![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরে আমরা ঘটা করে বিজয় দিবস পালন করি। স্বরণ করি বাঙালির প্রাণের প্রিয় দুই ব্যাক্তিকে । মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য । আর , মারামারি করি স্বাধীনতার ঘোষক কে, এই তুচ্ছ বিষয়টি নিয়ে । আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদেরই রেখে যাওয়া । এই দুই দলের পাপের মাসুল সাধারণ জনগনের প্রাণ দিয়ে দিতে হয় । স্বাধীনতা পরবর্তী এই দুই দলের খামখেয়ালি র কারণে বা রাজনৈতিক সংকটে কত যে মানুষ মারা গিয়েছে , তার কোন সঠিক হিসাব নেই । কিছু দিন পূর্বের পেট্রোল বোমা ও রানা প্লাজা র ঘটনা আমাদের অজানা নয় ।
১০/৩/২০১৫ তারিখে Los Angeles Times এর অনলাইনে প্রকাশিত একটি শিরোনাম Bangladesh's long political crisis: Deaths and a stilted economy তে বলা হয় "রাজনৈতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১১৮ জন মানুষ মারা গিয়েছে, যার মধ্যে ৬৩ জন পেট্রোল বোমায় " ।
http://bangladeshpolitico.blogspot.com/2015/01/political-crisis-2015-analysis-of-deaths.html?m=1 গেলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
পৃথিবীর কোন ভদ্র সমাজ অশিক্ষিত, মুর্খ বাঙালিদের মত জালাও-পোরাও রাজনীতি করে না .....
যারা আমাদের জীবনকে রাজনীতির হাতিয়ার বানায়, যাদের কাছে সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য নেই ,
তাহলে তাদেরকে কেন আমরা তাদের সমর্থন করি .....? কেন তাদের ভোট দিয়ে বারবার ক্ষমতায় আনি ?
রানা প্লাজা ঘটনায় নিহত ১১২৯ , আহত ২৫০০, নিখোজ ৯৯৬ জন । [তথ্য - বাংলা উইকিপিডিয়া ] ।
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন কেন এই অপরিকল্পিত ভবন রানা প্লাজা কে পোশাক কারখানা হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিল ?
অথচ মালিক সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হল ...
প্রধান আসামি তো আওয়ামী লীগ ....।
এই মানুষগুলোর মৃত্যুর জন্য কে দায়ী ?
শ্রদ্ধেয় হাসিনা ও খালেদা উভয় দায়ী ।
১৯৭১ র মানবতাবিরোধী কাজের জন্য কিছু লোককে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে ।
হাসিনা- খালেদাও তো অস্থির রাজনীতির মাধ্যমে অনেক মানুষ মেরেছেন । তারাও তো অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, মাকে করেছেন সন্তানহারা ।
মানবতাবিরোধী রাজনীতি তারাও করেছেন ।
তাহলে তে হাসিনা-খালেদা রেও ফাঁসি দেয়া উচিত
পাকিস্তান আমলে আমরা দেখেছি, পূর্বের টাকা পশ্চিমে যেতে ।
এই আমলেও তো, নেতারা কোটি-কোটি টাকা লোপাট করেছেন । বিদেশীদের দেয়া আর্থিক অনুদানের টাকা মারছেন ।
রানা প্লাজা ধসে যাওয়াতে যেখানে মানবতার বিপর্যয়,সেখানে রেশমারে নিয়ে ১৭ দিন জীবিত থাকার নাটক করা।
এটা সরকারদলীয় কিছু ব্যক্তির প্ররোচনায় হয়েছে...ছি! ছি!
দেশ স্বাধীন হয়ে কি উপকার হয়েছে ?
এখনো সর্বনাশা পদ্না,মেঘনা,যমুনার ভাঙনে মানুষ ঘরছাড়া হয়। বিদেশে সাগরকে কন্ট্রোল করে, আর আমাদের দেশে সামান্য নদীকে বশ করতে পারে না ।
আসুন, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আরেকটি হাসিনা-খালেদা বিরোধী আন্দোলন করি ।
আরেকটা ফখরুদ্দীন সরকার চাই ।
একমাত্র তিনিই সুস্থ মস্তিকে দেশ পরিচালনা করেছেন ।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২২
রাফা বলেছেন: এক ছটাক মাছির মস্তিষ্ক নিয়ে আর কি চিন্তাভবনা আসবে সেটাই ভাবতেছি।হাসিনা খালেদা মানবতা বিরোধী অপরাধী এখানেও মজা পাইলাম।সব কিছুর গড় হিসাব করে ফেলি আমরা খুব সহজেই।এই লক্ষন গুলো আমরা ছাগু প্রজাতির মধ্যে খুব প্রকটভাবে দেখতে পাই।এখনতো ছাগিয়তাবাদিরাও যোগ হয়েছে।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
ইলুসন বলেছেন: যেখানে দেশের বেশিরভাগ মানুষই চুরি করতে অভ্যস্ত সেখানে আপনি ভাল কাউকে শাসনকার্যে আশা করতে পারেন না। ছোট খাট সব জায়গাতেই আমরা ঘুষ দিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে কাজ করাতে অভ্যস্ত। এটা কোন টেন্ডারপ্রাপ্তিও হতে পারে আবার আরেক রোগীকে সরিয়ে সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়াও হতে পারে। আমরা কখনও এটা চিন্তা করি না যে আরেকজনের সমস্যা হচ্ছে। ফখরুদ্দিন আমলে অনেক বড় বড় চোর ধরা পড়ছিল। আর ছোট ছোট চুরিগুলাও প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এতে দীর্ঘদিন প্রভাব খাটিয়ে কাজ করানো লোকজন সহ্য করতে পারবে না- এটাই স্বাভাবিক ছিল। বিএনপি, আওয়ামীলীগ সবাই তাই এর বিরোধিতা করেছে। ধরেন আপনার সাথে এক মন্ত্রির পরিচয় আছে, এই কারণেই আপনি সব জায়গাতে প্রভাব খাটিয়ে বেড়ান। কিন্তু যদি ঐ প্রভাব খাটাতে না পারেন, তাহলে আপনার কাছে তো ফখরুদ্দিন সরকার খারাপ লাগবেই!
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
তাল পাখা বলেছেন: জনগণের জন্য রাজনীতি। সেই রাজনীতি যখন জনগণ নিধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়। সেই রাজনীতি যখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়। তকন সেটাকে রাজনীতি না বলে শোষণনীতি বলা অনেক শ্রেয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা গণহত্যা চালিয়েছিল আর স্বাধীনতা উত্তর যারা ক্ষমতার লোভে মানুষ হত্যা করছে দুটি দলকে একই কাতারে দাড় করালে মহান স্বাধীনতাকে খাটো করা হয়। তবে দুটিই ঘৃণিত।
আরেকটা ফখরুদ্দীন সরকার চাই ।
উপরোক্ত কথার সাথে সহমত পোষণ করছি। স্বাধীনতার আগে পূর্বের অর্থ পাচার হয়ে যেত পশ্চিমে আর এখন স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থ পাচার হয়ে যায় মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ইংল্যান্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে বা সুইচ ব্যাংকে। আর এই পাচারকারীরাই ফখরুদ্দীনের প্রতি নাখোশ।
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: নীতির অভাব । দুজনই ক্ষমতা লালসায় উন্মাদ । আবার দুজনের মধ্যে অাত্মঅহংকারে ভরা ।
দেখ একটা দেশ গড়ে জনগণ, শাসক দল নয় । দেশের সরকার জনগণ ,যে ক্ষমতায় সে নয় । দেশের জনগণের উপর দেশের সহিষ্ণু অসহিষ্ণু নির্ভর করে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২০
এম এইচ মুন্না বলেছেন: বাংলাদেশের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্যে যেমন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয়ই দায়ী তেমনি আজ বাংলাদেশের যা কিছু গৌরবের যা কিছু অহংকারের তার কৃতিত্বও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির। সমস্যা খালেদা কিংবা হাসিনার নয়, সমস্যাটা আমাদের মনমানসিকতার। আমাদের সিস্টেমের ।