![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক করে মনে নেই, টেকনিক্যাল নামটি কি । হয় "এল নিনো", অথবা "লা নিনো"। পৃথিবীর একটি অংশে ব্যপক বন্যা হয়ার সম্ভবনা থাকবে, আরেক অংশে খরা হবে, আগামী কয়েক বছর ধরে। এটি আমেরিকান জাতীয় ওয়েদার সেন্টারের পুর্বাভাস (https://www.climate.gov/enso) । আমাদের এখানে এবার অনেক গরম পরেছে। তাপমাত্রা একশর উপরে( ফারেনহাইটে) আবার বাংলাদেশে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। মানুষের নিদারূন কস্ট হচ্ছে।
একটি কাজে গিয়েছিলাম "মধ্য" টেক্সাসের বাধঁটি দেখতে গিয়েছিলাম। এটি ১৯৫৪ সালে তৈরি করা হয়েছিল।
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে "মধ্য" টেক্সাসের একটি নদীর উজানের ছবি। এটি তোলা হয়েছে বাধেঁর সবচেয়ে উচু পয়েন্ট থেকে। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এই বাধঁ তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ০.oo৫%। প্রায় শুন্যের কাছাকাছি। এই বাধেঁর ভাটি অঞ্চলটিতে আনুমানিক ১০০,০০০ মানুষ বসবাস করেন। ব্যাপক বন্যা হলেও তাদের ডুবে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম।
পত্রিকাতে দেখেছি বাংলাদেশের হাস মুরগি নিয়ে মানুষ একই টিনের চালে বসে আছে। অথচ একটু ভাল ও কেয়ারফুল প্লানিংও ম্যানেজমেন্টে এরকম পরিস্থিতিতে মানুষকে আরেকটু নিরাপদ রাখা যেত। আগামি দিনগুলোতে বন্যা বাড়বে, কমবে না। একটি কথা আছে- "লিভ উইথ ইট"। আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে , বিশ্ব তাপমাত্রা বাড়ছে। বন্যা একেবারে বন্ধ করা যাবে না, তবে ম্যানেজ করা সম্ভব, এতে মানুষের কস্ট কমানো সম্ভব।
এখানকার রাজ হাঁস। এরা মোটামুটি সর্বভূক। এদের খাওয়াতে প্রায়ই এই লেকটির কাছে আসা হয়। এদের খাওয়াতে যেয়ে প্রায়ই হাতে ব্যাথা পেয়েছি। এখানে পরিস্কার করে সাইন বোর্ডে লেখাও , আছে , এদের খাওয়ানো যাবে না। অথচ এসব উপেক্ষা করেই এদের খাওয়ানো হয়। হয়ত সুন্দেরের প্রতি মানুষের একটু বেশীই মমতা থাকে।
এই পাখটির নামটি বেশ সুন্দর। সিজার-টেইলড ফ্লাইক্যাচার। বেশ গাল ভরা নাম। এরা বেশ সুন্দর গানও করে। হা হা।
একটি কবিতা দিয়ে শেষ করছি।
রূপকথার বন্যা
------------------
কে বলেছে পৃথিবী গোল,
সে সমতল।
কে বলেছে জলবায়ু উত্তপ্ত হচ্ছে,
এ সবই ষড়যন্ত্র।
দেখ - পাখী সব কেমন সুন্দর করে কলরব
মানুষ তুমিই কেবল কর অভিযোগ,
ভিত্তিহীন সব কথা।
বন্যা নেই, এ কেবল প্রাকিতিক ব্যাপার।
উঠুনে বা ঘরে একটু পানি?
সে প্রতিবছরই একটু আকটু হয়।
এর ভেতরই বসে থাক
ছেলে মেয়ে,হাসঁমুরগী , সাপ নিয়ে, ঐ চালে।
তোমাদের দেখতে আসবে ফটো সাংবাদিক,
তাঁর ছবির নাম হবে।
তোমাদের জন্য ত্রান আসবে,
সব সংঘ্য থেকে,
কর্মকতাদের, নেতাদের পকেট ভারী ।
তোমরা সব বসে থাক,
টিনের চালে
কর সাপের সাথে সংসার।
ছেলে মেয়েরা আর বড় হবে না,
পরিবর্তন আনবে না,
গড়বে না দেশ
বা বাঁধ।
তাই সমতল পৃথিবীতে বন্যা হয়,
পানি গড়িয়ে যায় না কোথাও।
জমে থাকে,
থক থক দুঃখ হয়ে।
যুগ যুগ ধরে,
রূপকথার এই দেশে।
ছবি- আমার তোলা।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৭
কালো যাদুকর বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ৷
২| ১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে বন্যায় সিলেটের গজব অবস্থা। অথচ সবাই ব্যস্ত পদ্মাসেতুর উদ্ববোধন নিয়ে।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৫
কালো যাদুকর বলেছেন: বর্তমান বন্যা দুঃখজনক৷ এজন্য কোন প্রস্তুতী নেই ৷ এজন্য অনেক আগে থেকেই প্রোয়জনীয় প্লানিং করা দরকার ছিল ৷ পদ্মা সেতু একটি বড় মাইলস্টোন , এটা নিয়ে আগ্রহ থাকবেই, তবে বন্যার কথা বিবেচনা করে, এটি পিছিয়ে দেয়া যেতে পারে। এরকম অনেক উদাহরন বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।
৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: সিলেটে গত কয়েক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা চলছে। ষাট থেকে সত্তরোর্ধ্ব অনেকে বলছেন, তাঁরা বন্যার এত পানি এর আগে দেখেননি। কী কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হলো, এর ব্যাখ্যায় বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ সংগঠকেরা বলছেন, সিলেটের প্রতিটি নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ, রাস্তা ও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা। মূলত, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জন্য মোটাদাগে এসব কারণই প্রধানত দায়ী। (প্রথম আলো)
আরেকটা খবরে দেখলাম যে, যদি গঙ্গা ও পদ্মা দিয় পানি আসা শুরু হয় তবে পুরো দেশই তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯
কালো যাদুকর বলেছেন: সবগুলো বড় নদী থেকে পানি আসলে সে সম্ভবনা থেকেই যায়। এজন্যই বাঁধের প্রোয়জন হয়। আপনি যেমনটি বলছিলেন - এরকম বিভিন্ন সিনারিওতে কি কি হতে পারে, সে বিবেচনায় বাঁধে পানি নিয়ন্ত্রন করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন গাণিতিক মডেল আছে। বিভিন্ন আন্তদেশীয় চুক্তির মধ্য থেকে এগুলো করা হয়। আমাদের দেশে কি এগুলোর একটির ও কোন বাস্তবায়ন দেখা যায়? সম্ভবত না।
বিদেশে বিভিন্ন দেশে অন্তত পক্ষে ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে বন্যা নিয়ন্ত্রন মূলক অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
মানুষের কি যে সীমাহীন কষ্ট !
আর ভালো লাগে না এরকম দেখতে ।
যাদুকরের প্রাসঙ্গিক লেখা এবং কবিতার মধ্যে দিয়ে কষ্টের প্রকাশ ভালো লেগেছে ।
ছবিগুলোও সুন্দর ।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪
কালো যাদুকর বলেছেন: আসলে একটি সময় ছিল যখন ঐ পানি প্লাবিত ঘরে আমাকেও থাকতে হয়েছে। অনেকটা নিজের জীবনের কথা বলতে চেয়েছি বলতে পারেন। পড়ার জন্যও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ |
৫| ১৯ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: এদের খাওয়াবেন না বলার পরও খাওয়ান এমন সচেতন মানুষ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দায়ী।
কবিতাটি ভালো হয়েছে
১৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৩৭
কালো যাদুকর বলেছেন: আসলে না খাওয়ানোর কারন হচ্ছে- ওয়া যাতে সঠিক খাবার খায় ৷ পরিবেশ থেকে সরাসরি খায়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয় এবং ওদের স্বাস্থ্য ঝুকি থাকে না।
ঐরকম সচেতন লোকেরা যখন খাওয়ান তখন পরিবেশ বান্ধব খাবার খাওয়ান ৷ " পেটকো " বা "পেট স্মার্ট " বলে এখানে একটি স্টোর আছে ৷ ওখানে হাঁসের খাবার কিনে তবেই এদের খেতে দেই ৷ এতে এদের স্বাস্থ্য ঝুকি হয় না ৷
ইটারেস্টিং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবি এবং কবিতা খুবই সুন্দর।