নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের জন্য যা ভাল মনে করি, অপরের জন্য তাই ভাল মনে করা উচিত।

আমি আমার রব হিসাবে আল্লাহতায়ালাকে রাজি করাতে চাই।

মোসাফির

দুনিয়া অস্থায়ী, আখিরাত চিরস্থায়ী।

মোসাফির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী সুন্দর জীবননের নমুনা-২।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২

হযরত ছোহায়েব (রাঃ) এর ঘটনা।



হযরত ছোহায়েব (রাঃ) নবুয়তের প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহন করেন এবং তার সাথে সাথেই অন্যন্য সাহাদের মতোই তাহার উপরও কাফেরদের পক্ষ্ হতে চরম নির্যাতন নেমে আসে এবং এক পর্যায়ে নির্যাতন চমর মাত্রায় পেীওছাইলে হিজরতের জন্য আপর ঘর হতে বের হলেন কিন্তু দুষ্টমাতি কাফেরগন এটাও সহ্য করতেন না যে, কোন মুসলমান প্রাণের ভয়ে দেশ করুক। কেহ হিজরতের উদ্দেশ্রে ঘড় হতে বের হলেই তাকে পাকরাও করে আনা হইতো। তাই হযরত ছোয়াবের (রাঃ) যখন তাদের অমানুষিক নির্যাতনের হাত হতে জীবন রক্ষার জন্য বের হলেন তখনই একদল কাফের তাহার পিছু দাওয়া করিলো কিন্তু তিনি শত্রুদলকে পিছনে আসতে দেখিয়া রুখিয়া দাড়াইলেন এবং সগর্বে বলিলেন দেখঃ তোমাদের ভালো করিয়াই জানা আছে যে, আমি একজন সুদক্ষ তীরন্দাজ একটি তীর বাকী থাকতেও তোমরা আমার নিকট পেীওছাইতে পারিবে না আর তীর শেষ হইয়া গেলে আমি আমার তরবারী দিয়া তোমাদের মোকাবেলা করিবো আর তরবারীও শেষ হইয়া গেলে তোমাদের যা ইচ্ছা করতে পারো। এই জন্য বলিতেছি শোনঃ জানের পরিবর্তে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তির সন্ধান তোমাদের দিতে পারি তাছাড়া আমার দুটা বাদি আছে তাদেরকেও তোমরা নিতে পারো । শত্রুগন তাতেই রাজি হইয়া গেলো এবং মালের পরিবর্তে জান রক্ষা করিলো। আর আল্লাহ সাহাবীর এই ঘটনা রাজি হইয়া নবীর উপর কোরআনের এই আয়াত নাজিল করিলেনঃ যার অর্থঃ- মানুষের মধ্যে এমন সব লোকও রহিয়াছে যাহারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের জীবনকে খরিত করিয়া লয় আল্লাহ পাক অতিশয় দয়াবান।

হুজুর (সাঃ) তখন কুবাতে অবস্থান করিতেছিলেন, ছোহায়েব (রাঃ) কে দেখিয়া তিনি বলিলেন বড়ই লাভের ব্যবসা করিয়া আসিয়াছো তুমি। হযরত ছোহায়েব (রাঃ) বলেনঃ হুজুর (সাঃ) তখন খেজুর খা্ইতেছিলেন আমিও উনার সাথে খাওয়া শুরু করলাম অথচ আমার একটা চোখ অসুস্থ ছিলো। হুজুর (সাঃ) বলিলেন তোমার চোখ অসুস্থ অথচ খেজুর খাইতেছো? আমি বলিলাম যেই চোখ ভালো সেই চোখের পক্ষ্ হতে খাইতেছি। আমার উত্তর শুনিয়া প্রিয় হুজুর (সাঃ) হাসিয়া উঠিলেন।

হয়যত ছোহায়ের (রাঃ) অত্যান্ত অমিতব্যায়ি ছেলেনঃ একদিন হযরত উমর (রাঃ ) বলিলেনঃ তুমি বড় বেশি খরচ করিয়া থাকো।তিনি উত্তর করিলেন আমি অন্যায় মতো খরচ করি না। অন্তিম কালে হযরত উমর (রাঃ) তাহাকে তাহার জানাযা পড়াইবার অছিয়ত করিয়া গেলেন।

আল্লাহ পাক আমাদেরকেও ইসলামের জন্য কাজ করার তোফিক দান করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হাদিস যারা ঈমান মজবুত করিয়া লইতে চাও আমার প্রিয় উত্তম ছাহাবাদের জিন্দেগি অনুস্মরণ কর ।
বায়হকি

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

মোসাফির বলেছেন: আমার সাহাবারা হচ্ছে নক্ষত্র স্বরূপ। যে কোন সাহাবী কেউ অনুসরণ করবে সেই আল্লাহ পর্যন্ত পেীছতে পারবে। (হাদিস শরীফ)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.