![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)
নিজের দলের মধ্যে বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত এ্যালেক্সিস সিপ্রাসকে পদত্যাগ করতে হলো। পদত্যাগের পাশাপাশি তিনি নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ করায় বলা যেতে পারে, গ্রিসের সমসাময়িক রাজনীতি থেকে সিপ্রাস অধ্যায়ের এখনই অবসান ঘটছে না। ইউরোপীয় ইউয়িনের চাপে পড়ে হোক বা গ্রিসের ভালর জন্যই হোক, সিপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণ নিতে যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তার পক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি যদি জনগণের ম্যান্ডেট পান তাহলে আরও এক সিপ্রাস অধ্যায়ের সূচনা ঘটবে গ্রিসে।
আর যদি তার সুপারিশ না মেলে ও বর্তমান পার্লামেন্ট বহাল রেখে নতুন কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তাহলে হয়তো সিপ্রাসকে বাদ দিয়েই আলাদা এক গ্রিসের পথচলা শুরু হতে পারে।
দীর্ঘ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পর আশির দশকে গ্রিস গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করে। সেই থেকে সমস্ত সঙ্কট মোকাবেলায় গ্রিস জণগণের ম্যান্ডেটের ওপর ভরসা করে এসেছে। ইউরোপের দরিদ্র দেশ গ্রিস যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পায় তখন আশা করা হয়েছিল, এবার গ্রিসবাসী অর্থনৈতিক মুক্তিও লাভ করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গ্রিসের পুনর্গঠনে মোটা অঙ্কের ঋণও দেয়। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসে। কিন্তু এই অর্থনৈতিক সহযোগিতা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় গ্রিস। শর্ত মোতাবেক ঋণের অর্থ ফেরত না দিয়ে এক সময় দেউলিয়া হয়ে পড়ে দেশটি। এমন একটি বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে আট মাস আগে সমাজতান্ত্রিক তরুণ সিপ্রাসের কথায় গ্রিসবাসী আশ্বস্ত হয় এবং তাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াই এবং সমঝোতার মধ্য দিয়ে গ্রিসের জন্য নতুন ঋণ অনুমোদন করাতে সমর্থ হন সিপ্রাস। তার সহযোগী অর্থমন্ত্রীর নাটকীয় পদত্যাগে সিপ্রাসকে নিজের দলের মধ্যেই বিরোধের সম্মুখীন হতে হয়। আরও বেশখানিক পথ এগিয়েও সিপ্রাস আর পারলেন না, তাই তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হল।
একজন সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার রাজনীতিবিদ হয়েও গণতন্ত্রের প্রতি সিপ্রাস যে আস্থা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের বিশ্বাস, সে কারণেই এই সঙ্কটের মধ্যেও গ্রিস পথ হারাবে না। পৃথিবীর যে সব দেশে গণতন্ত্র রয়েছে সে সব দেশে রাজনীতিবিদরা সব সময় নিজের চেয়ে জনগণের ওপর আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন বলে বড় বড় সঙ্কটে পড়েও সে সব দেশ পথ হারায়নি। এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ মহিমা। প্রাজ্ঞজনদের মতো আমরাও বলতে চাই, গণতন্ত্র একটি নিকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা কিন্তু তার চেয়ে ভাল কিছুও নেই।
বিশ্বের যে সব দেশ গণতন্ত্রের কথা বলে সে সব দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সিপ্রাস বা গ্রিসের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সিপ্রাসের রাজনৈতিক পরিণতি যাই হোক না কেন, আমাদের বিশ্বাস জনগণের ম্যান্ডেটের মধ্য দিয়েই গ্রিস তার বর্তমান সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসবে।
সূত্র- দ্য রিপোর্ট২৪
©somewhere in net ltd.