জানলা প্রেম

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

মেয়েটা প্রতিদিন জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকে।
এক দৃষ্টিতে ; ড্যাব ড্যাব করে। মাঝে মাঝে আমিও
তাকাই; ভর্য়াত চোখে। আসলে এই রকম হয় ঢাকা
শহরের প্রতিটি বহুতল বাড়ির জানালাতেই। একে কী
বলা যায়? জানালা প্রেম? হু, চালানো যায়। জানালা
প্রেম ; কথাহীন, রিক্সাহীন, ঘোরাঘুরিহীন নির্বাক
প্রেম।
আমারো একটা জানালা প্রেম আছে। একান্তই আমার।
থাকি মহাম্মাদপুর প্রবাল হাউজিং। একটা ৬ তলা ভবনের ২য় তলায়। ভার্সিটির হোস্টেল। আমরা রুমে থাকতাম দুইজন। মাঝে মাঝে বারান্দায় যেতাম আকাশ দেখার
জন্য। অন্ধকার আকাশ, আলোময় আকাশ, মেঘলা আকাশ !
দিনগুলো যাচ্ছিলো ভালোই।
আমাদের হস্টেলের সামনের বামপাশের বিল্ডিং নাম স্বপ্নচুড়া ভবন। এর তিন তলার বারান্দায় সবসময় পাতলা নেটের পর্দা ঝুলানো থাকে। কিন্তু বুঝা যায় কোন একটা মেয়ে বাড়ান্দায় প্রায়ই পদচারনা করে।
বারান্দার দুই পাশেই একটা করে জানলার অবস্থান। আমি তাকিয়ে আছি ওই পর্দা ঝুলানো বাসাটার দিকে। দৃষ্টি ফেরাব ফেরাব ভাব, তখনি তার আর্বিভাব ডানপাশের জানলায় ।
কানে হেডফোন হাতে ট্যাব। ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক। বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
নিজের কাছে বড্ড অগোছালো লাগছে ব্যাপারগুলো।সে আমার দিকে তাকাচ্ছে বাঁকা দৃষ্টিতে, খোলা চুল, বাতাসে ওড়ছে, আমিও তাকিয়ে আছি হা করে বেহায়া ছেলের মত ! কয়েক মিনিট
অক্ষিযুগল নিবন্ধিত ছিল তার উপরেই। কিন্তু হঠাৎ তার অনুপস্থিতিতে যেন লজ্জাই পেলাম। মূহুর্তেই আশপাশ চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম কেও আবার দেখছে নাতো এই বোকা ছেলের কান্ড! ইদানিং প্রায়ই আমার দৃষ্টি পড়ে থাকে ওই পর্দা ওয়ালা বাসাটার দিকে। আমার রুম ম্যাট পলাশ ভাই মনে হয় কিছুটা আচ করতে পেরেছেন। আমার ভাব ভংগি পরিলক্ষিত করার জন্য পলাশ ভাইয়ের অক্ষিযুগল প্রায়ই টেরা হয়ে চেয়ে থাকে আমার উপর।

০ টি +০/-০