![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
................................................................................................................................................... চোখের মাঝে চোখ শুধু নয় চোখেই থাকে জল। চোখের মাঝে সাগর থাকে অশ্রু টলমল।
তবলা বাদক কেবলা হাবু
মুর্ছা গেল বিকেলে।
কোন ব্যারামে এয়সা কাবু
উঠবে বেঁচে কী খেলে!
দিব্যি দু’সের মন্ডা গিলে
কলা হাঁকে এক কাদি;
কোন সাহসে হাবুর সাথে
কুস্তি লড়ে টেক্কা দিই !
ভুড়ি নেড়ে ভর দুপুরে
ফুড়–ত ফাড়–ত নাক ডাকে।
ঘুম ভেঙ্গে সে দাওয়ায় বসে
একুশ গাছি আখ চাখে।
এই না দেখে গিন্নী রাগে
উফ! সে কী যে ঝকমারি!
সেই সুযোগে ক্যাবলা চাখে
চিংড়ী ভুনার তরকারি।
দুঃখে কাতর কষ্টে পাথর
গিন্নী যখন স্পিকটি নট।
কেবলা হাবু জবুথবু
পাল্টে গেল দৃষ্টি পট।
‘দিচ্ছি এনে চিংড়ি কিনে’,
বলেই হাবু ছুট লাগায়;
হাত পাঁ ছেড়ে গলির মোড়ে
বসেই দু’ প্লেট ফুসকা খায়।
বাজিয়ে তুড়ি নাচিয়ে ভুড়ি
চলল হাবু মার্কেটে;
কে-ই বা জানে অলক্ষুণে
শনির দশা তার ঘটে!
ত্যারসা চোখে কীইবা দেখে
ক্যাবলা হাবু চিৎ পটাং।
দেখলে ওকে বলত লোকে
পথ ভুলো ওরাং ওটাং।
কেউবা হেকে বলল ডেকে,
ওরে এতো কেবলা দা!
কম্ম কাবার! প্রশ্ন সবার-
এইখানে ক্যান ভ্যাবলাটা ?
যে যার মত ভাবল কত
করল শুরু ডাক্তারি।
শোভন পাঁজি ধরল বাজি
রাখল ফেলে মোক্তারি।
‘ভুড়ির বাঁকে তবলা এঁকে
বোল তোলো কেউ ধুপ তা না;
দেখবে তখন নামবে যখন
হাবুর ঘাড়ের ভুতখানা।’
তবলা এঁকে তা ধিন টুকে
লাভ হল না এক রতি-
বুঝল সবে এইটা তবে
শোভন পাঁজির ভিমরতি।
কেউবা ভেজা জুতো শোঁকায়,
কেউ ভুঁড়িতে তেল মাখে;
কেউবা তাজা গোবর চাখায়,
কেউ দাঁড়িতে ঘোল মাখে।
কেউবা চুপে বরফ চেপে
পালস আছে কী? চেক করে;
কেউ কিছু না করতে পেরে
শূন্যে জোরে কিক মারে।
দুলিয়ে মাথা ধোপার গাধা
জিভ দিয়ে ওর কান চাটে
দমকা হাসি ছররা কাশি
কার বা গেল মান তাতে?
মাটি ফুঁড়ে আসল উড়ে
কাবলিওয়ালা কোত্থেকে?
জটলা ঠেলে ভেতর গেলে
তাকায় ভিড়ের প্রত্যেকে।
হাবুর পাশে কাবলি বসে
তাড়ায় মাছি হাত দিয়ে।
বলল, কাকা ধারের টাকা
এক্ষুনি দাও শোধ দিয়ে।
যেই না ঝাড়ি ভাওতা ছাড়ি
ক্যাবলা ভয়ে চোখ খোলে।
লাফ দিয়ে সে উঠল গাছে
ভীড়ের শত মুখ ভুলে।
ক্যাবলা হাবুর ছোট্ট বাবু
সেই খুশিতে আটখানা!
তিরিং লাফায় বিড়িং ঝাঁপায়
জোরসে ঝাঁকায় গাছ খানা
copyright@mohammad kamrul islam
©somewhere in net ltd.