![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম ভিজিট ৩০০ টাকা। দ্বিতীয় ভিজিট ২০০ টাকা। রিপোর্ট দেখানো ২০০ টাকা। এটি ডা. এইচ আব্দুল কাইয়ুম এর ব্যবস্থাপত্রের ফি। কোন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা না করেও তিনি নবজাতক, শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ব্যবস্থাপত্রে কাইয়ূম তার ডিগ্রি হিসেবে উল্লেখ করেছেন এমবিবিএস (এএস) (পিইউ), ডিইউএমএস (ইউএন) (ডিএইচ), এমপিপি (ঢাকা), এমটি (ইন্ডিয়া)। কমার্সে এইচএসসি পাশ কাইয়ূম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে খোদ রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার উলন রোডের একটি ফার্মেসীতে প্রতারণা করে আসছিলেন। তবে আজ তিনি ধরা পড়ে গেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এএইচএম আনোয়ার পাশার আদালত গতকাল তাকে দুই বছর এবং তাকে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে ফার্মেসী মালিক মোখলেছুর রহমানকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই আরও এক লাখ করে টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে । বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর মেজর কামরান কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করার পর আদালত তাদের এই কারাদন্ড দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি ডা. স্বপন কুমার তপাদার। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গত দুই বছর ধরে পশ্চিম রামপুরার উলন রোডে ৩৩৪/৩ নম্বরের হিরোসাকি ফার্মেসীতে চেম্বার বসিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন তিনি। ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার পাশা বলেন, অভিযানের সময়েও সাফিয়া (২৪) নামে একজন মহিলা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে পাঁচ বৎসর মেয়াদী এমবিবিএস কোর্স করে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে এক বছরের ইন্টার্নী করেছেন বলে সনদ দেখান। পরে আবার জিজ্ঞাবাদে জানান যে হাসপাতাল থেকে ইন্টার্নী করেছেন তা তিনি কখনও দেখেননি। এর কোন অস্তিত্ব নেই বলেও স্বীকার করেন। ইন্টার্নী না করেই তিনি ভুয়া এমবিবিএস সনদ সংগ্রহ করে এই চিকিৎসা প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন
মানবজমিন
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
৭১৫০ বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০২
নিজাম বলেছেন: এইটা এদেশে নতুন কিছু না। আরও অনেক এমন আছে। ওই ভদ্রলোক সম্ভাব্য সকল 'জায়গা' ম্যানেজ করতে না পারায় এই অবস্থা হয়েছে।