পুলিশের ইঊনিফর্ম বদল ও বাস্তবতা

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

আপনাদের হয়তো মনে আছে বাংলাদেশ পুলিশের ইমেজ সঙ্কটের কারনে তাদের বহু বছরের পুরনো খাকী পোষাক পরিবর্তন করে বর্মাতমানে যে পোশাক পুলিশদের পরতে দেখা যায়, সেটা নির্ধারন করা হয়। আমি দিন কাল তারিখ মনে রাখতে পারিনা বললেই চলে, প্রায় ক্ষেত্রেই শুধু ঘটনা মনে থাকে। আমি জানি যে কোন লেখার জন্য সেইসব খুবই গুরুত্ব পুর্ন। কিন্তু এখানে তো আমার কিছু করার নাই। স্মৃতি বিট্রে করলে কার কি করার আছে? এক্ষেত্রেও আমি সেই পুলিশের ইউনিফর্ম পরিবর্তনের কাল ও তারিখ বলতে পারছিনা। তবে ব্যাপারটা বিশিদিন আগের নয় যেহেতু মোটামুটি সবারই জানা কথা। (সম্ভবত ১৯৯৬-২০০০ টার্মের আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকা কালে)

এখন আমার কথা হচ্ছে এই এই ইউনিফর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে আদৌ কি পুলিশের জন্য একটা ভাল ইমেজ তৈরী করতে পারা গেছে? আদৌ না, এটা যে কেও বলতে পারবেন নির্দিধায়। চেষ্টা করা হয়েছে কিনা, সেটাও বলা সম্ভব না আমার পক্ষে। কিন্তু আদতে লাভ কি হল। আর ইদানীং এসেতো তাদের ইমেজ আরো বেশি বিতর্কিত। লাভের লাভ শুধু পোশাকে চাকচিক্যই এসেছে, সম্মান আসেনি। এছাড়া পুলিশ বাহিনীকে এখন যেসকল শিরোনামে ডাকা হয়, সেগুলো না হয় না ই উল্লেখ করলাম।

এখন আমার কথা হচ্ছে এ খাতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি অর্থ অপচয়ের ধায়ভার কে নিবে? আমাদের রক্তপানি করা টাকা দিয়ে পুলিশ নামক পিটানো বাহিনীই যদি থাকবে, কি প্রয়োজন ছিল এই তামাশার? আর এখন যদি কেউ ক্ষমতায় গিয়ে এই ইমেজ রেকভার করার জন্য আবার পোশাক পরিবর্তন করতে যান তাতেও যে লাভ হবেনা, সেটাও সুপ্রমানিত। কয়লা- সেতো কয়লাই, সাবান দিয়ে ধৌত করুন আর ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াশ করুন, কালার তো চেঞ্জ হবার নয়। শুধু শুধু শ্রম (?) আর সময় (?) নষ্ট। আমরা মুটামোটি চাঁদ সুর্যের মতই বিশ্বাস করি আমাদের বর্তমান পুলিশ বিভাগ সেই খাটি কয়লার পর্যায়ে চলে গেছেন। (মূল্যমান উনুল্লেখ্য)।

আমি সাধারন থেকেও অধ্ম বান্দা'র এইসব প্যাঁচালে কিচু আসবেও না, যাবেও না, সে আমি ভালই জানি। কিন্তু গত দু একদিন ধরে আমার হৃদয় কোনে একটা ইচ্ছা জন্মেছে।

এখন নির্বাচনী গাল্গপ্প শুরু হয়েছে, কি করেছি - কি করব এইসবের। আমার ইচ্ছাটা হলে কেঊ সেসব মহা মহা সমাবেশ থেকে ঘোষণা দিন-

' আমরা আগামিতে ক্ষমতা নামক ললিপপ হাতে পেলে পুরো পুলিশ বিভাগ কে বিলুপ্ত করে দেব। তার স্থানে দেশজ একটি বাহিনী গড়ে তোলা হবে তাদের নিয়ে যারা মানুসিক ও মানবিক বোধ সম্পন্ন। যারা বুজতে পারবে তাদের নিজেদের কাজ অ একটি পশুর কাজের মধ্যে কি পার্থক্য।'

আমি জানি এটা কেউই ক্ষমতায় গিয়ে করবে না, বরং আরো নতুন মাত্রায় পুর্বাকার কর্মই করতে দেবেন পুলিশ কে। মাত্রাটা বেশি কিংবা কম এই যা।

কিন্তু আমি নাদান এটা জেনেও কেন মিথ্যে নির্বাচনী বুলি শুনার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। কারন বিশেষ কিছু না, দিলে একটু পুলক পাওয়ার জন্য। রাজনীতিবিদরা আমাদেরতো কতো রকমেরই পুলক দিচ্ছেন প্রতিদিন, এই রকম একটা পুলক চাওয়ার নিশ্চয়ই আমার গনতান্ত্রিক অধিকার।

০ টি +০/-০