রোযার উদ্দেশ্য, অসুস্থ হলে, সফরে থাকলে, অক্ষম হলে, সেহরির সময়কাল ও অনান্য বিষয়ে সরাসরি পবিত্র কোরআনের অসাধারণ চমৎকার দিকনির্দেশনা গুলো জেনে নেই!

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৮

রোযা ফরজ হওয়া এবং উদ্দেশ্য:-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা আল্লাহভীতি(পরহেযগারী) অর্জন করতে পার।’ (পবিত্র কোরআন, অধ্যায়২, সূরা বাকারা-১৮৩)।

অসুস্থ হলে, সফরে থাকলে, অক্ষম হলে, সেহররি সময়কাল ও অনান্য বিষয়ে:-

‘রোযা ফরজ করা হয়েছে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনের জন্য, কেউ যদি সে দিন গুলোতে অসুস্থ হয়ে যায় কিংবা কেউ যদি তখন সফরে থাকে, সে ব্যক্তি সমপরিমাণ দিনের রোযা অন্য সময়ে আদায় করে নেবে, আর যারা অক্ষম তারা এর পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাদ্যদান করবে, তবে যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে তার জন্য কল্যণ এবং তোমরা যদি বুঝে থাকো তবে রোযা রাখাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর।’(পবিত্র কোরআন, অধ্যায়২, সূরা বাকারা-১৮৪)।

‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা রাখে। কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা ভ্রমেণে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তাই চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না। তাই তোমরা রোজা রাখবে অর্থাৎ রোজার সংখ্যা পূরণ করবে এবং নিজেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা গাইবে ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।" (পবিত্র কোরআন, অধ্যায়২, সূরা বাকারা-১৮৫)।

‘রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা আল্লাহকে ভয় করতে পারে।’ (পবিত্র কোরআন, অধ্যায়২, সূরা বাকারা-১৮৭)।

১ টি +১/-০