| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোসাফির
দুনিয়া অস্থায়ী, আখিরাত চিরস্থায়ী।
যৌবনরে পাগলামীতে, প্রাণপ্রয়ি স্ত্রীকে তুলোবুলো করতে গিয়ে জম্নদাতা মা-বাবাকে যে যুবক বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে নিজের দ্বায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে আত্নতৃপ্তিতে ভুগতছেনে অথবা এই কনসপ্টেকে যার অন্তরআত্না দিয়ে ভালোমনে করেন তাদের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। হে যুবকঃ তুমি কি জানো তুমি কতটা রক্তখেকো? তুমার ক্ষুধার তিব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে তুমি তোমার ক্ষুধার সময় রক্ত না পেলে মানুষ হয়েও মানুষরে তাজা গোস্ত খাইতে সামান্য পরিমান দ্বিধা করতে না। যে মাকে আজ তুমি তারই রক্তপানি করে সাজানো ঘর-সংসার হতে বিদায় করে বৃদ্ধাশ্রম নামের এক অদ্ধকাররে মধ্যে ফেলে আসতেছো সেই মায়ের রক্ত-গোস্ত খেয়েই কিন্তু তুমি আজ দুনিয়ার আলো বাতাস খাইতেছো, স্ত্রীর মায়াজালে পড়ে তুমি আজ যাকে ভুলতে বসেছো তুমি কি জানো? র্দীঘ ১০ মাস ১০ দিন তোমার ফুটবল খেলার মাঠ ছিলো তোমাই এই বৃদ্ধামায়ের পটে? ২২ গজের পিচ বানিয়ে তার পেটেই তুমি ইচ্ছা মতো স্পিন-ফাস্ট বোলারের বল করেছো , শহিদ আফ্রিদি হয়ে ছোট্র ওই পেটের মধ্যেই মিরপুর ইস্টেডিয়াম মনে করে বলে বলে ছক্কা মেরে টি-২০ মেচ খেলেছো? তোমার এক একটা র্শট-খেলার সময় তোমার মা অসয্য যন্তনায় চোখ বুঝে-দাতে দাত কামড়ে জীবন বাজি রেখে তোমার ঐ অমানুষিক যন্তনা সয্য করা ছাড়া তার আর কোনো ওপায় ছিলো না অথচ তুমি তখন গোল গোল অথবা ছক্কা ছক্কা বলে হয়তো লাফাইতে। তোমার অবশ্য ওই সব মনে নাই কারণ তোমার এখন ভর যোওবন। যুদ্বে যাবার সময় তোমার এখন। বৃদ্ধাশ্রম এর কোনে অসহায়ের মতো পড়ে বৃদ্ধা মায়ের কথা কি আর মনে রাখার তোমার সময় আছে ! তুমি তো তোমার সুন্দরী স্ত্রী-ব্যবসা-চাকরী নিয়া মহা ব্যাস্ত। বরঝোড় বছরে দুই ঈদে বৃদ্ধাশ্রম এ গিয়ে হয়তো কিছু সেমাই-সিন্নি দিয়ে আসবে আর মনকে শান্তনা দিবে আমার মতো ভালো ছেলো আর কে আছে? আমার বউ যদি সাথে যায় তাহরে ত উনি হিরার টুকরার মতো সোহাগী-ভালো বউ কারণ ঐ যে বছরে দুই ঈদে আপনার সাথে বৃদ্ধাশ্রম এ গিয়ে শশুর-শাশুরীকে দেখে আসে-সেমাই-সিন্নি দিয়ে আসেন। এখনকার জামানায় এমন ভালো বউ কি আর হয়? কিন্তু আমি বলি এ সবই তোমার মনের শান্তনা আর শয়তানের ধোকা কারণ বৃদ্ধা মার কাছে তার সন্তানের সঙ্গভিন্ন অন্য কোনো কিছুই তার কাছে মূল্য রাখে না। কারণ বছরে দু-একদিন ভালো খাবার তো ঐ রাস্তার কুত্তাটা নিজের খায়।
তোমার মনে আছে কিনা জানি না তবে আমার কিন্তু মনে আছ। ছুটি শেষ করে যখন আবার ইউনিভার্সিটিতে আসতাম তখন বিদায় বেলায় মাকে দেখতাম ঘড় হতে বিদায় দিতে দিতে গ্রামের রাস্তা র্পযন্ত আসতেন অবশেষে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলতামঃ মা তুমি বাড়ি চলে যাও আর তোমার আসতে হবে না কিন্তু কে শুনে কার কথা, তখন মা বলতো আর একটু যাই এভাবেই একটু একটু করে হয়তো কোনো কোনো দিন সে অনেক দুর পর্যন্ত আমাকে এগিয়ে দিতেন অথচ গ্রামের লজ্জশীন মুসলমি ঘড়ের বউ হিসাবে সে সব সময় নিজেকে বাড়ির মধ্যেই থাকতে পছন্দ করতো কিন্তু সন্তানের প্রতি ভালোবাসা তাকে পাগল করতো বলেই কিনা সে রাস্ত র্পযন্ত বিদায় দিতে আসতো তাও আবার সেখানেই ততক্ষন দাড়িয়ে আমার যাওয়ার পথে চেয়ে থাকতো যতক্ষন না আমি তার দৃষ্টির আড়াল না হই। শেষ মুর্হুতে যখন বলতাম মা আমি যাই আমার জন্য দোয়া করিও তখন মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হৃদয়ের সমস্ত আকুতি বিলিয়ে খোদার কাছে আমার নিরাপত্তার জন্য দোয়া করতনে। যুবক তোমার মাও অবশ্যই তাই করতো কারণ দুনিয়ার সমস্ত মা ই যে এক। তোমার মা হয়তো তোমার ইউনিভার্সিটির ডিগ্রির মর্যদা বোঝেন না যেটা তোমার ভালোবাসার স্ত্রী বোঝেন। তাই হয়তো তুমি আজ তোমার স্ত্রী-সন্তানকে ঝামলো-মুক্ত রাখতে এই মমতাময়অ মা-কেই পাঠাচ্ছ বৃদ্ধাশ্রম নামক একট বন্দিশালায়। কারণ মানুষ যখন বৃদ্ধা হয় তখন তার দরকার সন্তান-নাতি-পুতিদের সঙ্গ কোটি কোটি টাকা পয়সা-গয়না তাদের কোনে দরকার হয় না। আর আমার মাকে আমি যেভাবে খদেমত করতে পারবো অন্য কোনো লোক কি সেভাবে পারবে? আমার মায়ের প্রতি আমার চাইতে কার বেশি ভালোবাসা আছে? যে মা আমার জন্য তার রক্ত-গোস্ত খরচ করতে পারে তার জন্য আমি কি আমার ঘামটাকেও একটু খরচ করতে পারবো না? তাই বৃদ্ধাশ্রম নয় নিজের ঘড়েই মা-বাবার খেদমত করার জন্য সবোচ্চ চেষ্টা করা দরকার। তবে হ্যা যদি কোন বৃদ্ধা মাকে দেখার মতো কোনো সন্তানই দুনিয়াতে না থাকে তাহলে হয়তো ভিন্ন কথা তার জন্য বৃদ্ধাশ্রমটা ভালো একটা প্রচষ্টো কিন্তু এর জন্য আমাদরে উচিত বৃদ্ধাশ্রমটার পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয় সেবার মানটা যাতে ভালো করা। পরিশেষে ইসলামী অনুশাসনের একটা কথা বলিঃ মানুষের ভুলের জন্য আল্লাহ যদি দুনিয়াতে শাস্তি দেন তাহলে আখিরাতে সেই একই ভুলের জন্য আর শাস্তি দিবেন না কিন্তু মা-বাবার সাথে বেয়াদবির কারণে আল্লাহ দুনিয়াতেও শাস্তি দিবেন আবার আখিরাতেও ঐ একই ভুলরে জন্য দ্বিত্বীয় বার শাস্তি দিবেন। আর সন্তানের ধ্বংশের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে , তার খারাপ ব্যবহাররে কারণে নিজের মা-বাবা মনের কষ্টে উহ্ আহ্ শব্দ উচ্চারন করনে। আল্লাহ আমাদের মা-বাবার বাধ্যগত সন্তান হিসাবে কবুল করুক এবং তাদের খেদমত করার বিনিময়ে আল্লাহ আমাদরে উপর রাজি হয়ে যান।
২৬ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৪৮
মোসাফির বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সুবিবেচনা দান করুন। আপনার জন্য সু-ভকামনা।
২|
২৬ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:১১
নিভৃত নয়ন বলেছেন: বাবা মা কে কখন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবো না
২৬ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫২
মোসাফির বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে মা-বাবার সেবা করার জন্য কবুল করুন। কারণ আজকে যদি আমরা আমাদের বা-মাকে সেবা করি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের সন্তানরাও আমাদের জন্য কাজ করবেন।
৩|
২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১:০০
বক্তা১ বলেছেন: আমার নিজে থেকেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে ইচ্ছা করে, তাও আবার শুধু নিজে না সাথে সমস্ত বন্ধু বান্ধব নিয়া একই বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ বয়সটা হেসে খেলে পার করতে ইচ্ছা করে। হল লাইফ খুব মিস করি, আর বুঝে গেছি যে ঐ রকম সুন্দর লাইফ আর পাওয়া হবেনা তাই বৃদ্ধাশ্রম হয়তো সেই একটা সুযোগ দিতেও পারে যদি তেমন উন্নত বৃদ্ধাশ্রম করার চিন্তা ভাবনা করা হয়।
আমার মতে বৃদ্ধকে ঘরের কোনায় ফেলে রেখে কষ্ট না দিয়ে তার শেষ সময়টা কিভাবে আনন্দে কাটানো যায় সেই চিন্তা করা উচিত। আমরা যেমন নিজের সন্তানকে ভাল স্কুলে ভর্তি করার জন্য চিন্তিত থাকি তেমনি বৃদ্ধ মা-বাবাকেও যদি উন্নতমানের বৃদ্ধাশ্রমে দেয়ার জন্য কম্পিটিশন করতে হত তাহলে খারাপ হতনা।
এমন চিন্তা ভাবনা থেকে মনচায় একটা ভাল বৃদ্ধাশ্রম খুলি যেটা বৃদ্ধকে কোনমতে বাঁচিয়ে রাখার জায়গা না বরং বৃদ্ধকাল কিভাবে উৎফুল্ল এবং সুন্দরভাবে কাটানো যায় সে ব্যাবস্থা করার জায়গা হয়, ঘরে ঘরে বৃদ্ধরা যেন বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার জন্য আবদার করতে থাকে এমন বৃদ্ধাশ্রম খুলতে মনচায়।
২৭ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩১
মোসাফির বলেছেন: সত্যিই যদি ঐ রকম মান সম্মত বৃদ্বাশ্রম খুলা যায় তাহরে হয়তো বৃদ্বাদের জীবনটা মোটামোটি ভালো কাটবে কিন্তু সন্তান হিসাবে মা-বাবার খেদমত করে নিজের জীবনক কিছুটা রিন মুক্ত করার সুযোগটা কিন্তু পাবো না। আর বৃদ্বা মা-বাবার সেবা করাটা শুধুই ধর্মীয় দাবি নয় বরৎ মানবীক দাবীও বটে। মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে যেমন এসি গাড়িতে চড়েও গরম লাগে তেমনী বৃদ্বাশ্রমে মা-বাবা খাবার-দাবার আর দামি পোষাক আষাক পরেও তার সন্তান আর নাতি-পুতিদের নিঃসর্গতা তাকে অবশ্যই কষ্ট দিবে।
৪|
০২ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১০
মোসাফির বলেছেন: tomar jonna valobasa maaaaaaaaaaaaaaaaaaaaa.
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:২৫
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: প্রতিজ্ঞা করেছি বাবা মাকে কখনও কষ্ট দেব না