথি করে হাতে ঘড়িটা পড়ে বাইরে বের হবে। আর এই মুহুর্ত্যেই একটা উটকো ঝামেলা এসে তার সামনে পড়োলো। মা তার সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো,
-কি রে এই সাত সকালে এভাবে সেজে-গুজে কোথায় যাচ্ছিস?
আরফান কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। আমতা আমতা করে বললো,
-এই একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি।
-চাকরি? এই ভার্সিটি সেকেন্ড ইয়ারে চাকরি তোকে কে দিবে? তাও মাসের মাঝখানে?
-উফ মা কথা বাড়িও না তো, দেরী হয়ে যাচ্ছে। পার্ট-টাইম চাকরীর মাসের শেষ শুরু বলে কোন কথা আছে? এক বড় ভাই জোর করে আমাকে তার কোম্পানীতে জয়েন করতে খুব করে বলেছে। তাই করছি। কিছু টাকাও পাবো।
আরফানের মা আর কিছু বললেন না। মনে মনে খুশিই হলেন। সারাদিন বাইরে আড্ডা মারার চেয়ে চাকরি করলেও তো ভালো। টাকা পয়সাও দেওয়া লাগবে না। তিনি আবার বললেন,
-ভালোই হল, তোকে আর টাকা দেওয়া লাগবে না। নিজেই নিজেরটা চালাবি।
মায়ের এই কথাতে আরফানের মুখটা থমকে গেল। নিজেই নিজের মিথ্যা বলার ফাঁদে পা দেওয়ায় বিপদে পড়ে গেছে। এমনিতেই হাত-খরচ তেমন দেয় না। তার মাঝে পুরোই বন্ধ করে দিলে সে করবেটা কি? তারপরেও মুখে একটা স্মিত হাসির রেখা ঠোঁটে টেনে মাকে বিদায় দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল।
(২)
ঢাকা শহরে আজকাল ট্র্যাফিক জ্যাম অনেক বেড়ে গেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর বাস আসে একটা, তাও আবার লোকজনে ঠাসা। সকাল এগারোটায় সোহরাওয়ার্দী পার্কে থাকার কথা। এখন বাজে নয়টা। অফিস টাইম হওয়ার কারণে রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম, বাসে ভীর। জ্যাম আর জামাই এই দুইটা জিনিসের সঙ্গে অদ্ভুত মিল রয়েছে। কোনটাতেই শান্তি নেই। এয়ারপোর্ট বাস স্ট্যান্ডে প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা বাস প্রায় ফাঁকা অবস্থায় এল। বাস ফাঁকা থাকলেও রাস্তা ফাঁকা না। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে যখন সে শাহবাগের স্টুডেন্ট টিকিট চাইল, তখন কাউন্টার ম্যান অবাক হয়ে তার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বললো, “আপনে স্টুডেন্ট?” ভার্সিটির ভ্যালিড স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে সে বাসে উঠে পড়ল। ক্ষিলখেত, বিশ্বরোড, বনানী রেলক্রসিং, বনানী সিগন্যাল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় স্মরণী, খামারবাড়ি, কাওরান বাজার, বাংলা মোটরের সব জায়গার জ্যামে আটকা থাকার পর শাহবাগ যখন পৌছুলো তখন হাত ঘড়িতে বাজ প্রায় পৌনে বারোটা। এদিকে সেই মেয়েটির নাম্বার থেকে কল, মিসকল, মেসেজ আসতেই আছে। একটিবারের জন্য কল না ধরলেও মেসেজে সে সব জানিয়ে দিল, তার আসতে আর মাত্র দশ মিনিট লাগবে। অবশেষে শাহবাগ পৌছুনোর পর শাহবাগ সিগন্যালের কাছে থেকে দশটা গোলাপফুলের তোড়া আর পঞ্চাশ টাকার বাদাম কিনলো। কোন এক মনীষী বলেছেন, গোলাপ হল প্রেমফুল আর বাদাম হল প্রেমফল। একবুক আত্মবিশ্বাস নিয়ে সে এখন তার এতদিনের গড়ে তুলা অঙ্কের সমাধানের কাছাকাছি, প্রচন্ড গরম আর ক্লান্তির মাঝেও পুরো শরীর জুড়ে কিসের যেন ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেল। এখন বসন্তকাল না। না হলে বসন্ত বাতাস বলে চালিয়ে দেয়া যেত।
(৩)
মেয়েটা তাকে বলেছিল সোহরাওয়ার্দী পার্কের ছবির হাটের গেটের কাছে থাকতে, সে পড়ে আসবে হালকা গোলাপী রঙের একটা সালোয়ার কামিজ আর আরফানকে পড়ে আসতে বলেছিল হালকা নীল রঙের শার্ট পড়ে আসতে। এই রঙের কোন শার্ট তার বাসায় নেই। তবে ডিপ ব্ল্যু রঙের শার্ট তার ছোটভাইয়ের আছে। এই শার্টই সে পড়ে এসেছে।
আশেপাশে কিছুক্ষণ তাকাল। কিন্তু এমন পোষাকের কাউকে সে দেখতে পেল না। তারপর মোবাইলে কল দিতে থাকলো। অথচ মেয়েটা ফোন ধরছে না। টেনশনে আরফানের ঘাম ছুটে যাচ্ছে। মেয়েটা কি তাহলে রাগই করল নাকি? হঠাৎই আরফান লাফিয়ে উঠল। প্যান্টের পকেটে ফোনটা বেজে উঠলো। ওপাশ থেকে মেয়েটা বলে উঠল,
-কই আপনি? কতক্ষণ ধরে বসে আছি আপনার জন্য?
-আমি তো টিএসসির অপজিটে সোহরাওয়ার্দী পার্কের গেটের সামনেই। আপনি কোথায়?
-আমিও তো গেটের সামনেই। দেখেন লাল রঙের শার্ট পড়া একটা ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে না গেটের সামনে, ওটার সামনে যান।
-আচ্ছা।
এই বলে আরফান ফোন রেখে দিল। গেটের কাছে গিয়ে দেখে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই, তবে গোলাপী ড্রেসের কোন মেয়ে না। আসমানী রঙের ড্রেসের একটা মেয়ে। মেয়েটা তাকিয়েও আছে তার দিকে। মেয়েটাকে দেখেই সে কি মনে করে ফুলের তোড়া আর বাদামের প্যাকেটটা পেছনে নিয়ে নিল। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে বললো,
-আমি আরফান।
-আপনিই আরফান।
আরফান মুখে সলজ্জ হাসির রেখা টেনে বললো,
-জ্বি। কেমন আছেন?
এটুকু বলেই তারা বুঝলো যে এক ভুল তারা দুজনই করছে। এতদিন ধরে কথা বলে এসেছে তুমি তুমি করে। এখন কেন তারা আপনি করে সম্বোধন করছে তারা বুঝলো না।
মেয়েটি দুইজনের নীরবতা ভেঙে বললো,
-তো আমরা কি এখানেই থাকবো? না অন্য কোথাও বসবো?
-কোথায় যাবো?
-বলো কোথায় যাবো?
-ধানমণ্ডি লেকে যাবে?
-চলো যাওয়া যাক।
প্রতিটি পুরুষই চায় সে তার প্রেমিকার সামনে আস্থার প্রতীক হয়ে থাকতে। নতুন নতুন প্রেমিকদের ক্ষেত্রে এই আবেগ আরো বেশি কাজ করে। আরফান এখনো প্রেমিক হয়ে সারেনি। প্রেমিক হওয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সগৌরবে সে মেয়েটির হাত ধরে আইল্যাণ্ড ছেড়ে রাস্তায় নেমে রিক্সা ডাকলো। অন্য সময় এখানে অনেক রিক্সা থাকে আজকে খুবই কম। যেগুলো আছে তার একটাও ধানমণ্ডি যেতে চাইলো না। অবশেষে একটি রিক্সা পাওয়া গেল, ভাড়াও কমেই। মাত্র ৭০টাকায়। যেখানে কমপক্ষে ১০০টাকা চাওয়ার কথা।
রিক্সায় উঠে দুইজন সঙ্কোচ বোধ করলো। কিন্তু দুইজনই চাচ্ছে গায়ে-গা লাগিয়ে বসতে, কিন্তু এরপরেও প্রথম দেখায় কিছু কতিপয় ফর্মালিটিস আছে বলে একটা কথা আজকালকার ছেলে-মেয়েদের অভিধানে আছে।
রিক্সায় প্রথম নীরবতা ভাঙ্গলো মেয়েটিই। আস্তে করে আরফানের হাত ধরলো। আরফানের এই মুহুর্ত্যে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। তেইশটা বসন্ত পার হয়ে যাওয়ার পর প্রথম এই অনুভূতি। প্রতিটা মানুষের কাছেই এই অনুভূতি মনে হয় বিশেষ কিছু।
(৪)
মেয়েটা আরফানের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। মেয়েটার মাঝে কিসের যেন একটা মায়া আছে। আরফান সেটা বুঝতে পারছে না। মাঝে মাঝে সে আরফানের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। আরফান কিছুটা লজ্জা ও বিব্রত বোধ করছে, তাই ওর মুখের দিকে সরাসরি তাকাতে পারছে না। এমন সময় হঠাৎ রিক্সাটা থেমে গেলো। রিক্সাওয়ালা একবার বায়ের পেছনের চাকা আরেকবার ডানের পেছনের চাকার দিকে তাকালো। চাকা পাংচারের শব্দ হয়নি। মুখ দেখেও বোঝা গেলো চাকা পাংচার হয়নি। তবুও রিক্সাওয়ালা রিক্সা না চালিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। আরফান জিজ্ঞেস করলো,
-কি হল মামা?
রিক্সাওয়ালা নিশ্চুপ। কোন কথা বলছে না। কোনদিকে না তাকিয়ে কেবল একাধারে গামছা দিয়ে মুখটা মুছে যাচ্ছে।
আরফান মেয়েটার দিকে তাকালো। সে’ও ভাবলেশহীন। যেনো রিক্সা নষ্ট হতেই পারে। সে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললো,
-গেলো তো রিক্সাটা নষ্ট হয়ে।
-নষ্ট হয়নি। ঐ দেখো।
এটুকু বলেই সে পাশের গলি থেকে বেড়িয়ে আসা কয়েকটা লোকের দিকে ইশারা করলো। আরফান বুঝতে পারছে না কি হতে যাচ্ছে?
এতক্ষনে লোকগুলো কাছাকাছি চলে এসেছে। কোন কথা না বলেই সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। তাদের পাশে এবার সেই মেয়েটিও এসে দাঁড়ালো। রিক্সাওয়ালাও তাদের সাথে জুটলো।
তাদের মধ্যে থেকে সবার ডানদিকের একটা লোক, বেশ তাগড়া টাইপের। সে আরফানকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-ভাইছাব, দেরী না কইরা সব দিয়া দেন।
আরফান হতবাক হয়ে গেলো? তাহলে সে কাদের ক্ষপ্পড়ে পড়লো? এরা কি সন্ত্রাসী? সে কি তাহলে এতদিন তাদের ক্ষপ্পড়েই পড়েছিলো? এই মেয়েটিও কি তাহলে ওদেরই লোক।
আরফানের কান লাল হয়ে আসছে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। গলাটা বেশ ভারী হয়ে আসছে। এমনি এমনি আসছে না, ওরা তার চোখে, নাকে কিসের যেনো মলমের মতন কিছু একটা লাগিয়ে দিয়ে গেলো। সে যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মেয়েটার দিকে মুখ করে বললো,
-কেন এমন করলে?
-আমরা এভাবেই করি।
-কি লাভ? আমার কাছে প্রথমেই এসব চাইলে কি আমি দিতাম না! এত নাটকের কোন প্রয়োজন ছিলো?
-আহা রে, প্রথমে ফোন করে চাইলে বুঝি তুমি দিতে? চালাকী না করলে কি আর তুমি গাধামী করতে?
-আচ্ছা তোমার নামটা কি বলবে?
এটুকু বলতেই পাশের কোন একটা কন্ঠ বলে উঠলো,
-শালার বিগাড় কমে নাই। দিমু নাকি আরো কয়েক ডোজ?
আরফান আর কিছু বললো না, তারাও আর কিছু দিলো না। তবে গ্যালাক্সী এসথ্রী, টাইটানের ঘড়ি, মানিব্যাগের সাড়ে চার হাজার টাকা সব নিয়েই চলে গিয়েছে। এতক্ষণে বাইকে করে সবাই অনেক দূর চলেও গিয়েছে বোধহয়। ইঞ্জিন স্টার্টের শব্দ অনেক্ষণ আগেই আস্তে আস্তে মিলিয়ে গিয়েছিলো।
(৫)
ছয়মাস পরের কথাঃ
আরফান একটা পার্কের বেঞ্চিতে বসে আছে। সময়টা সন্ধ্যার কাছাকাছি। একটা ষোল সতেরো বছর বয়সী মেয়ে তার বেঞ্চির পাশে বসতে চাইলো। আরফান ভড়কে গেলো। ঘাম ছুটতে লাগলো। কেন এমন ভয় পাচ্ছে জানে না। ভয় ভয় কন্ঠেই বললো “আপনার নাম কি অনামিকা?”
তার কথা শুনে মেয়েটাই উল্টো ভড়কে গেলো। বিস্মিত হয়ে সে বললো, “আপনি কি করে জানলেন?” উত্তরের আশা না করেই সে দৌড়ে ছুটে গেলো আরফানের থেকে। আরফান তাকিয়ে তার চলে যাওয়া দেখছে।
যাদের নাম নেই, তাদের অনামিকাই বলা হয়। এই কথাটা ছয়মাস আগেও আরফানের কেন মনে হয়নি এটা ভেবে সে আবারো চমকে উঠলো। তার মতো এই মেয়েটার জীবনেও কি কোন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে কি? কে জানে? থাকতেও পারে! মানুষ বড়ই বিচিত্র। হয়তো বা সেও এখন তার মতোই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারই মতো জীবনে ঘটে যাওয়া কোন ভয়াবহ ঘটনার মধ্যে দিয়ে?
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
কাল্পনিক আমি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্থ্যবের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:০৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
শুভকামনা রইলো।