![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
................................................................................................................................................... চোখের মাঝে চোখ শুধু নয় চোখেই থাকে জল। চোখের মাঝে সাগর থাকে অশ্রু টলমল।
একুশে ফেব্র“য়ারী-
ভাষার এক যুদ্ধ হ’ল
কচি প্রান পড়ল ঝ’রে-
বাঙালি ক্রুদ্ধ হ’ল।
শহীদের আত্মদানে,
মিছিলের অগ্নি-গানে,
এ প্রানের বাংলাভাষা-
সে থেকে রাষ্ট্্র ভাষা।
ভাষার ঐ যুদ্ধে জিতে
সংকটে দেশ আবার,
বাঙালি প’ড়ল নিচে
পশ্চিমাদের থাবার।
এ ভূমির শিল্প, কৃষি,
শষ্যকনা- খাবার;
বাঁদরই খাচ্ছে বেশী-
লুট তরাজে সাবাড়।
বাঙালি বলল তবে -
আবার এক যুদ্ধ হবে,
হা ভাতের রক্ত চুষে -
খাবিরে অট্টহেসে,
না না তা মানব না না-
অবিচার করতে মানা,
রেখে দে মামদো বাজি-
তোরা ঠিক বদ্ধ পাজী।
হায়েনা বলল হেসে -
বাঙালি কা জাত;
ও মাটির রক্ত চুষে
করছি বাজীমাত;
আমাদের বংশ ভাল
আমরা পাঠান জাত।
ব-দ্বীপের জন্যে কালো
অন্ধ নিকষ রাত।
বাঙালি ক্ষেপল খুবই,
স্বাধীকার উঠল দাবি;
মিছিলে বন্য আগুন -
সহসা জ্বলল দ্বিগুন।
স্বাধীকার আন্দোলনে-
বাঙালি সঙ্গোপনে
শুনেছে- যুদ্ধ কর,
কুশাষন বদ্ধ কর।
ওরা তো বন্য হাতে
জ্বালল আগুন ঘরে,
পচিশে মার্চ- সে রাতে
লক্ষ মানুষ মেরে;
ভেবেছে -করবে রে জয়
রক্তে দু’হাত ভ'রে;
ন’মাসেই আনল বিজয়
বীর বাঙালি ধ'রে।
মুজিব এক বীর সেনানী।
সাতই মার্চ তার সে বাণী।
যেন এক অগ্নিবীণা -
জেগে ওঠ্ বঙ্গসেনা।
বাঙালি যুদ্ধ কর ।
দু’হাতে অস্ত্র ধর।
জ্বেলে দাও অগ্নি বারুদ।
গড়ে যাও জোর প্রতিরোধ।
বিদেশী শত্র“ সেনা-
নরখাদকের মত,
আঁধারে করত হানা
মারত মানুষ কত,
মানুষের করত ক্ষতি-
হাসত অবিরত;
পটাপট মারত যদি
মুক্তি সেনা পেত।
বাঙালি মুক্তি সেনা
বলে, হার মানব না না-
বেশুমার রক্ত দিয়ে-
অধিকার আসব নিয়ে।
চালারে যুদ্ধ চালা।
মুছে ফ্যাল অশ্র“ মালা।
ভেঙ্গে ফ্যাল শত্র“ ঘাটি।
জিতে আন মুক্ত মাটি।
বাঙালির শক্তি দেখে-
শত্র“ পেল ভয়।
দু’হাতের অস্ত্র রেখে
মানল পরাজয়;
এভাবে ঘটল শেষে
অত্যাচারীর লয়;
বাঙালি দীপ্ত বেশে
আনল রে বিজয়।
বিজয়ের ঘন্টা বাজে-
প্রভাতে কিংবা সাঝে।
অমলিন মুক্ত স্বদেশ।
আদরের প্রানপ্রিয় দেশ।
বিজয়ের এই লগনে-
প্রতিক্ষণ রাখব মনে,
শহীদের আত্মহুতিই-
জ্বেলে যায় মুক্তি দ্যূতি।
©somewhere in net ltd.