নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কানা দাজ্জাল- এক চোখা নীতি বিরুদ্ধ !

সাংঘাতিক এক রূপকথার জগতে বসবাস। স্বাধীকার, সাম্যবাদ আর বাকস্বাধীনতা যেখানে প্রতুলতা প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকে না।

কানা দাজ্জাল

একজন মানুষ যে দেশটাকে ভালবাসে কিন্ত আজো এই দেশটার জন্য কিচ্ছু করতে পারে নাই। আমি দেশটার মতই হতভাগা।

কানা দাজ্জাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দাম্ভিকতা জাতির জনকের কন্যার থেকেও বেশি! - ফারহানা লাকী

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৩

এই লেখাটি আমার নয়, বুঝতেই পারছেন। সাবেক এম পি গোলাম মাওলা রনির ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট থেকে সঙ্কলিত। এটি অলরেডি শেয়ার হয়েছে ৬০৫ বার, লাইক পরেছে ১৯৩৮টি আর কমেন্ট ৪৭৩টি এবং আরো পরছে। কিন্তু এতকিছুর পর-ও আমি এই লেখাটি হাওলাদ করেছি আপনাদের জন্য কারন একটাই, যারা মিস করেছেন, তারা যেন এই অনবদ্য সত্য ও সাবলীল লেখাটি মিস না করেন। হাজার স্যালুট লেখিকাকে আর শত স্যালুট যার মাধ্যমে এইটা পোষ্ট হয়েছে। আমার অপূরনীয় আকাঙ্খা একটা বাংলাদেশীও যেন এই লেখাটা মিস না করেন...।



আমার দাম্ভিকতা জাতির জনকের কন্যার থেকেও বেশি!

-ফারহানা লাকী



আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তবু আমার দাম্ভিকতা স্বয়ং জাতির জনকের কন্যার থেকেও বেশি। আমার অহংকার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বোনের থেকেও বেশি।



আমি নিশ্চিত করে বলছি আমার বাবা বেঁচে থাকলে এখন আমার জন্য গৌরব করতেন। আর শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে তার মেয়েদের কারণে লজ্জা পেতেন। আমার লজ্জা লাগছে। শেখ উইথ হাসিনা/রেহানা। ধিক!



পথের ফকির আর রাজভবনের ফকিরের মিল খুঁজে চলছি নিরন্তর। গ্রাম মেম্বাররা যখন সরকারি রেশন কার্ড দেন তখনও বাবার নাম জেনে নেন। শেখ রেহানাও সরকারি দান নিচ্ছেন বাবার পরিচয়েই। তার বাবা শেখ মুজিব না হলে তিনি কী????



আত্মগর্বে আমার এখন মরি মরি দশা। বুঝুন অবস্থা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পরিবার দান নেন আর আমি আমজনতা হয়েও দান করি। গর্বে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি রে........এত্ত সুখও ছিল জীবনে।



আমার দান করার একটা নমুনা দেই। কিন্তু দান নিয়েছি এমন নজির নাই। তাই দিতে পারছি না। বুঝুন গৌরব কাকে বলে। আমি দান নেই না বলছি জোর গলায়। পারবে শেখ রেহানা বলতে?



আমি পথ চলি আর পথের মানুষ দেখি। রাস্তার ফুটপাতে বসে থাকা ফকিরের ভিক্ষা চাইবার স্টাইলও দেখি খুব মনোযোগের সাথে। সত্যিকারের অভাবী বুঝলে সাহায্য করি। হাতে সময় থাকলে ইচ্ছে পূরণ করি। সেদিন এক বৃদ্ধের সাথে দেখা। বললাম কী খাবেন? যা পাই। ভোনা খিচুরি খাবেন? হাসলেন বাঁকা ঠোটে, যেন আমি উপহাস করছি আর উনি তা ধরতে পেরেছেন।



এবার জোর দিয়ে বললাম কী খাবেন? নাগো মা। বলেই হাঁটতে শুরু করলেন। আমি থামালাম তাকে। আরে যাচ্ছেন কেন সত্যি খাওয়াবো। অনেকটা জোর করেই মগবাজার মোড়ের থ্রি স্টার হোটেলে নিয়ে গেলাম। বসলাম। ভোনা খিচুড়ির অর্ডার দিতেই জানালো শেষ। ইলিশ মাছ ভাজা, ভর্তা, ডাল আছে। দিতে বললাম। খাবার এলে নির্বাক হয়ে যাওয়া বৃদ্ধ হাতের কবজি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করলো কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে। ভর্তাও নিলেন কিন্তু ইলিশ মাছটা ছুঁয়েও দেখলেন না। আমি তুলে দিতে গেলাম। থামিয়ে দিলেন নাগো মা ও মাছের বড় দাম। তুমি ভাত দিছো তাই খুশি।



আমি জোর করে প্লেটে ঢেলে দিলাম। বৃদ্ধ কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে খাচ্ছিলেন গোগ্রাসে। এবার থামলেন। ইলিশ মাছের টুকরাটা নেড়ে চেড়ে দেখলেন অনেক সময় নিয়ে। আমি তাড়া দিতেই মুখ তুলে তাকালো। কাঁদছেন তিনি। দু’চোখে অঝোরে পানি ঝরছে। নাকের পানি আর চোখের পানি একসাথে জড়াজড়ি করে নিচে নামছে। আমি অপ্রস্তুত। নাগো মা পরিবার রেখে এই মাছ কেমনে খামু। গত ৩৫ বছর ইলিশ মাছ খাই না। মোর ৭টা গেদা গেদী (সন্তান) তাগোও কোনোদিন কিনে খাওয়াতে পারিনি। চেনেই না তারা ইলিশ মাছ কেমন। আমি কেমনে খাই। আমি চুপ।



বৃদ্ধ ইলিশ প্লেটে তুলে রেখে ভাত খাওয়া শেষ করলো। এবার আমি বাকরুদ্ধ! যে অহংকার নিয়ে বুড়োকে খাওয়াতে গিয়েছিলাম তা এক লাফে বদলে গিয়ে কষ্টে রূপ নিলো। কী করতে পারি? কী করতে পারি আমি? বৃদ্ধের মতো কতজন আছে আমার চারপাশে, আমি কী করবো। মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেলো। মিনা বাজারে নিয়ে গিয়ে একটা ইলিশ মাছ কিনে দিলাম ৯০০ টাকায়। ২ কেজি চাল দিলাম ব্যাগের ভেতর। বললাম বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে খাবেন।



আমার সৌভাগ্য আমি এক গরীব বৃদ্ধের এক বেলার আনন্দের কারণ হতে পেরেছি। আমি এক অতি সাধারণ পরিবারের মেয়ে তবু আমার গৌরব আছে। সুখ আছে। সাধারণ, অতি সাধারণ কিছু মানুষরে জন্য করবার ক্ষমতা আছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে রেহেনা এক মহামান্বিত পরিবারের সদস্য হয়েও তার কিছু নেই! তাকে এই অধিকাংশ গরীব মানুষের এই দেশ থেকেও দান নিতে হয় পিতার পরিচয়ে। ধিক তোমায় ধিক।



লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী লাকী আইডিয়াবিডি ডটকম

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৬

ক্যাতর আলী বলেছেন: আমার দাম্ভিকতা ফারহানা লাকীর থেকেও বেশি! - ক্যাতর আলী

আমার দান করার একটা নমুনা দেই, মোকলেসা খায় নেবি, দ্যাখা হলেই আমি তারে বেনচন কিনে দেই, কইতে পারবে কেউ যে নেবি খায় তারে কেউ বেনচন কিনে দিসে?

কইতে পারবে জাতির জনকের কন্যারা, কইতে পারবে ফারহানা লাকী?

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০১

কানা দাজ্জাল বলেছেন: কোথাও কেউ তো নিশ্চয়-ই আছে। কতজনকেই আমরা চিনি???

২| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৪১

রাজীব দে সরকার বলেছেন:
শেখ রেহানাকে সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের ঢোল পিটানোর আমার কাছে খুবই নিম্ন মানের মনে হয়েছে

বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এভাবেই মানুষের পাশে থাকেন, তাই বলে তারা ফেইসবুকে একেবারে বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে স্ট্যাটাস দেয় না

যাই হোক, পুরো ব্যাপারটার মধ্যে আমি কোন মাহাত্ন্য খুঁজে পেলাম না

লেখককে কিঞ্চিত ধিক্কার

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৩

কানা দাজ্জাল বলেছেন: লেখককে কিঞ্চিত ধিক্কার দিলে তো শেখ কন্যারা ধিক্কারের ধাক্কায় ভেসে যাওয়ার কথা।

৩| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৪৯

বাংলার ঈগল বলেছেন:

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৪

কানা দাজ্জাল বলেছেন: আপনার সাথে আমিও আরেকটা দিলাম ++

৪| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৫

মুহামমদল হািবব বলেছেন: সুন্দর।

৫| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:১২

মাইরালা বলেছেন: অসাধারণ লেখা। নেতা নেত্রীদের ছিচকামি কোন পর্যায়ে চলে গেছে বুঝার জন্য এই গল্পটাই যথেষ্ট। খুব ভালো লাগল।

পোস্টে ++++

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৩

কানা দাজ্জাল বলেছেন: আপনার সাথে আমিও +++++ দিলাম ফারহানা লাকীর জন্য।

৬| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:১৫

বাংলার নেতা বলেছেন: লেখাটা পড়ে চোখের জল কখন যে চলে আসল টেরই পেলাম না! ধন্যবাদ পোষ্ট এ জন্য!

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৯

কানা দাজ্জাল বলেছেন: ধন্যবাদ ফারহানা লাকী বরাবর ফরোয়ার্ড করা হল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.