![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।
"ধর্ম একদা অন্ধকারে এনেছিল আলো" - আমি কবি রুদ্র'র এই লাইনটির সাথে কোনোভাবেই একমত হতে পারছি না। আমার মতে, ধর্ম কোনোকালেই আলো আনেনি। ধর্ম বারবার অন্ধকারকে যুক্ত করেছে। ধর্ম মানুষকে অন্ধ আর মুর্খ থাকার শিক্ষা দিয়েছে। ধর্ম ঈশ্বরকে কোনো যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে বলে মানুষের আত্মমুক্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্ম মানুষের চিন্তাধারাকে এক জায়গায় থামিয়ে দিয়েছে।
তখনকার আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ থেকে মোহাম্মদের ইসলাম কি বেশি আধুনিক? তখনকার আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে খাদিজারা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করত। ৪০ বছরের বিধবা খাদিজা ব্যবসার স্বার্থে ২৫ বছরের তরুন মোহাম্মদের চাকর রাখত। এবং পরে স্বেচ্ছায় সেই চাকরকে বিয়ে করার অধিকার রাখতো। ইসলামের যুগে এসে তা ভাবা যেত ? ইসলাম এসে কী করল? নারীর স্বাধীনতাকে অচল করে দিল, তাদের পায়ে শেকল দিল, বোরকা পরিয়ে মেয়েদের বস্তাবন্দী করল, নারীকে শষ্যক্ষেত (নারীরা হইলো শষ্যক্ষেত, তোমরা যেমন খুশি তেমন চাষ কর) উপাধি দিয়ে তাদের যৌনদাসী বানিয়ে দিল! এক অলীক জান্নাত, ৭২ হুরী আর অফুরন্ত সরাবের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে মুমিনদের একেকটা জানোয়ার বানিয়ে দিল। তারা এখন ঐ কল্পিত বেশ্যা আর সরাবের লোভে বিধর্মীদের জবাই আর ধর্ষণ করে চলেছে। কখনো কখনো বোমা হামলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে চলেছে। তো এখানে ধর্ম কোনদিক দিয়ে আলো দিল?
"সতীদাহ" এক সময় হিন্দুদের ধর্মীয় প্রথা ছিল। ধর্মের প্রয়োজনেই স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর সাথে জলন্ত চিতায় ঊঠে আত্মাহুতি দিতে হত। যাতে স্ত্রীর সতীত্ব রক্ষা হয়। এতে নাকি ধর্মের ইজ্জত বাঁচে! তো প্রথাটি কি কোন ধর্মযাজক উঠিয়েছিল?
ধর্ম তো দেখছি যুগে যুগে পুরুষের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে। পুরুষকে প্রভু বানিয়ে বারবার উঁচুতে তোলা হয়েছে। নারীর স্বার্থে ধর্ম আদৌ সৃষ্টি হয়েছে কি?
পতি সেবা করে সতী,
এছাড়া নাই গতি।
স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত।.....
এরকম আরো অনেক ধর্মীয় বাণী আছে পুরুষের পক্ষে। কই, আজ পর্যন্ত কোন ধর্মীয় যাজক তো বলেনি - স্ত্রীর পায়ের নিচে স্বামীর বেহেস্ত? তো যে-ধর্মগুলো আজ পর্যন্ত নারী-পুরুষের সমতার শিক্ষা দেয়নি, সে ধর্মগুলো কখন কীভাবে আলো দিয়েছিল? ধর্ম কি বারবার মানবসভ্যতাকে পেছন দিকে টানেনি? মানুষগুলোকে স্ব স্ব ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি জানানোর শিক্ষা দেয়নি? মানুষকে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান বানিয়ে বিভক্ত করেনি? তো করলে ধর্ম অন্ধকারে কখন আলো এনেছিল? ধর্ম তো জম্মই হয়েছে অন্ধকারকে সঙ্গী করে, সে আবার আলো দেবে কী করে?
অকালপ্রয়াত প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আমি 'অপ্রিয় ভাষ্য' বলছি: ধর্ম কোনো কালেই অন্ধকারে আলো দেয়নি, ধর্ম আলোর মাঝে বার বার অন্ধকার নিয়ে এসেছিল। মানবসভ্যতাকে পেছনের দিকে টেনেছিল। "ধর্ম একদা অন্ধকারে এনেছিল আলো," ২৬ বছর আগের আপনার কবিতার এই লাইনটি বা ধারনাটি ভুল ছিল। আসলে ধর্ম কোনোকালেই আলো আনেনি, এটা ভুল!
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: ভীষণ ভাল লাগল।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৯
দরবেশমুসাফির বলেছেন: কখন কোন ধর্মগ্রন্থ পড়েছেন কি??
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৯
কাল্পনিক আমি বলেছেন: @দরবেশমুসাফির পড়াশুনা করে আমি লেখেছি। আপনাদের মত কিছু ধর্মান্ধ দের জন্য আজ দেশে শান্তি বলে কিছু নেই। আপনি নিজে আগে নিজের ধর্মের বই পড়েন তারপরে নিজের বিবেক কে ভাল ভাবে বলেন আসলে কি আপনি ঠিক?
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৭
-সাইরাস বলেছেন: " ধর্ম মানুষকে অন্ধ আর মুর্খ থাকার শিক্ষা দিয়েছে। "
কন্যা সন্তানদের জীবন্ত পুতে ফেলা, কথা কাটাকাটি হলেই খুন করে ফেলা, মদ জুয়ার নামে নারী কেনা বেচা করা, জমি দখলবাজি করা, চাদাবাজি করা, ঠক জচ্চুরি, দাসীদের সাথে পশুর মত আচরণ করা এসব ছিল আইয়ামে জাহিলিয়াতের প্রধান বৈশিষ্ট।
অথচ, আপনি বলছেন আইয়ামে জাহিলিয়াত ইসলামী যুগের চেয়েও ভালো ছিল । ব্যাথিত হলাম আপনার পুওর অবসার্রভেশন দেখে ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
কাল্পনিক আমি বলেছেন: এখনকার অবস্থা চিন্তা করলে আপনি আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। আসলে কোন সময় ভাল ছিল।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:২৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সত্যিই অবাক লাগে , ধর্ম কে নিন্দা করা ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন বিষয় নেই ? ধর্মকে নিন্দা করার আগে ধর্মকে বিষদ ভাবে জানুন । কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ না জেনে এরকম বুলসিট লেখা উচিত নয় । যেকোনো ধর্মই অনেক সুন্দর এবং আলোর কথা বলে । সেটা বোঝার জন্য আলোকিত একটা মন দরকার হয় । আপনার মতো মানুষরা যার তার কাছে ধর্মের কথা শুনে ধর্মকে ভুল বোঝে । আপনি কি অভিপ্রায় থেকে এই লেখাটি লিখেছেন জানি না - এর দুটা কারন হতে পারে ১. আপনি রাতারাতি ফেমাস হতে চান ২. আপনি ধর্ম থেকে জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছেন । যদি ফেমাস হতে চান , তাহলে আর কিছু বলার নেই , চালিয়ে যান । আর যদি ধর্ম থেকে কষ্ট পান , তাহলে বলবো authenticated source থেকে ধর্ম সম্পর্কে জানুন । আপনি আব্দুর রাহীম গ্রীন এর নাম শুনেছেন ? যদি না শোনেন --- তাহলে তার কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারেন । যেকোনো ধর্মই অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে হয়েছে ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
কাল্পনিক আমি বলেছেন: @গুলশান কিবরীয়া আমার মনে হয় আপনার একটা বিষয়ে একটু নজর দেওয়া দরকার। সকল কিছুর মধ্যে অল্প, মধ্যম এবং বেশি থাকে। সেটা আপনার ধর্মের মধ্যেও আছে। আর আমরা যারা আসলে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না তারা আসলে অনেক পড়াশুনা করে এসে আপনাদের সাথে কথা বলি। এইখানে বিখ্যাত হবার কোন কথাই আসছে না। আমারা মানে আমাদের কিছু আবাল নাস্তিক আছে যারা কিনা শখের বসে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে সে আসলে নাস্তিক।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩০
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ব্লগে এক সময় কোন ব্যাক্তির নাম নিয়ে পর্যন্ত সমালোচনা করা হতোনা,আমরা দেখেছি আলোচনায় সমালোচনায় ব্লগারদের সতর্কতা এবং সভ্যতা।কিন্তু এখন ওসব চোখে পড়েনা,তাহলে কি ব্লগ সভ্যতা হারাতে বসছে?এই লেখকের কাঁচা মাথার ধর্ম সমালোচনা আর তা ঘন্টার পর ঘন্টা পোষ্ট ঝুলে থাকাই তার প্রমাণ।
এখন ব্যাক্তি গোষ্ঠি জাতি ধর্ম সব কিছু নিয়ে খুব নোংরা ভাবে বলা হয় এবং এসব পোস্ট গুলো ব্লগে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে স্থান পায়, ব্লগ কর্তৃপক্ষ এসব নোংরামীকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রতিষ্ঠা করছে বলে আমার মনে হচ্ছে। যেখানে আলপিন একটা কৌতুক লিখে মামলা হাঙ্গামায় পড়েছে এবং অবশেষে সেটা বন্ধ করে দিতে হয়েছে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাৎ হানার কারণে সেখানে ব্লগে দিনের পর দিন যুক্তি না দিয়ে নোংরাভাবে ধর্মকে আক্রমণ আঘাত করে কিভাবে? তাহলে কি ব্লগ প্রিন্ট মিডিয়া থেকে শক্তিশালী নয় নাকি ওনাদের কোন নীতিমালা নেই?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
কাল্পনিক আমি বলেছেন: "এখন ব্যাক্তি গোষ্ঠি জাতি ধর্ম সব কিছু নিয়ে খুব নোংরা ভাবে বলা হয় এবং এসব পোস্ট গুলো ব্লগে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে স্থান পায়, ব্লগ কর্তৃপক্ষ এসব নোংরামীকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রতিষ্ঠা করছে বলে আমার মনে হচ্ছে। যেখানে আলপিন একটা কৌতুক লিখে মামলা হাঙ্গামায় পড়েছে এবং অবশেষে সেটা বন্ধ করে দিতে হয়েছে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাৎ হানার কারণে সেখানে ব্লগে দিনের পর দিন যুক্তি না দিয়ে নোংরাভাবে ধর্মকে আক্রমণ আঘাত করে কিভাবে? তাহলে কি ব্লগ প্রিন্ট মিডিয়া থেকে শক্তিশালী নয় নাকি ওনাদের কোন নীতিমালা নেই?"
আপনার কথা অনুসারে তাহলে ব্লগ গুলাতে থাকা উচিত আপনার প্রিয় ধর্ম ইসলাম নিয়ে কথাবার্তা। সেইগুলা দিনের পর দিন যেন প্রথম পাতাতে থাকে। আমাদের কি কোন দাম নেই। আমরা কি ব্লগ যে কোন বিষয়ে লিখতে পারি। সেটা যে কোন বিষয় হতে পারে।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১০
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনাদের মত কিছু ধর্মান্ধ দের জন্য আজ দেশে শান্তি বলে কিছু নেই। আপনি নিজে আগে নিজের ধর্মের বই পড়েন তারপরে নিজের বিবেক কে ভাল ভাবে বলেন আসলে কি আপনি ঠিক?
আপনি আমার ১ লাইনের একটি প্রশ্ন দেখেই বলে দিলেন আমি ধর্মান্ধ?? বাহ, আপনার মত জ্ঞানী লোকই আমাকে আলোকিত করতে পারবেন।
আপনি বলেছেন আমাকে ধর্মের বই পড়তে। আপনাকে জানাচ্ছি যে আমি সকল প্রধান ধর্মের ধর্মগ্রন্থই পড়েছি। এবং নিজের বিবেককেও প্রশ্ন করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আপনি আমার পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাই আপনাকে আমার পড়াশোনার একটি বিবরন দিচ্ছিঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/DarvishMusafir/30064773
আশা করি আপনার মত জ্ঞানী লোক বলতে পারবেন আমার আর কি কি পড়া উচিত। এতে করে আমি উপকৃত ও আলোকিত হব।
বি দ্রঃ আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেননিঃ
কখন কোন ধর্মগ্রন্থ পড়েছেন কি??
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
কাল্পনিক আমি বলেছেন: @দরবেশমুসাফির আমি কিন্তু আগেই বলেছি আমি ধর্ম নিয়ে যা পড়াশুনা করেছি আমার মনে আপনি সেই লেভেলের পড়াশুনা করেছেন। আর যদি এমন হয় যে আপনি না পড়ে ইন্টারনেট ঘেটে কিছু বইয়ের তালিকা দিয়ে দিলেন তাহলে সেটাকে আমি পড়াশুনা বলতে পারছি না।
যাই হোক আমি গীতা থেকে শুরু করে সকল ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়েছি।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
মঞ্জুর৫০৭ বলেছেন: ইসলামে কোথায় বলা হয়েছে স্বামী/স্ত্রীর পায়ের নিচে বেহেস্ত আছে??????????/ বলা আছে "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত"।
এই আপনার পড়াশুনার নমুনা?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৯
মহাসাধক বলেছেন: ধর্মহীনতাই তবে আলো। ওখানে যে বলে হত্যা কোরনা, প্রতারণা করনা, মিথ্যা বলনা, সম্পদ আত্মসাত করনা, অন্যায় বিচার করনা। যাক বাবা এই সবে আর বাধা রইলনা। সতীদাহ প্রথা সনাতন ধর্মে আদতেই কি ছিল? এরিস্টটল যখন আলেকজান্ডার কে পরামর্শ দিলেন সৈন্যরা আর রক্ষিতা রাখতে পারবেনা কিন্তু বিয়ে করে যত খুশি স্ত্রী রাখতে পারবে এটা ধর্মীয় নির্দেশ নয় বলে তবে মেনে নেয়া যায়?