![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ আরিফিন ইসলাম একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা করি। কর্মস্থলঃ thereport24.com (IT support)
রাজধানীর যানজট নিরসনে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। জনগুরুত্বপূর্ণ এই কাজের সুবিধার্থে উত্তরা এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ওভারহেড (উপর দিয়ে) লাইন সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ১৩২ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে। এ জন্য চীনের সিসিসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও জিয়াংসু ইস্টার্ন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি করেছে পিজিসিবি। রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই চুক্তিতে পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং সিসিসি ও জিয়াংসুর পক্ষে প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডি কে এম ফজলুল হক স্বাক্ষর করেন। পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুম আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (পিএ্যান্ডডি) চৌধুরী আলমগীর হোসেন, আরেক নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) মো. শফিকউল্লাহ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুর রহমানসহ উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতনরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার যানজট নিরসনে ২০১২ সালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২৪ সাল নাগাদ রাজধানীর উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। মেট্রোরেলের আওতায় ১৬টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল মোড়, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং সর্বশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, উত্তরায় মেট্রোরেলের সবচেয়ে বড় (প্রধান) স্টেশনটি নির্মিত হবে। আর এ জন্য ওই এলাকায় পিজিসিবির বিদ্যুৎ লাইনগুলো সরানো জরুরি। উত্তরায় বিদ্যুতের সাব-স্টেশন হতে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত মোট ৯টি বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ারে স্থাপিত সঞ্চালন লাইন উপর থেকে সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে নেবে চীনা কোম্পানি দু’টি। এ জন্য খরচ হবে ২২ কোটি টাকা।
পিজিসিবি সূত্র জানায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য তেজগাঁও এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড) পিজিসিবির স্থাপিত হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনও সরাতে হচ্ছে। ২০১২ সালে এই এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে সঞ্চালন লাইন টানে পিজিসিবি। মিরপুর থেকে ফার্মগেইট হয়ে শাহবাগ-পল্টন দিয়ে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে শেষ হবে মেট্রোরেলের কাজ। ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি স্টেশন হবে। এ ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়নে রাস্তা খোঁড়ার প্রয়োজন হচ্ছে। রাস্তা খুঁড়লেই পিজিসিবির স্থাপিত বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তা আগেই আশপাশে (আন্ডারগ্রাউন্ডে) সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে ৬৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে।
পিজিসিবির এমডি মাসুম আলবেরুনী বলেন, এটি (মেট্রোরেল) একটি মেগা প্রজেক্ট। জনগণের সুবিধার স্বার্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। উত্তরায় যেহেতু মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মিত হচ্ছে, তাই তাদের সুবিধার্থেই ওই এলাকার ওভারহেড (মাথার উপর) সঞ্চালন লাইন সরিয়ে তা মাটির নিচ দিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অংশ ৫ হাজার ৩৯০ কোটি ও জাপানের সাহায্য ১৬ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য রাজউক এরই মধ্যে ৫৮ দশমিক ৯১ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মেট্রোরেলের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর মূল নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০১৭ সালে। এ সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে নকশা প্রণয়ন শেষে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা যায়।
সংগ্রহ- দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।
©somewhere in net ltd.