![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ যে দেশটাকে ভালবাসে কিন্ত আজো এই দেশটার জন্য কিচ্ছু করতে পারে নাই। আমি দেশটার মতই হতভাগা।
টাইম মেশিন বলে আদৌ কি কিছু আছে? পৃথিবীর কোথাও? উন্নত বিশ্বের কোথাও, এরিয়া ৫১-এ? জানা নাই?? ফ্যান্টাসি মুভি অনেক দেখেছি টাইম মেশিন নিয়ে (যেমন Time machine, Star gate, Back to the Future 1, 2, 3 etc), বই-ও পড়েছি কিন্তু বড় বড় দেশগুলোর উন্নতি কি এমন একটি পর্যায়ে পৌছায়নি যেখানে বিশ্বের কোন এক প্রান্তে এই টাইম মেশিন অলরেডি আবিষ্কৃত হয়েছে? প্রচন্ড প্রয়োজন এই সময় আমাদের। দেখেন না কেউ, প্লিজ। এইটা অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়। এডমিনকে বললাম, প্রয়োজনে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আমার এই লেখা স্টিকি করা হোক। অনেকে জিজ্ঞাসা করবেন, ভাই হঠাত টাইম মেশিন কেন? ঠাট্টা করছেন? আপাতত আমার উত্তর, অল্প কয়েক দিনের জন্য ভাড়া নিতাম !!! আশ্চর্য হবার কিছু নাই। আমার পুরা কিচ্ছা পড়েন তাহলেই বুঝবেন কেনো চাচ্ছি এই দুর্লভ টাইম মেশিন।
জ্বি জ্বি আমি বুঝতে পেরেছি, আরো অনেক প্রশ্ন করবেন জানি। মনে হয়ত প্রশ্ন গিজ গিজ করছে আমার মত আদার ব্যপারির কি কাম এই টাইম মেশিন দিয়া? বলছি। আমি এই লেখাটি লিখেছিলাম বিগত রাতে, গভীর রাতে। ঘুম আসছিলনা। মোবাইলটা হাতের কাছে পেয়ে টানা লিখে গেছি। লেখার মুড-ও ছিল। যা মনে এসেছে লিখে গেছি। লেখার পরে মনে হল আমার যোগ্যতা অনুযায়ী খারাপ হয়নি। তাই ব্লগে পাব্লিশ করার আগে একবার রিচেক করি, করার আগে উপরের সেভ বাটনে ক্লিক করলাম। কিছুক্ষন লোডিং দেখিয়ে ধাপ করে নেমে আসলো খালি পেজ। ভাবলাম অটো সেভ নিশ্চয়-ই হয়েছে। খুজে দেখলাম তাও নেই। হার্ট বিট বেড়ে গেল। এমনিতেই লেখা হয় না, ইচ্ছাও করে না ইদানিং, তাও যা লিখলাম, অল গন। মনটা খুব-ই খারাপ হল। তারপর আর কি? সামুর গুষ্ঠি উদ্ধার করে ঘুমিয়ে পড়লাম। থাক এইসব আছিলা দুঃখ শেয়ার না করে প্রসঙ্গে ফিরে আসি। লেখাটা আবার লেখার চেষ্টা করেছি। যদিও জানি প্রথম লেখা আর প্রথম প্রেমের মত সুন্দর, তাহার মত আর কিছু নাই।
তেনা প্যাচানো বাদ দিয়ে প্রসঙ্গে ফিরছি, বর্তমান বাংলাদেশ এখন কি সেই পুরানো এনালগ বাংলাদেশ আছে? ডিজিটাল হয়েছে না? আচ্ছা আমাদের সরকার নাকি যুদ্ধের জন্য বড় বড় জাহাজ কিনতে পারে অথবা কিনেছে? আবার সাবমেরিনও কিনবে শুনেছি- অর্ডার দেয়া হয়েছে যদিও সব চায়না রদ্দি মাল, তবুও!! আরো শুনলাম কোটি কোটি ডলারের আর্মস এম্যুনিশন কিনেছে রাশিয়া থেকে, তাহলে অল্প কিছুদিনের জন্য টাইম মেশিন কেন ভাড়া আনতে পারবে না? অন্যান্য বিষয়ের মত এইটাও কি জনগুরুত্বপূর্ন নয়? এই টাইম মেশিন দিয়ে অতীতে গিয়ে তেল আমরা নাইবা ফুরালাম কারন অতীতের চিড়া আর মুড়ি যা মাখানোর সব মাখানো হয়ে গেছে তাই একটু ভবিষ্যতে গিয়ে তো দেখতে পারি আমরা আসলে কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছি অথবা আমার প্রিয় দেশ যাচ্ছে কোন চুলোয়?
আমাদের ললাটের লেখন, খন্ডন কড়ার সামর্থ্য-ই বা কার আছে। জানার আকাঙ্ক্ষা হয়ত হবেঃ
- সামনে জনগন অথবা সরকার নিজে স্বপ্রনোদিত হয়ে কোন বিবিকে সিংহাসনে বসাবে অথবা রাখবে ?
-কোন বিবিকে তার বাবা অথবা স্বামীর নাম ভুলতে সাহায্য করবে?
-কে দেশের দ্বায়িত্ব নেবে? কোন সে বৃটিশ অথবা আমেরিকান ঝান্ডা উড়ানো যুবক? নাকি আদৌ কোন পুরুষ, নারী অথবা কোন হিজড়া?
- তদ্দিন নাগাদ কয় রাজাকারের ফাঁসী হবে?
- কয়জন ফাসীর আসামী মুক্তি পাবে? ইত্যাদি
এই টাইম মেশিনের কল্যানে এমন আরো অনেক জনগুরুত্বপূর্ন বিষয় আছে যেমন খাবারে ক্যামিকেল, যানবাহনের ভাড়া, বিদ্যুতের দাম, জমির অপ্রতুলতা , অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পুষ্টিমানের প্রাচুর্য ইত্যাদি বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল হতে পারব। আর তা জানতে পারলে আমাদের সুশাসকেরা নতুন ফন্দি ফিকিরের মাধ্যমে নিজের তথা দেশের মঙ্গল করতে পারবে। এই চাওয়াগুলো নিশ্চয়-ই অমৌলিক নয়? তাই না? আমরা জনগনতো এখন হিজড়া কা ফৌজ ছাড়া আর কিছুই না কিন্তু আকাঙ্ক্ষা অথবা ভালো কিছুর আসক্তি থাকা তো দোষের কিছু না, তাই না?
আচ্ছা এখন বলতে পারেন আপনি এই টাইম মেশিন দিয়ে আদতে বাংলাদেশের কোন চেহারা দেখতে চান? ধরুন প্রশ্নটা আমাকেই করা হল, অনেকে ভাবতে পারেন আমি নেগেটিভ কিছু মিন করছি, তাই এই টাইম মেশিন নিয়ে অযথা চিল্লা পাল্লা করছি। দেখুন তাহলে আমি পজিটিভ একটা উদাহরন দিচ্ছি। যেমন ধরুন, আমাদের দেশে কয়েকটা শব্দ ইদানিং রাজনৈতিক মাঠে বেশ জনপ্রিয়- অসাম্প্রদায়িকতা, রাজাকার, নাস্তিক, ফ্যাসিস্ট, ধর্মান্ধ, মালু, ফাকিস্তানি ইত্যাদি। এইসব শব্দ আসলে কেন প্রচার করা হচ্ছে? উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই, রাজনৈতিক একটা অবস্থান তৈরি করে ক্ষমতায় যাওয়া অথবা ক্ষমতা আকড়ে থাকা, তাহলে এর ভবিষ্যত কি? টাইম মেশিনে যদি আমরা অদূর ভবিষ্যত দেখতে পাই সেটা একধরনের শাপে বর-ও হতে পারে। যেমন, আমরা হয়ত দেখতে পাব অদুর ভবিষ্যতে সংখ্যা লঘু বলে আমরা আসলে যাদের অপমান করছি তারা মোটামুটি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অন্যায়ের বিরোধিতা করছে অথবা দাড়ি টুপি দেখলেই যাদের রাজাকার আল বদর বলা হচ্ছে অথবা কাঠ মোল্লা , জঙ্গী বলা হচ্ছে তারা তাদের জীবনে এইসব অত্যাচারকে অগ্নি পরীক্ষা মনে করে হয়ত আরো ধর্ম ভীড়ু এবং ঈমানদার হয়ে উঠেছে। এতে দেশে ধর্মভীড়ু হিন্দু এবং মুমিনের সংখ্যাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কার লাভ লস জানিনা কিন্তু যারা ক্রমাগত এদেরকে আঘাত করে আসছে ওই টাইম মেশিনে আমরা হয়ত দেখতে পাব তারা অর্থাৎ সংখ্যা গরিষ্ঠ আর ধর্মভীড়ু মানুষগুলোই দেশ শাসন করছে। তাহলে এইটা একটা পজিটিভ সাইন কিনা বলেন? টাইম মেশিনে আমরা এইটাও পেতে পারি অদূর ভবিষ্যতে কোনো পুরুষ হয়ত দেশ শাষন করছে আর তারা অন্তত চুলাচুলি করছে না। দেখতে পারলে ভালো হবে না? আমরা এখন থেকেই প্রস্তুত হতে পারব? !!!
আসলে আমরা বাংলাদেশীতো? অনেক বেশী আবেগ প্রবন। স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেলে ছাড়িনা, যদিও প্রতি মুহুর্তে আমাদের স্বপ্নভংগ হয়। আসলেই যদি কোন শুভ বুদ্ধি সরকারের মনে উদয় হয় আর আমাদের দেশের রানী সরকার আজায়গায় কুজায়গায় অর্থ বরাদ্ধ না করে কিছু দিনের জন্য একটা টাইম মেশিন ভাড়া করে আনেন, তাহলে আদতে আমরা যা দেখতে পাব,.২০২১ অথবা তার পরবর্তী কোন সময়ে, তা হয়ত এমন হবে-
১. উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যাক্তি বাংলাদেশের ডিজিটাল মন্ত্রী হয়েছেন এবং উনি ক্যাল্কুলেটর চেপে চেপে গানিতিক বাইনারি সমীকরনের মাধ্যমে দেশের সমস্যার সমাধান করছেন। আর প্যাচে পরলেই আম্মা আম্মা বলে দৌড়াচ্ছেন।
২. পুলিশ এখন আর ক্যাশে ঘুষ নিচ্ছে না, ক্রস চেকে অথবা বিকাশের মাধ্যমে আদান প্রদান হচ্ছে।
৩. সংসদ সদস্যরা সংসদে যাচ্ছেন কেবল মাত্র টয়লেট করার জন্য কেননা বাসায় বিদ্যুৎ এবং পানি নেই।
৪. সিএনজি এখন মিটারে যাচ্ছে কারন সিএনজির মিটারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন পুরনো মিটার বদলে বি্দ্যুতের মিটার সিএনজিতে ফিট করে দেয়া হয়েছে। এখন আর সিএনজির ভাড়া বাড়ানোর জন্য আন্দোলন অথবা স্ট্রাইক করতে হচ্ছে না। বলার আগেই সরকার প্রধান স্ব উদ্যেগে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৫. ভারতবন্ধু (ইন্ডিফ্রেন্ড) মোদী সাহেব বাংলাদেশকে তাদের নতুন প্রদেশ ঘোষনা করেছে্ন।
৬. ফরমালিন সেবার উত্তর উত্তর অগ্রগতি হয়েছে। এখন বেতফল, পানিফল, ডেউয়া, লটকন, শালুক, এমনকি শাপলার ডান্ডির মধ্যেও ফরমালিন স্ব-যতনে লেপন করা হচ্ছে।
৭. স্বাচিপের লোগো পরিবর্তন করে পাইরেট সাইন দেয়া হয়েছে। মাঝখানে মাথার খুলি আর দুই পাশে দুইটা হাড্ডি। তাদের কার্যক্রমের সাথে লোগোর সামঞ্জস্যতো থাকাই উচিৎ। তাই না?
৮. দেশে সবাই ক্লিন শেভড কারন দেশে কোন রাজাকারের স্থান নেই আর আইনের চোখে দাড়ি টুপি ওয়ালারা হচ্ছে রাজাকার আর ধর্মান্ধতার প্রতীক।
৯. ইমরান এইচ সরকার দেশের বিরোধী দলের নেতা। পল্লী বন্ধু এরশাদ সস্ত্রীক থুতু আর কফ ফেলতে ফেলতে পটল তুলেছেন। জাতীয় পার্টি এখন যাত্রা পার্টি।
১০. সাগর রুনির হত্যাকারী কে তা জানা গেছে কিন্তু অত্যান্ত পাওয়ারফুল হওয়ায় তাদের নাম সরকার প্রকাশ করছে না। শেয়ার ডাকাতদের মত এদের বিচারো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।
১১. পদ্মা সেতু বলে কিছুর প্রয়োজন হচ্ছে না কারন দেশে নদী বলে আর কিছু নেই।
১২. তিস্তার ধু ধু মাঠে ভারতবন্ধু মোদীর নামে নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে।
১৩. দেশে আর বরাদ্ধ দেয়ার মত জায়গা জমি নেই, তাই দেশকে দোতলায় উন্নীত করে দোতলার জন্য জমি বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে। বন জঙ্গল নদী নালা বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই।
১৪. সন্দরবনের কয়লা থেকে এখন উন্নত মানের দাঁতের মাজন তৈরি করা হচ্ছে আর লোকাল হোটেলে এখন হড়িনের মাংস আর শো পীসের দোকানে বাঘের চামড়া চড়া দানে বিক্রি হচ্ছে।
১৫. তোফা আমু ইনু মিনু কামু হানুরা কথা কম বলছেন আর সন্যাস ধর্ম পালন করছেন। মোদী সাহেব তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের নেত্রীর স্ট্যাটাস টাইম মেশিনের ড্রাইভার কারো সাথে শেয়ার করছেন না।
১৬. দেশের তামাম বিরোধী দলের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত তাদেরকে টাইম মেশিনের ব্লক লিষ্টে রাখা হয়েছে।
এমন আরো অনেক কিছু আমরা হয়ত জানতে পারব, অনেক অথ্য। কিছু হয়ত সরকারের বিরুদ্ধেও যাবে। তাই বলে কি আমরা ভবিষ্যত অবলোকন করে নিজেদের দেশ ও জাতির উন্নয়ন চাইব না? প্রয়োজনে টাইম মেশিনের স্টেয়ারিং থাকবে ডিজিটাল মন্ত্রীর হাতে। উনি অতীব শিক্ষার গুন টাইম মেশিনের চিপায় চিপায় ঢুকিয়ে আমাদের ভবিষ্যত বানী শুনাবেন। প্রয়োজনে ম্যানুয়াল গিয়ারের মেশিন না এনে আমরা অটোমেটিক মেশিন আনব। ডিজিট টিপে টিপে তিনি এই মেশিন চালাবেন। যা নিজেদের স্বার্থ বিরোধী দেখা যাবে তা গোপনের পূর্ন ক্ষমতা দেয়া থাকবে কারন অনেক পাওয়ারফুল লোকেদের দোষ থাকতে নেই। এখন আপনারাই বলুন এতো ড্র-বেক থাকা স্বত্তেও আমরা কি নিজেদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেবো না? আমাদের কি এতটুকু অধিকার নেই, নিজেদের সন্তানদের জন্য ভবিষ্যতটাকে সুন্দর আর বসবাসের উপযোগী করার? কারো ক্ষতি হোক এখানে সেই উদ্দেশ্য অমূলক। তাই আসুন কল্পনীয় হলেও আমরা এই টাইম মেশিনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাই, যা হয়ত আমাদের তথা বাংলাদেশী গোটা জাতিকে নিকটতম ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-ই হোক আর জয়ীই হোক- দুটোই আমাদের মত আম জনতার কাছে একই ধারনা বহন করে, সেই ধারনাটা ভালবাসার, মায়ার আর শ্রদ্ধার। সুখ আর সমৃদ্ধির উচ্চাশা নাই বা করলাম কিন্তু দুঃস্বপ্নে আর দুঃসহ ভয়াল যন্ত্রনার যেন না হয় আমাদের বংশধরদের ২০২১ অর বিয়ন্ড।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
ক্যাতর আলী বলেছেন: ঐডা কেউ হবে
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
ক্যাতর আলী বলেছেন: মেলা বড় আমিও পড়ি নাই
৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
জগ বলেছেন: ++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
ক্যাতর আলী বলেছেন: এই লিখা কেই আগে পড়ি নাই?